
পাবলিক নিউজঃ রাণীগঞ্জ:– ইসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের জমি অধিগ্রহণ করেনি। অথচ সেই জমিতে কয়লাখনির জল জমিয়ে রাখছে। যে কারণে বিস্তীর্ণ এলাকার বিঘা বিঘা জমি জলমগ্ন হয়েছে। সেই জমি ইসিএল অধিগ্রহণ করুক, সেই দাবিতে বারবার বিক্ষোভ আন্দোলন হয়েছে। তাতেও ইসিএলের আধিকারিকদের ঘুম ভাঙ্গেনি বা টনক নড়েনি। যে কারণে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইসিএলের রানিগঞ্জের কুনুস্তোড়িয়া এরিয়ার বাঁশরা সি পিট কোলিয়ারি বন্ধ করে জমির মালিক গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন।বন্ধ করে দেওয়া হয় কয়লাখনির উৎপাদন। এই আন্দোলনের জেরে ঐ কয়লা খনির কর্মী কয়লা খনিতে নামতে না পেরে খনির উপরেই বসে থাকেন। কেবলমাত্র খনির ভেতরে পাম্প খালাসীদের নামতে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে তাদের এই বিক্ষোভ আন্দোলন।
গ্রামবাসীদের পক্ষে বিশ্বজিৎ মন্ডল বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এখানকার গ্রামের মানুষের ৬০টি পরিবারের প্রায় ২৫০ বিঘার মতো জমি আছে। সেইসব জমিতে ১০/১২ ফুট উঁচু করে কয়লাখনির ভেতরে থেকে জল তুলে তা ফেলে দিচ্ছে। কয়লাখনির জল ফেলে জমি নষ্ট করেছে ইসিএল । আগে এইসব জমিতে চাষ হত। তিনি আরো বলেন, গ্রামের ভৈরব স্থানের মন্দিরেও ঐ জলে ডুবছে। বারবার বলেও ইসিএল কতৃপক্ষ কিছু করেনি। কোন কিছু করায় বাধ্য হয়ে কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ করিয়েছি। এর আগে ইসিএল কতৃপক্ষ বলেছিল দুর্গাপুজোর পরেই সমস্যা মিটে যাবে। আমাদের দাবি, ঐসব জমি ইসিএল অধিগ্রহন করে নিক। সেই জমির পরিবর্তে ক্ষতিপূরণ বা নিয়মমাফিক চাকরির ব্যবস্থা করুক ইসিএল।
অন্যদিকে, ইসিএলের ঐ কয়লাখনির দায়িত্বে থাকা এজেন্ট লিখিতভাবে জমির মালিকদের কাছে বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদন করে বলেন, তারা আন্দোলন তুলে নিন। ইতিমধ্যেই তাদের যে আবেদন পত্র তা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ এই বিষয় দ্রুত ইতিবাচক ব্যবস্থা নেবে। এই লিখিত প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরে জমির মালিক তথা আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা এরপর এদিনের মতো আন্দোলন তুলে নেন। গ্রামবাসীরা এরপরে বলেন, ইসিএল কতৃপক্ষ এবার কি করেন, তার দিকে আমরা নজর রাখছি। পরিস্থিতি বুঝে আগামী দিনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।























































