আলোক চক্রবর্তী দুর্গাপুর:-বুধবার বিকালে দূর্গাপুরে ডিওয়াই এফ আইয়ের মিছিলে সংঘর্ষ এবং সিপিএমের বিমল দাশগুপ্ত ভবনে বোমাবাজির ঘটনায় নয়জন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ডিওয়াই এফ আইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মিনাক্ষী মুখার্জি দূর্গাপুরে এসে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন। তিনি জানান রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী আন্দোলন দেখে ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নিয়ে সেদিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা চালিয়েছিলেন পরবর্তীকালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বুধবারের দূর্গাপুরের হামলার ঘটনায় আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা হামলা চালিয়েছিলেন তারমধ্যে তাদের প্রাক্তন কর্মীও উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের অপদার্থ পুলিশ গতকালের ঘটনা সামলাতে অসমর্থ, নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন আরো তীব্র হবে বলে জানান মিনাক্ষী মুখার্জি।
पब्लिक न्यूज ब्यूरो/ आसनसोल, पश्चिम बंगाल आसनसोल साउथ थाना अंतर्गत मोहिशीला के सन विव पार्क इलाके से एक हैरान कर देने वाली घटना सामने आई है, जिस घटना का एक सिसिटीवी फुटेज भी सोसल मिडिया पर जमकर वायरल हो रहा है, जिस विडिओ मे यह साफ देखा जा सकता है की चार स्ट्रीट डॉग सड़क के किनारे इधर -उधर घूम रहे हैं, उसी बिच एक सक्स अपने हाँथो मे एक डंडा लेकर आता है और एक स्ट्रीट डॉग के कमर पर इतनी जोरदार तरीके से डंडे से मारता है की उस स्ट्रीट डॉग की कमर टूट जाती है और वह इधर -उधर गिरता -पड़ता अपनी जान बचाने की कोसिस करता है, हालांकि घटना के बाद वह स्ट्रीट डॉग बुरी तरह घायल है, वहीं वायरल विडिओ को देख आसनसोल के पशु प्रेमी लिपिका चक्रवर्ती, तारा नाग, देब राज कर्मकार और सोरिस गोराई घटना स्थल पर पहुँच स्ट्रीट डॉग को बेरहमी से डंडे मारकर कमर तोड़ने वाले व्यक्ति की पहचान कर ली है, जिसका नाम सुकांतो राय है, जो युवकों को कराटे और मार्शल आर्ट सिखाता है, वहीं पशु प्रेमियों ने आरोपी सुकांतो राय के खिलाफ आसनसोल साऊथ थाना मे एक लिखित शिकायत भी दर्ज करा दी है और दोषी सुकांत राय के ऊपर कानूनी कार्रवाई करने की मांग की है, पशु प्रेमी लिपिका ने बताया की इससे पहले आसनसोल साऊथ पुलिस फाड़ी अंतर्गत चेली डंगाल इलाके मे भी एक व्यक्ति ने एक स्ट्रीट डॉग को डंडे से बेरहमी से पिट -पीटकर मौत के घाट उतार दिया, जिसके ऊपर भी उन्होने साऊथ पुलिस फाड़ी मे लिखित शिकायत की है, लिपिका ने यह दुख जताते हुए कहा की वह बेजुबानो के ऊपर अत्याचार करने वालों के खिलाफ शिकायत तो करती हैं पर पुलिस द्वारा समय पर उचित कार्रवाई नही होने के कारण कुछ बेज़ुबान मासूम कुत्तों पर अत्याचार करने वाले लोगों का मनोबल बढ़ जाता है और वह इस तरह की घटना को बिना डर और बिना किसी भय के लगातार अंजाम दे रहे हैं, लिपिका ने कहा की उनके जैसे ऐसे कई पशु प्रेमी हैं जो आवारा पशुओं को खाना खिलाने से लेकर उनकी समय -समय पर स्वास्थ्य जाँच कर अगर वह बीमार हुए तो उनका इलाज करते हैं
আলোক চক্রবর্তী/কুলটি :-কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ীর অন্তর্গত কল্যানেশ্বরীতে অর্ক টেলিকম এন্ড স্টুডিও ফ্ল্যাশ ভিশন নামে এক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিক্রির দোকানে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে রবিবার রাত্রে। দোকানের মালিক জয়ন্ত সেন জানান তার দোকানে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ,হেডফোন, সিমকার্ড সহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বিক্রি হয়। রবিবার তার শরীর খারাপ থাকাতে তিনি দোকানে আসেন নি সোমবার সকালে দোকান খুলে দেখেন তার দোকানের ছাদ ফুটো এবং দোকানের জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে, দোকানে রাখা সব মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়েছে চোররা।আনুমানিক লক্ষাধীক টাকার উপর ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে তিনি জানান এই রকম ঘটনা আগে কোনদিন ঘটে নি তাই এই চুরির ঘটনায় আশেপাশের দোকানদারদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে চৌরঙ্গী ফাঁড়ীর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সব জানার পর সিসি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
আলোক চক্রবর্তী:-গত ৯ ই আগষ্ট কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের এক কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিত হবার পর খুন হয়। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সামাজিক সংঘটন বিক্ষোভ দেখান। সোমবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার সদস্যরা আসানসোল পৌরনিগমের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়িকা অগ্নিমিত্র পাল, জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জী সহ বিভিন্ন সদস্যরা। অবস্থান বিক্ষোভ দেখাবার পর তারা দক্ষিণ থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ এবার শহর থেকে গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে।রবিবার আসানসোলের সালানপুর ব্লকের বাসুদেবপুর জেমারী গ্রাম পঞ্চায়েতে আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাসুদেবপুর দূর্গা মন্দির থেকে জেমারী গেট পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করা হয়। সেই মিছিলে পুরুষ, মহিলা থেকে শুরু করে যুবক, যুবতী ও কিশোর এবং কিশোরীরা পায়ে পা মেলান। মিছিলের মধ্যেই আওয়াজ উঠে ” তিলোওমার তোমার রক্ত হবে নাকো ব্যর্থ”, “ইউ ওয়ান জাস্টিস”।
আরজি করের ঘটনা / সালানপুরে ডিওয়াইএফআইয়ের প্রতিবাদ মিছিল ও রাস্তা অবরোধ
DYFI বিক্ষোভ ও মিছিল আর জি কার কান্ডো কে নিয়ে
সালানপুর, ২৫ আগষ্টঃ ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন বা ডিওয়াইএফআইয়ের সালানপুর লোকাল কমিটির ডাকে রবিবার আরজি করের ঘটনায় মূল দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধিক্কার মিছিল হয়। মিছিলটি নিমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয় দেন্দুয়া মোড় পর্যন্ত যায়। এই মিছিলে পায়ে পা মেলান প্রচুর মানুষ। মিছিলের শেষে দেন্দুয়া মোড়ে আসানসোল চিত্তরঞ্জন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের জেলা সম্পাদক ভিক্টর আচার্য্য, জেলা কমিটির সদস্য আবীর ঘোষ,লোকাল কমিটির সদস্য চন্দন বাউরি, শম্ভু বাউরি সহ আরো অনেকে।
আসানসোলের সেনরেল রোডের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এসবিএসটিসি ( সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) বাস ডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাস হঠাৎ চালক ছাড়াই চলতে শুরু করে। রবিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি বাসটি ডিপোর গেট ভেঙে রাস্তায় এসে পরপর তিনটি মোটরবাইককে ধাক্কা মেরে, ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ঐ লেনে নর্দমায় গিয়ে পড়ায়, বাসটি থামে। ধাক্কা মারা তিনটি মোটরবাইকের মধ্যে দুটি মোটরবাইক ভেঙে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগেই বাসটিকে দেখতে পেয়ে যাওয়া মোটরবাইক চালকেরা প্রাণে বেঁচে যান। ছুটির দিনে দুপুরবেলা হওয়ায় এদিন ঐ এলাকায় ভিড় ও রাস্তায় গাড়ি চলাচল এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াত কম ছিলো। যে কারণে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ছুটে আসে। এই ঘটনার জন্য বেশ কিছুক্ষনের জন্য হলেও সেনরেল রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ক্রেন দিয়ে বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও গাড়ি চলাচল শুরু হয়। এদিকে এই ঘটনার পরে সরকারি বাসের বেহাল চেহারা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। এদিন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া একটি মোটরবাইক মালিক শ্রীকান্ত মাজি বলেন, আমি সরকারি বাসের ডিপোর সামনে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে ডিপোর ভেতর থেকে একটি বাস এগিয়ে আসছে। পরে বুঝতে পারি যে বাসটিতে চালক ও খালাসি কেউ নেই। চালক ও খালাসি ছাড়াই রাস্তার দিকে এগিয়ে আসছে। কিছু বোঝার আগেই গেট ভেঙে রাস্তার দিকে চলে আসে। বাসটি আমাদের খুব কাছে পৌঁছানোর আগে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। এরপর ঐ বাস তিনটি মোটরবাইককে পিষে দেয়। জানা গেছে, বাসটি হাওড়া ডিপোর ছিল। এই বাসটির আসানসোল থেকে কলকাতা ফেরার সময় ছিল বিকেল ৩ টে বেজে ৩০ মিনিট। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ এই বাসটি আসানসোলের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এসবিএসটিসি ডিপোতে পৌঁছায়। এরপর বাসটির চালক ও খালাসি খাবার খেতে গেছিলেন। তাই সেই সময় বাসে কেউ ছিল না। তাই প্রশ্ন উঠছে যে, বাসে চালক না থাকা সত্ত্বেও কি করে বাসটি চালু হলো? তাহলে কি টেকনিক্যাল ত্রুটি কারণে বাসটি চালু হয় গেল? তাহলে বাসটি কলকাতা থেকে আসানসোলেে কি করে যাত্রীদের নিয়ে এলো? সাধারণ মানুষ যারা, সরকারি বাসে নিত্যদিন যাতায়াত করেন, তাদের নিরাপত্তার কোথায়? এই বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল বলেন, ঘটনার সময় আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম না। খবর পেয়ে এসেছি। তারপর জানতে পারি বাসটি চালক ছাড়াই ডিপো থাকা বাস নিজের থেকে চালু হয়ে যায়। পরে গেট ভেঙে বেরিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে এসবিএসটিসির তরফে বলা হয়েছে, ঠিক কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, যে তিনটি মোটরবাইক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের মালিকেরা আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আসানসোল ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পারদ একেবারে তুঙ্গে। এবারের নির্বাচন আবারও সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সভাপতি সোমনাথ বিশোয়াল। রবিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পুরো প্যানেল নিয়ে আসানসোল ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে সোমনাথবাবু বলেন, এবারও আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।নিয়ম মতো আসানসোল ক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এটাই হবে আমার শেষ লড়াই। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরে আরো দু বছর আর আসানসোল ক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, গত ১০৫ বছরের ইতিহাসে আসানসোল ক্লাবে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ৪ বছরে। এই ঐতিহাসিক আসানসোল ক্লাবে যে উন্নয়ন হয়েছে তিনি তার আগের মেয়াদের কিছু কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেন। যেমন আসানসোল ক্লাবে ১০ টি ফাইভ স্টার রুম তৈরি করা হয়েছে। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রেস্তোরাঁ, পাঁচতারা রান্নাঘর, দুটি নতুন লিফট,সুইমিং পুলের ওপরে ম্যারেজ হল, শেড তৈরি করা হয়েছে। এমন অসংখ্য কাজের তালিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই উন্নয়নমূলক কাজগুলো অব্যাহত রাখতে তিনি আরও একবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। আবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে তিনি ভবিষ্যতে প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে থাকবেন। আমরা এর জন্য আসানসোল ক্লাবের ফি কমিয়ে দেব। ক্লাবে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাইরের কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন বিভাগ পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন যে যখন ক্লাবের ১০৫ তম বছর উদযাপন করা হবে, তখন সমস্ত বলিউড তারকাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এর সাথে, আসানসোল ক্লাবের প্রথম তলায় একটি ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি করা হবে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করা কর্মচারীদের আসানসোলে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। হুক্কা বারকে রয়্যাল ফ্যামিলি রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করা হবে। আরও অনেক কাজ করা হবে যাতে আসানসোল ক্লাব আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এর সাথে আসানসোল ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। আসানসোল ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক শোভন নারায়ণ বসুর পদত্যাগপত্র সবার সামনে তুলে ধরে সোমনাথবাবু বলেন, তিনি আসানসোল ক্লাবের সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের সময় লিখিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বলছেন যে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করার অধিকার সভাপতির নেই। এর জন্য আলাদা সভা ডাকতে হবে এবং এর পরেই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শোভন নারায়ণ বসু যা বলছেন তা সম্পূর্ণ ভুল। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। প্রসঙ্গতঃ, আসানসোল ক্লাব নির্বাচন ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ নিয়ে উৎসাহ উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। সভাপতি হিসাবে লড়াই করা সোমনাথ বিশোয়ালের প্যানেলে, লক্ষেশ্বর পান্ডে সেক্রেটারি পদের প্রার্থী, ডাঃ আর কে ঝা সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী, রাকেশ গোয়েল কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী। দশজন কার্যনির্বাহী সদস্যের প্রার্থীরা হলেন জসমিত সিং মক্কর, অমিতপাল ছাবরা, উমং আগরওয়াল, অঙ্কিত আগরওয়াল, অশোক আগরওয়াল, বিনয় মিহারিয়া, অতুল দাস, শ্রীবর্ধন সরফ, সৌমেন চ্যাটার্জি এবং নিলয় গাঙ্গুলী। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনোদ গুপ্ত।
আসানসোল : আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় শুক্রবার আসানসোল জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংযোগকারী সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীর রেল সেতু পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রেল ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও ছিলেন ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী ও পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে, মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, আমি ফোনে এদিন আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমকে সেনরেল রোডের রেল ব্রিজের নীচে জল জমার কথা বলেছিলাম। ডিআরএম রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন। তাদেরকে সাথে নিয়ে এই রেল ব্রিজ পরিদর্শন করলাম। এদিন বৃষ্টি হওয়ায় পরিদর্শন করতে একটু অসুবিধা হলেও, বিষয়টি দেখা হয়েছে। রেল ও আসানসোল পুরনিগম খতিয়ে দেখছে কিভাবে এই ব্রিজের নিচে জল জমার সমস্যা সমাধান করা যায়।
এই ব্রিজের নিচে বিদ্যুতের তারও গেছে। শনিবার আবার পরিদর্শন করা হবে। বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের ডাকা হবে। মেয়র আরো বলেন, সামান্য বৃষ্টির পরও এই ব্রিজের নিচে জল জমে যায়। যে কারণে আসানসোলের জিটি রোড থেকে জাতীয় সড়কের দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলিকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক বড় বড় হাসপাতাল এই রাস্তায় আছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তাই এই ব্রিজের নিচে জল জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধানের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালেও বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে আবারও বৃষ্টি হয়। যা দুপুর পর্যন্ত চলে। এই বৃষ্টিতে আসানসোল স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়, হটন রোডের আর্য সরণী মোড়, দিলদার নগর, চেলিডাঙ্গা, রেলপার সহ নিচু এলাকা ও কালভার্ট জলের তলায় চলে যায়। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢোকে। এদিকে, নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে বৃষ্টির জল। এমনটাই অভিযোগ আসানসোলের ইসমাইল গুরু নানক পল্লীর বাসিন্দাদের। আসানসোল পুরনিগমের ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিকিৎসক দেবাশীষ সরকার এদিনের ঘটনার কথা জানতে পেরে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। নর্দমা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার হয় না এইসব এলাকায়। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই নালির জল ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। শুধু ৮৪ নং ওয়ার্ড নয়, আসানসোল পুরনিগমের একাধিক ওয়ার্ডেই এই ছবি দেখতে পাওয়া গেলো।
বৃহস্পতিবার রাতের পরে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে নর্দমার জল উপচে চলে এসেছে রাস্তায় ও বাড়িতে। বহুবার কাউন্সিলর ও আসানসোল পুরনিগমকে বলেও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এইভাবে সারাদিন যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে বাড়িঘরে এক হাঁটুর উপর জল জমে যাবে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যাবে না বলেও তাদের অভিযোগ। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার এই বৃষ্টি চলবে।
বুদবুদ : এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো পশ্চিম বর্ধমানে বুদবুদের মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম মাধাই বাদ্যকর (৫৬)। তার বাড়ি বুদবুদের কোটা গ্রামে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মাধাই বাদ্যকরের বুকে ব্যথা হয়। বাড়ির লোকেরা তাকে তড়িঘড়ি মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই সময় হাসপাতালে কোন ডাক্তার এমার্জেন্সিতে উপস্থিত ছিলেন না। ডাক্তার না থাকার কারণে তার ন্যুনতম চিকিৎসা করা হয়নি। ফলে বিনা চিকিৎসায় ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবারের লোকজনেরা । পরে হাসপাতলে চিকিৎসক না থাকায় সেখানকার কর্তব্যরত নার্সকে বলা হয়। তখন সেই নার্স মাধাই বাদ্যকরকে একটি ইনজেকশন দেন। পরিবারের অভিযোগ ইনজেকশন দেওয়ার পরেই তার মৃত্যু হয়।
এরপর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। বুদবুদ থানার পুলিশের সাথে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনদের বচসাও চলে। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, চিকিৎসা নিয়ে ঐ রোগীর পরিবারের একটা অভিযোগ ছিলো। সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।
জামুড়িয়া ও আসানসোল, ২৩ আগষ্টঃ পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হলো এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বোগড়া এলাকায়। বোগড়া নিচুপাড়ার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম কুন্দন বাউরি (৩৫)। শুক্রবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। জানা গেছে, জামুড়িয়া থানার বোগড়া নিচুপাড়ার বাসিন্দা কুন্দন বাউরি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির অদূরে তালপুকুরে স্নান করতে যায়। পুকুরে নেমে সে জলে ডুবে যায়। পরে বাড়ির লোকেরা তাকে পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এলাকায় আসে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুকুরের জলে স্নান করতে নেমেছিলো। যে কারণে সে বেসামাল হয়ে পুকুরের জলে ডুবে যায় ও তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।