পাবলিক নিউজঃ আসানসোল অলোক চক্রবর্তী এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তুলকালাম কান্ড ঘটলো আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে। ঘটনার খবর পেয়ে কুলটি থানার বরাকর ফাঁড়ি পুলিশ গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। মৃত গৃহবধূর নাম সবনম খাতুন (২০)। শুক্রবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের ভিত্তিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সবনম খাতুনের স্বামী মহঃ রিজুয়ানকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে কুলটি থানার আসানসোল পুরনিগমের ৬৭নং ওয়ার্ডের বরাকরের আরা ডাঙ্গালে শ্বশুর বাড়ি থেকে সবনম খাতুনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে মৃতার বাপের বাড়ি ও পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসেন। তারা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কুলটির বাসিন্দা মৃতার সম্পর্কিত কাকা মহঃ সাদাব বলেন, আমরা এসে দেখি মেঝেতে পড়ে রয়েছে সবনমের দেহ। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি যে, সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। তার অভিযোগ, সবনম আত্মহত্যা করেনি। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তার উপর শারীরিক অত্যাচার করতো। ঠিক মতো খেতে দিতোনা। তারাই মারধর করার পরে গলা টিপে খুন করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। ঘটনার খবর পেয়ে বরাকর ফাঁড়ি পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাতেই মৃতার বাপের বাড়ির তরফে স্বামী মহঃ রিজুয়ান ও শাশুড়ি শাহাজাদী খাতুনের নামে বরাকর ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুর গৃহবধূর মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।