

পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের লছিপুরের নিষিদ্ধ পল্লী চবকা এলাকায় সোমবার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযোগ , এক ব্যক্তি এই এলাকায় মাদক বিক্রি করছিলেন। যার জেরে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা তাকে ধরে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়। তারপর ঐ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
তবে এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন কাণ্ড নয়। এই এলাকার যুব সমাজের উপর মাদকের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এটা, তার একটা উদাহরণ মাত্র। স্থানীয়দের দাবি, চবকা এলাকায় মাদক বিক্রির ফলে যুবকরা বিপথগামী হচ্ছে। যা একটা উদ্বেগের বিষয়।
কুলটির তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায় বলেন , পুলিশ প্রশাসন যদি কঠোর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এলাকার সব বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব।
জানা গেছে, এই চবকা এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন।তাদের মতে, এই অঞ্চলে মাদক বিক্রি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যা শুধু যুব সমাজকেই নষ্ট করছে না, বরং এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তাকেও বিঘ্নিত করছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।যা প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয়দের ক্ষোভের মূলে রয়েছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ। তারা বলছেন, যদি সময়মতো পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হতো, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
বাচ্চু রায়ের বক্তব্য ও তিনি মনে করেন, পুলিশের দৃঢ় হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসনের সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এলাকায় মাদক বিক্রি ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব। তবে, এর জন্য প্রয়োজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং কঠোর নজরদারি। বাচ্চু রায়ের এই মন্তব্য প্রশ্ন তোলে পুলিশ প্রশাসন কি সত্যিই এই সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না।এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু প্রশাসনের একার দায়িত্ব নয়, এর জন্য সমাজের সব স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। লছিপুরের চবকার এই ঘটনা আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে। যতক্ষণ না প্রশাসন ও সমাজ একসঙ্গে কাজ শুরু করবে, ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান দূরের স্বপ্নই থেকে যাবে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃত্ব কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কি পদক্ষেপ নেয়।
এদিকে, পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ঐ ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি আরো বাড়ানো হচ্ছে।




































