
পাবলিক নিউজ ডেস্ক আসানসোল :–আসানসোলের রানিগঞ্জ ব্লকের টিরাট গ্রামে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে।
এরপরে, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অন্যান্য বিজেপি নেতা ও কর্মীদের নিয়ে আসানসোলে জিটি ও ১৯ নং জাতীয় সড়কের সংযোগস্থল কালীপাহাড়ি এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন। দেখানো হয় বিক্ষোভও। দুটি জায়গাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক শাসক দলকে আক্রমণ করেন।
জানা গেছে, এদিন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল টিরাট এলাকায় ” পাড়ায় পাড়ায় দিদিভাই ” কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান। তিনি পরিদর্শন করার পাশাপাশি সেখানে তিনি এলাকার মানুষের সাথে দেখা করছিলেন। অভিযোগ সেই সময় অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি আটকানো হয়।
বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য সুবীর বন্দোপাধ্যায় তার লোকদের নিয়ে এলাকায় আসে। তিনি আমার সাথে অভদ্র আচরণ শুরু করেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, আমি গত আড়াই বছর ধরে কোথায় ছিলাম? ঐ তৃণমূল নেতা আমার সামনে তৃণমূলের মহিলা কর্মীদের পাঠান। যারা এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমার গাড়ি আটকে রাখেন। রানিগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু তারা তৃণমূল কর্মীদের সাথে খুব নরমভাবে কথা বলে এবং আমাকে এলাকা থেকে জোর করে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
বিজেপি বিধায়ক আরো বলেন, তৃণমূল যদি মনে করে থাকে যে তারা বিজেপি বিধায়কদের পথ আটকে বিজেপির মনোবল ভেঙে দিতে পারবে। তবে তা এখন আর হবে না। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমার কারণেই এই এলাকায় অবৈধ বালির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভের কারণ এটা। কারণ তারা সকল ধরণের অবৈধ কারবার থেকে টাকা পায়। ইতিমধ্যে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অবৈধ মাটি তোলার অভিযোগ উঠেছে। তিনি আরও বলেন, রেলের জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অভিযোগে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। এই এলাকার মানুষ কোনও পরিষেবা পাননি। এই বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের বিরক্ত করলেও, সত্য হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা এক একজন চোর। আমি এই দাবি করেই যানো।
এই বিষয়ে সুবীর বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বিধায়ককে আটকানো বা তার সাথে অভদ্র আচরণ করা হয়নি। তার নিরাপত্তায় নিযুক্ত সিআইএসএফ কর্মীরা এলাকার মহিলাদের উপর গুলি চালানোর হুমকি দেয়। এর পরে, মহিলারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। সুবীরবাবু বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এদিন এলাকা পরিদর্শন এবং নিম ধাওড়ায় যাওয়ার অভিযোগ করেন, যেখানে অবৈধ মাটি ব্যবসা চলছিল। তিনি অবৈধ ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করেন। এরপর, তিনি গড়গড়ডাঙ্গায় এসে স্থানীয় মহিলাদের সাথে অত্যন্ত অভদ্র আচরণ করেন। তার নিরাপত্তায় থাকা সিআইএসএফ কর্মীরা মহিলাদের উপর গুলি চালানোর হুমকি দেন। বিজেপি বিধায়কের অবৈধ বালি ব্যবসা বন্ধ করার দাবির বিষয়ে সুবীর বন্দোপাধ্যায় বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল। বিজেপি বিধায়ক নন, আমি এই এলাকায় অবৈধ বালি ব্যবসা বন্ধ করেছি। এই এলাকায় যা কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তা হয় জেলা পরিষদ ও এই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের কারণে হয়েছে। কিন্তু এদিন যখন বিজেপি বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলেন, তখন এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হন।
এদিকে এই এলাকার কিছু মহিলারা বলেন, বিজেপি বিধায়ক আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি।








