অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করার পক্ষে জোর সওয়াল / বিজেপি প্রথমে আওয়াজ তুলেছে , দাবি রাজ্য ট্রেড সেলের কো-কনভেনার সুব্রত ঘাঁটির

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– বর্ধমানের দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি আজাদ লোকসভায় অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার সমর্থনে হয়েছিলেন। সংসদে তিনি বলেন যে অন্ডাল বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হলে এই এলাকার উন্নয়ন গতি পাবে। আরো বেশী করে মানুষ এই বিমানবন্দরকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন। এরপরে, দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম বনিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির  সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় কীর্তি আজাদের সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্ডাল বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করার সমর্থনে অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। তিনি বলেন, এই দাবি তুলছে ফসবেকিও।
তবে এ বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির বেঙ্গল বা রাজ্য ট্রেড সেলের কো-কনভেনার বা সহ-আহ্বায়ক সুব্রত ঘাঁটি ওরফে মিঠু ঘাঁটি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দমদম বিমানবন্দর থেকে আরো বেশি করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বা উড়ান চালানোর জন্য দিল্লিতে কথা বলবেন বলে জানান। এরপরে, তিনি নিজেই এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে কথা বলেন। তাকে কেবল কলকাতা বা দমদম থেকে নয়, অন্ডাল বিমানবন্দর থেকেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ করতে বলেন। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন যে তিনি এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছেও তুলবেন। সুব্রতবাবু আরো বলেন, অন্ডাল বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক স্তরে হলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।

চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের / আসানসোলের একাধিক সমস্যা ও দাবি নিয়ে দিলেন চিঠি

দিল্লিতে গিয়ে শনিবার চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– সাক্ষাৎ করলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি এই চার মন্ত্রীকে আলাদা করে চিঠি বা দাবিপত্র দিয়েছেন। যাতে বিজেপি বিধায়ক আসানসোল তথা শিল্পাঞ্চলের একাধিক সমস্যার কথা যেমন তুলে ধরেছেন, তেমন কিছু দাবির কথা বলেছেন। যার মধ্যে রয়েছে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের পরিবেশ দূষণ। এছাড়াও আসানসোল শিল্পাঞ্চলে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের ফাঁকা জমি রয়েছে, তাতে মেডিকেল কলেজ ও সহায়ক কোন শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা। বার্নপুরে ইস্কো কারখানা বা সেইল আইএসপির আবাসন বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ করা, সিএসআরকে আরো করে ব্যবহার করা। বার্নপুরে দামোদর নদী উপর যে রেল ব্রিজ আছে, তার পাশে রোড ব্রিজ তৈরি করার কথা বিজেপি বিধায়ক তার দাবিতে বলেছেন।
এদিন অগ্নিমিত্রা পাল যে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তারা হলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেপি নাড্ডা, রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ইস্পাত মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী ও পরিবেশ বন, জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। এছাড়াও বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সেইলের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও দেখা করেন, বেশ কিছু সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন।
পরে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এদিন আমি দিল্লিতে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তাদেরকে আমি আসানসোলের বেশ কিছু সমস্যার কথা বলেছি। পাশাপাশি বেশ কিছু দাবি রেখেছি। কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দামোদর নদীতে যে রেল ব্রিজ আছে, তার সঙ্গে একটা রোড ব্রিজ করার কথা বলেছি। এতে দুই জেলার মানুষের যাতায়াতে অনেক সুবিধা হবে। করোনার সময় চিত্তরঞ্জন ও আদ্রা থেকে বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। পরে সেগুলো আর চালু করা হয়নি। ঐসব ট্রেন যাতে আবারও চালু করার জন্য বলেছি। পরিবেশ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রানিগঞ্জের মঙ্গলপুর শিল্প তালুকে সাতটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে গোটা এলাকায় দূষণ ছড়ানোর কথা বলেছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে আসানসোলে কাল্লা হাসপাতাল, ইএসআই হাসপাতাল বা অন্য যেসব কেন্দ্রীয় সরকারের ফাঁকা জমি রয়েছে, সেখানে মেডিকেল কলেজ ও সহায়ক শিল্প তৈরির কথা বলেছি। ইস্পাত মন্ত্রীর কাছে বার্নপুর ইস্কো কারখানার আবাসন দখল করে রাজনৈতিক দলের যে পার্টি অফিস আছে, তা তোলার দরবার করেছি। তিনি আরো বলেন, আমি কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে সবকিছু সরজমিনে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছি। বিজেপি বিধায়কের দাবি, চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আমার কথা গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন। তারা প্রয়োজন মতো পদক্ষেপ নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।

চিকিৎসা পরিসেবা ও ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় স্তরের তিনটি প্রকল্পে সেরার শিরোপা / আসানসোল জেলা হাসপাতালে কর্মী ও বিভিন্ন দপ্তরকে সম্বর্ধনা

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল চিকিৎসা পরিসেবা দেওয়া ও ব্যবস্থাপনায় ( কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা গুণগত মান) সার্বিক বিচারে কেন্দ্রীয় স্তরের তিনটি প্রকল্পে আসানসোল জেলা ও মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সেরার শিরোপা পেয়েছে। যারা এই শিরোপা ছিনিয়ে নিতে কাজ করেছেন তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের উপরের হলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর উদ্যোক্তা স্বাস্থ্য দপ্তর ও আসানসোল জেলা হাসপাতাল। জানা গেছে, এই তিনটি ক্ষেত্রে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূচক হিসেবে ৯৩, ৯২ ও ৮৮ পেয়েছে।
সম্প্রতি আসানসোল জেলা হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা ” এনকোয়াস, লক্ষ্য ও মুসকান ” নামে তিনটি প্রকল্পে শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে । এই সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় স্তর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য দেওয়া হয়। এই শংসাপত্রটি আসানসোল জেলা এবং মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা মৌলিক সুবিধা সহ বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে দেওয়া হয়।
এদিন জেলা হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিভাগ, আসানসোল দক্ষিণ থানা, পিডব্লিউডি বা পূর্ত দপ্তরের সিভিল ও ইলেকট্রিক সহ ২৩ টি বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীদেরও সম্মান জানানো হয়।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতালের এই কৃতিত্ব শুধু আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নয়, এতে হাসপাতালের স্থায়ী ও অস্থায়ী সমস্ত কর্মীদের অবদান রয়েছে। এ কারণেই এদিন তাদের সম্মানিত করা হলো। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, এই শিরোপা অর্জনে বিদ্যুৎ বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন সহ অন্যান্য দপ্তরেরও সমান অংশগ্রহণ রয়েছে। তারজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে, এই অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস বলেন, আসানসোল জেলা হাসপাতালের তিনটি ক্ষেত্রে শিরোপা পাওয়া অবশ্যই একটি বড় প্রাপ্তি। এই আসানসোল জেলা হাসপাতালে যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা প্রশংসনীয়। পাশাপাশি হাসপাতালের মৌলিক সুযোগ-সুবিধাও উন্নত হয়েছে বলে জানান তিনি। এজন্য হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার, এ্যাসিসটেন্ট সুপার চিকিৎসক, নার্স সহ স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল কর্মচারীদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেছিলেন যে এখন আসানসোল জেলা হাসপাতালেও আইপিএইচসি শংসাপত্রের জন্য চেষ্টা করতে হবে। ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস এবং ডাঃ ইউনুস বলেন, এই সার্টিফিকেট তিন বছরের জন্য পাওয়া গেছে। তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সাথে যুক্ত প্রত্যেককে এই মান বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে। তবেই এই সার্টিফিকেটের সঠিক মূল্যায়ন হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়, চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়, সহকারী সুপার সৃজিত মিত্র, ভাস্কর হাজরা, কোয়ালিটি কনসালটেন্ট সুরভী বন্দোপাধ্যায়।

সর্ব্বসাধারনের ব্যাবহার করা পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– শুক্রবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ থানার কুমারপুর গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা এলাকার একমাত্র পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে এইচ এল জি মোড় থেকে জেলা শাসক দপ্তর পর্যন্ত পদযাত্রা করে স্মারকলিপি জমা দিলেন। গোবর্ধন মন্ডল নামে এক গ্রামবাসী জানান কুমারপুর গ্রামের সর্বসাধারণের ব্যাবহার করা পুকুরের কিছু অংশ কানাইলাল শর্মা কিনে নেন এবং পুকুরের বাকি ৭৫ শতাংশ শেয়ারে গ্রামবাসীরা ব্যাবহার করে বছর খানেক আগে কানাইলাল শর্মা তার অংশে মাটি ফেলে ভর্তি করতে থাকে। কিছুদিন আগে জেসিবি এনে নির্মীয়মান আবাসনের মাটি দিয়ে পুকুর ভরাট করতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়াতে তারা কাজ বন্ধ করে দেয় আজ গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে জেলা শাসকের কাছে এসেছেন গ্রামের একমাত্র পুকুর ভরাট আটকাতে প্রশাসনের সাহায্যের জন্য।

বার্নপুর ইস্কো ক্রিকেট দল জিতলো সেল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :–বার্নপুর ইস্কো বা আইএসপি স্টিল প্ল্যান্টের ক্রিকেট দল গত ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর বোকারোতে অনুষ্ঠিত সেইল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-২৫ জিতলো ।
সেইল ইউনিটের আটটি দল রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট , ভিলাই, বোকারো, দুর্গাপুর, ভিআইএসএল ভদ্রাবতী, সেইল কর্পোরেট অফিস-নয়াদিল্লি ও এসআরইউ (সেইল রিফ্র্যাক্টরি ইউনিট) এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছিল।
ফাইনাল খেলায় আইএসপি দল রাউরকেল্লা স্টিল প্ল্যান্ট দলকে ৯ রানে পরাজিত করে এই চ্যাম্পিয়ানশিপ জিতে নেয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বার্নপুর সেইল আইএসপি দল ১৯৫ ওভারে ১০ উইকেটে ১৪২ রান করে। জবাবে পরে ব্যাট করতে নেমে রাউরকেল্লা ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান করে ফাইনাল খেলা হেরে যায়।
ইস্কোর রাজেশ প্যাটেল ফাইনাল খেলায় ” ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ” হন।
এই চ্যাম্পিয়ানশিপে প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় আইএসপি দল বোকারো দলকে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলায় রাউরকেলা দল যথাক্রমে ভিলাই দলকে চার উইকেটে পরাজিত করেছিল।
ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের রাজেশ প্যাটেল পুরো টুর্নামেন্টে চমৎকার পারফরম্যান্সের জন্য ” ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট”  নির্বাচিত হন।

জামুড়িয়ায় কোলিয়ারি সাইডিংয়ে ট্রাক ঢুকিয়ে কয়লা চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য / রানিগঞ্জের তৃনমুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ ৮ জনের নামে থানায় অভিযোগ ইসিএলের, গ্রেফতার চালক

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :– পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়ায় ইসিএলের জেকে নগর কোলিয়ারির (আর) এমএস সেন্ট্রাল সাইডিংয়ের ভেতরে জোর করে ট্রাক ঢুকিয়ে পেলোডার দিয়ে প্রায় ৩০ টন কয়লা চুরির ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনায় ইসিএলের জেকে নগর গ্রুপ অফ মাইন্সের এজেন্ট মনোজ কুমার রবিবার রাতে জামুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগে যে ৮ জনের নাম বলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন রানিগঞ্জ ব্লকের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমুল কংগ্রেসের সদস্য কালিচরণ বাউরি। অভিযোগে যে ট্রাকটি সাইডিংয়ে ঢুকেছিলো, তার নম্বরও দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কয়লা চুরির ঘটনায় শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যর নাম জড়ানোয় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চরম অস্বস্তিতে শাসক দলের নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় জামুরিয়া থানার পুলিশ চোরাই কয়লা সহ ট্রাকটি আটক করেছে। গ্রেফতার করা হয় ট্রাক চালক অশোক কুমারকে। বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা ধৃত চালককে পুলিশ সোমবার আসানসোল আদালতে পাঠায়। চালককে এই ঘটনায় আরো জিজ্ঞাসাবাদর জন্য পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তার জামিন নাকচ করে আসানসোলের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন ।
জামুড়িয়া থানায় ইসিএলের তরফে করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে জেকে নগর কোলিয়ারির (আর) এমএস সেন্ট্রাল সাইডিংয়ে গত ৩০ নভেম্বর রাতে দ্বিতীয় শিফটের সময়। তাতে আরো বলা হয়েছে, ঐ সাইডিংয়ে কর্মরত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএস দুসাদের অভিযোগ অনুসারে, সাইডিংয়ে একটি ট্রাক রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে ঢুকছিলো। সেই সময় কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী অরূপ রাউত ওয়েব্রিজের গেটে সেটিকে থামিয়েছিলেন। তখন কালীচরণ বাউরির নেতৃত্বে আরো একজন জোর করে ট্রাকটিকে সেখানে ঢোকায় । তদন্তে জানা যায় যে একটি পেলোডার ব্যবহার করে অবৈধভাবে কয়লা লোড করা হয়েছিল ঐ ট্রাকে। তাদের আটকানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও তারা কিছুক্ষণের মধ্যে কয়লা লোড করে ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। ট্রাকটিকে পরে একটি কাছাকাছি এলাকায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ তা আটক করে। এরপরে রাতে ইসিএলের যে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও পেলোডারের দায়িত্বে যারা সেখানে সেই সময় ছিলেন তারা সহ মোট আটজনের নাম দিয়ে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ জানিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, ইসিএলের করা অভিযোগে এই ৮ জনের মধ্যে রানিগঞ্জের জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমুল কংগ্রেসের সদস্য কালিচরণ বাউড়ির নামও আছে।
এই প্রসঙ্গে, সোমবার তৃণমূলের রানিগঞ্জের ব্লক সভাপতি দেবনারায়ন দাস বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সমস্ত ঘটনায় দলের উচ্চ মহল নজর রাখছে। আমি মনে করি আইন আইনের পথেই চলবে। কালীচরণ দোষী সাব্যস্ত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে দল কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের পাশে দল কখনো দাঁড়াবে না।
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পুলিশ প্রায় ৩০ টন কয়লা সহ কয়লার ট্রাকটি আটক করেছে। একটি এফআইআর করে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ঐ চালককে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিলো । আদালত তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যেই ইসিএলের তরফে ঐ ট্রাকের নম্বর দিয়ে জামুড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। সেই অভিযোগে কয়েকজনের নাম আছে। যারা সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে ইসিএলের তরফে দাবি করা হয়েছে। প্রয়োজনে এদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।

আসানসোলে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে আন্তঃরাজ্য জালিয়াতি চক্রের হদিশ / মুল অভিযুক্তের সঙ্গে ধৃত অটো চালক / দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রচুর নথি সহ নগদ টাকা ও সোনার গহনা

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– রেলে চাকরি দেওয়ার নামে বড়সড় আন্তঃরাজ্য জালিয়াতি চক্রের হদিশ দুদিন আগেই পাওয়া গেছিলো শহর আসানসোলে। সেই চক্রের মুল চাঁই বা মাস্টার মাইন্ডকে আগেই গ্রেফতার করেছিলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। রবিবার রাতে আসানসোল শহরের সেনরেল রোডের সৃষ্টিনগরে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করলো এই চক্রের আরো এক সদস্য অটো চালককে। ধৃতর নাম অবধেশ যাদব। তার বাড়ি আসানসোল দক্ষিণ থানার দূর্গামন্দির এলাকায়। সোমবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে পুলিশ তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে ৬০ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস বলেন, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা জনৈক লক্ষণ ঘোষাল এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় শনিবার রাতে মুল অভিযুক্ত হিসাবে একজনকে গ্রেফতার করেছিলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতর নাম হরিন্দ্রর সিং। তার বাড়ি বিহারের আড়া জেলায়। রবিবার ধৃতকে ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসানসোল আদালতে পাঠিয়েছিলো আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতর জামিন নাকচ করে ১২ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। ধৃতকে জেরা করে পুলিশের হাতে এই চাকরি সংক্রান্ত বেশ কিছু সূত্র আসে। তার ভিত্তিতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ আসানসোল উত্তর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোলের সেনরেল রোডে আসানসোল সৃষ্টিনগরের ” সংহতি ” আবাসন এলাকায় হানা দেয়। তখন সেখান থেকে একটি অটো রিক্সা বেরোচ্ছিলো। সেটিকে পুলিশ আটকায়। তল্লাশিতে সেই অটো থেকে এই অভিযোগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি পাওয়া যায়। অটো সহ সেইসব নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেফতার করা হয় চালককে। পরে ঐ আবাসন এলাকায় দুটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে এই চাকরি দেওয়া সংক্রান্ত নথি পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে নিয়োগ পত্র, ওয়েমার শিট, রেল চাকরির নিয়ম সংক্রান্ত একাধিক বই, মেডিকেল পরীক্ষা সার্টিফিকেট। এছাড়াও পাওয়া গেছে নগদ ১০ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ও ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না। দুটি ফ্ল্যাটকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ঐ আধিকারিক আরো বলেন, মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি এই ব্যাপারে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে মোট ৬ জনের নাম আছে। তবে ঠিক কতজনকে প্রতারিত করা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার হয়। মুল অভিযুক্তর কলকাতাতেও ফ্ল্যাট আছে। চক্রের সদস্যরা আসানসোলে রেলে চাকরিতে জয়েন করানোর কথা বলেছিলো। সেই মতো অন্য রাজ্যে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিলো। রেলের হাসপাতালে তাদের মেডিকেল পরীক্ষাও করানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত কারোরই চাকরিতে জয়েন করা হয়নি। কিন্তু ততক্ষণে হরিন্দ্রর সিং রেলে চাকরি দেওয়ার নামে ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে জানা যায়, পুরোটাই ভুয়ো বা জাল। এরপরই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আধিকারিক বলেন, সবকিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে।

আসানসোলের, জিটি রোডে সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, ট্রাক ও অটোর মধ্যে সংঘর্ষে মৃত ১, আহত ১

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :–সাতসকালে আসানসোলের জিটি রোডের ভগত সিং মোড়ে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ ঘটা এই ট্রাক ও অটো রিক্সার মধ্যে সংঘর্ষে হওয়া এই পথ দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। আসানসোল দক্ষিণ থানার কুমারপুরের বাসিন্দা মৃত অটো রিক্সা চালকের নাম মহঃ নিসার খান (৬০)। অটোতে ভ্রমণকারী একজন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করা হয়। তিনি আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও আসানসোলের কুমারপুরের বাসিন্দা মহঃ নিসার খান সকাল সাতটায় একটি অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কুমারপুর থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে তিনি আসানসোল স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড়ে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার অটোটিকে ধাক্কা মারে। তাতে অটোটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উল্টে যায়। এই ঘটনায় অটো চালক নিসার খান ও অটোর যাত্রী গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আসানসোল সাউথ পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ আসে। ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন আশপাশের লোকেরা। এরপর টোটো চালক এবং আহত যাত্রীকে আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগের চিকিৎসক অটোর চালককে মৃত ঘোষণা করেন। অটোতে থাকা গুরুতর আহত যাত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

रेलवे मे नौकरी दिलाने के नाम पर 60 लाख की ठगी… दो गिरफ्तार

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल:– दस लाख 74 हजार रुपए कैश के साथ दस लाख के सोने और चांदी के आभूषण सहित रेलवे के कई दस्तावेज बरामद,आसनसोल, पश्चिम बंगाल आसनसोल साऊथ और नॉर्थ थाना पुलिस ने महाराष्ट्र के रहने वाले एक व्यक्ति के शिकायत पर संयुक्त रुपए से छापेमारी कर आसनसोल के श्रीस्टिनगर स्थित संगती अपार्टमेंट से दो लोगों को गिरफ्तार किया है, गिरफ्तार लोगों की पहचान बिहार बांका के रहने वाले हरेन्द्र सिंह व आसनसोल दुर्गामंदिर के रहने वाले एक ऑटो चालक अवधेश यादव के रूप मे हुई है, दोनों के ऊपर महाराष्ट्र के रहने वाले लखन घोषाल ने यह आरोप लगाया है की उनके अलावा करीब पाँच अन्य लोगों से रेलवे मे नौकरी दिलवाने के नाम पर करीब 60 लाख रुपए की ठगी की है, शिकायत के आधार पर आसनसोल साऊथ थाना पुलिस व आसनसोल नॉर्थ थाना पुलिस ने संयुक्त रूप से रविवार शाम करीबन सात बजे आसनसोल के श्रीस्टिनगर स्थित संगती अपार्टमेंट मे छापेमारी कर हरेन्द्र सिंह और अवधेश यादव को गिरफ्तार किया था, जिनके पास से पुलिस को दस लाख 74 हजार रुपए कैश, करीब दस लाख रुपए से ज्यादा के सोने और चांदी के आभूषण, रेलवे के जोइनिंग लेटर, एडमिट कार्ड, मेडिकल फिट सर्टिफिकेट, रेलवे के एक्जाम के प्रश्नपत्र सहित रेलवे से जुड़ी कई दस्तावेज मिली, जिनको पुलिस ने जब्त कर लिया और सोमवार को आसनसोल अदालत मे पेश कर आरोपियों को 14 दिनों की रिमांड मांगी, वहीं अदालत ने दोनों आरोपियों को 12 दिन की पुलिस रिमांड दी जिसके बाद आसनसोल साऊथ थाना प्रभारी कौशिक कुंडू, कन्यापुर पुलिस फाड़ी के प्रभारी पार्थ प्रतिम चक्रवर्ती, साऊथ पुलिस फाड़ी प्रभारी सीतल नाग, डीसी सेन्ट्रल ध्रुव दास ने आसनसोल साऊथ थाना मे एक संवाददाता सम्मलेन कर घटना की पूरी जानकारी देते हुए कहा की मामले की छानबीन चल रही है, बहोत जल्द मामले से जुड़े अन्य लोगों की भी गिरफ़्तारी हो जाएगी, उन्होने यह भी कहा की पुलिस यह भी पता लगा रही है की पकड़े गए आरोपियों के तार व उनका सेल्टर पश्चिम बंगाल की राजधानी कोलकाता और आसनसोल के अलावा और कौन -कौन से राज्यों व जिलों तक फैली थी, उन्होंने यह भी कहा की आरोपियों से पूछताछ मे यह पता चला है की इनका कोलकाता के अलावा आसनसोल मे दो फ्लेट था जहाँ से ये लोग रेलवे मे नौकरी दिलाने का रैकेट चलाते थे।

आसनसोल के सृष्टि नगर स्थित संगती फ्लैट में पुलिस ने बड़े पैमाने पर तलाशी अभियान चलाया। इस दौरान एक व्यक्ति को हिरासत में लिया गया है।

पब्लिक न्यूज़ आसनसोल:–इस व्यक्ति को गिरफ्तार कर आसनसोल कोर्ट में पेश किया गया दक्षिण थाना की ओर से दक्षिण थाना पुलिस अधिकारी कोर्ट में पेश कर 14 दिन के रिमांड पर मांग की पर सुनाई होने के बाद अदालत ने 12 दिन का पुलिस रिमांड मंजूरी दी।आसनसोल के सृष्टि नगर स्थित संगती फ्लैट में पुलिस ने बड़े पैमाने पर तलाशी अभियान चलाया। इस दौरान एक व्यक्ति को हिरासत में लिया गया है। पुलिस की कार्रवाई फ्लैट के अंदर जारी है, जहां से कुछ महत्वपूर्ण कागजात बरामद हुए हैं।

सूत्रों के अनुसार, बरामद कागजात परीक्षा से संबंधित दस्तावेज हो सकते हैं। पुलिस ने इन्हें जब्त कर लिया है और मामले की जांच में जुट गई है।

जानकारी के मुताबिक, एक ऑटो में परीक्षा के दस्तावेज ले जाए जा रहे थे, जिसकी सूचना मिलने के बाद यह कार्रवाई की गई। अब आसनसोल नॉर्थ थाना पुलिस यह पता लगाने की कोशिश कर रही है कि इस गिरोह के पीछे कौन है और यह किस तरह के गैरकानूनी कामों में लिप्त था। मामले में आगे की जांच जारी है।

लिस की कार्रवाई फ्लैट के अंदर जारी है, जहां से कुछ महत्वपूर्ण कागजात बरामद हुए हैं।

सूत्रों के अनुसार, बरामद कागजात परीक्षा से संबंधित दस्तावेज हो सकते हैं। पुलिस ने इन्हें जब्त कर लिया है और मामले की जांच में जुट गई है।

जानकारी के मुताबिक, एक ऑटो में परीक्षा के दस्तावेज ले जाए जा रहे थे, जिसकी सूचना मिलने के बाद यह कार्रवाई की गई। अब आसनसोल नॉर्थ थाना पुलिस यह पता लगाने की कोशिश कर रही है कि इस गिरोह के पीछे कौन है और यह किस तरह के गैरकानूनी कामों में लिप्त था। मामले में आगे की जांच जारी है।