Category: DISTRICT HOSPITAL

  • আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে বেপরোয়া চারচাকা গাড়ি / ধাক্কায় মৃত্যু এক পথচারীর

    আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে বেপরোয়া চারচাকা গাড়ি / ধাক্কায় মৃত্যু এক পথচারীর

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– আসানসোল দক্ষিণ থানা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘাগরবুড়ি মন্দিরের সামনে শুক্রবার দুপুরে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল পথচারী এক যুবকের। অঙ্গাত পরিচয় মৃত যুবকের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর থেকে আসানসোল হয়ে জুবিলি মোড়ের দিকে যাচ্ছিল একটি স্করপিও গাড়ি। আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে ঘাঘরবুড়ি মন্দিরের কাছে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেপরোয়া ভাবে রাস্তার পাশে একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ঐ স্করপিও গাড়িটি। সেই ধাক্কায় গাড়িটি বেশ কয়েকবার উল্টে রাস্তার পাশে থেমে যায়। সেই সময় রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক যুবক। স্করপিও গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এর পরে পেছনের দিক থেকে আসা আরো একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। তাতে ঐ যুবক রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহত যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় চারচাকা গাড়িটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়।
    এক প্রতক্ষদর্শী শ্যাম দাস বলেন, চারচাকা গাড়ির গতি ছিল খুব বেশি। প্রথমে ঐ গাড়িটি কালভার্টে ধাক্কা মারে। পরে রাস্তা পার করা ঐ যুবকটিকে গাড়ি ধাক্কা মারে। পরে তাকে অন্য একটি গাড়ি চাপা দেয়। এই ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা ১৯ নং জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রশাসনের গাফিলতির সমালোচনা করেন। তারা বলেন, এই এলাকায় চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্করপিও গাড়ির চালক ও তার সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গাড়ির মালিকের খোঁজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মৃত যুবকেরও পরিচয় জানার চেষ্টা হচ্ছে।

  • তৃণাঙ্কুর উৎসবে ” নজীর / হিন্দুদের অনুষ্ঠানে রক্তদান মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনদের

    তৃণাঙ্কুর উৎসবে ” নজীর / হিন্দুদের অনুষ্ঠানে রক্তদান মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনদের

    পাবলিক নিউজঃ পান্ডেভেস্বর:–পান্ডবেশ্বরে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাকলেশ্বরী কালির ” বাৎসরিক পুজো ও তৃণাঙ্কুর উৎসব ” অনুষ্ঠান । স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “তৃণাঙ্কুর” এর উদ্যোগে এই উৎসব চলবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত । উৎসবের বিভিন্ন দিন রয়েছে ধার্মিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার সকালে এই উৎসবে অনুষ্ঠিত হলো একটি রক্তদান শিবির। সেই শিবিরের সূচনা করেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । শিবিরে রক্ত দান করেন ৫০ জন মুসলিম পুরুষ ও মহিলা । হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন ধার্মিক অনুষ্ঠানে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো মুসলিম পুরুষ, মহিলাদের স্বেচ্ছাই রক্তদানের ঘটনা । রক্তদাতারা বলেন, ধর্ম নিজের নিজের, উৎসব কিন্তু সবার । তাছাড়া রক্তের কোন ধর্ম হয় না। রক্তদান একটি মহান কাজ। সেই কাজে অংশ নিতে পেরে গর্ববোধ করছি বলে জানান তারা।

  • উদ্ধার সুইসাইড নোট / বার্নপুরে বাপের বাড়ি থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    উদ্ধার সুইসাইড নোট / বার্নপুরে বাপের বাড়ি থেকে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– বাপের বাড়ি থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগালো এক মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। বুধবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরের রিভারসাইড টাউনশিপ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মহিলার ঘর থেকে তার লেখা একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতার নাম সোনালী তাঁতি (২৬)। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মহিলার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বার্নপুরের রিভারসাইড টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দা সোনালী তাঁতির সঙ্গে রঞ্জিৎ তাঁতি নামে এক যুবকের সাত বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো। বর্তমানে তার দুটি মেয়ে আছে। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে এসে থাকছিলেন। পরে স্বামীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপরে বাপের বাড়িতে থাকাকালীন তার সঙ্গে বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় সোনালী তাঁতিতে বাপের বাড়িতে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকেরা তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    মৃতার বাবা মহাদেব দাস এদিন পুলিশকে বলেন, মেয়ের সঙ্গে যে যুবকের ঘনিষ্ঠতা হয়েছিলো, সে বিবাহিত। ঐ যুবকের স্ত্রী সেই সম্পর্কের কথা কোনভাবে জানতে পারে। বুধবার সকালে ঐ যুবকের স্ত্রী আমার বাড়িতে আসে ও ঐ সম্পর্কের কথা বলে মেয়েকে মারধর করে। তারপর থেকে মেয়ে চুপচাপ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আরো বলেন, মেয়ের ঘর থেকে একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। তাতে মেয়ে সবকিছু বলে গেছে।
    প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই ঐ মহিলা গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতার বাপের বাড়ির তরফে এখনো পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

  • কুলটির নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসারত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

    কুলটির নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসারত যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসারত এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। আসানসোলের সালানপুর থানার অরবিন্দ পল্লীর বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম সুজয় দাস (৩৩)। শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালানপুরের বাসিন্দা সুজয় দাস অতিরিক্ত নেশা করতো। সেই কারণে সে মানসিক ভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। যে কারণে বাড়ির লোকেরা তাকে চলতি বছরের ১১ মার্চ “কুলটি ফ্রীডোম ফাউন্ডেশন ” নামে একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে তিনি বৃহস্পতিবার শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেন্দ্রের তরফে সেখানে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে সে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তাকে কেন্দ্রের কর্মীরা তাকে কুলটির শাঁকতোড়িয়ায় ইসিএলের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    কুলটি থানার পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে জানা যাবে না যে, ঠিক কি কারণে ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে।