
পাবলিক নিউজঃ ডেস্ক আসানসোল:-আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের চেম্বারে মঙ্গলবার প্রথমে মেয়র পারিষদের বৈঠক হয়। তারপরে আসানসোল পুরনিগমের সমস্ত বোরো চেয়ারম্যানদের সঙ্গে আরো একটি বৈঠক হয়। এই মেয়র বিধান উপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুর কমিশনার রাজু মিশ্র, চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, মানস দাস, ইন্দ্রাণী মিশ্র, দিব্যেন্দু ভগত, ওএস বা অফিস সুপারিনটেনডেন্ট বীরেন অধিকারী সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। বোরো চেয়ারম্যানদের নিয়ে হওয়া বৈঠকে বিভিন্ন বোরোর চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। আলাদা আলাদা ভাবে হওয়া এই দুই বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
এই বিষয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিদ্যুত বিভাগের তরফে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ করা হচ্ছে। যে কারণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। যে কারণে এইসব রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। তাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্গাপূজার আগে এসবি গড়াই রোড, হটন রোড, মহিশীলা কলোনি রোড, কেটি রোড, ধাদকা রোড, এনএস রোড, নূরুদ্দিন রোড, ওকে রোড মেরামত করা হবে। তিনি বলেন, দুর্গাপূজো আর বেশি দিন বাকি নেই। তাই এই সময়ে রাস্তাগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত করা সম্ভব হবে না।

তবে আপাতত এই রাস্তাগুলো এমনভাবে মেরামত করা হবে যাতে মানুষ কোনো অসুবিধার সম্মুখীন না হয়। দুর্গাপূজোর পরে বা কালীপূজার পর এই সব রাস্তা স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে বলে। এরজন্য ৬ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। এর পাশাপাশি রানিগঞ্জের চারটি রাস্তাও মেরামত করা হবে। এইসব রাস্তার সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে।
কয়েকদিন আগে আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গাড়ুই নদীর তীরে বেআইনিভাবে নির্মিত বাড়িগুলোকে নোটিশ দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সম্ভবত নোটিশ দেওয়া হয়েছে বা খুব শিগগিরই নদীর পাশে অবৈধভাবে তৈরি করেছেন, তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি নদী পরিষ্কারের জন্য একটি ডিপিআর করার কথাও বলেন মেয়র। তিনি বলেন, প্রায় ১২ কোটি টাকার একটি ডিপিআর তৈরি করা হয়েছে। যা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় পর্যায়ে ধাপে ধাপে গাড়ুই নদী পরিষ্কার করা হচ্ছে। বর্তমানে সৃষ্টিনগর থেকে কল্যাণপুর হাউজিং পর্যন্ত নদী পরিষ্কার করা হবে। নদীর পাড়ে রেলিং বসানো হবে যাতে শহরকে সুন্দর করা যায়। ধীরে ধীরে পুরো নদী জুড়ে এই কাজ করা হবে। আস্তে আস্তে পুরো নদী পরিষ্কার করা হবে।
একই সঙ্গে নদী বা নর্দমায় ময়লা ফেলার বিষয়ে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন, পুরনিগমের কর্মচারীরা তাদের কাজ ঠিক মতো করে যাচ্ছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে কোনো ড্রেন পরিষ্কার করার পরে পুর কর্মচারীরা সেখান থেকে সরে গেলে আবারও সেখানে ময়লা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসাধারণকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
পানীয় জলের সমস্যা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বর্তমানে আসানসোলে কোথাও পানীয় জলের কোনও সমস্যা নেই। কিছু কিছু জায়গায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার কারণে পানীয় জলের কোথাও কোথাও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকারের শুরু করা প্রকল্পগুলি যদি সঠিক পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হয় তবে ভবিষ্যতে কোথাও কোন পানীয় জলের সমস্যা হবে না। তিনি আরো বলেন, জিটি লোকো ট্যাঙ্ক মোড থেকে সেনরেল রোডের জুবিলি মোড পর্যন্ত শহরের সৌন্দর্যায়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে। পুরনো পার্ক সংস্কার করে কোথাও কোথাও ঝুলন্ত বাগান ( হ্যাঙ্গিং গার্ডন) তৈরি করা হবে বলে মেয়র জানান।

Leave a Reply