

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল প্রয়াত আসানসোল পুরনিগমের কংগ্রেস কাউন্সিলর গোলাম সরবর। কংগ্রেসের এই কাউন্সিলারের মৃত্যু আসানসোলের রাজনৈতিক জগতের বড় ক্ষতি বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। আসানসোল পুরনিগমের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গোলাম সরবর ওরফে লড্ডন শনিবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। তিনি স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে সহ পরিবারের সদস্য সহ অনুগামীদের রেখে গেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে গোলাম সরবর অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে আসানসোলের সেনরেল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে আসানসোলের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
রবিবার সকাল থেকে কাউন্সিলারের মৃতদেহ রাখা ছিলো আসানসোলের সুগম পার্কের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে একে একে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় কংগ্রেস কাউন্সিলারের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।
আসানসোল পুরনিগমের চলতি বোর্ডের কাউন্সিলার হওয়া সত্বেও তার পুরভবনে নিয়ে আসা হয়নি শেষ বিদায় জানানোর জন্য। স্বাভাবিক ভাবেই যা নিয়ে পুর কতৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চলতি পুর বোর্ডের বিভিন্ন সমালোচনা করার জন্যই কি কাউন্সিলারকে আসানসোল পুরনিগমে এনে শেষ বিদায় জানানো হলোনা?
আসানসোলের রাজনীতিতে এই কংগ্রেস কাউন্সিলার বড় বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি আসানসোল পুরনিগমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সোচ্চার ছিলেন। অনেক অভাব অভিযোগ ও সমস্যার পাশাপাশি আসানসোল পুরনিগমের একাধিক দূর্নীতি তিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন উত্থাপন করেছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাম বিরোধীতায় রাজনীতি করেছেন। প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলার আসানসোল রহমানিয়া স্কুলের কর্মী ছিলেন।
২০০৯ সালে গোলাম সরবর আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরে তিনি মেয়র পারিষদ সদস্য হন। তিনি পরবর্তী সময়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে তিনি আবার কাউন্সিলর হন এবং এবার তাকে বোরো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে তিনি আবার কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে ২৮ নং ওয়ার্ডে লড়াই করে আবার জিতে কাউন্সিলার হিসেবে জয়ী হন।



























































