Category: BANGLA

  • চোরাই সোনার গয়না উদ্ধার / বার্নপুরে ধৃত এক……… বার্নপুর,

    চোরাই সোনার গয়না উদ্ধার / বার্নপুরে ধৃত এক……… বার্নপুর,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– একটি চুরির ঘটনার তদন্ত নেমে সাফল্য পেলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের হিরাপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় একজনকে। উদ্ধার করা হয়েছে চোরাই সোনার গয়না। এই চুরির ঘটনায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে গত ২৫ এপ্রিল হিরাপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছিলো ( নং ১৩৩/২৫, বিএনএস ৩০৫ নং ধারা)। হিরাপুর থানার বার্নপুরের শান্তিনগরের নেতাজি রোডের বাসিন্দা ধৃত যুবকের নাম দীপক মিশ্র (২৭) ।
    হিরাপুর থানার ওসি এসআই তন্ময় রায়ের নেতৃত্বে হওয়া এই চুরির ঘটনার কিনারা করার দলে ছিলেন এসআই অজিত কুন্ডু, এসআই অঞ্জন মণ্ডল, এসআই শুভাশীষ বন্দোপাধ্যায় , এএসআই মহঃ শামিম ও হিরাপুর থানার পিসি পার্টি। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও হিসেবে ছিলেন এসআই লিটন মন্ডল।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিধানপল্লীর বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে জানিয়ে গত ২৫ এপ্রিল হিরাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো। তারপর মামলা করে হিরাপুর থানার ওসির নেতৃত্ব ও নির্দেশে এই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে। কয়েক ঘন্টার মধ্যে পরের দিন ভোররাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বার্নপুরের শান্তিনগরের নেতাজি রোডের বাসিন্দা দীপক মিশ্রকে গ্রেফতার করে। পরে ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে হিরাপুর থানার পুলিশ চারদিনের রিমান্ডে নেয়। দীপক মিশ্র পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকারোক্তি দেয়। তার বক্তব্যের ভিত্তিতে চুরি হওয়া জিনিস, যা সোনার গয়না হিসাবে চিহ্নিত ছিলো, তা উদ্ধার করা হয়।
    চারদিক রিমান্ড শেষে বুধবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে হিরাপুর থানার পুলিশ। জানা গেছে, সব চোরাই সামগ্রী উদ্ধার হওয়ার ধৃতকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আর হিরাপুর থানার পুলিশের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়নি।

  • আইসিএসই “তে ৯৯.২ শতাংশ নম্বর আসানসোলের প্রত্যুষের / পুষ্পস্তবক পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা………..… আসানসোল,

    আইসিএসই “তে ৯৯.২ শতাংশ নম্বর আসানসোলের প্রত্যুষের / পুষ্পস্তবক পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা………..… আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোলের প্রত্যুষ রায় মিশ্র ২০২৫ আইসিএসইতে ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তার এই সাফল্যের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আসানসোলের সেন্ট প্যাট্রিক্স স্কুলের ছাত্র প্রত্যুষ রাশ মিশ্র ২০২৫ সালের আইসিএসই বোর্ড পরীক্ষায় ৯৯.২% নম্বর পেয়ে দুর্দান্ত ফল করেছে।
    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই সাফল্যের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন। বুধবার শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর লিখিত বার্তা ও পুষ্পস্তবক নিয়ে তার বাসভবনে পৌঁছে তাঁকে অভিনন্দন জানান।
    প্রত্যুষ তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার জন্য পরিচিত।
    তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি। আমি আমার স্কুল কতৃপক্ষ, শিক্ষক এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ। যারা আমাকে প্রতিটি পদক্ষেপে উৎসাহিত করেছেন। আমার লক্ষ্য ভবিষ্যতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান রাখা।
    প্রত্যুষের বাবা ডাঃ প্রবীণ রায় আসানসোলের একজন বিখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি আসানসোলের একটি চক্ষু হাসপাতালের কর্ণধার । ছেলের কৃতিত্বে গর্ব প্রকাশ করে ডাঃ প্রবীণ রায় বলেন, প্রত্যূষের কঠোর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলা প্রমাণ করেছে যে সঠিক লক্ষ্যে যাওয়ার চেষ্টা কখনও বৃথা যায় না।

  • দীঘায় জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠান/ আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে দেখানোর ব্যবস্থা………….., আসানসোল,

    দীঘায় জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠান/ আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে দেখানোর ব্যবস্থা………….., আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দীঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে নির্মিত জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটন করেন। আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

    দুপুরের এই অনুষ্ঠানটি দেখতে উপস্থিত ছিলেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, সহ-সভাপতি বিষ্ণু দেব নুনিয়া, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যান্যরা। এছাড়াও, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী, আসানসোল মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

    এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বনাথ বাউরি বলেন আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস তৈরি করেছেন। তিনি দীঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ ধামের দ্বারোদঘাটনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন। এখন এখানকার ভক্তদের জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য পুরীতে যেতে হবে না। তারা দীঘায় গিয়ে ভগবান জগন্নাথের দর্শন করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন যে এই কাজের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সর্বদা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন ।

  • নামী কোম্পানির নকল নুন ধরতে অভিযান / বার্নপুরের দোকানে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা………. বার্নপুর, ২১ এপ্রিলঃ

    নামী কোম্পানির নকল নুন ধরতে অভিযান / বার্নপুরের দোকানে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের হানা………. বার্নপুর, ২১ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– একটি নামী কোম্পানির নকল নুন ধরতে অভিযান আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ইবি বা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের। সোমবার হিরাপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বার্নপুরের একটি দোকানে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তরফে অভিযান চালানো হয়। ঐ দোকান থেকে ঐ কোম্পানির একটি নুনের বস্তা সিজ করেন ইবির আধিকারিকরা। তারা দোকান মালিক সঞ্জয় কুমার বার্নওয়ালের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান, এই নুনের বস্তা তিনি কোথা থেকে কিনেছেন।
    অভিযানের পরে এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিক অঞ্জন কুমার দাসগুপ্ত বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে যে একটি নামী কোম্পানির নকল নুন তৈরি ও বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই এদিন এই অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আরে বলেন, এর আগে কুলটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছিলো। এদিন এখানে অভিযান চালানো হয়েছে। এই দোকান থেকে নুনের প্যাকেট সহ বস্তা সিজ করা হয়েছে। তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
    এই প্রসঙ্গে দোকান মালিক বলেন , এদিন কিছু লোক আমার দোকানে অভিযান চালায়। তারা কিছু বলতে অস্বীকার করে। তাদের সঙ্গে পুলিশ ছিলো। তবে তারা একটি কোম্পানির নুনের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করে তাদের সাথে নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তারা সিজার তালিকা দিয়ে গেছে। তারা বলে গেছেন যে এই নুন পরীক্ষা করা হবে।যদি এই নুন ঠিক থাকে তাহলে ফেরত দেওয়া হবে।

  • কীর্তনে বিজেপি বিধায়ক / আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নং ওয়ার্ডে পানীয়জল বন্ধ করার অভিযোগ / ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ………. আসানসোল, ২১ এপ্রিলঃ

    কীর্তনে বিজেপি বিধায়ক / আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নং ওয়ার্ডে পানীয়জল বন্ধ করার অভিযোগ / ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ………. আসানসোল, ২১ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল –এলাকার কীর্তনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাই কাউন্সিলারের কথায় ট্যাঙ্কার করে দেওয়া পানীয়জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের । এই কারণে সোমবার আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে বিজেপির পতাকা ছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসেন। পরে এক ট্যাঙ্কার জল দেওয়া হয়। এরপরে পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানওতোর শুরু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
    আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নং ওয়ার্ডের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা তপন রুইদাস ও মমতা রুইদাস বলপন, গত ৫ দিন ধরে তাদের এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। আমাদের এলাকায় ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয়জল সরবরাহ করা হচ্ছে গত তিন বছর ধরে। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে কোন ট্যাঙ্কার আসেনি। যে র কারণে এই তীব্র গরমে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তাদের এলাকায় একটি কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এসেছিলেন। এর পরে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্রাবণী বিশ্বাস স্পষ্টভাবে বলেছেন যে যেহেতু বিজেপি বিধায়ক তাদের এলাকায় কীর্তনের জন্য এসেছিলেন, তাই তাদের এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করা হবে না। যা নিয়ে এদিন স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা যায়। তারা বলেন যে কীর্তন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিলো। যেখানে কেউ এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। যদি কেউ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসে, তাকে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কের আসার কারণে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করা সম্পূর্ণ অনুচিত দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। আশা শ্রীবাস্তব বলে এক মহিলা বলেন, কাউন্সিলার বলেন ট্যাঙ্কার খারাপ। তাই জল আসেনি। কিন্তু এর আগে তো ট্যাঙ্কার খারাপ ছিলো। তখন তো অন্য ট্যাঙ্কার করে জল দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন ৫ দিন তা করা হলো না কেন? তার দাবি, এদিন রাস্তা অবরোধ করায় এক ট্যাঙ্কার জল পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে, কাউন্সিলার তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন

    অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এই তো বাংলার অবস্থা। রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও নেত্রীরা মনে করছেন, ক্ষমতায় আছে বলে, সবকিছু কিনে নিয়েছে। ঐ এলাকায় বাসিন্দাদের স্যালুট আমার। যে তারা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আর তো কয়েক মাস। তারপর তো ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।

  • বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির চারাপোনা উৎসবকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুরের লাউদোহা অঞ্চলে। পাওনা টাকা চাইতে উৎসব প্রাঙ্গনে তৃণমূল কর্মী ও তার অনুগামীরা । বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে সামাল দিলো পরিস্থিতি। ছুতো খুঁজে উৎসবকে পন্ড করার চক্রান্ত শাসকের অভিযোগ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির,উৎসব নয়, অশান্তির আবহ তৈরী করতে চাইছে বিজেপি,ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির চারাপোনা উৎসবকে ঘিরে উত্তেজনা দুর্গাপুরের লাউদোহা অঞ্চলে। পাওনা টাকা চাইতে উৎসব প্রাঙ্গনে তৃণমূল কর্মী ও তার অনুগামীরা । বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে সামাল দিলো পরিস্থিতি। ছুতো খুঁজে উৎসবকে পন্ড করার চক্রান্ত শাসকের অভিযোগ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির,উৎসব নয়, অশান্তির আবহ তৈরী করতে চাইছে বিজেপি,ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের

    পাবলিক নিউজ দুর্গাপুর = বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির চারাপোনা উৎসবে অশান্তি। এক তৃণমূল কর্মী আচমকা উৎসব প্রাঙ্গনে পৌঁছলেন দলের পুরোনো সতীর্থর কাছে টাকা চাইতে, দু এক কথা হতে হতে অশান্তি, উত্তেজনা দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুর অঞ্চলে। যে পরিস্থিতির সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনীকে ছুটে আসতে হলো। কোনোক্রমে অশান্ত পরিস্থিতির সামাল দিল পুলিশ। তৃণমূল কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামীর অভিযোগ, জিতেন্দ্র তেওয়ারি যখন তৃণমূল করতেন সেই সময় সঞ্জয় যাদব নামে তার এক অনুগামী ছিলেন, সঞ্জয়ের কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ ৪৩ হাজার টাকার মতো তিনি পান, দীর্ঘদিন সেই টাকা নাকি দিচ্ছেন না সঞ্জয় যাদব, আজ জিতেন্দ্র তেওয়ারির চারাপোনা উৎসবে সঞ্জয় যাদবকে দেখা মাত্রই, বিশ্বনাথ গোস্বামী নামে ঐ তৃণমূল কর্মী জনা পাঁচেক লোকজন নিয়ে ঢুকে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির অনুষ্ঠানস্থলে। দু এক কথা হতে হতে নিমেষে ছড়ায় অশান্তি। পুলিশ তড়িঘড়ি ছুটে এসে সামাল দেয় পরিস্তিতির। এইদিকে উৎসব ভুন্ডুল করতে এই চক্রান্ত শাসক দলের কটাক্ষ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির,তার উদ্যোগে লাউদোহায় চারাপোনা উৎসবকে ভুন্ডুল করতে শাসকের সাথে পুলিশও উঠে পড়ে লেগেছে বলে বিজেপি নেতার অভিযোগ। যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা দাবি করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, পান্ডবেস্বর বিধানসভা কেন্দ্রে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি ও তার লোকজন। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনার জেরে টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুরের লাউদোহার প্রতাপপুর এলাকায়।

  • বার্নপুরে বন্ধ গাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য ………… বার্নপুর, ২০ এপ্রিলঃ

    বার্নপুরে বন্ধ গাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য ………… বার্নপুর, ২০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– আসানসোলের হিরাপুর থানার শ্যামবাঁধের মুড়ি ফ্যাক্টরির কাছে শিবাজী মাঠ সংলগ্ন এলাকায় একটি বন্ধ চারচাকা গাড়ির ভেতর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হলো। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বার্নপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অঞ্জাত পরিচয় মৃত যুবকের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রবিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। তবে রবিবার বিকেল পর্যন্ত মৃতদেহের পরিচয় পুলিশ খুঁজে বার করতে পারেনি।
    বার্নপুরের শ্যামবাঁধের বাসিন্দা প্রেম কুমার দুবের বাড়ির সামনে তার চারচাকা গাড়িটি পার্ক করানো ছিলো। গাড়ির মালিক প্রেম কুমার দুবে বলেন, আমি কাজের সূত্রে সবসময় ব্যস্ত থাকি। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি মাঠে মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার জন্য গাড়ির দরজা খুলতে যাই। সেই সময় গাড়ির কাচে ধোঁয়ার মতো দাগ দেখি। ভাবি কাঁচ ফেটে গিয়ে এমনটা হয়েছে। কিন্তু গাড়ির দরজা খুলতেই তিনি সিটের উপর এক যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি হতবাক হয়ে যান।
    ঘটনাটি তিনি আশপাশের লোকেদের বলেন। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তারপর হিরাপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচৈতন্য অবস্থায় যুবককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    গাড়ির মালিক বলেন, গাড়ি সব সময় লক থাকে। কি করে ঐ যুবক আমার গাড়ির ভেতরে ঢুকলো তা বুঝতে পারছি না। তার দাবি , তিনি ঐ যুবককে চেনেন না।
    হিরাপুর থানার পুলিশ জানায়, এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টের পরে জানা গেছে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ঐ যুবক গত কয়েক দিন ধরে এই এলাকায় ভবঘুরে হিসেবে ঘোরাঘুরি করছিলো।
    পুলিশ মৃতদেহের পরিচয় বার করার পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় পুলিশের তরফে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

  • রানিগঞ্জে বাড়ি থেকে বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার……… রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    রানিগঞ্জে বাড়ি থেকে বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার……… রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:— বাড়িতে ঘরের ভেতর থেকে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেওয়া এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। রবিবার সকালের এই ঘটনায় আসানসোল রানিগঞ্জ থানার গীর্জা পাড়ার এমপি রোডের কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত বৃদ্ধার নাম পূর্নিমা সরকার (৭০)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রানিগঞ্জের গীর্জা পাড়ার এমপি রোডের কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সরকার পরিবারের সদস্যরা এদিন সকালে পূর্নিমা সরকারকে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে রানিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    পরিবারের সদস্যরা পূর্নিমা সরকারের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিছু পুলিশকে জানাতে পারেন নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ বৃদ্ধা কোন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে তিনি এদিন সকালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

  • আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন………….আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন………….আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– এআইইউটিইউসি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলন রবিবার আসানসোলের বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে হয়।
    এই প্রসঙ্গে সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভানেত্রী উষা আচার্য বলেন, আশা কর্মীদের অধিকার নিয়ে এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে । পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আশা কর্মীরা এখানে উপস্থিতবছিলেন। তিনি আরো বলেন, আশা কর্মীদের শুধুমাত্র মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করানো হচ্ছে। যা তাদের কাজ নয়। এছাড়াও, আশা কর্মীদের রাজ্য সরকার পরিচালিত কর্মসূচি বা অন্যান্য কর্মসূচিতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তারা তারজন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ পান না। তাদের ন্যূনতম ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ২৪ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া তাদের কোনও সামাজিক নিরাপত্তা নেই। যদি কোনও আশা কর্মী কাজ করার সময় মারা যান, তাহলে তার পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না। আমাদের দাবি ছিল, যদি কোনও আশা কর্মী কাজ করার সময় মারা যান, তাহলে তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তিনি সরকারের কাছে আশা কর্মীদের সরকারী কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, সংগঠনের তরফে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে আবেদন করবো, স্থানীয় বিধায়কদের কাছে চিঠি লিখবো, যাতে আশা কর্মীদের জন্য বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাবেো। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠিও লেখা হবে। যদি তাদের দাবি পূরণ হয়, তাহলে ভালো। অন্যথায়, আগামী ২২ আগস্ট কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে এদিন সংগঠনের জেলা সভানেত্রী জানিয়েছেন।

  • প্রয়াত আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ সাহিত্যিক ডঃ রামদুলাল বসু……………..রানিগঞ্জ, ২০ এপ্রিল:

    প্রয়াত আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ সাহিত্যিক ডঃ রামদুলাল বসু……………..রানিগঞ্জ, ২০ এপ্রিল:

    পাবলিক নিউজ আসানসোল/রানীগঞ্জ /:–আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সাহিত্য জগতে নক্ষত্র পতন। রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের বাসিন্দা বিশিষ্ট লেখক, রবীন্দ্র গবেষক ও অধ্যাপক ডঃ রাম দুলাল বসু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর। তার প্রয়াণে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি এদিন রানিগঞ্জের শিশুবাগানে তার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত বসু আসানসোল বাংলা একাডেমির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন।
    ডঃ বসু রানিগঞ্জে ত্রিবেণী দেবী ভালোটিয়া বা টিডিবি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য নিয়ে গবেষণার জন্য শিক্ষা মহলে সুপরিচিত হন। একইসাথে তিনি আসানসোল বাংলা আকাদেমির প্রথম সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যা তার সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রমাণ। তার রচনা ও গবেষণা বাংলা সাহিত্যে এক অমূল্য অবদান রেখেছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    রানিগঞ্জের পাশাপাশি আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
    রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শিশুবাগানে তাঁর বাসভবনে এসে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , “ ডঃ বসুর প্রয়াণে আমরা একজন মহান শিক্ষক, গবেষক ও সাহিত্যিককে হারালাম। তার অবদান চিরকাল আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে।”
    ডঃ রাম দুলাল বসুর আত্মার শান্তি কামনা করে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাহিত্যপ্রেমীরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন। তার পরিবার প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।