বিজেপির ডাকা বন্ধ কে ব্যর্থ করতে DSP কারখানার সামনে জমায়েত করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকেরা। আর এদিন কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে এই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জমায়েতে আসেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলার কল-কারখানাতে এই বন্ধের কোন প্রভাব পড়েনি।
আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:-মঙ্গলবার সোসাল মিডিয়ায় কুকুরকে নির্দয়ভাবে মারার সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোল শহরে, ফুটেজ দেখে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পশুপ্রেমী সংঘটনের সদস্যারা। সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সিসি ফুটেজের ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মহিশীলা কলোনির সানভিউ পার্কের কোন এক জায়গায় চার পাঁচটা কুকুর নিজেদের মধ্যে খেলছিল এবং ডান্ডা হাতে নিয়ে এক ব্যাক্তি সেখানে এসে একটা কুকুরকে ডান্ডা দিয়ে তার কোমড়ে আঘাত করে কোনরকমে কুকুরটা অন্যদিকে পালিয়ে যায়। ঐ ভাইরাল ভিডিও দেখে আসানসোলের পশু প্রেমী সংঘটনের সদস্যা লিপিকা চক্রবর্তী, তারা নাগ, দেবরাজ কর্মকার এবং সৌরিশ গড়াই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুস্কৃতিকে শনাক্তে করতে সক্ষম হয়।জানা যায় উক্ত ব্যাক্তির নাম সুকান্ রায় এবং তিনি যুবকদের ক্যারাটে ও মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। পশু প্রেমী সংস্থার পক্ষ থেকে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অবলা জীবকে প্রাণ নাশের অভিযোগ জানান এবং তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন জানান । পশু প্রেমী সংস্থার লিপিকা চক্রবর্তী জানান ইতিপূর্বে আসানসোল দক্ষিণ থানার চেলিডাঙ্গায় এক ব্যাক্তি রাস্তার কুকুরকে নির্দয়ভাবে মেরে হত্যা করে ঐ ব্যাপারে আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করাতে রাস্তার কুকুরদের উপর পাশবিক অত্যাচার বেড়ে চলেছে।
আলোক চক্রবর্তী/ বার্ণপূর :সোমবার রাত্রে হীরাপুর থানার স্কোব গেটের কাছে গাছ পড়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষন রাস্তা বন্ধ থাকাতে সাধারণ জনগণ প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হয়। খবর পেয়ে ৭ নং বরোর চেয়ারম্যান শিবানন্দ বাউড়ী, কাউন্সিলর গুরমিত সিং ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শিবানন্দ বাউড়ী জানান স্কোব গেটের কাছে একটা গাছ পড়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষন রাস্তা বন্ধ থাকার ফলে যাতায়াতের অসুবিধা হয় তিনি খবর পেয়ে ইস্কো কতৃর্পক্ষর সাথে কথা বলেন গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করে দেবার জন্য কারণ এটা কারখানার দায়িত্ব এলাকায় কোন অসুবিধা হলে জরুরী ভিত্তিতে সেই কাজ করা কিন্তু তার আগেই হীরাপুর থানার আধিকারিক লোক দিয়ে গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করে দিয়েছেন হীরাপুর থানার আধিকারিককে ধন্যবাদ জানান।
বার্নপুর:-প্রায় প্রত্যেকদিন বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে মহিলারা অত্যাচারিত হচ্ছে তাদের আত্মসুরক্ষা করার উদ্দেশ্যে বার্ণপুরের মিশন জিন্দেগী ট্রাষ্ট ৫ বছর থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের আত্মসুরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ট্রাষ্টের সভাপতি সুকেন্দার শর্মা জানান প্রত্যেক রবিবার বার্ণপুরের গুরুদোয়ারার মাঠে গুরুদোয়ারা প্রবন্ধক কমিটির ও সদস্যদের সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে
আসানসোল : আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় শুক্রবার আসানসোল জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড থেকে ১৯ নং জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় সংযোগকারী সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণীর রেল সেতু পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রেল ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও ছিলেন ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী ও পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে, মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, আমি ফোনে এদিন আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমকে সেনরেল রোডের রেল ব্রিজের নীচে জল জমার কথা বলেছিলাম। ডিআরএম রেলের ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের পাঠিয়েছেন। তাদেরকে সাথে নিয়ে এই রেল ব্রিজ পরিদর্শন করলাম। এদিন বৃষ্টি হওয়ায় পরিদর্শন করতে একটু অসুবিধা হলেও, বিষয়টি দেখা হয়েছে। রেল ও আসানসোল পুরনিগম খতিয়ে দেখছে কিভাবে এই ব্রিজের নিচে জল জমার সমস্যা সমাধান করা যায়।
এই ব্রিজের নিচে বিদ্যুতের তারও গেছে। শনিবার আবার পরিদর্শন করা হবে। বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের ডাকা হবে। মেয়র আরো বলেন, সামান্য বৃষ্টির পরও এই ব্রিজের নিচে জল জমে যায়। যে কারণে আসানসোলের জিটি রোড থেকে জাতীয় সড়কের দিয়ে যাতায়াত করা গাড়িগুলিকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক বড় বড় হাসপাতাল এই রাস্তায় আছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয়ও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। তাই এই ব্রিজের নিচে জল জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধানের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকালেও বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে আবারও বৃষ্টি হয়। যা দুপুর পর্যন্ত চলে। এই বৃষ্টিতে আসানসোল স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়, হটন রোডের আর্য সরণী মোড়, দিলদার নগর, চেলিডাঙ্গা, রেলপার সহ নিচু এলাকা ও কালভার্ট জলের তলায় চলে যায়। বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢোকে। এদিকে, নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে বৃষ্টির জল। এমনটাই অভিযোগ আসানসোলের ইসমাইল গুরু নানক পল্লীর বাসিন্দাদের। আসানসোল পুরনিগমের ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিকিৎসক দেবাশীষ সরকার এদিনের ঘটনার কথা জানতে পেরে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। নর্দমা নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার হয় না এইসব এলাকায়। যার ফলে অল্প বৃষ্টিতেই নালির জল ঘরে ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। শুধু ৮৪ নং ওয়ার্ড নয়, আসানসোল পুরনিগমের একাধিক ওয়ার্ডেই এই ছবি দেখতে পাওয়া গেলো।
বৃহস্পতিবার রাতের পরে শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে নর্দমার জল উপচে চলে এসেছে রাস্তায় ও বাড়িতে। বহুবার কাউন্সিলর ও আসানসোল পুরনিগমকে বলেও কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এইভাবে সারাদিন যদি বৃষ্টি হতে থাকে তাহলে বাড়িঘরে এক হাঁটুর উপর জল জমে যাবে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যাবে না বলেও তাদের অভিযোগ। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার ও রবিবার এই বৃষ্টি চলবে।
আসানসোল : কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে বিজেপির তরফে রাজ্যের বিভিন্ন থানার সামনে শুক্রবার ঘেরাও বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে এদিন বিকেলে আসানসোল দক্ষিণ থানা ঘেরাও করে, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিপুল সংখ্যায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়। তারা থানার গেটের সামনে ফাঁসির দড়ি দেখিয়ে এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে থানার সামনে জিটি রোড অবরোধ করেন। এর ফলে জিটি রোডে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন সেখানে থাকা পুলিশ কর্মীরা জিটি রোডের অবরোধ তুলতে এগিয়ে আসে। বিজেপির নেতা ও কর্মীরা সরতে না চাওয়ায়, পুলিশ তাদের জোর করে সরাতে চায়। তখন পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। থানার সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় পুলিশ বিজেপি নেতা ও কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে জিটি রোডের অবরোধ তুলে দেয়।
এই প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বললেই চলে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করেন তিনি । এর সাথে তিনি অভিযোগ করেন যে গত ১৪ আগস্ট রাতে, যখন বিপুল সংখ্যায় মানুষ আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে, ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন। তখন তখন তৃনমুল কংগ্রেসের গুন্ডারা হাসপাতালে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছিলো। যাতে খুনের ঘটনার প্রমাণ না পাওয়া যায়। হামলাকারীদের সেদিন পুলিশ আটকায় নি। আর এখন যারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন, পুলিশ তাদেরকে আটকাচ্ছে।
এদিনের বিজেপির আন্দোলন ঘিরে যাতে বড় ধরনের কিছু না হয়, তার জন্য আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে পুলিশের পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্সও ছিলো।
আসানসোল : আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুল এবং পার্বতী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শচীন রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে। এই উপলক্ষে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী সোমাত্মানন্দ জি মহারাজ স্কুলের রজত জয়ন্তী গেট উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি ভূমিপূজো করে স্কুলের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এছাড়া এক রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়। এই রক্তদান শিবির আয়োজনে সহযোগিতা করেন প্রবীর ধর। এর পাশাপাশি এদিন চক্ষু ও দাঁতের পরীক্ষার একটি ক্যাম্পেরও আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বৃক্ষরোপনের একটি কর্মসূচি ছিলো।
এই প্রসঙ্গে শচীন রায় বলেন, আমি সর্বদা সামাজিক কাজ করতে চাই। তাই জন্মদিনে একটি বৃক্ষরোপণ সহ একাধিক সমাজের উপকার হয়, এমন কিছুর আয়োজন করা হয়েছিলো। শচীন রায় আরো বলেন, শুধু আমার জন্মদিনই নয়, সবসময় ঈশ্বরের কৃপায় মানুষের সেবা চালিয়ে যেতে চাই। তিনি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের স্বামী সৌমাত্মানন্দ জি মহারাজকে ধন্যবাদ জানান এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। এদিন অনুষ্ঠানে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের উন্নয়ন তহবিলে ১ লক্ষ টাকার চেক এবং পাশাপাশি সামাজিক সংস্থা আসানসোল “প্রগতি”কে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এদিনের এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শচীন রায়ের স্ত্রী স্কুলের ডিরেক্টর মিতা রায়, পুত্র স্কুলের ডিরেক্টর গৌরব রায়, আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ রাজীব শা এবং পার্বতী টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পড়ুয়া, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীরা।