





পাবলিক নিউজ আসানসোল :– নিজের বাড়ির গাছের কাঁঠাল অন্য লোকেরা কেন পারছে তার প্রতিবাদ করে ও আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। চিত্তরঞ্জনে আবারও দুষ্কৃতিদের তাণ্ডবের এই ঘটনায় রেল শহর চিত্তরঞ্জনের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠলো। এই ঘটনায় এক রেল কর্মীর উপরে নিজের আবাসনের উঠোনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবারের এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক নেমে এসেছে।
প্রসঙ্গতঃ , গত ৩ এপ্রিল এক রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ তার বাসভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তারই মধ্যে বুধবার রেল শহর চিত্তরঞ্জনে ৪২/এ স্ট্রিটের ১০/এ নং আবাসনের বাসিন্দা ৫৮ বছরের রেল কর্মী শ্রীকান্ত তিওয়ারির উপর অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে , শ্রীকান্ত তেওয়ারির পরিবার সদস্যরা বিহারে গ্রামের বাড়ি গেছেন। তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। এই সুযোগে দুষ্কৃতিরা তার বাড়িতে ঢুকে, কোনভাবে বাধা পেয়ে হামলা চালিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। শ্রীকান্তের ছেলে বুধবার গ্রামের বাড়ি থেকে বারবার বাবাকে ফোন করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীকে জানায়। সেই প্রতিবেশী যুবক তার বাড়ির কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে ঐ যুবক কোনমতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে, তার বাড়ির ভেতরে উঁকি মারেন। তখন তিনি সেখানে শ্রীকান্তকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর ঐ যুবক স্থানীয়দেরকে ডাকেন। তাদের সহায়তায় তাকে দ্রুত চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কি করে বাড়ির মধ্যে ঐ ব্যক্তি হামলার মুখে পড়লেন, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
শ্রীকান্ত তেওয়ারির এক প্রতিবেশী বলেন, ঐ বাড়ির উঠোনে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। মনে হচ্ছে, কয়েকজন যুবক গাছ থেকে কাঁঠাল পাড় ছিলো। শ্রীকান্তবাবু তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর উপর হামলা হয়। যেখানে তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল পড়ে থাকতেও দেখা গেছে বলে ঐ প্রতিবেশী জানান।
এদিকে, পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঐ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা আসছেন। তারা অভিযোগ দায়ের করবেন।






























