Author: NewsEditor

  • রানিগঞ্জে বাড়ি থেকে বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার……… রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    রানিগঞ্জে বাড়ি থেকে বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার……… রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:— বাড়িতে ঘরের ভেতর থেকে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেওয়া এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলো। রবিবার সকালের এই ঘটনায় আসানসোল রানিগঞ্জ থানার গীর্জা পাড়ার এমপি রোডের কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত বৃদ্ধার নাম পূর্নিমা সরকার (৭০)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রানিগঞ্জের গীর্জা পাড়ার এমপি রোডের কালি মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সরকার পরিবারের সদস্যরা এদিন সকালে পূর্নিমা সরকারকে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে রানিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
    পরিবারের সদস্যরা পূর্নিমা সরকারের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিছু পুলিশকে জানাতে পারেন নি। তবে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঐ বৃদ্ধা কোন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে তিনি এদিন সকালে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

  • আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন………….আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা সম্মেলন………….আসানসোল, ২০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– এআইইউটিইউসি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলন রবিবার আসানসোলের বার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে হয়।
    এই প্রসঙ্গে সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভানেত্রী উষা আচার্য বলেন, আশা কর্মীদের অধিকার নিয়ে এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে । পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আশা কর্মীরা এখানে উপস্থিতবছিলেন। তিনি আরো বলেন, আশা কর্মীদের শুধুমাত্র মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিলো। কিন্তু এখন তাদেরকে দিয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করানো হচ্ছে। যা তাদের কাজ নয়। এছাড়াও, আশা কর্মীদের রাজ্য সরকার পরিচালিত কর্মসূচি বা অন্যান্য কর্মসূচিতেও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তারা তারজন্য কোন অতিরিক্ত অর্থ পান না। তাদের ন্যূনতম ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ২৪ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া তাদের কোনও সামাজিক নিরাপত্তা নেই। যদি কোনও আশা কর্মী কাজ করার সময় মারা যান, তাহলে তার পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না। আমাদের দাবি ছিল, যদি কোনও আশা কর্মী কাজ করার সময় মারা যান, তাহলে তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তিনি সরকারের কাছে আশা কর্মীদের সরকারী কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, সংগঠনের তরফে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে আবেদন করবো, স্থানীয় বিধায়কদের কাছে চিঠি লিখবো, যাতে আশা কর্মীদের জন্য বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাবেো। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠিও লেখা হবে। যদি তাদের দাবি পূরণ হয়, তাহলে ভালো। অন্যথায়, আগামী ২২ আগস্ট কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হবে বলে এদিন সংগঠনের জেলা সভানেত্রী জানিয়েছেন।

  • প্রয়াত আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ সাহিত্যিক ডঃ রামদুলাল বসু……………..রানিগঞ্জ, ২০ এপ্রিল:

    প্রয়াত আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রবীণ সাহিত্যিক ডঃ রামদুলাল বসু……………..রানিগঞ্জ, ২০ এপ্রিল:

    পাবলিক নিউজ আসানসোল/রানীগঞ্জ /:–আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সাহিত্য জগতে নক্ষত্র পতন। রবিবার সকালে প্রয়াত হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের বাসিন্দা বিশিষ্ট লেখক, রবীন্দ্র গবেষক ও অধ্যাপক ডঃ রাম দুলাল বসু। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর। তার প্রয়াণে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি এদিন রানিগঞ্জের শিশুবাগানে তার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রয়াত বসু আসানসোল বাংলা একাডেমির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন।
    ডঃ বসু রানিগঞ্জে ত্রিবেণী দেবী ভালোটিয়া বা টিডিবি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য নিয়ে গবেষণার জন্য শিক্ষা মহলে সুপরিচিত হন। একইসাথে তিনি আসানসোল বাংলা আকাদেমির প্রথম সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যা তার সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রমাণ। তার রচনা ও গবেষণা বাংলা সাহিত্যে এক অমূল্য অবদান রেখেছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
    রানিগঞ্জের পাশাপাশি আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
    রানিগঞ্জের বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শিশুবাগানে তাঁর বাসভবনে এসে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে , “ ডঃ বসুর প্রয়াণে আমরা একজন মহান শিক্ষক, গবেষক ও সাহিত্যিককে হারালাম। তার অবদান চিরকাল আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবে।”
    ডঃ রাম দুলাল বসুর আত্মার শান্তি কামনা করে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাহিত্যপ্রেমীরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন। তার পরিবার প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।

  • আসানসোল উত্তর বিধানসভা / ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি…….…….আসানসোল, ২০ এপ্রিল: ২০২৬

    আসানসোল উত্তর বিধানসভা / ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি…….…….আসানসোল, ২০ এপ্রিল: ২০২৬

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস। শাসক দল আবারও বাংলায় ক্ষমতায় আসতে এখন থেকে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। একেবারে প্রাথমিক স্তরে শাসক দলের লক্ষ্য ” ভোটার তালিকা “। শাসক দল ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলে দাবি করেছে যে, বিজেপি অন্য সব রাজ্যের মতো ভোটার তালিকায় কারসাজি করতে পারে এই বাংলায়। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে ভোট রক্ষা কর্মসূচি। বার করা হয়েছে একটি এ্যাপও।
    সেই লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রবিবার আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতার জন্য রবীন্দ্র ভবনে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক , মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
    কর্মসূচিতে কলকাতা থেকে আসা আইপ্যাক (ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি)-এর প্রতিনিধিরা তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য আধুনিক অ্যাপ, ডেটা মনিটরিং প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল যাচাইকরণ সরঞ্জাম ব্যবহারের পদ্ধতি শেখান। কর্মীদের এটাও শেখানো হয় যে কিভাবে জাল ভোটারদের নাম চিহ্নিত করতে হয় এবং সেগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট করতে হবে।
    মন্ত্রী সহ অন্য বক্তারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত কর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা নিজ নিজ এলাকায় ভোটার তালিকার খুব ভালো করে পরীক্ষা এবং জাল বা ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করুন। আগামী সপ্তাহ থেকে বুথ ও ওয়ার্ড স্তরে নিয়মিত নজরদারি শুরু হবে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এর মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করবেন। যাতে আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করা যায়।
    এই কর্মসূচি কেবল মাত্র ভোটার তালিকার নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে না, বরং একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য , বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও, শাসক দলের নেতারা বিজেপির এই প্রশ্নে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

  • ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচলে ছড়াচ্ছে দূষণ, কুলটিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ…………. কুলটি, ১৭ এপ্রিলঃ

    ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচলে ছড়াচ্ছে দূষণ, কুলটিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ…………. কুলটি, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :–আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রাধানগরের জনবসতি এলাকার রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচল করছে। এর ফলে এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যেের উপর তার প্রভাব পড়ছে। শিশু থেকে বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বারবার এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা বিষাক্ত ছাই পরিবহন অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার
    আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রাধানগর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে ঢাকা না দিয়ে ডাম্পারে করে ছাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করা হয়েছে । এদিকে এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভের কারণে রাস্তায় ডাম্পার সহ অন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ আসে। পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে পুলিশের তরফে সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরেই নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

    এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এলাকার মানুষেরা এদিন রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশ ৭ দিন সময় নিয়েছে। তিনি বলেন, যদি ৭ দিনের মধ্যে তার সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আগামী দিনে আরো বড় আকারে প্রতিবাদ আন্দোলন করা হবে।

  • ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি / সালানপুরে তিন বাম সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল, বিডিও অফিস অভিযান……………….সালানপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি / সালানপুরে তিন বাম সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল, বিডিও অফিস অভিযান……………….সালানপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– আসানসোলের সালানপুর থানার ডাবর মোড় থেকে তিনটি বামপন্থী সংগঠন সিটু, এআইকেএস ও এআইএডব্লুইউের সালানপুর ব্লক কমিটির ডাকে একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়। ” বিডিও অফিস চলো ” ডাক দেওয়া সেই মিছিল সালানপুর বিডিও অফিসে গিয়ে শেষ হয়। পরে তিন বাম সংগঠনের পাশাপাশি বামেদের যুব, কৃষক, মহিলা সহ অন্য সংগঠনের নেতা, নেত্রী ও কর্মীরা ছিলেন। সবশেষে ১০ দফা দাবির একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয় সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসকে ।

    দাবি গুলির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রাপকের নামের তালিকা বেনিয়মে অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্ত করে বেআইনি প্রাপকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আদিবাসী সহ যে সমস্ত গরীব মানুষদের নাম তালিকায় নেই তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।সালানপুর ব্লক এলাকায় বেআইনি ভাবে পাট্টা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হিন্দুস্তান কেবলসের দখল হওয়া জমি দখল মুক্ত করতে হবে। ১০০ দিনের কাজ দ্রুত চালু করতে হবে।১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিন ও মজুরি ৬০০টাকা করতে হবে। সালানপুর ব্লকে আইন শৃঙ্খলার অবস্থার উন্নতি করতে হবে। চুরি ছিনতাইের মতো অপরাধ বন্ধ করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বিভিন্ন রাস্তায় যানজট মুক্ত ও ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বয়স্কদের বন্ধ হয়ে যাওয়া পেনশন চালু করতে হবে। সালানপুর ব্লকের বন্ধ কারখানা গুলি খোলার উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ কারখানায় জমিতে নতুন শিল্প গড়তে হবে। এলাকার বেকার যুবকদের এলাকাতেই কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেত্রী শিপ্রা মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা জনবিরোধী নীতি ও এলাকার সাধারণ মানুষদের সমস্যা গুলি নিয়ে এদিন বিডিও অফিস চলো অভিযান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ দফা দাবির একটি স্মারক লিপি বিডিওকে দেওয়া হয়েছে।

  • আসানসোল পুরনিগমে প্রস্তুতি বৈঠক / দুদিনের ২৫ শে বৈশাখ পালনের অনুষ্ঠান….…….. আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    আসানসোল পুরনিগমে প্রস্তুতি বৈঠক / দুদিনের ২৫ শে বৈশাখ পালনের অনুষ্ঠান….…….. আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী পালিত হয় বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ২৫ শে বৈশাখে। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও আসানসোল পুরনিগমের তরফে ২৫ শে বৈশাখ পালন করা হবে । বৃহস্পতিবার থেকে আসানসোল পুরনিগমে এর প্রস্তুতি শুরু হলো। ঠিক হয়েছে আসানসোল পুরনিগম দুদিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে। এদিন আসানসোল পুরনিগমের কনফারেন্স হলে এই নিয়ে একটা বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, ওএস বীরেন অধিকারী সহ স্কুলের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
    এই প্রসঙ্গে, আসানসোল পুরনিগমের সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ বলেন, প্রতি বছরের মতো, এই বছরও, আসানসোল পুরনিগম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে। ২৫ শে বৈশাখ বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হবে। পরের দিন ২৬ বৈশাখ, অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন গায়িকা ইন্দ্রাণী সেন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। তিনি আরো বলেন, আসানসোল পুরনিগম এবার দুদিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে।

  • দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ দূর্গাপুর :– পয়লা বৈশাখের রাতে বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটে কালি মন্দিরের দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলোনা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার হলো দুই চোর। ধৃতদের বাকি সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখের দিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটের কালি মন্দিরের পুরোহিত পুজো করে চলে যান।তারপরেই মন্দির চত্বরে জড়ো হয় ৪/৫ জন মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। আশেপাশের লোকজনেরা তা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। সেই সময় সুযোগ বুঝে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মন্দিরের সেবায়তের ভাইপো সেখানে আসেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে বুধবার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর ফাঁড়িতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজের সূত্র ধরে বুধবার রাতে বিধাননগরের কমিউনিটি সেন্টার থেকে দুই চোরকে গ্রেফতার কর করা হয় ।
    বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত দুজনকে বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ জানায়, ধৃত দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, তাদের বাকি সঙ্গী কারা ছিলো।

  • পশ্চিম বর্ধমানে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান শুরু তৃণমূলের / ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে অ্যাপ ‘ দিদির দূত ‘……….. আসানসোল, ১৬ এপ্রিল:

    পশ্চিম বর্ধমানে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান শুরু তৃণমূলের / ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে অ্যাপ ‘ দিদির দূত ‘……….. আসানসোল, ১৬ এপ্রিল:

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করতে বা ধরতে ‘ বাংলার ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করলো। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের জিটি রোডের রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান এবং ‘ দিদির দূত ’ অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সেক্রেটারি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিএলএ-১ ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত ও ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায়।
    সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে যার ফলে তারা জয়লাভ করেছে। ২০২৬ এর বিধানসভা সামনে রেখে বাংলায় বিজেপি একই জিনিস করতে চাইছে। শাসক দলের জেলা সভাপতি সতর্ক করে বলেন, বাংলায় এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করেছেন। যার উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করা এবং নকল ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না দেওয়া। বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো।
    তিনি বলেন , এই অভিযানের আওতায় তৃণমূল কর্মীরা টাউন, ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করবেন। দলটি জেলা ও বিধানসভা স্তরে বিএলও-১ এবং বুথ স্তরে বিএলও-২ নিয়োগ করেছে। এছাড়াও দুটি নতুন স্তর যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হলো একটি ব্লক ও টাউন স্তরে, অপরটি পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড স্তরে। এই কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করবেন এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ও তা বাদ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
    তিনি আরো বলেন, জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মীকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। দলের এইসব কর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে এবং ‘দিদির দূত’ অ্যাপ তাদের সহায়তা করবে। এই অ্যাপ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে এবং ভোটার তালিকা যাচাইয়ে সহায়ক হবে।
    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শাসক দলের জেলা সভাপতি অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিজেপি বাংলায় সাম্প্রদায়িক আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপি ভুলে যায় না যে, এই আগুনে তাদেরও হাত পুড়বে। বিজেপির নেতারা উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বলে দাবি জেলা সভাপতির।

  • ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির চার্জশিটে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নাম / প্রতিবাদে আসানসোলে কংগ্রেসের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি……………….আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির চার্জশিটে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর নাম / প্রতিবাদে আসানসোলে কংগ্রেসের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি……………….আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:–  ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির তরফে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর নাম উল্লেখ রয়েছে। এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা।
    একইভাবে আসানসোলের কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

    এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের হটন রোড মোড এলাকায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীর নাম অন্তর্ভুক্ত করাকে বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করা হয়।

    এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ সামাল দিতে হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো। বিক্ষোভ চলাকালে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা জিটি রোডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সেই সময় রাস্তা অবরোধ করে স্লোগান দেওয়া হয়। তখন আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ জোর করে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। যা নিয়ে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা প্রসেনঞ্জিৎ পুইতুন্ডি বলেন, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল হেরাল্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটা একটা রসিকতা যে এখন রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে এর মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ আনা হচ্ছে। অথচ যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ন্যাশনাল হেরাল্ডের মাধ্যমে যে সংস্থাটি নেওয়া হয়েছে তা একটি অলাভজনক সংস্থা এবং এটি বিক্রি করা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে, অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের কথা কোথা থেকে আসছে? তিনি বলেন, আজ যখন এই ইস্যুতে হটন রোড মোডে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি করে এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। তিনি আরো বলেন, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কোথাও না কোথাও অভ্যন্তরীণ যোগসাজশ রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস চায় না যে তারা ছাড়া অন্য কোনও দল বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুক। কিন্তু এটি ঘটবে না। কংগ্রেস ব্রিটিশদের কাছ থেকে পরাজয় মেনে নেয়নি। তাই বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে পরাজয় মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এদিনের আন্দোলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন শাহ আলম, মহঃ শাকির, সুকান্ত দাস, প্রেমনারায়ণ সিং, পরিতোষ বাউরি ও বিশ্বনাথ বাউরি।