পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন নেভানো বা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেছে।

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন নেভানো বা অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেছে। তাই একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, এই মুহুর্তে আচমকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগলে, কি হবে? রোগী, তার পরিবারের সদস্য থেকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে সেই আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কি করে হবে? কারণ আগুন নেভানোর বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে এই মুহূর্তে তা তো অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
প্রায় ৮ মাস হলো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে। যা নিয়ে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলকাতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল সার্ভিস কর্পোরেশনকে জানিয়েছে বলে সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। এও জানা গেছে, একাধিকবার ঐ কর্পোরেশনে খবর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ঠিক করা হয়নি।
একই সঙ্গে জেলা হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, সুপার স্পেশালিটিতে থাকা বেশ কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইজার বা অগ্নিনির্বাপক  যন্ত্রের ডেট এক্সপায়ারি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এর ফলে কোনভাবে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগুন লাগলে সেগুলিকেও কাজে লাগানো যাবে না।
এই ব্যাপারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ মহঃ ইউনুস খান বলেন, আমি নিজে ইতিমধ্যেই কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুজোর ছুটির পরে অফিস খুললেই আবারও কর্পোরেশনকে চিঠি লিখে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলবো। তিনি আরো বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দেখভালের দায়িত্ব পিডব্লিউডি বা রাজ্য পূর্ত দপ্তরের নয়। এই দায়িত্ব ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের।  সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সব কিছুই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এই কর্পোরেশন করে থাকে।
প্রসঙ্গতঃ আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মুহুর্তে শয্যা সংখ্যা সাড়ে ৫০০ র মতো। কিন্তু সেখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর সঙ্গে আছে, আউটডোর ও বিভিন্ন বিভাগ। এই অবস্থায় আচমকা আগুন লাগলে রোগী থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলেরই চরম বিপদ হতে পারে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই কলকাতায় ইএসআই হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দ্রুততার সঙ্গে সেখানে থাকা ৮০ জন রোগীকে বার করা হয়। তার মধ্যে একজন রোগীর মৃত্যুও হয়েছে বলে খবর। কলকাতার এই ঘটনার পরে আরো উদ্বেগ বেড়েছে আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

কুলটিতে চাঞ্চল্য / বাড়ির কুয়ো থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :–বাড়ি কুয়ো থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হলো। শনিবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের কুলটি থানার শীতলপুর বাউরি পাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের নাম মোহন বাউরি (৩২)। এদিন দুপুরের আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলটির বাসিন্দা মোহন বাউরিকে শনিবার ভোরবেলা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে বাড়ির লোকেরা তাকে বাড়ির কুয়োর মধ্যে জলে মৃত অবস্থায় ভাসতে দেখেন। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় কুয়ো থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, বাড়ির লোকেরা বলতে পারেননি যে, কি করে এই ঘটনা ঘটেছে। ঐ যুবক কি ভাবে কুয়োর মধ্যে পড়ে গেছে তা পরিষ্কার নয়। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
★★ বারাবনিতে সাপের কামড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু………. বারাবনি ও আসানসোল, ১৯ অক্টোবরঃ সাপের কামড়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধার। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। আসানসোলের বারাবনি থানার পুঁচড়ার বাসিন্দা মৃত বৃদ্ধার নাম ময়না মাজি ( ৭৪)। শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে থাকার সময় বারাবনির বাসিন্দা ময়না মাজিকে সাপে কামড়ায়। এরপর বাড়ির লোকেরা তাকে বারাবনিতে কেলেজোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কুলটিতে চাঞ্চল্য / আসানসোল পুরনিগমের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলারকে হুমকি চিঠি / তদন্তে পুলিশ

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– আসানসোল পুরনিগমের ৬৩ নং ওয়ার্ডে তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সেলিম আখতার আনসারিকে হুমকি চিঠি। শনিবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়াল কুলটির পাশাপাশি গোটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। শাসক দলের ঐ কাউন্সিল আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক ও দলের জেলা নেতৃত্বকে হুমকি চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কাউন্সিলর ইতিমধ্যেই চিঠির কথা জানিয়ে কুলটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে কুলটি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

জানা গেছে, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর কুলটি পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোস্টে আসানসোল পুরনিগমের ৬৩ নং শাসক দলের কাউন্সিলর সেলিম আখতার আনসারির কুলটির নিয়ামতপুরের বাড়িতে একটি ব্রাউন বা খয়েরী খামে চিঠি আসে। মুখ বন্ধ খামটি খুলতেই দেখা যায়, একটি সাদা কাগজের চিঠি রয়েছে। ইংরেজিতে হাতে লেখা সেই চিঠিতে, তাকে ছট পুজোর পরে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কয়েক লাইন লেখা সেই চিঠিতে একটি লাল দাগও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন ঐ এলাকায় থাকা ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হককে বিষয়টি জানান। একইভাবে তা মেয়র বিধান উপাধ্যায়কেও জানান কাউন্সিলর। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তবে হুমকি চিঠি পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ৬৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম আখতার। তিনি বলেন, আমি যে দল করি তার দলনেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঘের সঙ্গে তুলনা করে ওই কাউন্সিলর আরো বলেন, দল ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রতিদিন কাজ করে চলেছি। কোন কিছুর ভয়ে পিছু হঠার লোক আমি নই । হুমকি চিঠি পাঠানো লোকদের উদ্দেশ্যে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন এই তৃণমূল কাউন্সিলর।

কুলটি থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

থানা ঘেরাও বিক্ষোভ নিয়ে কুলটিতে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে / দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও ধাক্কাধাক্কি

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি সহ একাধিক দাবিতে রাজ্য জুড়ে শনিবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। সেই মতো এদিন কুলটি ব্লক কংগ্রেসের নেতৃত্ব কুলটিতে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিলো। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র কুলটিতে কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এলো। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটা ইস্যুতে দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
জানা গেছে, এদিন কুলটির নিয়ামতপুর ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিলো কংগ্রেস নেতা রাজেশ্বর শর্মার নেতৃত্বে। এই বিক্ষোভ যখন চলছিল, তখন নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে কুলটি ব্লক কংগ্রেসের থানা ঘেরাও কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর কুলটি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুকান্ত দাস সহ কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে পৌঁছান। এরপরই তাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় বচসা। দুই গোষ্ঠীর নেতা ও কর্মীরা নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। দুপক্ষকে সরিয়ে কোনমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। রাজেশ্বর শর্মা বলেন, যারা এই ধরনের কাজ করে তারা কংগ্রেসের কেউ নয়। আমি এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
অন্য গোষ্ঠীর তরফে অবশ্য এই নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয় নি।
অন্যদিকে, এদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, লাগাতার নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের আহ্বানে রাজ্য ব্যাপী থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিলো। সেই মতো এদিন আসানসোলের কুলটি ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কুলটি থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিলো। নেতৃত্বে ছিলেন কুলটি ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি সুকান্ত দাস।

আসানসোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী / দূর্গাপুজো ও কার্নিভাল পন্ড করার চক্রান্ত/ সিপিএম ও বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ, মন্ত্রী মলয় ঘটকের

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:–এবারের দূর্গাপুজো ও কার্নিভাল দেখতে না যাওয়া এবং পন্ড করার চক্রান্ত করেছিলো সিপিএম ও বাংলা বিরোধী বেশকিছু মানুষ। যারা আসলে হলো নাস্তিক। শুধু তাই নয়, এইসব মানুষেরা যাতে পুজো কমিটিরা সরকারি অনুদান না নেয়, তারও পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শনিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল উত্তর বিধান সভা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ১ এর পক্ষ থেকে হওয়া বিজয়া সম্মিলনী থেকে এইভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। একইসাথে তিনি দলের পুরনো নেতা ও কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য নতুনদের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি লোকসভা নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ড ও বুথে দলের প্রার্থীর হার হয়েছে, তার কারণ খুঁজতে ও ঐসব এলাকায় আরো বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের পাশাপাশি আসানসোলের সেনরেলের শ্রমিক ভবনে ব্লক ২ এর তরফে আরো একটি বিজয়া সম্মেলনে আয়োজন করা হয়েছিলো। দুজায়গাতেই মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভা বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক।
অনুষ্ঠান দুটিতে মন্ত্রী মলয় ঘটক আরো বলেন, আমরা দূর্গাপুজো কেন করি? আমরা মায়ের কাছে বলি, তিনি যেন অশুভ শক্তির বিনাস করেন ও শুভ শক্তির উদয় করেন। কিন্তু এবছর দেখা গেলো, যে কিছু অশুভ শক্তি বাংলার দূর্গাপুজোকে পন্ড করার চক্রান্ত করেছিলো। যাতে মানুষ ঠাকুর দেখতে না যান, মন্ডপে মন্ডপে, তার জন্য অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিলো। দূর্গাপুজোর কার্নিভাল যাতে মানুষ দেখতে না আসে, তারজন্য পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্পেনিং করা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। আর এইসবের পেছনে সিপিএমের হাত ছিলো। কারণ সিপিএমের নেতারা পুজো করেনা, ধর্ম মানেনা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাংলায় জগদ্দল পাথরের মতো থাকা সিপিএম তথা বামফ্রন্টের সরকারকে হটিয়ে ছিলেন। তিনি আরো বলেন, এবারে আসানসোলের দূর্গাপুজোর কার্নিভাল ২৫ হাজার মানুষ দেখেছেন। গত বছরের থেকে ৫ গুন বেশি। এবার আরো কয়েক লক্ষ মানুষ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে কার্নিভাল দেখেছেন।
দুটি বিজয়া সম্মিলনীতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, দুই ব্লকের দুই সভাপতি, মহিলা তৃণমূল সভাপতি অসীম চক্রবর্তী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

आसनसोल तृणमूल कांग्रेस नॉर्थ विधानसभा का विजया मिलन

पब्लिक न्यूज आसनसोल :– आसनसोल के रविंद्र भवन में आज आसनसोल नॉर्थ ब्लॉक तो टीएमसी की तरफ से विजया सम्मेलन का आयोजन किया गया मौके पर यहां मंत्री मलय घटक  विधायक हरे राम सिंह, चेयरमैन अमरनाथ चटर्जी, जिला महिला टीएमसी अध्यक्ष आशिमा चक्रवर्ती, बोरो अध्यक्ष राजेश तिवारी रणवीर सिंह जीतू समेत विभिन्न वार्ड के पार्षद और टीएमसी कार्यकर्ता और नेता उपस्थित थे। इस मौके पर सभी ने विजयादशमी की बधाई दी।विधायक हरे राम सिंह ने कहा कि दुर्गा पूजा बंगाल का सबसे बड़ा त्यौहार है लेकिन जिस तरह से राज्य के मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने बंगाल के इस सबसे बड़े त्यौहार को विश्व मंच पर पहचान दिलवाई है उसकी जितनी तारीफ की जाए कम है उन्होंने कहा कि ममता बनर्जी की कोशिशें की वजह से ही बंगाल के दुर्गा पूजा को यूनेस्को की तरफ से अवार्ड मिला है उन्होंने कहा कि ममता बनर्जी का कहना है कि धर्म सबका अपना जाति मामला हो सकता है लेकिन उत्सव सभी के लिए है जिसमें समाज के सभी वर्गों को सम्मिलित होने की आवश्यकता है और किसी सोच को ध्यान में रखते हुए टीएमसी का हर कार्य करता दुर्गा पूजा मैं शामिल होता है और समाज को एक सूत्र पिरोने की कोशिश करता है ।
वही मंत्री मलय घटक ने कहा कि आज विजया सम्मेलन का आयोजन किया गया है। आसनसोल नार्थ ब्लॉक  की तरफ से इसका आयोजन किया गया है।‌ उन्होंने कहा कि टीएमसी का हर कार्यकर्ता ममता बनर्जी के आदर्शों पर चलते हुए हर धर्म के उत्सव में समान रूप से सम्मिलित होता है। उन्होंने कहा कि कुछ ऐसी शक्तियां हैं जो बंगाल की इससे गंगा जमनी तहजीब को तोड़ना चाहती हैं ऐसी शक्तियों से सावधान रहने की जरूरत है

थाना घेराव के दौरान भिड़े कांग्रेस के दो गुट

पब्लिक न्यूज आसनसोल: –प्रदेश भर में कांग्रेस के थाना घेराव कार्यक्रम के दौरान कांग्रेस कार्यकर्ताओं और समर्थकों के एक समूह ने फांड़ी का घेराव किया, जिससे फांड़ी परिसर में भारी तनाव पैदा हो गया. यह घटना आसनसोल दुर्गापुर पुलिस कमिश्नरेट के कुल्टी थाने के नियामतपुर फांड़ी
परिसर में घटी जहां कांग्रेस कार्यकर्ताओं और समर्थकों के एक समूह ने नियामतपुर चौकी का घेराव किया. यह खबर सुनने के बाद कुल्टी ब्लॉक कांग्रेस के कार्यकर्ता व समर्थक कुल्टी थाने का घेराव  पूरा कर नियामतपुर फांड़ी पंहुचे। उन्होंने देखा कि कांग्रेस कार्यकर्ताओं और समर्थकों का एक समूह पार्टी के निर्देश के बिना ही थाने का घेराव ना कर फांड़ी का घेराव कर रहा था. तभी नियामतपुर चौकी परिसर में दोनों गुटों में बहस  और धक्का-मुक्की शुरू हो गई। इसके बाद पुलिस ने स्थिति को नियंत्रित किया।
कोलकाता के आरजी कर सहित बंगाल के विभिन्न इलाकों में जिस तरह से महिलाओं पर आए दिन अत्याचार और उनके साथ आपराधिक घटनाएं घट रही हैं उसके खिलाफ आज प्रदेश कांग्रेस की तरफ से पूरे राज्य में थाना घेराव कार्यक्रम का आयोजन किया गया इस कड़ी में आज आसनसोल दक्षिण थाने के सम्मुख भी कांग्रेस नेताओं और कार्यकर्ताओं द्वारा बड़े पैमाने पर विरोध प्रदर्शन किया गया और राज्य सरकार तथा पुलिस विरोधी नारे लगाए गए इस मौके पर आरजी कर सहित विभिन्न मामलों में जिस तरह से पूरे राज्य में महिलाओं पर अत्याचार हो रहे हैं उनके साथ तमाम तरह की आपराधिक घटनाएं घटाई जा रही हैं उसके लिए सीधे तौर पर राज्य सरकार टीएमसी और पुलिस प्रशासन को जिम्मेदार ठहराया गया इस मौके पर यहां कांग्रेस नेता प्रसनजीत पुईतुंडी शाह आलम सहित बड़ी संख्या में कांग्रेस नेता और कार्यकर्ता उपस्थित थे इनका कहना है कि जिस तरह से पूरे राज्य में महिला मुख्यमंत्री होने के बावजूद भी महिलाएं सुरक्षित नहीं है यह शर्म की बात है इसके साथ ही उन्होंने पुलिस पर भी कटाक्ष करते हुए कहा कि पुलिस का काम तृणमुल कांग्रेस के चोर नेताओं को सुरक्षा प्रदान करना नहीं बल्कि राज्य में कानून व्यवस्था को दुरुस्त रखना महिलाओं सहित आम जनता की सुरक्षा सुनिश्चित करना है
आज कांग्रेस की तरफ से आसनसोल दक्षिण थाने के प्रभारी को ज्ञापन सौंपने की बात थी लेकिन जब कांग्रेस कार्यकर्ता आसनसोल दक्षिण थाने पहुंचे तो वहां पर ना तो आसनसोल दक्षिण थाने के प्रभारी थे और नहीं सेकंड ऑफिसर थी इसे लेकर कांग्रेस नेता और कार्यकर्ता उत्तेजित हो गए और थाना के प्रवेश पथ पर बैठ गए और जमकर पुलिस विरोधी नारेबाजी करने लगे इसके उपरांत जब अन्य पुलिस कर्मियों द्वारा उन्हें हटाने की कोशिश की गई तो पुलिस कर्मियों के साथ कांग्रेस नेताओं और कार्यकर्ताओं की झड़प हो गई आखिरकार आसनसोल दक्षिण थाना प्रभारी कौशिक कुंडू थाने पहुंचे और कांग्रेस का एक प्रतिनिधिमंडल उनसे मिला और ज्ञापन सौंप

कांग्रेस की तरफ से पूरे राज्य में थाना घेराव कार्यक्रम ,आसनसोल दक्षिण थाने के सम्मुख भी कांग्रेस नेताओं और कार्यकर्ताओं द्वारा बड़े पैमाने पर विरोध प्रदर्शन

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल:– कोलकाता के आरजी कर सहित बंगाल के विभिन्न इलाकों में जिस तरह से महिलाओं पर आए दिन अत्याचार और उनके साथ आपराधिक घटनाएं घट रही हैं उसके खिलाफ आज प्रदेश कांग्रेस की तरफ से पूरे राज्य में थाना घेराव कार्यक्रम का आयोजन किया गया इस कड़ी में आज आसनसोल दक्षिण थाने के सम्मुख भी कांग्रेस नेताओं और कार्यकर्ताओं द्वारा बड़े पैमाने पर विरोध प्रदर्शन किया गया और राज्य सरकार तथा पुलिस विरोधी नारे लगाए गए इस मौके पर आरजी कर सहित विभिन्न मामलों में जिस तरह से पूरे राज्य में महिलाओं पर अत्याचार हो रहे हैं उनके साथ तमाम तरह की आपराधिक घटनाएं घटाई जा रही हैं उसके लिए सीधे तौर पर राज्य सरकार टीएमसी और पुलिस प्रशासन को जिम्मेदार ठहराया गया इस मौके पर यहां कांग्रेस नेता प्रसनजीत पुईतुंडी शाह आलम सहित बड़ी संख्या में कांग्रेस नेता और कार्यकर्ता उपस्थित थे इनका कहना है कि जिस तरह से पूरे राज्य में महिला मुख्यमंत्री होने के बावजूद भी महिलाएं सुरक्षित नहीं है यह शर्म की बात है इसके साथ ही उन्होंने पुलिस पर भी कटाक्ष करते हुए कहा कि पुलिस का काम तृणमुल कांग्रेस के चोर नेताओं को सुरक्षा प्रदान करना नहीं बल्कि राज्य में कानून व्यवस्था को दुरुस्त रखना महिलाओं सहित आम जनता की सुरक्षा सुनिश्चित करना है आज कांग्रेस की तरफ से आसनसोल दक्षिण थाने के प्रभारी को ज्ञापन सौंपने की बात थी लेकिन जब कांग्रेस कार्यकर्ता आसनसोल दक्षिण थाने पहुंचे तो वहां पर ना तो आसनसोल दक्षिण थाने के प्रभारी थे और नहीं सेकंड ऑफिसर थी इसे लेकर कांग्रेस नेता और कार्यकर्ता उत्तेजित हो गए और थाना के प्रवेश पथ पर बैठ गए और जमकर पुलिस विरोधी नारेबाजी करने लगे इसके उपरांत जब अन्य पुलिस कर्मियों द्वारा उन्हें हटाने की कोशिश की गई तो पुलिस कर्मियों के साथ कांग्रेस नेताओं और कार्यकर्ताओं की झड़प हो गई आखिरकार आसनसोल दक्षिण थाना प्रभारी कौशिक कुंडू थाने पहुंचे और कांग्रेस का एक प्रतिनिधिमंडल उनसे मिला और ज्ञापन सौंपा

राज्य में बिगड़ती कानून व्यवस्था और महिलाओं पर बढ़ती हिंसा के खिलाफ कांग्रेस अंडाल ब्लॉक का अंडाल थाना पर प्रदर्शन।

पब्लिक न्यूज मंथन पसवान अंडाल—: राज्य भर में बिगड़ती कानून व्यवस्था और बलात्कार और हत्याओं सहित महिलाओं के उपर लगातार बढ़ती हिंसा के विरोध में प्रदेश कांग्रेस अंडाल ब्लॉक की ओर से अंडाल थाना पर प्रदर्शन कर ज्ञापन दिया गया,
इस प्रदर्शन सभा को संबोधित करते हुए कांग्रेस जिला कमेटी के नेता उत्तम राय ने कहा की ,राज्य भर में कानून व्यवस्था की बिगड़ती हालत और महिलाओं के उपर लगातार हो रही हिंसा के साथ-साथ बलात्कार और हत्याओं की घटना के कारण आज पूरे पश्चिम बंगाल की छवि खराब हो गई है, पूरे राज्य में अराज्य कता का माहौल बनाया गया है, राज्य में बलात्कार जैसी सामाजिक घटनाऐं बढ़ती जा रही है, लेकिन साथ ही पुलिस प्रशासन की मूक दर्शक की भूमिका से आम लोग निराश हैं. ब्लॉक अध्यक्ष रोबिन मिश्रा ने कहा पश्चिम बंगाल प्रदेश कांग्रेस के घोषित कार्यक्रम के अनुसार, इस स्थिति को ठीक करने और विरोध करने के लिए राज्य के सभी पुलिस स्टेशनों के साथ-साथ, अंडाल थाना पर प्रदर्शन कर 7 सुत्री मांगों का मांग पत्र थाना प्रभारी को दिया जायेगा,
इस आंदोलन को सफल बनाने के लिए ईम्तियाज अहमद,प्रकाश ठाकुर, अजय पांडा तथा समस्त कांग्रेस के सदस्य गण उपस्थित रहे.

तिलोत्तमा को न्याय दिलाने की मांग पर सीपीआईएम का अंडाल थाना के समक्षविरोध प्रदर्शन।

पब्लिक न्यूज मंथन पसवान अंडाल—: कलकत्ता आरजी कर मेडिकल कॉलेज की मृत डॉक्टर छात्रा तिलोत्तमा को न्याय दिलाने की मांग को लेकर सीपीआइएम ने शुक्रवार को अंडाल थाना के मुख्य द्वार पर विरोध प्रदर्शन व धरना का आयोजन किया.
आंदोलन सुबह 10 बजे से 4 बजे तक चला. पार्टी के पश्चिम बर्दवान जिला सचिव गौरांग चट्टोपाध्याय, जिला सचिव मंडली सदस्य प्रबीर मंडल, एरिया कमेटी सचिव अंजन बख्शी और अन्य उपस्थित थे. कार्यक्रम में वामपंथी विचारधारा वाले कई सांस्कृतिक संगठनों के कार्यकर्ता भी शामिल हुए, सीपीआईएम नेता प्रबीर मंडल ने कहा कि घटना को 68 दिन बीत चुके हैं लेकिन तिलोत्तमा को अब तक न्याय नहीं मिला है. देशभर के जूनियर डॉक्टरों ने अपना आंदोलन जारी रखा है. वे भूख हड़ताल पर हैं. राज्य के बाहर रहने वाले अप्रवासी भी इस आंदोलन में शामिल हो गये हैं. हम विभिन्न कार्यक्रमों के जरिये आंदोलन भी जारी रखे हुए हैं. उन्होंने कहा कि मुकदमा चलने तक यह आंदोलन जारी रहेगा. उपस्थित अन्य नेताओं ने डॉक्टर की मौत के कारणों की त्वरित जांच कर न्याय की मांग की.