পাবলিক নিউজ আসানসোল/ চিত্তরঞ্জন:–ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের আবহাওয়ায় সাধারণ জনগণকে বাঁচতে করণীয় কর্তব্য করার প্রশিক্ষণ দিল সিভিল ডিফেন্সের অফিসারেরা। চিত্তরঞ্জন এলাকার দেশবন্ধু বিদ্যালয়ে বালক বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে একটা কর্মশালার আয়োজন করে সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা। দেশবন্ধু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৈদ্যনাথ ওরাং জানান দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই মুহূর্তে কম ক্ষয়ক্ষতির জন্য সাধারণ জনগণের করণীয়গুলো সম্বন্ধে একটা কর্মশালার আয়োজন করেছে সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা, তারা ছাত্রদের বলেছেন সাইরেন বাজলে সব আলো নিভিয়ে দিতে হবে , বড় আবাসনের বেসমেন্টে জমা হতে হবে, স্কুলে থাকলে ডেস্কের নীচে আশ্রয় নিতে হবে, রাস্তায় যাবার সময় সাথে সাথে কোন আবাসনের নীচে আশ্রয় নিতে হবার ব্যাপারে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং পড়ুয়ারা আগ্রহ সহকারে সব শুনেছে ও কিছু প্রশ্ন তারা করেছে। দেশের সংকট মুহূর্তে এই প্রশিক্ষণ সবার কাজে লাগবে।
পাবলিক নিউজ আসানসোল:– এমনটা যে হতে পারে, তা হয়তো কেউ ভাবেননি। কিন্তু হলো এটাই। যার জন্য এতো সবকিছু, সে আজ নেই। অকাল মৃত্যু তাকে নিয়ে চলে গেছে। আসানসোলের ইসমাইলের বাসিন্দা থৈবি মুখোপাধ্যায় এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা রেজাল্টে স্কুলের সেরা। আসানসোলের উমারানি গড়াই মহিলা কল্যান স্কুল থেকে পরীক্ষা দেওয়া তার নম্বর ৬৭৪। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেরা ১০ জনের মধ্যে রয়েছে সে। শুক্রবার সকালে রেজাল্ট জানার পর থেকেই শোকে ভেঙে পড়েছেন থৈবির বাবা-মা থেকে পরিবারের সদস্যরা। প্রায় একই অবস্থা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা, অন্য শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের । গত এপ্রিলেই জন্ডিস কেড়ে নিয়েছে থৈবির । জানা গেছে, আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যান স্কুলের থৈবি মুখোপাধ্যায় সবসময়ই স্কুলের সেরা। সবার কাছে সে ছিলে জনপ্রিয়। বাবা বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। একেবারে সাদাসিধা গৃহবধূ মা পিউ মুখোপাধ্যায়। এই বছর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলো থৈবি। তবে তার আগেই থৈবির জন্ডিস ধরা পড়েছিলো। পরীক্ষা শেষ হতেই তার চিকিৎসা করাতে মেয়েকে নিয়ে ভেলোর ছুটে গেছিলেন বাবা ও মা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা বলেছিলেন তার লিভার ট্রান্সফার করতে হবে। তার জন্য খরচ হবে ১ কোটি টাকা। সেই কথা জানতে পেরে এগিয়ে আসে থৈবির স্কুল। পাশে দাঁড়ায় বলতে গেলে গোটা শহর। তার চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়াতে সোশাল মিডিয়ায় আবেদন করেন। মেলে ব্যাপক সাড়া। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে পাওয়া গেছিলো ৪৫ লক্ষ টাকার মতো সাহায্য । কিন্তু সবার আপ্রাণ চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়। বাঁচানো যায়নি থৈবিকে। ভিন রাজ্যের হাসপাতালে গত ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় থৈবির। তারপর মাত্র ১৭ দিন। শুক্রবার বেরোয় ২০২৫ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট। তাতে দেখা যায় থৈবি তার স্কুলের সবার সেরা। পেটে ব্যথা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরেও তা সাফল্য একটুও ফিকে হয়নি। সে বাংলায় পেয়েছে ৯৯, অংকে ৯৮, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইতিহাসে ৯৫ ও ভূগোলে ৯৫। রেজাল্ট হাতে নিয়ে চোখের জল যেনো বাঁধ মানতেই চাইছেন পরিবারের সদস্যদের। আর থৈবির স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জ পাপড়ি বন্দোপাধ্যায় বলেন, কি বলবো? বুঝে উঠতে পারছিনা। খুবই খারাপ ও দুঃখের। ও যে ঐ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়ে ৬৭৪ নং পেয়েছে, তা অন্য কেউ হলে পারতো না। আর সবার মুখে একটাই কথা।” থৈবি সুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিলে রাজ্যের ১০ জনের মধ্যে অনেক উপরে থাকতো” । কেন এটা হবে না। পড়াশোনা থেকে বাকি সব হবিতে তো সে সবার সেরা।
পাবলিক নিউজ আসানসোল :– ২০২৫ মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষার রেজাল্ট শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবারও পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্কুলগুলির কোন পড়ুয়া বাংলা সেরা ১০ র মেধা তালিকায় স্থান পেলো না। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বেশ কয়েক বছর ধরে মেধা তালিকায় স্থান পাচ্ছে না। এবারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্কুলগুলির র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে প্রত্যাশা মতো আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন সবার সেরা। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ থেকে জেলা ভিত্তিক সেরা ১০ র মেধা তালিকা প্রকাশ করেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সে ১০ র মেধা তালিকায় ১৮ জন পড়ুয়া রয়েছে। সেই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের। এই জেলায় ৬৮৪ নম্বর পেয়ে যুগ্ম ভাবে প্রথম বা সেরা হয়েছে অভ্র রায় ও সৌমিক দে। এরপরে রয়েছে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের ধ্রুবজ্যোতি হাজরা (৬৮১), মানকর গার্লস হাইস্কুলের সুহানা লাহা ( ৬৮০), আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের আর্য ঘোষ (৬৭৯ ), রাজদীপ পাত্র (৬৭৮), নীলার্ঘ্য সাঁধুখা (৬৭৮) নম্বর এবং দুর্গাপুর রিজিওনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মডেল হাইস্কুলের জাগৃতি অধিকারী (৬৭৮) আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনে রুদ্রনীল চক্রবর্তী (৬৭৭), দুর্গাপুর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর পাবলিক স্কুলের প্রতিম মণ্ডল (৬৭৭), আসানসোল ধাদকা নারায়ণ চন্দ্র লাহিড়ী বিদ্যা মন্দিরের মাহিরা খাতুন (৬৭৬) , নূতন ডাঙ্গা হাইস্কুলের রাজশ্রী গোস্বামী ( ৬৭৬), আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যাণ হাইস্কুল থৈবি মুখোপাধ্যায় (৬৭৪), দুর্গাপুর সুরেন্দ্র চন্দ্র মডেল হাই স্কুলের প্রিয়ম কেশ (৬৭৪), আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের অনীক বন্দোপাধ্যায় (৬৭৩), উৎসব হাজরা (৬৭১) ও শেখ সাফি আলী ( ৬৭১) এবং আসানসোল চেলিডাঙ্গা হাইস্কুলের অর্ণেশ বিশ্বাস (৬৭১)। ★★ বিভিন্ন স্কুলের রেজাল্ট এক নজরেঃ ★ আসানসোল ★ ★ আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন — মোট পরীক্ষার্থী – ৯২, পাশ- ৯২, সর্বোচ্চ – অভ্র রায় ও সৌমিক দে ( ৬৮৪)। ★ আসানসোল উমারানি গড়াই মহিলা কল্যান হাইস্কুল — মোট পরীক্ষার্থী – ১৯১, পাশ- ১৮৯, সর্বোচ্চ থৈবি মুখোপাধ্যায় – ৬৭৪। ★ আসানসোল ইস্টার্ন রেলওয়ে বয়েজ হাইস্কুল– মোট পরীক্ষার্থী- ৬৬, পাশ – ৬৬, সর্বোচ্চ – অরিত্র রায় ৬৩৩। ★ আসানসোল সেন্ট ম্যারি গরেটি গালস হাইস্কুল — মোট পরীক্ষার্থী – ৪৯০, পাশ -৪৭০, সর্বোচ্চ – প্রঞ্জা শর্মা ৬০৯। ★আসানসোল গুরুনানক মিশন হাইস্কুল— মোট পরীক্ষার্থী – ৯৫, পাশ- ৯৪, সর্বোচ্চ – স্বাতী রায় ৫৬৮। ★ আসানসোল জওহরমল জালান হাইস্কুল– মোট পরীক্ষার্থী – ৪৮, পাশ- ২৯, সর্বোচ্চ – কার্তিক সিং- ৩৪৩। ★বার্নপুর★ ★ সুভাষপল্লী বিদ্যানিকেতন– মোট পরীক্ষার্থী- ১৪০, পাশ- ১৩৯, সর্বোচ্চ দেবপ্রিয় সরকার ৬৬১। ★শান্তিনগর বিদ্যামন্দির (বয়েজ)– মোট পরীক্ষার্থী- ৮০, পাশ- ৬৮, সর্বোচ্চ – সুমন মাঝি ৫৪৮। ★বার্নপুর শ্রী গুরুনানক বালিকা বিদ্যালয়– মোট পরীক্ষার্থী- ২১৫, পাশ -১৭৩, সর্বোচ্চ – অঞ্জলি কুমারী ৫৭৩। ★ বারি বিদ্যালয় — মোটর পরীক্ষার্থী- ১০০, পাশ – ৭৩ জন পাশ করেছে, সর্বোচ্চ – বৈতিন কুমার সিং ৫১৮। ★ চিত্তরঞ্জন ও সালানপুর ★ ★চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুল – মোট পরীক্ষার্থী ৭৪, পাশ ৭৪, সর্বোচ্চ রাতুল পোদ্দার ৬৩৪। ★চিত্তরঞ্জন পঞ্চম পল্লী হাইস্কুল – মোট ৩৪, পাশ ৩২, সর্বোচ্চ রাহুল গরাই ৫৩৩। ★চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি গার্লস হাইস্কুল – মোট ৯৫, পাশ ৬২, সর্বোচ্চ রিয়া পাল ৪৭২। ★চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুল – মোট ১৮৫, পাশ ১২৩, সর্বোচ্চ হিমাংশী কুমারী ৪৮৯। ★চিত্তরঞ্জন দশম শ্রেণী হাইস্কুল (বিবেকানন্দ)- মোট ১৭, পাশ ১৫, সর্বোচ্চ জয়ন্তী ধীবর ৩২৯। ★আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন – মোট ৩১২, পাশ ১৭৫, সর্বোচ্চ রূপম পাল ৫৮৬। ★আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুল – মোট ৩৬৬, পাশ ১৯৮, সর্বোচ্চ অন্তরা কর্মকার ৫৯৭। ★ কল্যানেশ্বরী হাই স্কুল – মোট ১৪১, পাশ ৬৫। ★এথোড়া শ্রীশচন্দ্র ইনস্টিটিউশন – মোট ১১২, পাশ ৭৮, সর্বোচ্চ অতসী পাল ৫৩২। ★ ডিভিসি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল লেফ্ট ব্যাঙ্ক – মোট ৬৮, পাশ ৬৭, সর্বোচ্চ অরিজিৎ দেয়াশী ৪৬২। ★ বারাবনি ★ ★গৌরান্ডি আর কে এস ইনস্টিটিউশন – মোট ৩৮৭, পাশ ২৬০, সর্বোচ্চ শিবপ্রিয় চার ৫৭৭।
পাবলিক নিউজ আসানসোল:– রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দীঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটন করেন। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
দুপুরের এই অনুষ্ঠানটি দেখতে উপস্থিত ছিলেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, সহ-সভাপতি বিষ্ণু দেব নুনিয়া, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী, আসানসোল মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বনাথ বাউরি বলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস তৈরি করেছেন। তিনি দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। এখন এখানকার ভক্তদের জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য পুরীতে যেতে হবে না। তারা দীঘায় গিয়ে ভগবান জগন্নাথের দর্শন করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন যে এই কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সর্বদা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন ।
पब्लिक न्यूज आसनसोल :–दक्षिण बंगाल के सबसे बड़े वाणिज्यिक संगठन फोसबेकी की तरफ से आज एक प्रतिनिधि मंडल ने जिला शासक एस पोन्नाबलम से उनके कार्यालय में मुलाकात की इस बारे में पत्रकारों को जानकारी देते हुए फोसबेकी के अध्यक्ष सचिन राय ने कहा कि आसनसोल के विकास को लेकर विभिन्न मुद्दों पर चर्चा करने के लिए आज उन्होंने जिला शासक एस पोन्नाबलम से मुलाकात की सचिन राय ने कहा कि जो सबसे अहम मुद्दा था वह था आसनसोल शहर के अंदर ट्रैफिक जाम की समस्या उन्होंने कहा कि आज जिला शासक के सामने गोधूलि से लोको मैदान तक फ्लाईओवर बनाने की मांग रखी। इसके अलावा उन्होंने बर्नपुर एयरपोर्ट को चालू करने की भी मांग की फोसबेकी के प्रतिनिधि मंडल ने इस बात पर हैरानी जताई कि कुछ पेड़ों की वजह से उस एयरपोर्ट को चालू करने में समस्या आ रही है वहीं एक और मुद्दा जिस पर आज संगठन की तरफ से जिला शासक एस पोन्नाबलम के सामने प्रस्ताव रखा गया वह था जीटी रोड के किनारे एक मल्टी स्टोरिड पार्किंग प्लाजा बनाने की मांग सचिन राय ने कहा की बाजार के अंदर ट्रैफिक की समस्या काफी तीव्र हो गई है इससे छुटकारा पाने के लिए जीटी रोड के किनारे बस स्टैंड के निकट एक मल्टी स्टोरिड पार्किंग प्लाजा की सख्त जरूरत है। वही फोसबेकी के प्रतिनिधिमंडल ने पश्चिम वर्धमान जिले के साथ बांकुड़ा जिले को जोड़ने के लिए दामोदर नदी पर एक ब्रिज बनाने की भी मांग की। वहीं उन्होंने कहा राष्ट्रीय राजमार्ग के किनारे सर्विस रोड की मरम्मत की मांग की क्यंकि खराब सर्विस रोड की वजह से अक्सर हादसे हो रहे हैं। इस मौके पर यहां संगठन की तरफ से सचिव संदीप झुनझुनवाला आरपी खेतान पवन गुटगुटिया स्वपन चौधरी मनोज साहा सहित संगठन के अन्य सदस्य उपस्थित थे भी उपस्थित थे।
पब्लिक न्यूज आसनसोल आसनसोल के रविंद्र भवन में आज पश्चिम बर्दवान जिला तथ्य और संस्कृति विभाग द्वारा आसनसोल संस्कृति मंच के सहयोग से बांग्ला नव वर्ष के उपलक्ष पर विभिन्न कार्यक्रमों का आयोजन किया गया यहां पर मंत्री मलय घटक पश्चिम बर्धमान जिला शासक एस पोन्नाबलम जमुरिया के विधायक हरे राम सिंह एमएमआईसी गुरदास चटर्जी के अलावा जिला प्रशासन के कई वरिष्ठ अधिकारी उपस्थित थे यहां पर पारंपरिक बंगाल के धरोहर को उजागर करते हुए कई सांस्कृतिक कार्यक्रम हुए इस मौके पर अपना वक्तव्य रखते हुए मलय घटक ने कहा कि आज बांग्ला नव वर्ष है और मुख्यमंत्री ममता बनर्जी के निर्देशानुसार आज पश्चिम बंगाल दिवस भी मनाया जा रहा है उन्होंने कहा कि हर एक समुदाय के इतिहास में उनकी परंपराओं का बहुत बड़ा स्थान होता है बंगाल हमेशा संस्कृति की धरती रही है और आज बांग्ला नव वर्ष के उपलक्ष पर सुबह से ही बंगाल की उसे सांस्कृतिक धरोहर को दिखाते हुए विभिन्न कार्यक्रम हुए और आज भी यहां पर रविंद्र भवन में विभिन्न सांस्कृतिक कार्यक्रम किया जा रहे हैं उन्होंने बंगाल के सांस्कृतिक धरोहर को और उजागर करने तथा और मजबूत करने पर जोर दिया वही जिला शासक एस पोन्नाबलम ने कहा कि आज बांग्ला नव वर्ष है बहुत जरूरी है कि हम अपनी अगली पीढ़ी को हमारे परंपराओं और इतिहास के बारे में जानकारी दें उन्होंने कहा कि आज आधुनिकता की वजह से लोग और खासकर नई पीढ़ी अपनी परंपराओं से दूर होते जा रहे हैं इसलिए यह बहुत जरूरी है कि वह अपनी परंपराओं और अपने इतिहास को जाने और इस तरह के कार्यक्रम उस दिशा में काफी सार्थक होंगे।
पब्लिक न्यूज आसनसोल:– आसनसोल, पश्चिम बंगाल आसनसोल नगर निगम के वार्ड संख्या 14 स्थित कल्ला बाईपास इलाके मे राष्ट्रीय राज्य मार्ग के जमीन पर कुछ किसानो द्वारा की जा रही हरी भरी और लहलहाती फसल पर पिएचई विभाग ने बुलडोजर चला दिया है और खेतों मे लगी सब्जियों को बुरी तरह नस्ट कर दिया है, जिसका पछतावा ना तो पिएचई विभाग को है और ना ही उस ठेकेदार को है जिसने पिएचई विभाग से पाईप लाईन बिछाने के लिये टेंडर लेकर काम शुरू किया है, उनका यह साफ कहना है की उन्होंने राष्ट्रीय राज्य मार्ग से नो एनओ सी लिया है जिस एनओसी के बिनाह पर वह पाईप लाईन बिछाने का काम शुरू किया है, ऐसे मे राष्ट्रीय राज्य मार्ग की जमीन पर अगर कोई अवैध रूप से खेती कर सब्जियां ऊगा रहा है तो वो उसकी गलती है, वह अपना काम कर रहे हैं, ऐसे मे किसानो की अगर माने तो उनका यह कहना है की वह गरीब और असहाय लोग हैं, उनको अपना और अपने परिवार का पेट भरने के लिये एक मात्र यही खेती का सहारा है, जिस सहारे वह अपनी जीवन व्यतीत कर रहे हैं, खेतों मे फसलों की हुई नुकसान पर अपना आंसू बहा रहे किसानो ने कहा की अगर उनको थोड़ा भी समय दिया जाता या फिर उनको पहले से फसल हटा लेने के लिये कोई नोटिस दी जाती तो वह अपना फसल हटा लेते पर ठेकेदार ने उनको कोई समय नही दिया और उनकी मेहनत पर पानी फेर दिया उनकी लहलहाती सब्जियों की हरी भरी फसल पर बुलडोजर चला दिया, जिससे उनका हजारों रुपए का नुकसान हो गया है अगर उनके उस नुकसान का थोड़ा भी भरपाई हो जाए तो उनको कुछ मदद मिल जाती और उनकी आर्थिक स्थिति नही बिगड़ती पर उनके साथ घटी इस घटना ने उनको सड़क पर लाकर खड़ा तो कर ही दिया है साथ ने उनके पुरे परिवार को भखमरी के कगार पर लाकर भी खड़ा कर दिया है, वहीं किसानो ने जिला प्रशासन से मुवावजे की मांग की है।
পাবলিক নিউজ আসানসোল :–চলতি গ্রীষ্ম বা গরমকালে পানীয়জলের সমস্যা মেটাতে বেশকিছু জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার করে জল সরবরাহ করা হয়। আসানসোল সাব ডিভিশন বা মহকুমায় বিভিন্ন ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সকল এলাকার জল ট্যাঙ্কার করে পানীয়জল সরবরাহের সুবন্দোবস্ত করতে বুধবার আসানসোলের মহকুমাশাসকের (সদর) কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে হওয়া এই বৈঠকে ইসিএলের সমস্ত এরিয়ার জিএম , পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার , বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরে মহকুমাশাসক (সদর) বলেন, পিএইচই ও ইসিএল সমস্ত এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করবে যেখানে জলের প্রয়োজন হবে। এই ব্যাপারে কাদের কি করনীয় তা এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।
পাবলিক নিউজ জামুড়িয়া:– হাতে নোংরা জলের পাত্র নিয়ে ও পরিশ্রুত পানীয়জল দেওয়ার দাবি তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলের জামুড়িয়ার বটতলা মোড় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মহিলারা এদিন বাঁশ দিয়ে ও পুলিশের ব্যারিকেড রাস্তার মধ্যে রেখে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। অবরোধ ও বিক্ষোভের কারণে জামুড়িয়ার প্রধান রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে নোংরা জল আসছে কল দিয়ে। যা অপরিশ্রুত ও পান করার অযোগ্য। বারবার এই নিয়ে অভিযোগ করার পরও কোন সমাধান হয়নি। এবার তাই এদিন বাধ্য হয়েই সেই নোংরা জল পাত্রে নিয়ে বটতলা মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন আসানসোল পুরনিগমের জামুড়িয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এলাকায় আসে। পুলিশ এই বিক্ষোভ সরিয়ে দিতে গেলেও পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয় যে, চার দিনের মধ্যে পানযোগ্য পরিশ্রুত পানীয়জল দেওয়া হবে। এই পুলিশের এই আশ্বাসের ঘন্টা খানেক পরে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ তুলে নেন ও স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
পাবলিক নিউজ আসানসোল:– নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম রায়। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি খোয়ালেন প্রায় ২৬ হাজার জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের পাশাপাশি এই বাতিলের কোপে পড়েছেন অশিক্ষক কর্মী বা নন- টিচিং স্টাফ। বাংলার অন্য সব জেলার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা আছেন। রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শিক্ষা সেল, জেলা শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাকরি যাওয়ার সংখ্যাটা কমবেশি ৫১৭ জন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া , বারাবনি বিধানসভার সালানপুর, বারাবনি ও রেল শহর চিত্তরঞ্জনের বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের নাম এই তালিকায় আছে। তবে, বাতিলের তালিকায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের বাসন্তীদেবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সবার উপরে আছে বলে এখনো পর্যন্ত জানা গেছে। এই স্কুলের ২৭ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে ১২ জনের চাকরি গেছে। তার মধ্যে হিন্দি, বাংলা, ভৌত বিজ্ঞান ও জীবন বিঞ্জানের মতো বিষয় আছে। স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত স্কুল কতৃপক্ষে। এই স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা ১৪২৯ জন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রুতি গাঙ্গুলি বলেন, বুঝতে পারছি না কি করবো? ২৭ জনের মধ্যে যদি ১২ জন না থাকেন, তাহলে স্কুল চালাবো কি করে? এতো পড়ুয়া সংখ্যা। ঐ শিক্ষকদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। তিনি আরো বলেন, এই ১২ জনকে দেখে সত্যি আমাদের কারোরই মনে হয়নি, এরা অযোগ্য? সবাই সুন্দর ভাবে পড়াশোনা করান। কারোর নামে কোন অভিযোগ নেই। কেউ কেউ আবার নোডাল শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বারাবনির গৌরান্ডি আর কে এস ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন, সালানপুর ব্লকের কস্তুরবা গান্ধী হিন্দি মিডিয়াম স্কুলের ১ জন, চিত্তরঞ্জন বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষকের নাম বাতিলের তালিকায় আছে বলে জানা গেছে। আসানসোল শহরের এসবি গরাই রোডের চেলিডাঙ্গা হাইস্কুলের দুজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা ও এক অশিক্ষক কর্মীর নাম এই তালিকায় আছে। এদিন এই তিনজনই স্কুলে গরহাজির ছিলেন। এই স্কুলের টিচার ইনচার্জ পূর্ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমার স্কুলের তিনজন ছিলেন। একজন শিক্ষক তো একটা বিষয়ের ছিলেন। কি করবো বুঝতে পারছি না। আসানসোল শহরের উমারানি গড়াই মহিলা কল্যান হাইস্কুলের দুই শিক্ষিকা ও একজন অশিক্ষক কর্মীর নাম এই তালিকায় আছে। স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। চাকরি হারানো গৌরান্ডি আর কে এস ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনামিকা চাকি বলেন, আমাদের ভুলটা কোথায় ছিল? সমস্ত কিছু যাচাই করে তবেই চাকরীতে আমাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। আমাদের যে চাকরি চলে গেল এবার আমরা কি করবো? এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক ডঃ তুষার বন্দোপাধ্যায় বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলছি না। তবে আমার স্কুলের উপরে অনেকটা চাপ পড়ল। যেখানে ২৬০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী রয়েছে, আর শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন ৩৯ জন। এর মধ্যে চারজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা চলে গেলো। যার ফলে স্কুলের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকার একটা অভাব তৈরি হলো। অষ্টম পিরিয়ড পর্যন্ত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়লো। এখন ইউনিট পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার খাতা দেখার শিক্ষক পাবো না । প্রশ্ন তৈরি করার টিচার পাবোনা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বায়োলজি নিউটিশন বিষয়ের থিয়োরি এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাস করানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। এমনিতেই ১৪ জন শিক্ষকের অভাব। তার ওপর আরো ৪ জন বাদ গেল। এখন সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ালো মোট ১৮ জন। উচ্চ মাধ্যমিকের অনেকে খাতা দেখছেন। আমাদের মতো যারা এই হেড এক্সামিনার ছিলাম, তাদের খুব অসুবিধা হয়ে গেল। সর্বোপরি ছাত্রছাত্রীরা যাদেরকে এতদিন ধরে পেলো, তাদের ক্লাস করলো, আজ থেকে তারা আর নেই। এতো ছাত্র-ছাত্রীরা দারুণভাবে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( শিক্ষা) সঞ্জয় পাল বলেন, এখনো পুরো তালিকা পাইনি। আশা করছি, তাড়াতাড়ি তা পাবো। তার পরেই কিছু বলতে পারবো।