
পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুরের কাছে পুলিশ ও ডিডি অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে একটি মোটরবাইক সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত যুবকদের মধ্যে একজন স্থানীয় ও অন্যজন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের অন্য সহযোগীদেরও খোঁজে পুলিশ তদন্ত ও অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলটি থানার নিয়ামতপুরের শেয়ার কালালি পেট্রোল পাম্পের কাছে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপির (কুলটি) নেতৃত্বে আসানসোলের ডিডি বা ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। আসানসোল থেকে মোটরবাইকে আসা দুই যুবককে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। তখন তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে চার/পাঁচ প্যাকেট ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। এরপর দুই যুবককে গ্রেফতার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া যুবকের কাছ থেকে প্রায় ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহঃ ফারকুল শেখ। সে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দ্বিতীয়জন আরশ বার্নওয়াল, নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত আলডির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তদন্তে জানা গেছে, ফারকুল শেখ মুর্শিদাবাদ থেকে এইসব মাদক এনে আরশকে দিয়েছিলো ।
পুলিশ এখন এই মাদক চোরাচালানের পেছনের মূল পান্ডা কে বা কারা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে। লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লী এলাকার অনেকেই এই অবৈধ ব্যবসা ও চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানা গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জামিনে ছাড়া পেয়ে অন্যত্র বাস করছে।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা বলেন, ডিডি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় এবং অন্যজন জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে কে বা কারা আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।










Leave a Reply