

পাবলিক নিউজঃ বুদবুদ:-চিরাচরিত রীতি মেনে প্রতিবছরের মত এ বছরও মহা ধুমধামে বুদবুদের কোটা গ্রামে ভেলা ভাসান অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিবছরের মত এ বছরও কালীপুজোর শেষে ভাইফোঁটার দিন বিকালে শুরু হয় এই ভেলা ভাসান অনুষ্ঠান। বিকাল পাঁচটা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। মাত্র কয়েক ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানের জন্য বসে মেলা। যা সাত দিন ধরে চলে। ভেলা ভাসান অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোটা গ্রামে মেলার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোটা গ্রামের বাসিন্দা শেখ শাহাদাদ জানিয়েছেন, ছোট থেকে তারা এই অনুষ্ঠান দেখে আসছেন। এই অনুষ্ঠান তাদের বাবা ঠাকুরদার আগের আমল থেকে চলে আসছে। হিন্দু মুসলিম সহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা এই মেলায় যোগদান করেন।এই অনুষ্ঠান দেখতে মানুষের চরম উৎসাহ থাকে। বুদবুদের কোটা গ্রামের মানুষের পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে কোটা গ্রামে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী। কোটা গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব আঁকুরে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো উপলক্ষে যে কার্নিভালের আয়োজন করে। কোটা গ্রামের কালী পুজো উপলক্ষে এটাও এক ধরনের কার্নিভাল যা কোটা গ্রামের ঐতিহ্য। এই পরম্পরা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।আগামী দিনে আরও চলতে থাকবে। মূলত কালীপুজোর সময় কোটা গ্রামে একটি শিবের, একটি হরগৌরি ও বেশ কয়েকটি কালীপুজোর আয়োজন করা হয়।গ্রামের প্রবীণদের কাছে জানতে পাওয়া গেছে কোন এক সময় গ্রামের বাসিন্দারা ঠিক করেন গ্রামের প্রতিমা নিরঞ্জন করতে যা খরচা তাতে গ্রামের মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠতো না।আবার গ্রামের মানুষ প্রতিমা দর্শনের জন্য অপেক্ষায় থাকতো।তাই তারা ঠিক করেন।তারা যে পুকুরে ঠাকুর বিসর্জন দেন সেই পুকুরে ভেলায় ঠাকুর ভাসিয়ে গ্রামের মানুষকে এক জায়গায় জড়ো করে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দেবেন। সেই মত গাড়ির টিউবের উপর বাঁশ ও খড় দিয়ে ভেলা তৈরি করে সেই ভেলার উপর গ্রামের সমস্ত দেব-দেবীদের নিয়ে গোটা পুকুর জুড়ে পরিক্রমা করে সন্ধ্যার পর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। ভেলা ভাসান অনুষ্ঠান ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠায়। দূরদূরান্তের মানুষের কাছে খবর পৌঁছে যাওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই ভেলা ভাসান অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেন কোটা গ্রামে।যা প্রতি বছর একই ভাবে চলে আসছে।





Leave a Reply