বার্ণপুরের নওজোয়ান ক্লাবের উদ্দ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বৃহস্পতিবার বার্ণপুরের নওজোয়ান ক্লাবের উদ্দ্যোগে রামচন্দ্রপুরের আই হাসপাতালের সহযোগিতায় ক্লাব পরিসরে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। বার্ণপুরের নওজোয়ান ক্লাবের সম্পাদক উৎপল সেন জানান নেতাজী আই হাসপাতালের সহযোগিতায় প্রায়শই তারা গরীব এবং দুঃস্থ পরিবারদের চক্ষু পরীক্ষা করা হয় এখানে চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি ছানি অপারেশন করা হয়। শিবিরে পরীক্ষার মাধ্যমে কারোর চোখের ছানি পাওয়া গেলে নেতাজী আই হাসপাতালের কর্মীরা রুগীদের গাড়ীতে করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ছানি অপারেশন করার পর পুনরায় পৌঁছে দিয়ে যায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

ডেঙ্গু নিয়ে কর্মশালা বার্ণপুরে।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বৃহস্পতিবার সকালে বার্ণপুরের সম্প্রিতী হলে সুডার উদ্দ্যোগে এবং আসানসোল পৌরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে ডেঙ্গু নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আসানসোল পৌরনিগমের মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক চ্যাটার্জী জানান প্রত্যেক বছর আসানসোল পৌরনিগমের স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে মূলত ডেঙ্গী নিয়ে একটা আলোচনা করা হয়। শিল্পঞ্চলে দুটো সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পায় একটা শুস্ক আবহাওয়ায় এবং বর্ষার সময় সেই সময় স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় গিয়ে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা থেকে নিয়ে জল জমা নিয়ে জনগণকে সচেতন করা নিয়ে সুডার পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী বছর থেকে নতুনভাবে প্রচার পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

চেম্বারে স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ / পকসো আইনে গ্রেফতার আসানসোলের চিকিৎসক, ১ দিনের পুলিশ রিমান্ড

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– চিকিৎসার সময় নিজের চেম্বারে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আসানসোলের পরিচিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ রমন রাজ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ নভেম্বর।
স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের লিখিত নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে আসানসোল মহিলা পুলিশ ঐ চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ বিএনএস বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(২) (সি), ৬৪/২/এফ, ৬৫(১) ও পকসো আইনের ৬ নং ধারায় একটি মামলায় করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বছর ১৪ র ঐ স্কুল পড়ুয়াকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ। একই সঙ্গে এদিন আসানসোলের
এদিন পুলিশ ধৃত চিকিৎসক ডাঃ রমন রাজকে আসানসোল আদালতের পকসো কোর্টে পেশ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। পকসো কোর্টের বিচারক ছুটিতে থাকায় এই মামলার শুনানি হয় পকসো কোর্টের দায়িত্বে থাকা এডিজে (২) তানিয়া ঘোষের এজলাসে। সওয়াল-জবাব শেষে আদালতের বিচারক চিকিৎসকের জামিন নাকচ করে একদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নামি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের একটি অভিযোগ উঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। শোরগোল পড়ে যায় চিকিৎসক মহলেও।
জানা গেছে, আসানসোলের বাসিন্দা ঐ নাবালিকা আসানসোলের এসবি গরাই রোডের একটি নামী গালস হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
গত ১৫ নভেম্বর ঐ স্কুল পড়ুয়া আসানসোলের সেনরেল রোডের ওয়েষ্ট আপকার গার্ডেনে ডাঃ রমন রাজের চেম্বারে চিকিৎসা করাতে যায়। তখনই ঐ চিকিৎসক তার সঙ্গে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। পরে সে গোটা ঘটনার কথা বাড়িতে জানায়। স্কুল কতৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। জানা গেছে, পরিবারের পাশাপাশি স্কুলের তরফেও আলাদা আলাদা করে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল আদালতের পকসো কোর্টের সরকারি আইনজীবী বা পিপি মিতা মজুমদার বলেন, চিকিৎসা করার সময় অভিযুক্ত চিকিৎসক ঐ স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে। নির্যাতিতা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এরপর পরিবারের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের তরফে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিলো। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
তবে ধৃত চিকিৎসক তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে এদিন আসানসোল আদালত থেকে বেরোনোর সময় কোন মন্তব্য করতে চাননি।

মাইথনে মর্মান্তিক ঘটনা / বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দামোদরে ডুবে মৃত্যু ধানবাদের তিন স্কুল পড়ুয়ার

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে অন্য বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে মাইথনে দামোদর নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হলো তিন স্কুল পড়ুয়ার। বুধবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে মাইথনের তিন টাওয়ারের কাছে। মৃতরা ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। মৃতদের নাম হলো যুবরাজ সিং (১৬), জায়েদ হোসেন (১৬) ও নায়াফ গোদি (১৫)। তারা ধানবাদ জেলার বাঁশেপুর, বারমেশিয়া ও নয়াবাজারের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।   বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে মৃতদেহগুলি মাইথন ওপি বা আউটপোস্টের পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ধানবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃতরা ধানবাদের গুরু গোবিন্দ সিং হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া।
জানা গেছে, ছয় বন্ধুর সঙ্গে গিয়ে, তার মধ্যে তিন বন্ধু স্নান করতে নেমে মাইথন বাঁধে ডুবে গেছে, এমন খবর ঘটনা ঘটার বেশ কয়েক ঘন্টা পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন। তড়িঘড়ি ধানবাদ থেকে মাইথনে পৌঁছান। তখনই স্থানীয় লোকজনের বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর খবর পেয়ে মাইথন ওপির পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসে।
ঘটনা নিয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের, বাঁশেপুর বারমেশিয়া ও নয়া বাজারের যুবরাজ সিং, জায়েদ হোসেন ও নায়াফ গোদি তাদের অন্য তিন বন্ধু ঈশান আলম, লাকি ও তগদীশ সালামের সঙ্গে বুধবার বিকেল ৪টায় মাইথন বাঁধ দেখতে আসে। এরপর তারা সবাই মিলে মাইথন বাঁধের নিচের তিন টাওয়ারের কাছে স্নান করতে নামে। আচমকা যুবরাজ, জায়েদ ও নায়াফ একে একে ডুবে যায়। তা দেখে বাকি তিনজন ভয় পেয়ে কাউকে না জানিয়ে মাইথন থেকে ধানবাদে ফিরে যায়। তারা ডুবে যাওয়া তিনজনের বাড়িতে ঘটনার ব্যাপারে কিছু না বলে চুপচাপ থেকে যায়। এদিকে, সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তিন স্কুল পড়ুয়া বাড়িতে না পৌঁছানোও পরিবারের লোকজনেরা তাদের খোঁজ শুরু করেন। বাড়ি ফিরে আসা তিন কিশোরের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তিনজন কিছু না বলেনি। পরে তাদেরকে ওপর চাপ দেওয়া হলে এক যুবক জানায়, তারা মাইথন ড্যাম বা বাঁধে বেড়াতে গেছিলো বিকেল চারটে নাগাদ। সেখানে স্নান করতে নেমে তিনজন ডুবে গেছে। তারা ভয়ে কিছু বলেনি। সেই মতো  ধানবাদ থেকে তিন স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা পৌঁছে যান মাইথন বাঁধে।
বুধবার সন্ধ্যার পরে মাইথন ওপির অফিসার ইনচার্জ আকৃষ্ট আমন, প্রশাসনের আধিকারিক সিও বা সার্কেল অফিসার কৃষ্ণ মারান্ডি খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান।  সিআইএসএফ জওয়ান এবং স্থানীয় লোকজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় বুধবার রাতে আর উদ্ধার কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার তল্লাশি শুরু হয়। স্থানীয় লোকজনদের সাহায্য তিন টাওয়ার এলাকা থেকে সকাল ১০টায় যুবরাজ সিংয়ের দেহ জল থেকে বার করা হয়। এর  কিছুক্ষণ পরে জায়েদ হোসেনের দেহ উদ্ধার হয়।  নায়াফ গোদির দেহ দুপুর তিনটে নাগাদ ঐ একই জায়গা থেকে পাওয়া যায়।

সাফাই কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির মীমাংসা ২৮শে হতে পারে।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– কিছুদিন আগে আসানসোল পৌরনিগমের সাফাই কর্মীরা বেতন বৃদ্ধি, পোষাক সহ একাধিক দাবিতে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়রের কাছে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল সেই সময় আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী, মেয়র সদস্য গুরুদাস চ্যাটার্জী, মানস দাসের উপস্থিতিতে তাদের ২১ শে নভেম্বর দেখা করতে বলা হয় সেই নির্দেশ অনুযায়ী সাফাই কর্মীরা বৃহস্পতিবার ২১ শে নভেম্বর পুনরায় তাদের দাবি নিয়ে আসানসোল পৌরনিগমের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান এবং মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করলেন। সাফাই কর্মী অরুন বাউড়ী জানান কিছুদিন আগে তাদের বেতন বৃদ্ধি, ইউনিফর্ম সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর মেয়র বিধান উপাধ্যায় তাদের ২১ তারিখ আসতে বলেছিলেন সেইমতো বৃহস্পতিবার তারা পুনরায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পর মেয়র বিধান উপাধ্যায় তাদের আগামী ২৮ তারিখ সাত থেকে আট জনের প্রতিনিধিকে নিয়ে তার সাথে দেখা করতে বলেছেন। অরুণ বাউড়ী হুমকি দেন তাদের দাবি মানা না হলে তারা অন্যভাবে আন্দোলন গড়ে তুলবেন

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন আসানসোল পৌরনিগমের বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পৌরনিগমের সামনে পৌরনিগমের বিদ্যুৎ দপ্তরের ১০৬ জন ঠীকা কর্মী বেতন বৃদ্ধি এবং পিএফের সংশোধন করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। শ্যামল মন্ডল নামে আসানসোল পৌরনিগমের স্ট্রীট লাইট রক্ষণাবেক্ষণের ঠীকা কর্মী জানান তারা ১৯৯৫ সাল থেকে কাজ করলেও তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয় নি এবং তাদের পিএফের টাকার কারচুপি ঠীক করা হয় নি তাদের দাবি অবিলম্বে তাদের বেতন বৃদ্ধি ও পিএফের টাকা ঠীকমতো দিতে হবে। তাদের দাবি সরকারি হারে তাদের বেতন দিতে হবে।

কুলটিতে আসানসোল পুরনিগমের কমিউনিটি হলে সামাজিক সংগঠনের হেল্থ কেয়ার / বিরোধীতায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের তালা, পরিস্থিতি সামালাতে পুলিশ

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিলো কমিউনিটি হল। সেখানে চলে বেসরকারি সামাজিক সংগঠনের হেল্থ কেয়ার ইউনিট। সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বুধবার ইউনিটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। বিক্ষোভ সামলাতে এলাকায় আসে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মতো পুলিশ কমিউনিটি হলের গেটে তালা লাগায়। যদিও সামাজিক সংগঠনের তরফে সম্পাদক সপ্তম পাঁজা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাল্টা তিনি বলেন, এদিন যখন হেল্থ কেয়ার ইউনিটটি চলছিল, তখন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা সেখানে ঢুকে ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পুলিশের কাছে চাবি আছে।
জানা গেছে, আসানসোলের কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুরের লছিপুর জিটি রোডের পাশে আসানসোল পুরনিগমের তরফে এলাকার সামাজিক কাজের জন্য তৈরী করা হয় একটি কমিউনিটি হল। সেই হলটিতে বর্তমানে টাচ হেল্থ কেয়ার আছে। আসানসোল সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ” টাচ ” র অন্যতম ইউনিট হলো এই হেল্থ কেয়ার। যা, চালাতে সাহায্য করে আসানসোল পুরনিগম।
বুধবার ঐ এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা এই হেল্থ কেয়ারের বিরোধিতায় সরব হন। তারা সেখানে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা মনিকা দেবী ও পূর্ণিমা সিং অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক সংগঠনটি এলাকার বাসিন্দাদেরকে চিকিৎসা দেওয়ার নামে এই কমিউনিটি হলটি নিলেও সেরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেয়না। ঔষুধ বাইরের থেকে কিনতে হয়। এই সামাজিক সংগঠন ঐ হলটি বাড়ি ঘরের মতো ব্যবহার করছে। সেই ঘরে জিনিসপত্র, খাট ও বিছানা সব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি, আমরা চাই কমিউনিটি হলটি রাজ্য সরকারের পক্ষে আসানসোল পুরনিগমের তরফে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যাতে তা এলাকার গরীব দুঃস্থ মানুষদের বাড়ির বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে কাজ লাগে। তাই কমিউনিটি হলটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
যদিও ঐ সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় সেখানে গরীব দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। সেই মতো এদিনও খোলা হয়েছিল। রুগীও দেখা চলছিলো। সেই সময় কিছু স্থানীয় কিছু মানুষ হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। কিছু ঔষুধ নষ্ট করে দেওয়া হয়। তারা জানায়, বাইরে থেকে চিকিৎসক আসেন। তাই স্থানীয় পুর কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলে, তার থাকার জন্য হলের একটি ঘর ব্যবহার করা হচ্ছে।
গোটা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। তারা এলাকার বাসিন্দাদের কমিউনিটি হলের গেটে তালা মারে। পুলিশ জানায়, সমস্যার সমাধানে পুর প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।

আসানসোল গার্লস কলেজের মেয়েরা রক্ত দিতে এগিয়ে এলো।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বুধবার আসানসোল গার্লস কলেজে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়, এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, বার্ণপুর ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনারসের কর্ণধার প্রবীর ধর সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস জানান আসানসোল গার্লস কলেজে মহিলারা রক্তদান শিবিরে রক্তদান করা দেখে তিনি অভিভূত তাছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজে কলেজের মেয়েরা এগিয়ে আসে এবং জেলা হাসপাতালে রক্তের সংকট হলেও কলেজের মেয়েরা এগিয়ে আসে। আশাকরি ৭০ এর বেশি মেয়েরা রক্ত দেবেন।

দোসরের উদ্দ্যোগে তালকুড়ী গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়ের উদ্বোধন।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বুধবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার তালকুড়ী গ্রামে প্রাইমারি বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়িকা অগ্নিমিত্র পাল। অগ্নিমিত্র পাল জানান বর্তমান যুগে শিক্ষা না থাকলে কোন জায়গায় কাজ করা বা উন্নয়ন করা সম্বভব নয় তিনি বিধায়িকা হবার পর থেকে তালকুড়ী গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বুধবার গ্রামের বাচ্চাদের শিক্ষিত করার জন্য একটা স্কুলের শুভ সূচনা করা হয়।বর্তমান বাজারে এক টাকার কোনো মুল্য না থাকলেও এক টাকায় শিক্ষা পাওয়া যায়।শুনে অবাক হলেও এই রকম দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার তালকুড়ি গ্রামে।তালকুড়ি গ্রামে চালু হল এক টাকার পাঠশালা।আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের উদ্যোগে এই পাঠশালা চালু করা হল।
আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার তালকুড়ি গ্রাম এবং কালাঝরিয়া গ্রাম।এই দুটি গ্রামে চালু হল এক টাকার পাঠশালা।এখানে শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের পড়ানো হবে।কেন এই উদ্যোগ? এই প্রসঙ্গে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে পড়াশোনা করে।কিন্ত আর্থিক অবস্থার কারণে তাদের অভিভাবকরা শিশুদের টিউশনে দিতে পারে না।তাই এক টাকার পাঠশালা চালু করা হল।এখানে শিশুদের এবং তাদের অভিভাবকদের পড়াশোনা হবে।এখন তালকুড়ি এবং কালাঝরিয়া গ্রামে এই পাঠশালা চালু করা হল।বর্তমানে এই দুটি পাঠশালায় 50 জন পড়ুয়া রয়েছে।এক টাকার পাঠশালা চালু হওযায় খুশি গ্রামের মানুষ।তারা এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।আগামীদিনে এই এক টাকার পাঠশালা কতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠে সেটাই এখন দেখার।

ধর্মপুর ফ্রী প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ কাউন্সিলারের।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– আসানসোল পৌরনিগমের ৯৮ নং ওয়ার্ডে ধরমপুর ফ্রী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সাথে খারাপ ব্যাবহার, স্কুলের পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুলের সাফাই কাজ সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনলেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও অভিভাবকরা। ৯৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাহেকেশা রিওয়াজ জানান তার ওয়ার্ডে পাঁচটা ফ্রী প্রাইমারি স্কুল থাকলেও চারটা স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলেও ধরমপুর ফ্রী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের দিয়ে স্কুল পরিসর থেকে শুরু করে ক্লাসরুম ও বাথরুম পরিস্কার করিয়ে থাকেন অথচ স্কুলের পরিচ্ছন্নতার জন্য সরকার থেকে ফান্ড পাঠানো হয়। সরকার থেকে প্রাইমারি স্কুল পরিচালনা করার জন্য ফান্ড পাঠানো হয় অন্যান্য চারটা স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলেও এই স্কুলের বিরুদ্ধে স্কুল পরিদর্শক থেকে শুরু করে সবার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ এখানকার কাউন্সিলর এলাকাবাসীদের কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছেন।