Blog

  • আসানসোলের সেনরেল রোডের জুবিলি মোড় সংলগ্ন SBSTC ( সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) বাস ডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাস হঠাৎ চালক ছাড়াই চলতে শুরু করে। 

    আসানসোলের সেনরেল রোডের জুবিলি মোড় সংলগ্ন SBSTC ( সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) বাস ডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাস হঠাৎ চালক ছাড়াই চলতে শুরু করে। 

    বাস ডিপো তে এক্সিডেন্ট

    আসানসোলের সেনরেল রোডের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এসবিএসটিসি ( সাউথ বেঙ্গল স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) বাস ডিপোতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাস হঠাৎ চালক ছাড়াই চলতে শুরু করে। রবিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি বাসটি ডিপোর গেট ভেঙে রাস্তায় এসে পরপর তিনটি মোটরবাইককে ধাক্কা মেরে, ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ঐ লেনে নর্দমায় গিয়ে পড়ায়, বাসটি থামে।
    ধাক্কা মারা তিনটি মোটরবাইকের মধ্যে দুটি মোটরবাইক ভেঙে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগেই বাসটিকে দেখতে পেয়ে যাওয়া মোটরবাইক চালকেরা প্রাণে বেঁচে যান। ছুটির দিনে দুপুরবেলা হওয়ায় এদিন ঐ এলাকায় ভিড় ও রাস্তায় গাড়ি চলাচল এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াত কম ছিলো। যে কারণে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ছুটে আসে। এই ঘটনার জন্য বেশ কিছুক্ষনের জন্য হলেও সেনরেল রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ক্রেন দিয়ে বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ও গাড়ি চলাচল শুরু হয়।
    এদিকে এই ঘটনার পরে সরকারি বাসের বেহাল চেহারা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
    এদিন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী তথা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া একটি মোটরবাইক মালিক শ্রীকান্ত মাজি বলেন, আমি সরকারি বাসের ডিপোর সামনে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখতে পাই যে ডিপোর ভেতর থেকে একটি বাস এগিয়ে আসছে। পরে বুঝতে পারি যে বাসটিতে চালক ও খালাসি কেউ নেই। চালক ও খালাসি ছাড়াই রাস্তার দিকে এগিয়ে আসছে। কিছু বোঝার আগেই গেট ভেঙে রাস্তার দিকে চলে আসে। বাসটি আমাদের খুব কাছে পৌঁছানোর আগে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। এরপর ঐ বাস তিনটি মোটরবাইককে পিষে দেয়।
    জানা গেছে, বাসটি হাওড়া ডিপোর ছিল। এই বাসটির আসানসোল থেকে কলকাতা ফেরার সময় ছিল বিকেল ৩ টে বেজে ৩০ মিনিট। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ এই বাসটি আসানসোলের জুবিলি মোড় সংলগ্ন এসবিএসটিসি ডিপোতে পৌঁছায়। এরপর বাসটির চালক ও খালাসি খাবার খেতে গেছিলেন। তাই সেই সময় বাসে কেউ ছিল না। তাই প্রশ্ন উঠছে যে, বাসে চালক না থাকা সত্ত্বেও কি করে বাসটি চালু হলো? তাহলে কি টেকনিক্যাল ত্রুটি কারণে বাসটি চালু হয় গেল?
    তাহলে বাসটি কলকাতা থেকে আসানসোলেে কি করে যাত্রীদের নিয়ে এলো? সাধারণ মানুষ যারা, সরকারি বাসে নিত্যদিন যাতায়াত করেন, তাদের নিরাপত্তার কোথায়?
    এই বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল বলেন, ঘটনার সময় আমি এখানে উপস্থিত ছিলাম না। খবর পেয়ে এসেছি। তারপর জানতে পারি বাসটি চালক ছাড়াই ডিপো থাকা বাস নিজের থেকে চালু হয়ে যায়। পরে
    গেট ভেঙে বেরিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
    এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে এসবিএসটিসির তরফে বলা হয়েছে, ঠিক কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
    অন্যদিকে, যে তিনটি মোটরবাইক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের মালিকেরা আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    দুর্ঘটনার পরের বাসের ছবি

  • আসানসোল ক্লাব নির্বাচন ২০২৫ বিরোধীদের আক্রমণ ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানালেন সভাপতি পদপ্রার্থী সোমনাথ বিশোয়াল

    আসানসোল ক্লাব নির্বাচন ২০২৫ বিরোধীদের আক্রমণ ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানালেন সভাপতি পদপ্রার্থী সোমনাথ বিশোয়াল

    আসানসোল ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনার পারদ একেবারে তুঙ্গে। এবারের নির্বাচন আবারও সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সভাপতি সোমনাথ বিশোয়াল। রবিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। পুরো প্যানেল নিয়ে আসানসোল ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে সোমনাথবাবু বলেন, এবারও আমি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।নিয়ম মতো আসানসোল ক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য এটাই হবে আমার শেষ লড়াই। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরে আরো দু বছর আর আসানসোল ক্লাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো না বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, গত ১০৫ বছরের ইতিহাসে আসানসোল ক্লাবে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ৪ বছরে। এই ঐতিহাসিক আসানসোল ক্লাবে যে উন্নয়ন হয়েছে তিনি তার আগের মেয়াদের কিছু কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করেন। যেমন আসানসোল ক্লাবে ১০ টি ফাইভ স্টার রুম তৈরি করা হয়েছে। ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রেস্তোরাঁ, পাঁচতারা রান্নাঘর, দুটি নতুন লিফট,সুইমিং পুলের ওপরে ম্যারেজ হল, শেড তৈরি করা হয়েছে। এমন অসংখ্য কাজের তালিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই উন্নয়নমূলক কাজগুলো অব্যাহত রাখতে তিনি আরও একবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। আবার সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে তিনি ভবিষ্যতে প্রবীণ নাগরিকদের মধ্যে থাকবেন। আমরা এর জন্য আসানসোল ক্লাবের ফি কমিয়ে দেব। ক্লাবে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাইরের কাউকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন বিভাগ পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন যে যখন ক্লাবের ১০৫ তম বছর উদযাপন করা হবে, তখন সমস্ত বলিউড তারকাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এর সাথে, আসানসোল ক্লাবের প্রথম তলায় একটি ইনডোর ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি করা হবে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করা কর্মচারীদের আসানসোলে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। হুক্কা বারকে রয়্যাল ফ্যামিলি রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করা হবে। আরও অনেক কাজ করা হবে যাতে আসানসোল ক্লাব আরও উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে এর সাথে আসানসোল ক্লাবের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। আসানসোল ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক শোভন নারায়ণ বসুর পদত্যাগপত্র সবার সামনে তুলে ধরে সোমনাথবাবু বলেন, তিনি আসানসোল ক্লাবের সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগের সময় লিখিত দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বলছেন যে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী তাকে অপসারণ করার অধিকার সভাপতির নেই। এর জন্য আলাদা সভা ডাকতে হবে এবং এর পরেই যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শোভন নারায়ণ বসু যা বলছেন তা সম্পূর্ণ ভুল। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
    প্রসঙ্গতঃ, আসানসোল ক্লাব নির্বাচন ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এ নিয়ে উৎসাহ উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। সভাপতি হিসাবে লড়াই করা সোমনাথ বিশোয়ালের প্যানেলে, লক্ষেশ্বর পান্ডে সেক্রেটারি পদের প্রার্থী, ডাঃ আর কে ঝা সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী, রাকেশ গোয়েল কোষাধ্যক্ষ পদে প্রার্থী। দশজন কার্যনির্বাহী সদস্যের প্রার্থীরা হলেন জসমিত সিং মক্কর, অমিতপাল ছাবরা, উমং আগরওয়াল, অঙ্কিত আগরওয়াল, অশোক আগরওয়াল, বিনয় মিহারিয়া, অতুল দাস, শ্রীবর্ধন সরফ, সৌমেন চ্যাটার্জি এবং নিলয় গাঙ্গুলী। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিনোদ গুপ্ত।

  • আরজি করের ঘটনা  আসানসোলে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনীদের মৌন মিছিল

    আরজি করের ঘটনা  আসানসোলে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনীদের মৌন মিছিল

    আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্রদের তরফে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ডাক্তার খুনের প্রতিবাদ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিতে রবিবার একটি মৌন মিছিল বার করা হয়। এই মিছিল আসানসোলের বিএনআর মোড় সংলগ্ন রবীন্দ্র ভবন থেকে শুরু হয়। পরে সেই মিছিল ভগত সিং মোড হয়ে রবীন্দ্র ভবনে ফিরে আসে। মিছিলে পা মেলানো  সকলের একটিই দাবি ছিল যে আরজি কর হাসপাতালে যা ঘটেছে তার বিচার করে,  দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক।

    আরজি করের ঘটনা  আসানসোলে রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনীদের মৌন মিছিল

    (more…)
  • আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল

    আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে আশাকর্মী ও আইসিডিএস কর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল

    সালানপুর:-আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্য চলছে প্রতিবাদ মিছিল।এবার সালানপুর ব্লকের সমস্ত আইসিডিএস কেন্দ্রের কর্মীদের ও আশা কর্মীদের ডাকে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।তারা রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় থেকে এই মিছিল বের করে আল্লাডি পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় রূপনারায়ণপুরে এসে শেষ করেন।সেখানে প্রতিবাদ সভাও করা হয়।মূলত আরজি কর এর চিকিৎসক এর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ মিছিল।এই মিছিলে ব্লকের শতাধিক আশা কর্মী আইসিডিএস কর্মীরা পায়ে পা মেলান।আর জি কর হাসপাতালে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন। দোষীদের অবিলম্বে ধরতে হবে এবং উপযুক্ত কঠোর শাস্তি দাবিতে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল ।পাশাপাশি এই মিছিলে আইসিডিএস কর্মীদের সাথে সাথে সাধারণ মানুষেরও হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকেটে লেখা উই ওয়ান্ট জাস্টিস বিচার চাই বিচার চাই এই দাবি নিয়ে পদযাত্রায় হাঁটলেন।

  • আবারও টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা, রেল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে আসানসোলে ব্রিজ পরিদর্শনে মেয়র

    আবারও টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা, রেল ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে নিয়ে আসানসোলে ব্রিজ পরিদর্শনে মেয়র

    আসানসোল : আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় শুক্রবার আসানসোল জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়কের  জুবিলি মোড় সংযোগকারী সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীর রেল সেতু পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রেল ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও ছিলেন ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী ও পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা।
    এই প্রসঙ্গে, মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, আমি ফোনে এদিন আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমকে সেনরেল রোডের রেল ব্রিজের নীচে জল জমার কথা বলেছিলাম। ডিআরএম রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন। তাদেরকে সাথে নিয়ে এই রেল ব্রিজ পরিদর্শন করলাম। এদিন বৃষ্টি হওয়ায় পরিদর্শন করতে একটু অসুবিধা হলেও, বিষয়টি দেখা হয়েছে। রেল ও আসানসোল পুরনিগম খতিয়ে দেখছে কিভাবে এই ব্রিজের নিচে জল জমার সমস্যা সমাধান করা যায়।

    এই ব্রিজের নিচে বিদ্যুতের তারও গেছে। শনিবার আবার পরিদর্শন করা হবে। বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের ডাকা হবে। মেয়র আরো বলেন, সামান্য বৃষ্টির পরও এই ব্রিজের নিচে জল জমে যায়। যে কারণে আসানসোলের জিটি রোড থেকে জাতীয় সড়কের দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলিকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক বড় বড় হাসপাতাল এই রাস্তায় আছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তাই এই ব্রিজের নিচে জল জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধানের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


    এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালেও বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে আবারও বৃষ্টি হয়। যা দুপুর পর্যন্ত চলে। এই বৃষ্টিতে আসানসোল স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়, হটন রোডের আর্য সরণী মোড়, দিলদার নগর, চেলিডাঙ্গা, রেলপার সহ নিচু এলাকা ও কালভার্ট জলের তলায় চলে যায়। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢোকে।
    এদিকে, নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে বৃষ্টির জল। এমনটাই অভিযোগ আসানসোলের ইসমাইল গুরু নানক পল্লীর বাসিন্দাদের। আসানসোল পুরনিগমের ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিকিৎসক দেবাশীষ সরকার এদিনের ঘটনার কথা জানতে পেরে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
    এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। নর্দমা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার হয় না এইসব এলাকায়। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই নালির জল ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। শুধু ৮৪ নং ওয়ার্ড নয়, আসানসোল পুরনিগমের একাধিক ওয়ার্ডেই এই ছবি দেখতে পাওয়া গেলো।


    বৃহস্পতিবার রাতের পরে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে নর্দমার জল উপচে চলে এসেছে রাস্তায় ও বাড়িতে। বহুবার কাউন্সিলর ও আসানসোল পুরনিগমকে বলেও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এইভাবে সারাদিন যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে বাড়িঘরে এক হাঁটুর উপর জল জমে যাবে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যাবে না বলেও তাদের অভিযোগ। 
    অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার এই বৃষ্টি চলবে।

  • আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ : আসানসোলে থানা ঘেরাও বিজেপির, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ : আসানসোলে থানা ঘেরাও বিজেপির, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    আসানসোল : কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে বিজেপির তরফে রাজ্যের বিভিন্ন থানার সামনে শুক্রবার ঘেরাও বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি পালন করা হয়।
    এই কর্মসূচিতে এদিন বিকেলে আসানসোল দক্ষিণ থানা ঘেরাও করে, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিপুল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়। তারা থানার গেটের সামনে ফাঁসির দড়ি দেখিয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে থানার সামনে জিটি রোড অবরোধ করেন। এর ফলে জিটি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেখানে থাকা পুলিশ কর্মীরা জিটি রোডের অবরোধ তুলতে এগিয়ে আসে। বিজেপির নেতা ও কর্মীরা সরতে না চাওয়ায়, পুলিশ তাদের জোর করে সরাতে চায়। তখন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। থানার সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় পুলিশ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে জিটি রোডের অবরোধ তুলে দেয়।



    এই প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বললেই চলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি ।  এর সাথে তিনি অভিযোগ করেন যে গত ১৪ আগস্ট রাতে, যখন বিপুল সংখ্যায় মানুষ আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে, ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। তখন তখন তৃনমুল কংগ্রেসের গুন্ডারা হাসপাতালে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছিলো। যাতে খুনের ঘটনার প্রমাণ না পাওয়া যায়। হামলাকারীদের সেদিন পুলিশ আটকায় নি। আর এখন যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন, পুলিশ তাদেরকে আটকাচ্ছে।

    এদিনের বিজেপির আন্দোলন ঘিরে যাতে বড় ধরনের কিছু না হয়, তার জন্য আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে পুলিশের পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্সও ছিলো।

  • চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ,  উত্তেজনা মানকর গ্রামীন হাসপাতালে

    চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, বিক্ষোভ,  উত্তেজনা মানকর গ্রামীন হাসপাতালে

    বুদবুদ : এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো পশ্চিম বর্ধমানে বুদবুদের মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম মাধাই বাদ্যকর (৫৬)। তার বাড়ি বুদবুদের কোটা গ্রামে।


    জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মাধাই বাদ্যকরের বুকে ব্যথা হয়। বাড়ির লোকেরা তাকে তড়িঘড়ি মানকর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, তাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল সেই সময় হাসপাতালে কোন ডাক্তার এমার্জেন্সিতে উপস্থিত ছিলেন না। ডাক্তার না থাকার কারণে তার ন্যুনতম চিকিৎসা করা হয়নি। ফলে বিনা চিকিৎসায় ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবারের লোকজনেরা । পরে হাসপাতলে চিকিৎসক না থাকায় সেখানকার কর্তব্যরত নার্সকে বলা হয়। তখন সেই নার্স মাধাই বাদ্যকরকে একটি ইনজেকশন দেন। পরিবারের অভিযোগ ইনজেকশন দেওয়ার পরেই তার মৃত্যু হয়।

    এরপর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বুদবুদ থানার পুলিশ। বুদবুদ থানার পুলিশের সাথে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনদের বচসাও চলে। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
    পুলিশ জানায়, চিকিৎসা নিয়ে ঐ রোগীর পরিবারের একটা অভিযোগ ছিলো। সবার সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে।

  • জামুড়িয়ায় পুকুরে ডুবে মৃত্যু যুবকের

    জামুড়িয়ায় পুকুরে ডুবে মৃত্যু যুবকের

    File photo

    জামুড়িয়া ও আসানসোল, ২৩ আগষ্টঃ পুকুরে স্নান করতে নেমে জলে ডুবে মৃত্যু হলো এক যুবকের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার বোগড়া এলাকায়। বোগড়া নিচুপাড়ার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম কুন্দন বাউরি (৩৫)। শুক্রবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    জানা গেছে, জামুড়িয়া থানার বোগড়া নিচুপাড়ার বাসিন্দা কুন্দন বাউরি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির অদূরে তালপুকুরে স্নান করতে যায়। পুকুরে নেমে সে জলে ডুবে যায়। পরে বাড়ির লোকেরা তাকে পুকুরের জলে ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এলাকায় আসে।
    প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুকুরের জলে স্নান করতে নেমেছিলো। যে কারণে সে বেসামাল হয়ে পুকুরের জলে ডুবে যায় ও তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

  • শচীন রায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন

    শচীন রায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন

    আসানসোল : আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুল এবং পার্বতী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শচীন রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে। এই উপলক্ষে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সোমাত্মানন্দ জি মহারাজ স্কুলের রজত জয়ন্তী গেট উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ভূমিপূজো করে স্কুলের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এছাড়া এক রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। এই রক্তদান শিবির আয়োজনে সহযোগিতা করেন প্রবীর ধর। এর পাশাপাশি এদিন চক্ষু ও দাঁতের পরীক্ষার একটি ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বৃক্ষরোপনের একটি কর্মসূচি ছিলো।

    এই প্রসঙ্গে শচীন রায় বলেন, আমি সর্বদা সামাজিক কাজ করতে চাই। তাই জন্মদিনে একটি বৃক্ষরোপণ সহ একাধিক সমাজের উপকার হয়, এমন কিছুর আয়োজন করা হয়েছিলো। শচীন রায় আরো বলেন, শুধু আমার জন্মদিনই নয়, সবসময় ঈশ্বরের কৃপায় মানুষের সেবা চালিয়ে যেতে চাই। তিনি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের স্বামী সৌমাত্মানন্দ জি মহারাজকে ধন্যবাদ জানান এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। এদিন অনুষ্ঠানে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের উন্নয়ন তহবিলে ১ লক্ষ টাকার চেক এবং পাশাপাশি সামাজিক সংস্থা আসানসোল “প্রগতি”কে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শচীন রায়ের স্ত্রী স্কুলের ডিরেক্টর মিতা রায়, পুত্র স্কুলের ডিরেক্টর গৌরব রায়, আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ রাজীব শা এবং পার্বতী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীরা।