আসানসোল পুরনিগমের টাউন প্ল্যানারের বিরুদ্ধে বেআইনি বাড়ি তৈরির অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস মেয়রের

পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠলো আসানসোল পুরনিগমের এক টাউন প্ল্যানারের বিরুদ্ধে। আসানসোলের বার্নপুরের শান্তিনগরের বাসিন্দা শিখা রায় আসানসোল পুরনিগমের টাউন প্ল্যানার সৌমেন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। আসানসোল পুরনিগমের একজন টাউন প্ল্যানার হওয়ার কারণে সৌমেন্দ্র রায় প্রভাব দেখিয়ে বেআইনিভাবে বাড়ি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ শিখা রায়ের। যে কারণে শিখা রায় নিজের বাড়িতে বসবাস করতে সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়ে আসানসোল পুরনিগমে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি তিনি মেয়র বিধান উপাধ্যায়কেও সরাসরি এই অভিযোগ করেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। মেয়র গোটা অভিযোগটির তদন্ত করে তাকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বার্নপুরের শান্তিনগরে পাশাপাশি থাকেন শিখা রায় ও আসানসোল পুরনিগমের টাউন প্ল্যানার সৌমেন্দ্র রায়। বুধবার শিখাদেবী বলেন, সৌমেন্দ্র রাই গত তিন বছর ধরে বেআইনিভাবে নির্মাণ করে আসছেন। আসানসোল পুরনিগমের টাউন প্ল্যানার হওয়ায় তিনি তার পদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। এই নির্মাণের জন্য তার বাস করতে সমস্যা হচ্ছে বলে শিখা রায়ের দাবি।
তবে এই অভিযোগ নিয়ে সৌমেন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোনো অবৈধ কাজ করছি না, নিজের জমিতে নির্মাণ করাচ্ছি। আর এতে কারও কোনো আপত্তি থাকতে পারে না বলে তিনি দাবি করেন। যেভাবে আমি ভবন নির্মাণ করছি তা নিয়ে পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়াররা একাধিকবার এসে তদন্ত করেছেন। কিন্তু কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। সৌমেন্দ্র রায় বলেন, আমার এবং শিখা রায়ের বাড়ির মধ্যবর্তী জায়গাটি এখন বিএলআরও অফিসের নতুন রেকর্ড অনুসারে সরকারি জমি। সেটা হয়তো শিখা রায়ের জানা নেই। তিনি আমার কথার সত্যতা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। তাই সরকারি সেই জমিতে কারও কোনও অধিকার নেই। তিনি কোনও ধরণের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, শিখা রায় আমাকে ফোন করে গোটা বিষয়টি বলেছেন। তিনি পুরনিগমে এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগও করেছেন। আমি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। কেউ অভিযুক্ত হলে পুরনিগমের তরফে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। তাতে যদি কোন পুর আধিকারিকও জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাবে কোন বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না, মেয়র পরিষ্কার জানিয়ে দেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts