Tag: ADPC

  • বালির আকাশছোঁয়া দাম সহ সাত দফা দাবি নিয়ে কুলটিতে সিপিআইএমের বিক্ষোভ মিছিল, বিএলআরওকে স্মারকলিপি…

    বালির আকাশছোঁয়া দাম সহ সাত দফা দাবি নিয়ে কুলটিতে সিপিআইএমের বিক্ষোভ মিছিল, বিএলআরওকে স্মারকলিপি…

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল /কুলটি :– বালির কালোবাজারি চলছে। বালির দাম অত্যাধিক বেড়ে গেছে। আর এরফলে রাজমিস্ত্রি ও লেবাররা কাজ হারাচ্ছেন। জমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়ম হচ্ছে। বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এমনই সাতটি দাবিকে সামনে রেখে সিপিআইএমের কুলটি এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে শুক্রবার আসানসোলের কুলটি সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার বা বিএলআরও অফিসে মিছিল করে এসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে বিএলআরওকে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দেওয়াকে নেতৃত্ব দেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী সহ সিপিআইএম নেতারা।
    এই প্রসঙ্গে আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনকালে রাজ্যে কোন আইনশৃঙ্খলা নেই। বিশেষতঃ পুর পুলিশ প্রশাসন জমি ও বালি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। আজ সারা বাংলায় জমি মাফিয়া হোক বা বালি মাফিয়া, সবাই প্রশাসনকে হেয় করে নিজেদের আধিপত্য জাহির করতে এই কাজ করছে। তিনি বলেন, এলাকায় এলাকায় পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, অবৈধভাবে জমি দখল করা হচ্ছে। বিএলআরও অফিসের বেশ কিছু কর্মী ও আধিকারিকরা জমি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে । পাশাপাশি তিনি বালির আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এর জন্য প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে বালি মাফিয়াদের যোগসাজশের অভিযোগও করেন। বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, আজ বালির দাম এত বাড়ার একটাই কারণ এখানে একটা বড় ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করছে। যারা পুরো ব্যবস্থার গভীরে ঢুকে পড়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিজেপি এখানে তৃনমুল কংগ্রেসের সাথে একটি সেটিংয়ে কাজ করছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারও এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
    সিপিআইএমের স্মারকলিপির বিষয়ে কুলটির বিএলআরও সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, নির্দিষ্ট করে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বালির দাম নিয়ে বিএলআরও অফিসের কিছু করার নেই।

  • বার্নপুরের ইস্কো কারখানা সম্প্রসারণের কাজে ক্ষেত্রে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি / সেফটি ট্রেনিং সেন্টারের সামনে কাউন্সিলারের নেতৃত্ব তৃনমুলের বিক্ষোভ

    বার্নপুরের ইস্কো কারখানা সম্প্রসারণের কাজে ক্ষেত্রে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবি / সেফটি ট্রেনিং সেন্টারের সামনে কাউন্সিলারের নেতৃত্ব তৃনমুলের বিক্ষোভ

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– সেইল আইএসপির বা বার্নপুর ইস্কো কারখানায় দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই কাজে হচ্ছে সবার আগে বার্নপুরের বাসিন্দাদেরকে চাহিদামতো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঠিকা কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। এই দাবিকে সামনে রেখে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের বার্নপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্রর নেতৃত্বে অন্যান্য কাউন্সিলর, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক এবং বেকার যুবক-যুবতীরা কারখানার সুরক্ষা বা সেফটি ট্রেনিং সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখান। নতুন কর্মীদের মেডিকেল ফিট করার জন্য এই সেফটি ট্রেনিং সেন্টার থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই কাজও এদিন তারা বন্ধ করে দেন ।
    অশোক রুদ্র এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকায় বার্নপুরের ইস্কো কারখানার দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণ হতে চলেছে। এই সম্প্রসারণের কাজে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৫ হাজার ঠিকা কর্মীর দরকার। ইস্কে কর্তৃপক্ষ বার্নপুরের সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে অনেক আগে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ বলেছিলেন, প্রয়োজন মতো দরকার হলে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে কর্মী হিসেবে আগে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমরা জানতে পেরেছি ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় হাজার ঠিকা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে সামান্য কয়েকজনই স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিদেরকে উত্তর প্রদেশ, বিহার , ঝাড়খন্ড এমনকি উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আনা হয়েছে। অথচ এই ধরনের সাধারণ কাজ করার জন্য অদক্ষ কর্মী বার্নপুরেই পাওয়া যাবে। তা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে আসানসোল শিল্পাঞ্চল বা বাংলার অন্য এলাকা থেকে নেওয়া হোক। তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা আরেকটি দাবি জানিয়েছি তা হলো স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেইলের দুর্গাপুর ,বোকারো, রাউরকেল্লা সহ সমস্ত ইস্পাত কারখানা গুলিতে ঠিকা কর্মীদের যে হারে মজুরি দেওয়া হয় তার থেকে অন্তত ৫ হাজার কম টাকা করে এখানে দেওয়া হয়। সর্বত্র সমান মজুরির দাবি জানিয়েছে। যতক্ষণ না সেইল বা ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ আমাদের দাবি না মানছেন ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে অশোক রুদ্র জানিয়েছেন।
    তবে, তৃনমুল কংগ্রেসের এদিনের আন্দোলনের দাবি নিয়ে ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

  • আসানসোল উত্তর ট্রাফিক গার্ড পুলিশের উদ্যোগ / ” সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ ” ও যাত্রী সাথী অ্যাপ নিয়ে সচেতনতার প্রচার…

    আসানসোল উত্তর ট্রাফিক গার্ড পুলিশের উদ্যোগ / ” সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ ” ও যাত্রী সাথী অ্যাপ নিয়ে সচেতনতার প্রচার…

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :–আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল উত্তর ট্র্যাফিক গার্ড পুলিশের উদ্যোগে শুক্রবার আসানসোলের বারাবনির নুনি মোড় এলাকায় ” সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ” ও যাত্রী সাথী অ্যাপ সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার করা হয়। এই উপলক্ষে হওয়া এক অনুষ্ঠানে বারাবনি ব্লকের নুনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাধব তেওয়ারি এবং এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে আসানসোল উত্তর ট্রাফিক গার্ড অফিসার ইনচার্জ বা মহঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে উত্তর ট্রাফিক গার্ডের তরফে।তিনি বলেন, প্রায়ই দেখা গেছে দুচাকার গাড়ি চালকেরা হেলমেট না পড়ার কারণে বা ফোর হুইলারে সিট বেল্ট না পড়ছেন না। এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে হয় কমবেশি আহত হচ্ছেন বা অনেক সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। তিনি দুচাকার গাড়ি চালক ও পেছনে বসা আরোহীকে হেলমেট এবং চার চাকার যানবাহনে যাতায়াতকারীদের সিট বেল্ট পড়ার ও পাশাপাশি অন্যান্য ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানান। এর পাশাপাশি গাড়ি নথিগুলিকে একেবারে আপ টু ডেট রাখা ও কোনও অবস্থাতেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
    নুনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাধব তেওয়ারি আসানসোল উত্তর ট্র্যাফিক গার্ড পুলিশের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি, ট্রাফিক আইন মেনে চলে গাড়ি চালানোর জন্য সাধারণ মানুষকে অবহিত করেন। মহঃ আশরাফুল ইসলাম যাত্রী সাথী অ্যাপ সম্পর্কে বলেন, এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করেছে। স্টেশন বা বিমানবন্দর বা অন্য কোথাও থেকে এই অ্যাপটি ব্যবহার করে কেউ ট্যাক্সি, অটো বা টু হুইলার বুক করতে পারেন। এই অ্যাপে সমস্ত যানবাহনের তথ্য প্রশাসনের কাছে থাকে। তাই এটির ব্যবহার খুব নিরাপদ।

  • আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে সকাল ও সন্ধ্যায় দুটি পথ দূর্ঘটনা / মৃত্যু এক বাইক আরোহীর, জখম তিন, অবরোধ বিক্ষোভে উত্তেজনা…

    আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে সকাল ও সন্ধ্যায় দুটি পথ দূর্ঘটনা / মৃত্যু এক বাইক আরোহীর, জখম তিন, অবরোধ বিক্ষোভে উত্তেজনা…

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল :–আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়কে কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছে শুক্রবার সকাল ও সন্ধ্যায় দুটি পৃথক পথ দূর্ঘটনা ঘটলো। সকালের ঘটনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হয় এক মোটরবাইক আরোহীর। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বাইক চালক। জামুড়িয়ার খাসখেন্দার বাসিন্দা মৃত মোটরবাইক আরোহীর নাম মহাঋষি ত্রিবেদী ( ৩৭)।
    অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৯ নং জাতীয় সড়কে কালিপাহাড়ি মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে একটি চারচাকা গাড়ি বেপরোয়া ভাবে একটি মোটরবাইক ও একটি সাইকেলে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় মোটরবাইক ও চালক অল্পবিস্তর আহত হন। ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দারা ১৯ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিলে, এক ঘন্টারও বেশি সময় পরে রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ উঠে।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালেই আসানসোলের ছাতাপাথরের অদূরে কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মোটরবাইক ডিভাইডারের ধাক্কা মারে। তাতে বাইকের পেছনে থাকা মহাঋষি ত্রিবেদী ও বাইক চালক সুমিত সিং এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়। দু’জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মহাঋষিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহ যুবককে আহত অবস্থায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক আছে বলে জানা গেছে।
    অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছে একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সাইকেল চালক ও একটি মোটর বাইক চালককে ধাক্কা মারে। সাইকেল চালক ও মোটরবাইক চালক এই ঘটনায় অল্পবিস্তর আহত হয়। ঘটনায় আহতরা ব্যক্তি কালিপাহাড়ি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আর এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। তারা আহতর ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানা ও ট্রাফিক গার্ড পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক) প্রদীপ মন্ডল, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রানা অম্বিকা দত্ত, আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু, ট্রাফিক ওসি সঞ্জয় কুমার মন্ডল সহ পুলিশ আধিকারিকরা।
    তারা এলাকায় পথ দূর্ঘটনা ঠেকাতে প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাস্তা অবরোধ উঠে যায়। স্বাভাবিক হয় গোটা এলাকা। ১৯ নং জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
    এই প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, আসানসোল থেকে একটি চারচাকা গাড়ি কালিপাহাড়ি মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে গেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়ি সহ চালককে আটক করা হয়েছে।

  • আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হানা / ২০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত, মহিলা সহ ধৃত দুই…

    আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হানা / ২০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত, মহিলা সহ ধৃত দুই…

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– ভিন জেলার বাস থেকে নেমে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও হলো দুজন। ধৃতদের একজন মহিলা আছেন। মঙ্গলবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ১৯ নং জাতীয় সড়কের কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছ থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া দুটি ব্যাগে পাওয়া গেছে ২০ কেজির মতো গাঁজা। ধৃতরা হলো বছর ৫০ র আনন্দ লেট ও বছর ৪২ র গীতা কর্মকার। তারা বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বাসিন্দা। আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডুর নেতৃত্বে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ( নারকোটিক ড্রাগস এ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেড এ্যাক্ট) আইনের ২০ (বি), (২), (সি) ও ২০ নং ধারায় মামলা করা হয়। বুধবার সকালে ধৃত দুজনকে আসানসোল আদালতের এনডিপিএস কোর্টে পেশ করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও সুখদেব লক্ষ্মণ ধৃতদেরকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতদের জামিন নাকচ করে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু গোপন সূত্রে খবর পান যে, এক মহিলা ও এক ব্যক্তি ১৯ নং জাতীয় সড়কে কালিপাহাড়ি মোড়ে ভিন জেলার একটি বাস থেকে নেমেছে। তাদের কাছে দুটি ব্যাগ আছে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক ও তারা কালিপাহাড়ি মোড় থেকে বাঘবন্দি গ্রামের দিকে যাচ্ছে। এরপর ইন্সপেক্টর ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় গিয়ে অতর্কিতে হানা দিয়ে আনন্দ লেট ও গীতা কর্মকারকে আটক করে। তল্লাশিতে তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় ২০ কেজির মতো গাঁজা। এরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তারা গাঁজা পাচারকারী চক্রের সদস্য। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, এর পেছনে কে বা কারা আছে।

  • পানীয়জলের দাবিতে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ ধর্ণা, সিআইএসএফের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা…

    পানীয়জলের দাবিতে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার সামনে তৃণমূলের বিক্ষোভ ধর্ণা, সিআইএসএফের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা…

    পাবলিক নিউজঃ প্রকাশ দাস কুলটি :–পানীয় জলের দাবিতে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্ণা ও বিক্ষোভ ঘিরে বুধবার সকালে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার গেটের সামনে মোতায়েন থাকা সিআইএসএফের জওয়ান ও তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়।
    তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কুলটি ব্লক তৃনমুল যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্তর অভিযোগ, কুলটির সেল গ্রোথ কারখানার আবাসনগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে গত দু/তিন মাস ধরে। যার মধ্যে রয়েছে বাবুপাড়া, নিউ কলোনির মতো এলাকা। তাই এদিন সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার গেটের সামনে ধর্ণা অবস্থান করা হয়। এই বিক্ষোভের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে সিআইএসএফ বাহিনীর ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিআইএসএফ বিশাল বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, অবিলম্বে ঐ এলাকার আবাসনগুলোতে পানীয় জলের সরবরাহ করতে হবে। এই দাবিতেই এই ধর্ণা আন্দোলন করা হচ্ছে।
    তবে, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ও অভিযোগ নিয়ে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার তরফে কোন মন্তব্য করা হয়নি।

  • পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা, তদন্তে পুলিশ।

    পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা, তদন্তে পুলিশ।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী জামুড়িয়া:– ক্রমশঃ জামুড়ীয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়ে চলেছে, কিছুদিন আগে শিবডাঙ্গা ডিসপেনসারির পেছনে ইসিএলের কোয়ার্টার চুরির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাত্রে আবার শিবডাঙ্গার বিকেডি ক্লাবের কাছে ইন্দিরা কলোনির চারটি বাড়ীতে চুরির ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীরা জানায় বাড়ীতে সবার অবর্তমানে বাড়ীর তালা ভেঙে ঘরের আলমারি ভেঙে সব মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে গেছে। শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ জমা করার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।মনোজ সিং নামে শিবডাঙ্গার শিব মন্দিরের বাসিন্দা জানান এলাকার যুবকদের চাকরি নেই কর্মসংস্থানের কোন ব্যাবস্থা না থাকাতে মানসিক অবসাদে নেশাগ্রস্ত হয়ে গেছে মাদকের পয়সা যোগাড় করতে তারা বাধ্য হয়ে চুরির রাস্তা ধরেছে তাদের জন্য এলাকার কালি মন্দিরে তালা লাগানো হয়েছে তাদের আড্ডা বন্ধ করতে। তাদের দাবি পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক।

  • কাঁকসার বাঁশকোপা শিল্প তালুকের ঘটনা / ট্রেলার থেকে লোহার স্ট্রাকচার ছিটকে আহত মোটরবাইক আরোহী

    কাঁকসার বাঁশকোপা শিল্প তালুকের ঘটনা / ট্রেলার থেকে লোহার স্ট্রাকচার ছিটকে আহত মোটরবাইক আরোহী

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী দুর্গাপুর:– ট্রেলার থেকে ছিটকে পড়লো লোহার স্ট্রাকচার। আর সেই স্ট্রাকচার পায়ে পড়ে গুরুতর আহত হলেন এক মোটরবাইক আরোহী। বুধবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। গুরুতর আহত মোটরবাইক আরোহীর নাম সমীর গরাই। ঘটনাটি ঘটেছে দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার বাঁশকোপা শিল্প তালুকের রোডে। আহত সমীর গরাই দুর্গাপুরের ধুনরা প্লটের বাসিন্দা। তিনি সেলসম্যানের কাজ করেন। সমীর গরাইয়ের বন্ধু আনন্দ মণ্ডল বলেন, আমি সমীরের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এখানে আসি। সমীর এই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তখনই একটি ট্রেলারে থাকা লোহার স্ট্রাকচার ছিটকে পড়ে। সেই৷ স্ট্রাকচার সমীরের পায়ে পড়ায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। পরে পুলিশ উদ্ধার করে তাকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার চিকিৎসা করা হয়।
    পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

  • শিল্পাঞ্চলে প্রতিবছরের মত অজয় দামোদরে সকাল থেকেই স্নানের ভিড় সঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে খিচুড়ি ভোগ

    শিল্পাঞ্চলে প্রতিবছরের মত অজয় দামোদরে সকাল থেকেই স্নানের ভিড় সঙ্গে মন্দিরে মন্দিরে খিচুড়ি ভোগ

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– প্রতি বছরের মত এবারও মঙ্গলবার মকরসংক্রান্তিতে মাতলো গোটা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষেরা। এদিন ভোর থেকেই অজয় এবং দামোদর নদীতে ভিড় জমালেন বহু মানুষ। অনেকেই ভোরে মকরসংক্রান্তি উপলক্ষে দুই নদীতে স্নানও করলেন। তারপর কাছেই কোন মন্দিরে গিয়ে দিলেন পূজোও। কেউ কেউ নিয়ম মেনে তিলকুট খেলেন। কল্যাণেশ্বরী শ্মশানের কাছে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের ভোগেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল এদিন।
    এদিন এমনই সব খন্ড খন্ড ছবি ধরা পড়লো আসানসোলের পাশাপাশি কুলটির বরাকর, বার্নপুর, চিত্তরঞ্জনের হনুমান মন্দিরের কাছে অজয় নদী ঘাট রানিগঞ্জের দামোদর, বারাবনিতে এবং জামুরিয়ায় অজয় নদীর বিভিন্ন ঘাটে।

  • পুলিশ ও ডিডির অভিযান কুলটির নিয়ামতপুরে/ ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও বাইক আটক / গ্রেফতার দুই যুবক

    পুলিশ ও ডিডির অভিযান কুলটির নিয়ামতপুরে/ ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও বাইক আটক / গ্রেফতার দুই যুবক

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুরের কাছে পুলিশ ও ডিডি অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে একটি মোটরবাইক সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত যুবকদের মধ্যে একজন স্থানীয় ও অন্যজন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তাদের অন্য সহযোগীদেরও খোঁজে পুলিশ তদন্ত ও অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
    জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুলটি থানার নিয়ামতপুরের শেয়ার কালালি পেট্রোল পাম্পের কাছে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপির (কুলটি) নেতৃত্বে আসানসোলের ডিডি বা ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। আসানসোল থেকে মোটরবাইকে আসা দুই যুবককে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। তখন তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে চার/পাঁচ প্যাকেট ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়। এরপর দুই যুবককে গ্রেফতার নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া যুবকের কাছ থেকে প্রায় ১৫০ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম মহঃ ফারকুল শেখ। সে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের বাসিন্দা ও রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। দ্বিতীয়জন আরশ বার্নওয়াল, নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত আলডির বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তদন্তে জানা গেছে, ফারকুল শেখ মুর্শিদাবাদ থেকে এইসব মাদক এনে আরশকে দিয়েছিলো ।
    পুলিশ এখন এই মাদক চোরাচালানের পেছনের মূল পান্ডা কে বা কারা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে। লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লী এলাকার অনেকেই এই অবৈধ ব্যবসা ও চোরাচালানের সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানা গেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জামিনে ছাড়া পেয়ে অন্যত্র বাস করছে।
    আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা বলেন, ডিডি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নিয়েছে। ব্রাউন সুগার সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে একজন স্থানীয় এবং অন্যজন জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে কে বা কারা আছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।