Category: BANGLA

  • আসানসোলে ৩৫০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি / এফআইআরের পরেও অধরা অভিযুক্তরা / বার্নপুরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ / শাসক দলকে একযোগে আক্রমণ বিজেপি ও কংগ্রেসের……… আসানসোল ও বার্নপুর

    আসানসোলে ৩৫০ কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি / এফআইআরের পরেও অধরা অভিযুক্তরা / বার্নপুরে অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ / শাসক দলকে একযোগে আক্রমণ বিজেপি ও কংগ্রেসের……… আসানসোল ও বার্নপুর

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সংখ্যালঘু বা মাইনরিটি সেলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদের ছেলে তহসিন আহমেদের চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রতিদিন গতি পাচ্ছে। এই কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি টাকা  আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সর্বস্বান্ত হয়েছেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদিন আগে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তহসিন আহমেদ, শাকিল আহমেদ ও মহসিন আহমেদের নামে এফআইআর করে। কিন্তু পুলিশ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, তিনজনই ফেরার রয়েছেন।
    এদিকে, বিরোধী দলগুলি এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।

    এদিন বিকেলে এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার ও সব পরিবারকে অবিলম্বে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার বিকেলে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা বার্নপুরেট চিত্রা মোড এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

    অন্যদিকে, এদিন আসানসোলে এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সংখ্যালঘু বা মাইনরিটি সেলের চেয়ারম্যান মহঃ ফিরোজ খান একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি বলেন,  এই কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেলা নেতা শাকিল আহমেদের ছেলে তহসিন আহমেদের মুল অভিযুক্ত। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা শাকিল আহমেদের থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।  তবে এটা অসম্ভব। কারণ সবাই জানেন যে শাকিল আহমেদ কেবল একটি ঘুঁটি মাত্র। এই কেলেঙ্কারির পিছনে আরও বড় কোন খেলোয়াড় ও মাথা রয়েছে। তিনি আরো বলেন,  ৩ হাজার পরিবার প্রতারিত হয়েছে। তার দাবি, আসানসোল উত্তরের বিধায়ক তথা রাজ্যের  মন্ত্রী মলয় ঘটক গোটা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। কারণ তার আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে এত বড় ঘটনা ঘটছে, আর বিধায়ক হিসেবে সেই সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এটা হতেই পার না। তিনি বলেন, আপনারা এখন সবাই অজ্ঞতার ভান করছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের টাকা লুট করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, রেলপার এলাকার ঐ দলের সব নেতা এই ঘটনার সাথে জড়িত। অন্যথায় এত বড় ঘটনা ঘটানো অসম্ভব ছিল। কংগ্রেস নেতার বলেন  তহসিন আহমেদের ফোনের কল ডিটেইলস বার করা হোক, তাহলেই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    এদিকে, এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক বলেন, তহসিন আহমেদের এই ট্রেডিং ব্যবসার জন্য কোন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বর্তমানে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।  বর্তমানে আসানসোল পুরনিগমে ছুটি চলছে। ছুটির পরে এই সম্পর্কে খোঁজ করে দেখা হবে। তাতে যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি অবৈধভাবে ব্যবসা করেছেন, তাহলে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে, দলমত নির্বিশেষে অন্যায় সহ্য করা হয় না। রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের তরফে দলের মাইনরিটি সেলের জেলা সভাপতি তো সবকিছু বলেছেন। দল ও সরকার সর্বস্বান্ত হওয়া পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছে।

    তবে, এই বিষয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় বেশ কয়েকটি চিটফান্ড মামলা সামনে এসেছে। যেমন সারদা ও রোজভ্যালি। এরপরে আসানসোলে এতো বড়ো একটা আর্থিক প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। যার মধ্যে সাধারণ মানুষের টাকা জড়িত। ৩ হাজার মানুষের সাড়ে তিনশো কোটি টাকাডুবে গেছে।  এখনও কেউ তাদের টাকা ফেরত পাননি। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজ্যের সবস্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীরা নিজেদেরকে মুসলিমদের শুভাকাঙ্ক্ষী বলে দাবি করেন। কিন্তু আসানসোলে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে তাতে তো মুসলিম পরিবারগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ হাজারেরও বেশি পরিবার প্রতারিত হয়েছে। যখনই এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ পায়, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযুক্ত সম্পর্কে বলে যে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে কিন্তু দল থেকে বহিষ্কার যথেষ্ট নয়। যাদের টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের দরিদ্র মানুষ। তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, এদিন রাস্তা অবরোধ করে শুধুমাত্র ট্রেলার দেখালাম। আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

    প্রসঙ্গতঃ, আসানসোলের রেলপারে তহসিন আহমেদের তহসিন আহমেদের ট্রেডিং কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, টাকার সংখ্যাটা ৪৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তহসিন মাসে মাসে চড়া সুদ দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে টাকা তোলা শুরু করেন ৫ বছর আগে থেকে। তিনি কারোর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, কারোর থেকে, ৭ লক্ষ ও ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কয়েকজন তো ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছিলেন। তহসিন কয়েক মাস কিছু লোককে টাকা দিয়েওছিলেন। কিন্তু পরে টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর, ঐসব লোকেরা যখন তাদের টাকা চাইতেন, তখন তিনি অজুহাত দেখাতে থাকেন। তিনি টাকা ফেরতের জন্য ২০ অক্টোবর সময়সীমা দিয়েছিলেন। কিন্তু যখন সেই সময়সীমা পার হয়ে যায়, তখন লোকেরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তারা তাদের টাকা ফেরতের দাবি করতে শুরু করে। রেলপারে তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান তারা।

    এদিন ঐ এলাকারই বাসিন্দা মহঃ ইমাম নামে এক বৃদ্ধা বলেন, আমি ৭ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। তার ৫ লক্ষ টাকা নগদ ও ২ লক্ষ টাকা মোবাইল পেমেন্টের মাধ্যমে দিয়েছিলাম। টাকা ফেরত চাইলে সে আমার মতো অনেক লোককে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নামে চেক দিয়েছিলেন। সব চেক বাউন্স হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তাই  ব্যাংকে যাইনি। , কিন্তু যারা ব্যাংকে গিয়েছিলেন তাদের চেক বাউন্স হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তহসিনের বাবা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। সে ছিলো ঐ দলের সংখ্যালঘু সেলের সহ-সভাপতি।  সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাকে দেখে আমার মতে মানুষেরা তার ছেলেকে টাকা দিয়েছে। তহসিন আহমেদের পুরো পরিবার বছরের পর বছর ধরে এখানে বাস করে। তহসিনও বলতো যে, সে এখানে থাকে। লোকেরা তাকে টাকা দিত এই বিশ্বাসে যে তিনি সে কোথাও যাবেনা। কিন্তু আজ সে পালিয়ে গেছে। এখন আমাদের কি হবে?

  • কাঁকসার একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার একাউন্টে ৩৩লক্ষ টাকা লেনদেন,ভিন রাজ্যের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ

    কাঁকসার একটি স্বেচ্ছা সেবী সংস্থার একাউন্টে ৩৩লক্ষ টাকা লেনদেন,ভিন রাজ্যের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক কাঁকসা:-গত ২৮ এবং ২৯ তারিখে কাঁকসার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একাউন্টে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়। এরপরই পুলিশের কাছে সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পরেই ঘটনার তদন্তে নামে কাঁকসা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে দুজনকে গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা মহম্মদ শাহীদ নওয়াজআলী মিঠাইয়ালা এবং উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা প্রদীপ কুমার। ধৃত দুজনকে মঙ্গলবার মহকুমা আদালতে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরো চারজনের নাম জানতে পারে। তাদের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত দুদিন ধরে ওই দুই ব্যক্তি কোনো একটি সংস্থার অর্থ কাঁকসার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একাউন্টে পাঠায়। আবার সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উঠেও যায়। সেই টাকা কোথা থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং কোন কাজে ব্যবহারের জন্য সেই টাকা কাঁকসার স্বেচ্ছা সেবী অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল কি ভাবেই আবার সেই টাকা তুলেছিল সেই সমস্ত বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কাঁকসার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

  • আসানসোল ও কুলটিতে সেনাবাহিনীর জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ / সতর্ক করে লাগানো হলো বোর্ড………. আসানসোল, ২৫ সেপ্টেম্বরঃ

    আসানসোল ও কুলটিতে সেনাবাহিনীর জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ / সতর্ক করে লাগানো হলো বোর্ড………. আসানসোল, ২৫ সেপ্টেম্বরঃ

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল :– আসানসোল উত্তর থানা এলাকার শীতলা মন্দিরের কাছে সেনাবাহিনীর জমিতে অবৈধ দখলের অভিযোগ উঠছে। এই জমিতে একটি বিখ্যাত মন্দিরও রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন প্রচুর ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মন্দিরের সামনে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা হয়। যে কারণে এলাকার বাসিন্দাদের যথেষ্ট অসুবিধা হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা এর আগে এই বিষয়ে সেনা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের পরেই বৃহস্পতিবার সেনা বাহিনীর জওয়ানরা এলাকায় আসেন ও ব্যবস্থা নেন। ঐ জমিতে একটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। সাইনবোর্ডে স্পষ্টভাবে লেখা আছে, যে এই জমি সেনাবাহিনীর সম্পত্তি। তাই এখানে যেকোন ধরনের অবৈধ দখল বেআইনি। তাই এই দখলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা সেনা বাহিনীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, এর ফলে মন্দির এলাকায় শৃঙ্খলার উন্নতি হবে ও ভক্তদের স্বস্তি মিলবে। জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার পুলিশও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও দখলদারদের চিহ্নিত করা যায়নি।

    অন্য দিকে, এদিন সকালে কুলটির নিয়ামতপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় ১৫ একর (৪৫ বিঘা) জমিতে “প্রতিরক্ষা জমি দখল” (প্রতিরক্ষা ভূমি দখল) স্থাপন করা হয়েছে। এই জমিটি বেশ কয়েকটি এলাকায় বিস্তৃত। যার মধ্যে রয়েছে নিয়ামতপুরের শিব মন্দির মেলা মাঠ, আজাদ বস্তির কিছু অংশ, কৈরি পাড়ার আশেপাশের এলাকা। এই এলাকা রহমান পাড়ার কাছাকাছি।

    এদিন সকালে, অফিসার এবং জওয়ানরা একটি বড় সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে এলাকায় আসেন। রহমান পাড়ার কাছে একটি ছোট খালি মাঠের মতো জায়গায় একটি বোর্ড লাগানো হয়। যাতপ লেখা ছিল: প্রতিরক্ষা দপ্তরের জমি দখল অবৈধ। এই পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে সেনাবাহিনী তার সম্পত্তিতে কোনও দখল সহ্য করবে না। স্থানীয় সূত্র অনুসারে, নিযমতপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি সেনাবাহিনীর জমি ইতিমধ্যেই দখল করা হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে দখলদারি আটকানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

  • শারদ সম্মান ২০২৫ ” র আয়োজনে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি……………. আসানসোল, ২৫ সেপ্টেম্বরঃ

    শারদ সম্মান ২০২৫ ” র আয়োজনে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি……………. আসানসোল, ২৫ সেপ্টেম্বরঃ

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল:– আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বৃহস্পতিবার আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড়ের একট হোটেলে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির গৌরীশঙ্কর আগরওয়াল, শচীন রায়, বিনোদ গুপ্ত, সতপাল সিং কির, পিঙ্কি সরবন আগরওয়াল এবং উজ্জ্বল রায় উপস্থিত ছিলেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে আসন্ন দুর্গাপূজো উপলক্ষে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত শারদ সম্মান ২০২৫ সম্পর্কে তারা অবহিত করেন।
    শচীন রায় বলেন, এই শারদ সম্মান গত ১০ বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছরও তা হবে। আসানসোল এবং বার্নপুরের দুর্গাপূজো প্যান্ডেল পরিদর্শন করে সেখানকার গোটা ব্যবস্থা, নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের জন্য কি কি করা হয়েছে তা মূল্যায়ন করে পয়েন্ট দেওয়া হবে। প্যান্ডেলের সৌন্দর্য এবং দুর্গা প্রতিমা জন্যও পয়েন্ট দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যারা ঠাকুর দেখতে আসবেন, তাদের সুবিধায় কতটা নজর দেওয়া হচ্ছে তারও মূল্যায়ন করা হবে। বিচারক এই সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করার পরে, পূজো কমিটিকে পয়েন্ট হবে এবং সেই অনুযায়ী পুরষ্কার থাকবে।


    বিনোদ গুপ্তা বলেন, আসানসোল এবং বার্নপুরকে দুটি পৃথক বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। বাজেটের দিক থেকে ৫ লক্ষ টাকার কম বাজেটের পূজা এবং ৫ লক্ষ টাকার বেশি বাজেটের পূজার জন্য বিভাগ তৈরি করা হয়েছে। কিছু দুর্গা পূজো মহিলাদের দ্বারা আয়োজিত হয়। যারও একটি বিভাগও হবে। এর বাইরে, কিছু স্থায়ী মন্দিরে পূজোর আয়োজন করা হয়, যা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হবে। দুর্গাপূজোগুলিকে এইসব বিভাগে ভাগ করে, সেরা বাছাই করা হবে। ষষ্ঠীর দিন রবিবার আসানসোল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্যরা বিচারক হিসেবে পরিক্রমায় যাবেন। বিচারকদের প্যানেলে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। সোমবার সপ্তমীর দিন একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে তিনি জানিয়েছেন।

  • ” নিক্ষয় মিত্র ” প্রকল্প / ৫ যক্ষা রোগীকে ৬ মাসের পুষ্টিকর খাবার দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের ডিএম ও এডিএম

    ” নিক্ষয় মিত্র ” প্রকল্প / ৫ যক্ষা রোগীকে ৬ মাসের পুষ্টিকর খাবার দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের ডিএম ও এডিএম

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল, ২২ সেপ্টেম্বরঃ পশ্চিম বর্ধমান সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান দপ্তরের জাতীয় যক্ষা নির্মূলীকরণ কর্মসূচির একটি প্রকল্প হলো ” নিক্ষয় মিত্র “। এই প্রকল্পে যে কেউ একজন টিবি বা যক্ষা রোগীর ৬ মাসের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারেন।
    সোমবার সেই প্রকল্পে ৫ জন টিবি আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বা ডিএম এস পোন্নাবলম ও অতিরিক্ত জেলাশাসক বা এডিএম ( উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল। এদিন আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বা ডিএম কার্যালয়ে সেই ৫ জন টিবি বা যক্ষা আক্রান্ত রোগীর হাতে পুষ্টিকর খাদ্য তুলে দেওয়া হয়। ছিলেন জেলাশাসক ও এডিএম ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ শেখ ইউনুস, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা।

    এই প্রসঙ্গে জেলার সিএমওএইচ বলেন, ” নিক্ষয় মিত্র ” প্রকল্পে যে কেউ একজন টিবি বা যক্ষা আক্রান্ত রোগীর ৬ মাসের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নিতে পারেন। প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০০ টাকার খাবার দিতে হবে। জেলার ডিএম ও এডিএম ৫ জনের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। এদিন তাদের হাতে ৬ মাসের খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১ কিলো করে তিন রকমের ডাল, ছোলার ছাতু ও সোয়াবিন।

  • কুলটিতে জমিতে ” সরকারি ” বোর্ড লাগানো নিয়ে উত্তেজনা / আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

    কুলটিতে জমিতে ” সরকারি ” বোর্ড লাগানো নিয়ে উত্তেজনা / আধিকারিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল:– আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুরে একটি জমিতে সরকারি বোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়ালো। এই ঘটনায় আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সরকারি অধিকারিক ও পুলিশকে।
    জানা গেছে, আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি অন্তর্গত নিয়ামতপুর পেট্রোল পাম্পের কাছে কুমারডিহা মৌজার দাগ নং ১৭৭ এ ভেস্টেড বা সরকারি জমি রয়েছে ৪২শতক বা ২৪ কাঠা। সে জমির মালিকানা নিয়ে এর আগে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের মধ্যে হয়েছে। এর আগে কুলটি বিএলআরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন নিয়ামতপুর পেট্রোল পাম্প এলাকার বাসিন্দারা । এলাকাবাসীদের দাবি, এই জমি সরকারি জমি। কিন্ত এদিন দেখা গেলো অন্য ছবি। আসানসোল জেলা আদালতের আইনজীবী মহঃ ইজায়ুল হক আনসারি দাবি করেন, এই জমি তার তিন ভাই এবং এক বোনের নামে রয়েছে। এটি সরকারি জমি নয়।


    সোমবার দুপুরে কুলটির বিএলআরও সুশান্ত চক্রবর্তী,আসানসোলের এসডিএলএন্ডআরও উৎপল সাহা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (ডিডি) সুমন জয়সওয়াল, এসিপি (কুলটি) শেখ জাভেদ হুসেন সহ কুলটি থানা এবং নিয়ামতপুর ফাঁড়ির বিশাল পুলিশকে নিয়ে ঐ জমিতে ” সরকারি জমি’ লেখা বোর্ড লাগাতে আসেন। তখন আইনজীবি এজায়ুল হক আনসারি ও তার সাথে থাকা আসানসোল জেলা আদালতের আরো দুই আইনজীবী পুলিশ অফিসার এবং বিএলআরও এবং এসডিএলএন্ডআরওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষন ধরে বাদানুবাদ হয়। দীর্ঘক্ষনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত ঐ জমিতে সরকারি বোর্ড লাগাতে সক্ষম হন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা । অপরদিকে আইনজীবী এজায়ুল হক আনসারি বলেন , সম্পূর্ণ জমিটি আমাদের। প্রশাসনের আধিকারিকরা জোর করে এই বোর্ড লাগানো হয়েছে।
    বিএলআরও বলেন, কি কারণে ঐ আইনজীবীরা এসেছিলেন তা বলতে পারবো না। এটা সরকারি জমি। তাই বোর্ড লাগানো হয়েছে।

  • পুজোর আগে শাড়ি বিতরণ করলেন বিধায়ক

    পুজোর আগে শাড়ি বিতরণ করলেন বিধায়ক

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল :– পুজোর আগে বহু মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। এই উপলক্ষে বিধায়ক বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগ্রহে তারা এই কাজ সবসময়ই করে আসছেন, এবারও সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ব্লক জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় নতুন শাড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। উপস্থিত সকলকে দুর্গোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা জানান বিধায়ক। আজ রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারি পুজো মন্ডপ প্রাঙ্গন, জিতপুর উত্তররামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাড়ি বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিধায়ক আজ নামোকেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবিরে যোগ দেন। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এদিন শ্রীগুরু পল্লীতে নতুনভাবে তৈরি হওয়া একটি কালী মন্দিরের উদ্বোধন করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শ্রী উপাধ্যায় বলেন মাস কয়েক আগে এই এলাকার মানুষজন তার কাছে মন্দিরটির বিষয়ে অনুরোধ জানান। তবে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্যোগ নিয়ে মন্দির গড়েছেন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা বিধায়কের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে শ্রী উপাধ্যায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন পুজোর আগে আরো শাড়ি বিতরণের কর্মসূচি পালিত হবে। এদিন বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, মহম্মদ আরমান, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র, ভোলা সিং, অর্ধেন্দু রায়, অভিজিৎ গুপ্ত, বিপ্লব চৌধুরী, রানু রায়, অপর্ণা দাস, সন্তোষ মণ্ডল, তাপস মন্ডল সহ বহু বিশিষ্টজন।

  • স্বামীর বুকে ছুরির কোপ, হত্যার দায়ে গ্রেফতার স্ত্রী_স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো স্ত্রীকে

    স্বামীর বুকে ছুরির কোপ, হত্যার দায়ে গ্রেফতার স্ত্রী_স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো স্ত্রীকে

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল:– স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো স্ত্রীকে,তাদের সাত বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এমন ভয়ানক কান্ড ঘটে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধে সাতটা নাগাদ মিহিজাম কুর্মিপাড়া পাইপ লাইন এলাকায়। মৃতের নাম মহাবীর যাদব (৩৫)। তার বুকে ছুরির কোপ বসানো হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে গ্রেফতার হয়েছে মহাবীরের স্ত্রী কাজল। জানা গেছে মহাবীর নিজেরই ট্রাক চালাতেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ট্রাকটিকে বেসিক স্কুলের পাশে রেখে তিনি কুর্মি পাড়ার ভাড়াবাড়িতে পৌঁছান। এই দিনই মহাবীরের দাদা অবধেশ যাদব গ্রাম থেকে এখানে আসেন। বাড়িতে পৌঁছানোর পর মহাবীর তার দাদা ও স্ত্রীর সাথে বসে মদ্যপান করেন। এরপর অবধেশ ঘরের মধ্যেই শুয়ে পড়েন। অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রী ঘরের বাইরে বেরিয়ে কোন একটি বিষয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। হঠাৎই নেশার ঘোরে স্ত্রী কাজল একটি ছুরি নিয়ে মহাবীরকে আক্রমণ করে এবং তার বুকে বসিয়ে দেয়। অতর্কিত এই আক্রমণে মহাবীরের মৃত্যু ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে মিহিজাম থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তে ভেজা জামাকাপড় এবং ছুরিটি উদ্ধার করে।


    মৃত মহাবীরের বাবা রামসুবোধ যাদব বলেন ১৪ বছর আগে এক প্রকার জোর করেই থানাতে এদের বিয়ে হয়েছিল। বছর চারেক আগে নেশার ঘোরে তার বাঁ চোখ ঝাঁটার কাঠি দিয়ে নষ্ট করে দিয়েছিল। তার ছেলে এবং বৌমার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো, আবার দুজনে বসে মদ্যপানও করতো। অন্যদিকে কাজলের বাবা সুরজ ওরফে পাপ্পু সাউ বলেন মধ্যপন না করার জন্য দুজনকেই অনেকবার বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি, আজ এই ভয়ানক কান্ড ঘটে গেল। মিহিজাম থানারপুর ওসি বিবেকানন্দ দুবে বলেন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • আসানসোলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক / একাধিক বিষয়ে আলোচনা………… আসানসোল, ২২ সেপ্টেম্বরঃ

    আসানসোলে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক / একাধিক বিষয়ে আলোচনা………… আসানসোল, ২২ সেপ্টেম্বরঃ

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল :– আসানসোলে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক বা ডিএম কার্যালয়ে সোমবার জেলাশাসক বা ডিএম এস পোন্নাবলম সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বৈঠক পশ্চিম বর্ধমানের এডিএম বা অতিরিক্ত জেলাশাসক ( উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ শেখ ইউনুস, আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, এসিএমওএইচ ও বিভিন্ন ব্লকের বিএমওএইচরা উপস্থিত ছিলেন।

    বৈঠক সম্পর্কে পরে জেলাশাসক বলেন, খাদ্য সুরক্ষা বা ফুড সেফটি , টিকাকরণ, কুষ্ঠ প্রতিরোধ এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যক্ষ্মা এবং সিলিকোসিসের মতো রোগ প্রতিরোধের বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, চাইল্ড ম্যারেজ বা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে একটি বৃহৎ পরিসরে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। কন্যাশ্রী ক্লাবগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বারাবানি, জামুদিয়া এবং সালানপুরের মতো এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে সিলিকোসিস প্রতিরোধে বিশেষ প্রচার চালানোর আহ্বান জানান। তিনি সিলিকোসিস প্রতিরোধে কারখানার ভূমিকার উপর জোর দিয়ে বলেন যে কারখানা কতৃপক্ষ এবং মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। গোটা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

  • পূর্ণবাসন না দিয়ে কোন রকমের উচ্ছেদ বা সম্প্রসারণ হবে না কড়া ভাষায় বনজেমারী ইসিএল এজেন্ট অফিসার কে, হুঁশিয়ারি দিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং।

    পূর্ণবাসন না দিয়ে কোন রকমের উচ্ছেদ বা সম্প্রসারণ হবে না কড়া ভাষায় বনজেমারী ইসিএল এজেন্ট অফিসার কে, হুঁশিয়ারি দিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং।

    পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল :- পূর্ণবাসন না দিয়ে কোন রকমের উচ্ছেদ বা সম্প্রসারণ হবে না কড়া ভাষায় বনজেমারী ইসিএল এজেন্ট অফিসার কে, হুঁশিয়ারি দিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় ইসিএলের এক কর্মচারী যার নাম সুশান্ত ধীবর যিনি সার্ভেয়ার টিমে রয়েছে তিনি বেশ কয়েকদিন ধরে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই তিনি বনজেমারী ও খিলান ধাউড়া এলাকার মানুষকে ধমকানি চমকানি সহ তাদের জায়গা জমি নাপ করছেন।এবং মহিলাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন বলে এমন অভিযোগ তুলেন এলাকা বাসীরা।এই অভিযোগ তুলে আজ অর্থাৎ শনিবার দিন সকালে দেন্দুয়ায় ইসিএলের এজেন্ট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষজন।তাদের হাতে দেখতে পাওয়া যায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা।বিক্ষোভে এলাকার মানুষের সমর্থনে উপস্থিত হন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং,দেন্দুয়া পঞ্চায়েত প্রধান সুপ্রকাশ মাজি সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা।তাছাড়া উপস্থিত হন সালানপুর থানার কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ।গ্রামবাসীরা বনজেমারী ইসিএল এজেন্টের কাছে দাবি জানান অবিলম্বে ওই অভদ্র আচরণ করা ওই ইসিএল কর্মচারীকে বনজেমারী থেকে স্থানান্তরিত করতে হবে,এবং আলোচনা ছাড়া কোনো জমির সার্ভে করা যাবে না।এই ঘটনা প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন কয়লা খনি চালোনার জন্য সর্বত্র তৃণমূল কংগ্রেস ইসিএলের পাশে থাকে।তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এটা কখনোই মানবে না যারা এত বছর ধরে বসবাস করছে তাদের পূর্ন বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ,তাই ইসিএল কে কড়া ভাষায় বলা হলো আগে আলোচনা করে পূর্ণবাসন তারপর উচ্ছেদ।এখানে এক কর্মী জোর পূর্বক জমি সার্ভে করছিলো, তাকে এলাকার মানুষ জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।তাই এজেন্ট কে লিখিতভাবে জানানো হলো তাকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে।না হলে পরবর্তী ক্ষেত্রে আন্দোলন বড় হবে।
    এই প্রসঙ্গে ইসিএল এজেন্ট কোনো মন্তব্য করতে চাননি?