কুলটিতে রাজ্য পুলিশের এসটিএফের অভিযান / বিহার থেকে আসা ১০ টি পাইপগান ও ৫০ রাউন্ডের বেশি কার্তুজ উদ্ধার, ধৃত মুর্শিদাবাদের দুই

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– পাশের রাজ্য বিহার থেকে আসা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করলো রাজ্যে পুলিশের এসটিএফ বা স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। শনিবার সন্ধ্যার পরে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার ১৯ নং জাতীয় সড়কে চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে পুরনো কল্যানেশ্বরী মন্দিরের কাছে এসটিএফের একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি অভিযান চালায়। তখনই সন্দেহজনক একটি চারচাকা গাড়ি থেকে পাওয়া যায় ১০ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ রাউন্ডেরও বেশী তাজা কার্তুজ। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। গ্রেফতার হওয়া দুজন মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা। তার মধ্যে একজনের নাম মিনারুল ইসলাম ও অন্যজনের নাম শফিকুল মন্ডল। সেই সঙ্গে চারচাকা গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার সকালে কুলটি থানার পুলিশের তরফে ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আসানসোল আদালতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এসটিএফে সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য পুলিশের এসটিএফের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছে শনিবার সকালের দিকে গোপন সূত্রে খবর আসে যে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাংলায় ঢুকছে। সেই মতো এদিন সন্ধ্যের পরে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার সীমান্তবর্তীর জাতীয় সড়কে এসটিএফের আধিকারিকরা গোপনে নজরদারি শুরু করেন। তখন একটি চারচাকা গাড়ি আসছিলো। তাতে চালক সহ দুজন ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিকে আটকানো হয়। এরপর তল্লাশি করে গাড়ি থেকে মেলে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। এরপর সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়।
আরো জানা গেছে, এই অভিযান নিয়ে শনিবার রাতে রাতেই কুলটি থানায় এসটিএফের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা রবিবার বলেন, শনিবার রাজ্য পুলিশের এসটিএফের একটি অভিযান কুলটি থানা এলাকায় হয়েছে। তাদের তরফে রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন তাদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, সম্প্রতি ঘটা একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ভিন রাজ্য থেকে অপরাধী ও অস্ত্র বাংলায় ঢোকা নিয়ে সরব হন। দুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা তথা রাজ্য পুলিশকে আরো সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন। তারপর গোটা রাজ্য জুড়ে কোমর বেঁধে নামে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবারই পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বিধান সভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই অস্ত্র আনার পেছনে এই ভোটের ফল প্রকাশের কোন সম্পর্ক আছে তাও খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। আরো জানা গেছে, ধৃতরা আন্তঃরাজ্য অস্ত্র কারবারি চক্রের চাঁই। তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে এসটিএফ জানার চেষ্টা করবে, এই চক্রের পেছনে আর কে বা কারা আছে।

রানীগঞ্জের বড়দই এলাকায় গজিয়ে ওঠা প্রায় আটটি অবৈধ কয়লা খনিমুখে কয়লা তোলার আগেই সেই সকল কয়লা খনির মুখগুলিকে ভরাট করে দিতে তৎপর হলো ADPC রানীগঞ্জ থানার

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী রানীগঞ্জ :– রানীগঞ্জের বড়দই এলাকায় গজিয়ে ওঠা প্রায় আটটি অবৈধ কয়লা খনিমুখে কয়লা তোলার আগেই সেই সকল কয়লা খনির মুখগুলিকে ভরাট করে দিতে তৎপর হলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ। কয়েকদিন আগেই বড়দই এলাকার মানুষজনদের কাছে এলাকায় অবৈধ কয়লা খনি গজিয়ে উঠছে, এই অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ এবার সেই সকল কয়লা খনি মুখ গুলিকে ভরাট করে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করল রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয় এলাকার মানুষ জানান এরূপভাবে অবৈধ কয়লা খাদান গজিয়ে উঠেছে বলেই দাবি করেছিল, সেই সব বিষয়গুলি পুলিশ প্রশাসন লক্ষ্য করে এবার কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করল আজ সকাল থেকেই এলাকায় একটির পর একটি কয়লা খাদান ভরাট করতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। এ মুহূর্তে চলছে জোর কদমে খাদান ভরাটের কাজ। এ মুহূর্তে খাদান ভরাট করতে হাজির হয়েছেন রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আইসি করতার সিং সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর কুন্তল হালদার। তারা এদিন ১টির পর একটি কয়লা খাদান ভরাট করতে শুরু করেছেন। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে কোন অবৈধ কাজ বরদাস্ত করা হবে না। কোনরূপ কোন অভিযোগ পেলেই কড়া হাতে মোকাবেলা করা হবে। এদিন এই অবৈধ খাদান গুলি ভরাট করতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর হলেও ই সি এল কর্তৃপক্ষের কোথাও কোন দেখা মেলেনি।

এবার আসানসোলে গ্রেফতার হলেন ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– এবার আসানসোলে গ্রেফতার হলেন ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। রবিবার সকালে তাকে আসানসোল আদালতে পুলিশের তরফে পেশ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের লাগাতার তৎপরতায় আসানসোল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শোরগোল পড়েছে । জানা গেছে, বৈধর পাশাপাশি একাধিক অবৈধ ব্যবসায় জড়িত এই দীনেশ গড়াই। ঠিক কোন অভিযোগ ও মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হলো, তা অবশ্য পুলিশ বিস্তারিত ভাবে জানায়নি ।
দীনেশ গড়াই জানা গেছে, আসানসোলের উত্তর থানা এলাকার বাসিন্দা এই দীনেশ গড়াইয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জমি থেকে শুরু করে অন্যান্য ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তিনি অনেক বড় মাপের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠও বটে।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর, দুর্গাপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা, তারপরে পুকুর ভরাটের অভিযোগেআসানসোলে উইলসন গ্রেফতার হওয়ার পরে, এবার দীনেশ গড়াই। স্বাভাবিক ভাবেই এখন প্রশ্ন উঠছে, এবার কার পালা? কারে এবার গ্রেফতার করার জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে পুলিশ।

কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির কারণে সারা দেশের মত রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত কোলিয়ারি বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির কারণে সারা দেশের মত রানিগঞ্জ কয়লাঞ্চলে একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত কোলিয়ারি বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই এলাকার চিনাকুড়ি( ১,২,৩),পারবেলিয়া,দুবেশ্বরীর কোলিয়ারির বেসরকারিকরণের আয়োজন সম্পূর্ণ। শ্রমিক বিরোধী, কর্মনাশা এই নীতির বিরুদ্ধে আজ চিনাকুড়ি  থেকে রাধানগর,ডিসেরগড়,ডিসেরগড় হয়ে সড়বড়ি মোড় পর্যন্ত প্রচার সংগঠিত করল বেসরকারিকরণ বিরোধী গণমঞ্চ। উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্তা পাল,দুগাই মুর্মু,উপেন্দ্র রাওয়াত,মানিক সমাদ্দার, স্বপন দাস,ইন্দ্রজিৎ মুখার্জি,কল্যাণ মৌলিক সহ মঞ্চের অনেক সদস্য। মঞ্চের পক্ষ থেকে বেসরারিকরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই  গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

बीजेपी की तरफ से बर्नपुर के मदर टेरेसा रोड पर रोड जाम कर विरोध प्रदर्शन किया गया।

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल :–बीजेपी की तरफ से बर्नपुर के मदर टेरेसा रोड पर रोड जाम कर विरोध प्रदर्शन किया गया। इनका आरोप है कि इस रोड की हालत लंबे समय से खराब है लेकिन ना तो स्थानीय पार्षद ना बोरो चेयरमैन और ना ही नगर निगम का इस तरफ कोई ध्यान है। इनका कहना है कि इस खस्ताहाल रोड की वजह से आए दिन हादसे हो रहे हैं बच्चे महिलाएं और बुजुर्ग गिर रहे हैं।  हल्की बारिश में ही यहां जल जमाव हो जाता है। इनका आरोप है कि जब भी इस रोड के मरम्मत की बात कही जाती है तो बोरो चेयरमैन शिवानंद बाउरी सिर्फ आश्वासन देते हैं लेकिन काम नही होता।   बीजेपी का कहना है कि आज जो रोड जाम किया गया उससे लोगों को थोड़ी परेशानी जरूर हुई लेकिन इस समस्या के स्थाई समाधान के लिए यह किया गया। वहीं बोरो चेयरमैन शिवानंद बाउरी ने कहा कि निगम के मेयर विधान उपाध्याय आसनसोल नगर निगम इलाके के हर वार्ड में स्थाई विकास के लिए प्रतिबद्ध हैं रही बात मदर टेरेसा रोड के मरम्मत की तो पूरे शहर के साथ साथ इस क्षेत्र में भी बिजली विभाग का काम चल रहा है इस वजह से अभी सड़क को मरम्मत नहीं की जा रही है। उन्होंने आश्वासन दिया कि बहुत जल्द रोड की मरम्मत की जाएगी।  उन्होंने दावा किया कि जनता भाजपा के इस प्रदर्शन के साथ नहीं है यह बीजेपी की तरफ से लोगों को बहकाने के लिए किया जा रहा है। भाजपा के पास कोई मुद्दा नहीं है इसलिए भाजपा इस तरह के प्रदर्शन कर रही है।

महाराष्ट्र और झारखंड के विधानसभा चुनाव के साथ-साथ आज पश्चिम बंगाल में हुए 6 केंद्रों के उपचुनाव के भी नतीजे आ गए।

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल:– महाराष्ट्र और झारखंड के विधानसभा चुनाव के साथ-साथ आज पश्चिम बंगाल में हुए 6 केंद्रों के उपचुनाव के भी नतीजे आ गए। उम्मीद के मुताबिक सभी छह केंद्रों पर पश्चिम बंगाल में सत्ताधारी दल  टीएमसी को भारी जीत मिली इसे लेकर टीएमसी कार्यकर्ताओं में आसनसोल में भी खुशी की लहर दौड़ गई। टीएमसी कार्यकर्ताओं ने आसनसोल बस स्टैंड में पार्टी की इस जीत का जश्न मनाया उन्होंने जमकर पटाखे फोड़ और एक दूसरे को जीत की बधाई दी टीएमसी कार्यकर्ताओं का जोश देखते ही बनता था उन्होंने ममता बनर्जी और अभिषेक बैनर्जी के जयकारे लगाए और यह विश्वास जताया कि आने वाले 2026 के विधानसभा चुनाव में इस राज्य से भाजपा माकपा और कांग्रेस सभी का सुपड़ा साफ हो जाएगा

हीरापुर थाना अंतर्गत बर्नपुर के धरमपुर में अपने ससुराल में रहने वाले धमु बाउरी का शव बरामद होने से सनसनी फैल गई।

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल :–हीरापुर थाना अंतर्गत बर्नपुर के धरमपुर में अपने ससुराल में रहने वाले धमु बाउरी का शव बरामद होने से सनसनी फैल गई। घटना के बारे में मृतक के भाई विकास बाउरी ने कहा कि उनके भाई पिछले दो सालों से धरमपुर में अपने ससुराल में रहते आए हैं। उनका अपना घर पुरुलिया जिले के सेनाड़ा गांव में है लेकिन वह अपनी पत्नी और संतान के साथ अपने ससुराल में ही रहते थे। आज धरमपुर में रहने वाले उनके एक रिश्तेदार ने फोन किया कि उनके भाई की मौत हो गई है। खबर सुनकर वह आए तो देखा कि उनके भाई की मौत हो चुकी है पुलिस ने लाश को अपने कब्जे में ले लिया है और शव का पोस्ट मार्टम किया जाएगा। विकास ने बताया कि उनको किसी पे शक नहीं है लेकिन उनको लग रहा है कि उनके भाई की हत्या की गई है। वहीं मृतक की भाभी ने बताया कि उनका घर पुरुलिया के सेनाड़ा में है लेकिन उनके देवर अपने ससुराल में रहते थे। ऐसे तो कोई अशांति नहीं थी लेकिन उनके देवर जब भी सेनाड़ा जाते थे तो कहते थे वह अपने घर आना चाहते हैं और वह अपने ससुराल में नहीं रहना चाहते। उन्होंने बताया कि पुलिस उनके देवर की पत्नी और पत्नी की मां को पूछताछ के लिए लेकर आई है

বার্নপুরে চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ / শ্বশুরবাড়ির অদূরে রেললাইনের পাশ থেকে “ঘরজামাই”র রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ পরিবারের

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– শ্বশুরবাড়ির অদূরে রেল ব্রিজের কাছে রেললাইনের পাশ থেকে ” ঘরজামাই”র রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হলো। শনিবার সকালে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরের হারমাডি রেলব্রিজ সামনে রেললাইনের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত যুবকের মাথা সহ গোটা শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত যুবকের নাম ধামু ওরফে ধর্মদাস বাউরি (২৯)। তার বাড়ি পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার সানরা গ্রামে। মৃত যুবকের দাদা গোপাল বাউরি সহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্মদাস বাউরিকে খুন করা হয়েছে। তবে, কারা এই কাজ করতে পারে, তা নিয়ে তারা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। হিরাপুর থানার পুলিশ মৃত যুবকের স্ত্রী ও শাশুড়িকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশের তরফে আপাততঃ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়ার যুবক ধামু ওরফে ধর্মদাস বাউরি গত দুবছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরে রাঙ্গাপাড়ার ধরমপুরে শ্বশুরবাড়িতে ” ঘরজামাই ” হয়ে থাকতো। মাঝেমধ্যে সে পুরুলিয়ায় নিজের বাড়িতে যেতো। কালি পুজোর সে শেষবার পুরুলিয়ার বাড়িতে গেছিলো। শনিবার সকালে ধরমপুরের অদূরে হারমাডি রেল ব্রিজের কাছে রেললাইনের পাশে ঐ যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মৃত যুবকের দাদা গোপাল বাউরি সহ পরিবারের সদস্যরা আসেন। হিরাপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। পরে তদন্তে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। তারা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া জায়গা ও তার আশপাশ ঘুরে দেখেন।
এই প্রসঙ্গে মৃত যুবকের দাদা ও পরিবারের সদস্যরা বলেন, শ্বশুরবাড়িতে ধামুর পারিবারিক কারণে অশান্তি হয়েছিলো। তারপর সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এদিন সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় রেললাইনের পাশ থেকে। তাদের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে।
গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃত যুবকের স্ত্রী ও শাশুড়িকে জেরা করা হচ্ছে। মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মৃত যুবকের শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে ঠিক কি কারনে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হলে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাস্তা মেরামতের দাবিতে বিজেপির রাস্তা অবরোধ।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– দীর্ঘদিন ধরে হীরাপুর থানার বার্ণপুরের মাদার টেরেসা রোডের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে ইতিপূর্বে বিজেপির তরফ থেকে রাস্তা অবরোধ করে আসানসোল পৌরনিগমের কাছে রাস্তা মেরামত করার আবেদন করা হলেও কোন কাজ না হওয়াতে শণিবার সকালে পুনরায় রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপির কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ করেন বর্ষার সময় জল জমে গিয়ে এলাকাবাসীদের ঘরে জল ঢুকে গেছিল সেই সময় আসানসোল পৌরনিগমের দপ্তরে এবং বরো চেয়ারম্যানের কাছে রাস্তা মেরামত করার আবেদন করা হলেও দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করা হয় নি তাই তারা আজ রাস্তা অবরোধ করে জনগণের যাতায়াতের অসুবিধা হলেও এলাকার উনয়নের স্থায়ী সমাধানের জন্য তারা রাস্তা অবরোধ করেছে। খবর পেয়ে বরো চেয়ারম্যান শিবানন্দ বাউড়ী ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানান আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় পৌরনিগমের সমস্ত রাস্তা মেরামত করার প্রতিশোধ দিয়েছেন, আসানসোলে সব ওয়ার্ড বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজ চলছে খুব শীঘ্রই সব ওয়ার্ডের কাজ শুরু হবে। এলাকার বাসিন্দাদের বিজেপি মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে

মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারীর পরে আসানসোলে পুরনিগমের পুকুর ভরাটের অভিযোগে গ্রেফতার জমি মাফিয়া ৭ দিনের রিমান্ড

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারীর পরে আবারও বড় এ্যাকশানে নামলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আসানসোলের উত্তর থানার পলাশডিহিতে পুকুর ভরাটের অভিযোগে এক জমি ব্যবসায়ী তথা প্রোমোটারকে গ্রেফতার করলো আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম এথেসাম আজমি ওরফে উইলসন। ধৃতর বিরুদ্ধে পুলিশ ১৯৮৪ সালের মৎস্য আইনের ১৭এ(১) নং ধারায় মামলা করা হয়েছে। আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় পুকুর ভরাটের জঅভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা এই ব্যক্তিকে শনিবার আসানসোল আদালতে হাজির করা হলে তদন্তের জন্য ধৃতকে ১৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য পুলিশ আবেদন করলে সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে আসানসোল পুরনিগমের কাছে অভিযোগ আসে যে, আসানসোলের পলাশডিহি এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। সেই মতো আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ সেই অভিযোগ নিজেদের মতো করে তদন্ত করার পাশাপাশি আসানসোলের এসডিএল এন্ড এলআরও অফিসে বিস্তারিত জানতে চায়। সেইমতো ঐ পুকুর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সহ একটি রিপোর্ট এসডিএলএন্ডএলআরও অফিস আসানসোল পুরনিগমকে পাঠায়। তাতে বলা হয়, আসানসোল পুরনিগমে করা অভিযোগের সত্যতা আছে। ঐ পুকুরের মালিক হিসেবে এসডিএলএন্ডএলআরও অফিস থেকে মালিক হিসেবে শ্যামল কৃষ্ণ রায় ও তাপস নন্দীর নাম বলা হয়। সেইমতো, সাড়ে তিন মাস আগে গত ১৪ আগষ্ট আসানসোল পুরনিগমের ৫ নং বোরো অফিসের এ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রজিৎ কোনার দুই মালিকের নাম পুকুর ভরাটের অভিযোগ আসানসোল উত্তর থানায় করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই মালিকের নামে এফআইআর করে তদন্তে নামে। তারপর শুক্রবার সেই পুকুর ভরাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জমি ব্যবসায়ী তথা প্রোমোটিংয়ের যুক্ত এথেসাম আজমি ওরফে উইলসন।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, তদন্তে দেখা গেছে অনেক আগেই পলাশডিহির বাসিন্দা পুকুরের দুই মালিক তাদের পুকুর বিক্রি করে দিয়েছেন। কপরে সেই পুকুর ভরাট করা হয়েছে। তাই আসানসোল কপুরনিগমের অভিযোগের ভিত্তিতে মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করে গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী ধৃত উইলসনের সঙ্গে একটি বড় রাজনৈতিক দলের বড় নেতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে এবং আসানসোল উত্তর থানা এলাকায় তার বিভিন্ন আবাসিক প্রকল্প করা হয়েছে। বিষয়টি শুধু মাত্র পুকুর ভরাট, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো গল্প আছে তা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে, লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার এতদিন পরে পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিতেই কি পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে উঠলো।