
পাবলিক নিউজঃ আসানসোল অলোক চক্রবর্তী:– স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী ও ৪১ তম যুব দিবস পালন করা হয় আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন ও বিদ্যালয় প্রাক্তনর সংসদের তরফে। এই উপলক্ষে এদিন সকালে আসানসোল শহরে একটি বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি বেরোয়। এই উপলক্ষে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের অদূরে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। প্রভাতফেরিতে পড়ুয়া, শিক্ষক, মহারাজ ও আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে যুক্ত সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। এর পরে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিলো। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, বোরো চেয়ারম্যান অনির্বাণ দাস এবং আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সৌমাত্মানন্দ জি মহারাজ সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক স্বামী বিবেকানন্দের জীবনের উপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন যে আজেকের দিনটি স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী ও ৪১ তম যুব দিবসও। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে ভারত সরকার ১২ জানুয়ারিকে যুব দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করেছিল। খুব অল্প বয়সে স্বামী বিবেকানন্দ এমন কাজ করেছিলেন যা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত ধর্ম মহাসম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ যেভাবে তার বক্তৃতা শুরু করেছিলেন তার কারণে সারা বিশ্ব ভারতের আসল আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পর্কে তথ্য পেয়েছিলো। তিনি আমেরিকার জনগণকে তার ভাই এবং বোন বলে সম্বোধন করেছিলেন। যা সেখানকার লোকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন জিনিস ছিলো। এর পরে স্বামী বিবেকানন্দ এমন অনেক কাজ করেছিলেন যার জন্য স্বামী বিবেকানন্দকে সবাই এখনও স্মরণ করে আসছেন।
আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সৌমাত্মানন্দ জি মহারাজও জাতীয়তাবাদ এবং সমাজ গঠনে তাঁর আদর্শকে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ এমন একজন মহান ব্যক্তি ছিলেন যিনি তাঁর কথা ও কাজের মাধ্যমে বহু প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছিলেন। মানব সভ্যতা তাকে হাজার হাজার বছর ধরে স্মরণ করবে।










Leave a Reply