Category: BANGLA

  • কাঁঠাল চুরি আটকাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, অনুমান / বাড়িতেই আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের রেল কর্মী / এলাকায় আতঙ্ক, তদন্তে পুলিশ ……….. চিত্তরঞ্জন, ১০ এপ্রিলঃ

    কাঁঠাল চুরি আটকাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, অনুমান / বাড়িতেই আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের রেল কর্মী / এলাকায় আতঙ্ক, তদন্তে পুলিশ ……….. চিত্তরঞ্জন, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– নিজের বাড়ির গাছের কাঁঠাল অন্য লোকেরা কেন পারছে তার প্রতিবাদ করে ও আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। চিত্তরঞ্জনে আবারও দুষ্কৃতিদের তাণ্ডবের এই ঘটনায় রেল শহর চিত্তরঞ্জনের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠলো। এই ঘটনায় এক রেল কর্মীর উপরে নিজের আবাসনের উঠোনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবারের এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক নেমে এসেছে।
    প্রসঙ্গতঃ , গত ৩ এপ্রিল এক রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ তার বাসভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তারই মধ্যে বুধবার রেল শহর চিত্তরঞ্জনে ৪২/এ স্ট্রিটের ১০/এ নং আবাসনের বাসিন্দা ৫৮ বছরের রেল কর্মী শ্রীকান্ত তিওয়ারির উপর অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটলো।
    জানা গেছে , শ্রীকান্ত তেওয়ারির পরিবার সদস্যরা বিহারে গ্রামের বাড়ি গেছেন। তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। এই সুযোগে দুষ্কৃতিরা তার বাড়িতে ঢুকে, কোনভাবে বাধা পেয়ে হামলা চালিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। শ্রীকান্তের ছেলে বুধবার গ্রামের বাড়ি থেকে বারবার বাবাকে ফোন করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীকে জানায়। সেই প্রতিবেশী যুবক তার বাড়ির কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে ঐ যুবক কোনমতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে, তার বাড়ির ভেতরে উঁকি মারেন। তখন তিনি সেখানে শ্রীকান্তকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর ঐ যুবক স্থানীয়দেরকে ডাকেন। তাদের সহায়তায় তাকে দ্রুত চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
    এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কি করে বাড়ির মধ্যে ঐ ব্যক্তি হামলার মুখে পড়লেন, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
    শ্রীকান্ত তেওয়ারির এক প্রতিবেশী বলেন, ঐ বাড়ির উঠোনে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। মনে হচ্ছে, কয়েকজন যুবক গাছ থেকে কাঁঠাল পাড় ছিলো। শ্রীকান্তবাবু তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর উপর হামলা হয়। যেখানে তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল পড়ে থাকতেও দেখা গেছে বলে ঐ প্রতিবেশী জানান।
    এদিকে, পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঐ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা আসছেন। তারা অভিযোগ দায়ের করবেন।

  • এসএসসির নিয়োগ বাতিল ও শিক্ষকদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ / কুলটিতে সিপিএমের সভা…………… , কুলটি, ১০ এপ্রিলঃ

    এসএসসির নিয়োগ বাতিল ও শিক্ষকদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ / কুলটিতে সিপিএমের সভা…………… , কুলটি, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:- ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির প্যানেল থেকে হওয়া নিয়োগ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে। এই নির্দেশের পরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী। এরপর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্তরে ক্রমাগত প্রতিবাদ চলছে। তারই মধ্যে বুধবার সকালে যখন যোগ্য শিক্ষকরা কসবায় ডিআই অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে যান, তখন পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে।
    এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিএমের কুলটি এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে নিয়ামতপুর বাজার এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় অনেক বামপন্থী নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
    এই প্রসঙ্গে সিপিএমের নেতা দেবানন্দ প্রসাদ বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার দুর্নীতি ছাড়া কোনও কাজই করতে পারছে না। তাদের আমলে ২০১৬ সালে মাত্র একবার এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো । কিন্তু তাতেও এত অনিয়ম পাওয়া গিয়েছিল যে আদালতকে সরকারকে বলতে হয়েছিল যারা যোগ্য এবং যারা অযোগ্য তাদের আলাদা করতে। কিন্তু এসএসসি, রাজ্য সরকার, শিক্ষা দপ্তর কেউই তা করতে পারেনি । যে কারণে পুরো প্যানেলটিকে বাতিল করতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত যোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা। সিপিএম বাকিটা আদালতে বিষয়টি দেখবে।

  • বার্নপুর সেল আইএসপির সম্প্রসারণ / বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ভাঙা হলো ৭০ বছরের পুরনো ৫ টি কুলিং টাওয়ার……………বার্নপুর,

    বার্নপুর সেল আইএসপির সম্প্রসারণ / বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ভাঙা হলো ৭০ বছরের পুরনো ৫ টি কুলিং টাওয়ার……………বার্নপুর,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– রামনবমী রবিবার সকালে ইস্পাত নগরী বার্নপুর সহ গোটা শিল্পাঞ্চল একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো। বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপিতে পূর্ব ঘোষণা মতো ভেঙে ফেলা হলো ৫ টি কুলিং টাওয়ার। নতুন প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জন্য আইএসপির ভেতরে ৫ টি কুলিং টাওয়ার ভেঙে ফেলা হলো বলে, কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, এদিন বার্নপুর সেল আইএসপির পাঁচটি আইকনিক কুলিং টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়। ৭০ বছরের পুরনো পাঁচটি হাইপারবোলিক কংক্রিট ন্যাচারাল ড্রাফ্ট কুলিং টাওয়ার। প্রতিটি ৭২ মিটার উঁচু এবং ৩০-৪৮ মিটার ব্যাসের। এদিন সকাল ১২.১৫ মিনিটে ভেঙে ফেলা হয়।
    প্রাথমিক ভাঙার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী পদ্ধতি হল বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে কাঠামোগত ধস নামানো। এর পরে হাইড্রোলিক সরঞ্জাম লাগানো খননকারী যন্ত্র ব্যবহার করে সেকেন্ডারি পার্টের কাজ করা হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ধ্বংসকারী বিশেষজ্ঞ মেসার্স জেট ডেমোলিশন ( পিটিওয়াই ) লিমিটেডের সহায়তায় মুম্বাইয়ের মেসার্স এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার সঙ্গে এই কাজের জন্য চুক্তি হয়েছিলো ।আরো বলা হয়েছে, যেহেতু কুলিং টাওয়ারগুলির কোনও কাঠামোগত অঙ্কন পাওয়া যায়নি, তাই মূল ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলি, যেমন রিং বিমের উপরে শেলের পুরুত্বের টেপারিং এবং স্টিল রিইনফোর্সমেন্ট বারগুলির বিশদ স্থান স্থাপনের পরে সরাসরি স্থান তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
    আগে স্থান পরিদর্শন এবং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাঙ্গার নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভাঙার স্থান প্রস্তুতির কাজ শুরু করার সময় ও স্থান স্থাপনের পরে প্রকৃত কুলিং টাওয়ারের কাঠামোগত বিবরণ স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত তদন্ত করা হয়েছিল। তাই ভাঙ্গার নকশার কিছু দিক উপকারী বা প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হিসাবে সংশোধন করা হয়েছিল।
    জানা গেছে, এই টাওয়ারগুলি ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছিলো, যখন এই কারখানায় ব্লাস্ট ফার্নেস তৈরী করা হয়। সুতরাং এগুলি প্রায় ৭০ বছরের পুরানো।
    এদিন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাঁচটি কুলিং টাওয়ারে ব্লাস্টিং বা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আর তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাঁচটি কুলিং টাওয়ার মাটিতে মিশে যায়। এই প্রক্রিয়া চলার সময় যাতে কোন সমস্যা ও আশপাশে ক্ষতি না হয়, তারজন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো। এই কাজের জন্য এদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পর্যন্ত বার্নপুরের রিভারসাইড এলাকার দুটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন বন্ধ রাখা হয়।
    প্রসঙ্গতঃ, এই ধরনের কুলিং টাওয়ার ভাঙার জন্য ভারতে কোনও বিশেষজ্ঞ নেই। তাই বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিলো। আগেই বলা হয়েছিলো ৫ টি কুলিং টাওয়ার এমনভাবে ভেঙে ফেলা হবে, যাতে সেগুলির জন্য আশপাশের কোনকিছু না হয়। এমনভাবে একই জায়গায় ভেঙে ফেলা হবে, যাতে আশেপাশের এলাকার কোনও ক্ষতি হবে না। বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন , এত বড় টাওয়ার ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে খুবই রোমাঞ্চকর হবে। এদিন তেমন দৃশ্য দেখাও গেলো।
    উল্লেখ্য, এবারের সম্প্রসারণের ফলে বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপির লক্ষ্যমাত্রা ৭ মিলিয়ন টন হবে। এই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার পরে সেল আইএসপি দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্পাত কারখানার তকমা পাবে। এই পর্যায়ের সম্প্রসারণে ব্যয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানা গেছে। এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগবে। এর পরে বার্নপুরের আমুল পরিবর্তন হবে।
    নতুন সম্প্রসারণ থেকে কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন আরো হবে। নতুন প্রজেক্ট আসায় শুধুমাত্র আইএসপির সাথে যুক্ত লোকদের ভবিষ্যতই উন্নত করবে না এমনটা নয়। আসানসোল পুরনিগমের বার্নপুর এলাকা এবং আশেপাশের গ্রামগুলির উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সম্প্রসারণ। সেল আইএসপির কাছাকাছি বসবাস করা শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে এবং শহরের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলে যাবে। শহরের বিন্যাস বদলে যাবে এবং বিশ্বস্তরে বার্নপুর শহরের নিজস্ব একটা পরিচয় উঠে আসবে ।
    সেল আইএসপির কুলিং টাওয়ার কি? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটি কুলিং টাওয়ার হল একটি বিশেষ তাপ এক্সচেঞ্জার ও পরিবর্তনকারী যন্ত্র । যেখানে বায়ু এবং জলকে জলের তাপমাত্রা কমাতে একে অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগে আনা হয়। ইস্পাত প্ল্যান্টের জন্য কুলিং টাওয়ারের প্রয়োজন হয়। যাতে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাকালীন উৎপন্ন বর্জ্য তাপ অপসারণ করা যায় ও সরঞ্জামের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহৃত শীতল জলের মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বজায় রাখা যায়।
    প্রসঙ্গতঃ, বার্নপুরে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের এর আগে প্রতি বছর ২.৫ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো। পরে তা তা বাড়িয়ে ৫ মিলিয়ন টন করা হয়েছিলো। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি, যা একসময় মার্টিন বার্ন গ্রুপের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল। ২০০৬ সালে সেলের সাথে বার্নপুর ইস্কো কারখানার সংযুক্তিকরণ হয়। তারপর এর নাম সেল আইএসপি বা ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট হয়। প্রথম পর্যায়ের সম্প্রসারণে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিলো।

  • বার্নপুরে রামনবমী পুজোয় তলোয়ার হাতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সমালোচনায় শাসক নেতা………. বার্নপুর,

    বার্নপুরে রামনবমী পুজোয় তলোয়ার হাতে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সমালোচনায় শাসক নেতা………. বার্নপুর,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– রাম নবমী উপলক্ষে রবিবার আসানসোল, বার্নপুর সহ শিল্পাঞ্চল জুড়ে পুজোর আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন আখড়া কমিটি শোভাযাত্রা বার করে। সেই শোভাযাত্রার আগে পাগড়ি বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
    এদিন বার্নপুরে চিত্রা রেল গেটের কাছে রামনবমী উপলক্ষে পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল উপস্থিত ছিলেন। তাকে একটি পাগড়ি এবং একটি তলোয়ার উপহার দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই তলোয়ার হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।
    পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, সনাতন ধর্মে প্রতিটি হিন্দু দেবতার হাতেই কিছু না কিছু অস্ত্র থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সনাতন হিন্দু ধর্মের সাথে অস্ত্রের অনেক পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। তবে, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণ করবেন কিনা, তখন তিনি বলেন, এটি পরের বিষয়। তবে যদি পুলিশ আসানসোল বা আশেপাশের কোনও এলাকায় সনাতন ধর্মের লোকদের বার করা মিছিল বন্ধ করার চেষ্টা হয় , তাহলে প্রতিটি বিজেপি কর্মীরা এর বিরোধিতা করবে। তার কথায়, সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনেরা তাজিয়া নিয়ে অস্ত্র হাতে মিছিলে বেরোয়। তখন, সরকার, পুলিশ প্রশাসন কোথায় থাকে? যতো আইন হিন্দুদের জন্য? তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে বাংলায়ও একই রকম কিছু ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়কে তোষণ করেন। যে কারণে আজ বাংলায় হিন্দুদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। কিন্তু বিজেপি তা করতে দেবে না। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বে হিন্দু বাঙালিদের জন্য পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র স্থান। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য জায়গা আছে। কিন্তু যদি পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুদের বিপদে ফেলা হয়, তাহলে বিজেপি তা সহ্য করবে না।
    বিজেপি বিধায়কের কথা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বার্নপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। তিনি বলেন, বিজেপি নেতা ও নেত্রীদের এখন এটাই কাজ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা ও মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি। তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকার যা মানা করবে, তার বিরোধিতা করাটাই এখন বিজেপির রাজনীতির মুল উদ্দেশ্য। বাংলার মানুষেরা ঠিক সময়ে এর জবাব দেবেন।

  • ইস্পাত নগরী বার্নপুর / এবার ত্রিশূল হাতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অগ্নিমিত্রা পাল…………. বার্নপুর,

    ইস্পাত নগরী বার্নপুর / এবার ত্রিশূল হাতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অগ্নিমিত্রা পাল…………. বার্নপুর,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– সকালে তলোয়ারের পর এবার, বিকেলে ত্রিশূল হাতে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। রবিবার বিকেলে আসানসোলের বার্ণপুরে রামনবমীর শোভাযাত্রায় ত্রিশূল হাতে হাঁটলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এদিক সকালে রামনবমীর পুজোর এক অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ককে দেখা গেছিলো তলোয়ার হাতে। নানা ধরনের অস্ত্র হাতে বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের রামনবমীতে অংশ নেওয়ায় ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
    ত্রিশূল হাতে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ায় স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, সেই ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি মা দুর্গা, মা কালির হাতে নানা ধরনের অস্ত্র আছে। আর, মায়েরা শিখিয়েছেন, নিজেদের রক্ষা নিজেদের করতে হবে। বাংলায় মহিলাদের কোথায় সম্মান, কোথায় সুরক্ষা? আপনারা তো সবই দেখছেন? তাই ভাইয়েরা সকালে তলোয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলো, আর বিকেলে ত্রিশূল। আমি একা অগ্নিমিত্রা নই , ভাইদের দেওয়া অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে, নিজেদের ও ভাইদের রক্ষা করছি। হতে পারে, পরে এর দরকার হতে পারে। তবে, ২০২৬ এ বাংলায় মোদি সরকার এলে তো রামরাজত্ব। তার কথায়, রাম তো প্রভু ভগবান। রামকে আমরা কেন চাই? রামরাজত্বের জন্য। সোজা কথায়, অন্যায় হলে, তার প্রতিবাদ হবে। প্রসঙ্গতঃ, রাজ্য সরকারের তরফে রামনবমীর পুজো ও শোভাযাত্রায় কোন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাংলার অন্য পুলিশ জেলা ও কমিশনারেট এলাকার মতো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় রামনবমী উপলক্ষে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুদিনে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ১৮৮ টির মতো শোভাযাত্রা বেরোনোর কথা। এই আসানসোল দূর্গাপুরের জন্য আলাদা করে তিনজন আইপিএস অফিসারকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে।

  • নিয়োগে সুপ্রিম রায় / পশ্চিম বর্ধমানে চাকরি খোয়ালেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মী / চরম দুর্ভোগে একাধিক স্কুল……….. আসানসোল, এপ্রিলঃ

    নিয়োগে সুপ্রিম রায় / পশ্চিম বর্ধমানে চাকরি খোয়ালেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষক ও অ-শিক্ষক কর্মী / চরম দুর্ভোগে একাধিক স্কুল……….. আসানসোল, এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম রায়। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া গোটা প্যানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি খোয়ালেন প্রায় ২৬ হাজার জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের পাশাপাশি এই বাতিলের কোপে পড়েছেন অশিক্ষক কর্মী বা নন- টিচিং স্টাফ।
    বাংলার অন্য সব জেলার সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা আছেন। রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের শিক্ষা সেল, জেলা শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাকরি যাওয়ার সংখ্যাটা কমবেশি ৫১৭ জন।
    পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া , বারাবনি বিধানসভার সালানপুর, বারাবনি ও রেল শহর চিত্তরঞ্জনের বেশ কয়েকটি স্কুলের শিক্ষকদের নাম এই তালিকায় আছে।
    তবে, বাতিলের তালিকায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের বাসন্তীদেবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম সবার উপরে আছে বলে এখনো পর্যন্ত জানা গেছে। এই স্কুলের ২৭ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে ১২ জনের চাকরি গেছে। তার মধ্যে হিন্দি, বাংলা, ভৌত বিজ্ঞান ও জীবন বিঞ্জানের মতো বিষয় আছে। স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত স্কুল কতৃপক্ষে। এই স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা ১৪২৯ জন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শ্রুতি গাঙ্গুলি বলেন, বুঝতে পারছি না কি করবো? ২৭ জনের মধ্যে যদি ১২ জন না থাকেন, তাহলে স্কুল চালাবো কি করে? এতো পড়ুয়া সংখ্যা। ঐ শিক্ষকদের জন্য খুবই খারাপ লাগছে। তিনি আরো বলেন, এই ১২ জনকে দেখে সত্যি আমাদের কারোরই মনে হয়নি, এরা অযোগ্য? সবাই সুন্দর ভাবে পড়াশোনা করান। কারোর নামে কোন অভিযোগ নেই। কেউ কেউ আবার নোডাল শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বারাবনির গৌরান্ডি আর কে এস ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ জন,
    সালানপুর ব্লকের কস্তুরবা গান্ধী হিন্দি মিডিয়াম স্কুলের ১ জন, চিত্তরঞ্জন বিবেকানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষকের নাম বাতিলের তালিকায় আছে বলে জানা গেছে।
    আসানসোল শহরের এসবি গরাই রোডের চেলিডাঙ্গা হাইস্কুলের দুজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা ও এক অশিক্ষক কর্মীর নাম এই তালিকায় আছে। এদিন এই তিনজনই স্কুলে গরহাজির ছিলেন। এই স্কুলের টিচার ইনচার্জ পূর্ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও জেলা প্রশাসন থেকে কিছু জানানো হয়নি। আমার স্কুলের তিনজন ছিলেন। একজন শিক্ষক তো একটা বিষয়ের ছিলেন। কি করবো বুঝতে পারছি না।
    আসানসোল শহরের উমারানি গড়াই মহিলা কল্যান হাইস্কুলের দুই শিক্ষিকা ও একজন অশিক্ষক কর্মীর নাম এই তালিকায় আছে।
    স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। চাকরি হারানো গৌরান্ডি আর কে এস ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা
    অনামিকা চাকি বলেন, আমাদের ভুলটা কোথায় ছিল? সমস্ত কিছু যাচাই করে তবেই চাকরীতে আমাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। আমাদের যে চাকরি চলে গেল এবার আমরা কি করবো?
    এই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক ডঃ তুষার বন্দোপাধ্যায় বলেন, মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে আমি কিছু বলছি না। তবে আমার স্কুলের উপরে অনেকটা চাপ পড়ল। যেখানে ২৬০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী রয়েছে, আর শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন ৩৯ জন। এর মধ্যে চারজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা চলে গেলো। যার ফলে স্কুলের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক শিক্ষিকার একটা অভাব তৈরি হলো। অষ্টম পিরিয়ড পর্যন্ত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে পড়লো। এখন ইউনিট পরীক্ষা চলছে। এই পরীক্ষা চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষার খাতা দেখার শিক্ষক পাবো না । প্রশ্ন তৈরি করার টিচার পাবোনা। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বায়োলজি নিউটিশন বিষয়ের থিয়োরি এবং প্রাকটিক্যাল ক্লাস করানো অসম্ভব হয়ে উঠবে। এমনিতেই ১৪ জন শিক্ষকের অভাব। তার ওপর আরো ৪ জন বাদ গেল। এখন সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ালো মোট ১৮ জন। উচ্চ মাধ্যমিকের অনেকে খাতা দেখছেন। আমাদের মতো যারা এই হেড এক্সামিনার ছিলাম, তাদের খুব অসুবিধা হয়ে গেল। সর্বোপরি ছাত্রছাত্রীরা যাদেরকে এতদিন ধরে পেলো, তাদের ক্লাস করলো, আজ থেকে তারা আর নেই। এতো ছাত্র-ছাত্রীরা দারুণভাবে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
    এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক ( শিক্ষা) সঞ্জয় পাল বলেন, এখনো পুরো তালিকা পাইনি। আশা করছি, তাড়াতাড়ি তা পাবো। তার পরেই কিছু বলতে পারবো।

  • আরপিএফের অপারেশন ” সতর্ক” / জসিডিতে বেআইনি মদ সহ ধৃত এক…আসানসোল,

    আরপিএফের অপারেশন ” সতর্ক” / জসিডিতে বেআইনি মদ সহ ধৃত এক…আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– চোরাচালান, মানব পাচার বা হিউম্যান ট্রাফিকিং এবং চুরি আটকাতে ভারতীয় রেলের আরপিএফ পরিচালিত একটি বিশেষ নজরদারি অভিযান হল অপারেশন ” সতর্ক ” । এর মধ্যে রয়েছে স্টেশন এবং ট্রেনে আচমকা তল্লাশি, সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয়। এই অভিযানের লক্ষ্য হল যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, অবৈধ পণ্য পরিবহন রোধ করা এবং রেলের সম্পত্তি রক্ষা করা। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য সন্দেহজনক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ দল মোতায়েন করা হয়েছে। জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি ভ্রমণকারীদের যেকোনো অস্বাভাবিক ঘটনা রিপোর্ট করতে উৎসাহিত করে।
    অপারেশন ” সতর্ক ” জসিডিতে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফ পোস্ট অবৈধ বা বেআইনি ভাবে মদ বহনকারী এক ব্যক্তিকে ১২৪১৭ নং কলকাতা – অমৃতসর অকাল তখত এক্সপ্রেস আটক করে । এই অভিযানের লক্ষ্য হলো চোরাচালানের মতো অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করা এবং রেলওয়ে চত্বরে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
    জানা গেছে, রেল মদত পোর্টালের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়ার পর, আরপিএফ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারীর সাথে যোগাযোগ করেন ও নির্দিষ্ট কোচটি পরিদর্শন করেন। তদন্তের সময় আরপিএফের জওয়ানরা ইঞ্জিনের সামনে জেনারেল (জিএস) কোচে একজন যাত্রীকে সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখেন । সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে একটি পুরনো ব্যাগ পাওয়া যায়। তাতে ১২ বোতল মদ ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করে আরপিএফ। বাজেয়াপ্ত করা মদের বোতলের বাজার মূল্য ৬,৫৪০ টাকা ।

    আটক যাত্রী মদ বহনের কোনও আইনি কাগজ দেখাতে পারেননি। ধৃত যাত্রীর রামনাথ রায়। বছর ৩৫ এর রামনাথের বাড়ি বিহারের সমস্তিপুর জেলার শিবাসিংপুর গ্রামে। ২০২৩ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা কোড বিএনএসএসের ধারা অনুযায়ী ঐ যাত্রীকে হেফাজতে নেওয়া হয়। সমস্ত আইনি কাজ শেষ করার পর অভিযুক্ত ও বাজেয়াপ্ত করা অবৈধ মদকে জসিডি আরপিএফের পোস্টে আনা হয়। পরে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেওঘরের আবগারি বিভাগের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

  • নিয়োগ মামলার রায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আসানসোলে বিজেপির মিছিল / ডিআই অফিস গেটে তালা, বিক্ষোভ

    নিয়োগ মামলার রায়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আসানসোলে বিজেপির মিছিল / ডিআই অফিস গেটে তালা, বিক্ষোভ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– দেশের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের এসএসসি নিয়োগ মামলার রায় দিতে গিয়ে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলকেই বাতিল করেছে। এর ফলে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে সামনে রেখে বিজেপি গোটা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে।
    সেই একই দাবিতে শুক্রবার সকালে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা পক্ষ থেকে ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম মোড় থেকে এই উপলক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেরোয়। সেই মিছিল মূর্গাশোল ও রামবন্ধু তলাও মোড় হয়ে আসানসোলের এসবি গরাই রোডের সুকান্ত ময়দান সংলগ্ন আসানসোল পুরনিগমের ৪ নং বোরো অফিসে থাকা ডিআই অফিসে আসে। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ দে, অভিজিৎ রায়, সুদীপ চৌধুরী, অরিজিৎ রায় সহ অন্যান্যরা।

    বিজেপি নেতা ও কর্মীরা যাতে ডিআই অফিসের ভেতরে কোনভাবেই যেতে না পারেন, তারজন্য পুলিশের কথায় মুল গেটে তালা লাগানো হয়েছিলো। আগে থেকেই পুলিশ বাহিনী ডিআই অফিস চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিলো। গেটে তালা লাগানো থাকায় ভেতরে ঢুকতে না পেরে বিজেপির নেতা ও কর্মীরা গেট ধরে ঝাঁকানো শুরু করেন। কেউ কেউ পাঁচিল টপকে অফিস চত্বরে ঢুকে স্লোগান দিতে থাকেন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধঘন্টা ধরে এমন পরিস্থিতি থাকে। শেষ পর্যন্ত ডিআই অফিসে যেতে না পারায়, বিজেপির জেলা সভাপতি বাইরে থেকে ঐ গেটে আরো একটা তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আন্দোলন শেষে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬০০০ শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। এটি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি খুব বড় ধাক্কা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা এর জন্য দায়ী, কারণ তারা শিক্ষক নিয়োগে একটি বড় কেলেঙ্কারি করেছেন। তিনি আরো বলেন, যেসব শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন তাদেরও টাকা ফেরত দিতে হবে। তিনি স্পষ্টভাবে অভিযোগ করেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এখন রাজ্যের কারও কোনও আশা নেই। কারণ তিনি তার দুর্নীতিবাজ নেতা ও মন্ত্রীদের বাঁচাতে ২৬ হাজার শিক্ষককে উৎসর্গ করেছেন। আমরা তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।

    এদিকে, বিজেপির বাইরে থেকে গেটে তালা লাগানোয় আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে বোরো অফিসে থাকা পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা বেরোতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। সেই সময় সেখানে থাকা আসানসোল দক্ষিণ থানার এক পুলিশ অফিসারের সাথে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বাদানুবাদ হয়। শেষ পর্যন্ত ঐ পুলিশ অফিসার বিজেপির লাগানো তালার চাবি বেশ কিছুক্ষন পরে খুঁজে পান। তারপর সেই তালা খুলে দেন ঐ পুলিশ অফিসার। তারপর স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বাইরে বেরোন।

  • ৯ দফা দাবিতে আসানসোল পুরনিগমের ৩ নং বোরো অফিসে সিপিএমের বিক্ষোভ / চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

    ৯ দফা দাবিতে আসানসোল পুরনিগমের ৩ নং বোরো অফিসে সিপিএমের বিক্ষোভ / চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– আসানসোলের রেলপারে আসানসোল পুরনিগমের ৩ নং বোরো অফিসে শুক্রবার সিপিএমের আসানসোল ৩ নং এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে ৯ দাবির একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বোরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহার হাতে। ছিলেন ৩ নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক অরুণ পান্ডে, সুকান্ত বন্দোপাধ্যায় , কাউসার হোসেন, উত্তম মন্ডল, মহঃ সালাউদ্দিন, লাড্ডু বক্সী, পারিজাত বোস।
    সিপিএমের সম্পাদক বলেন, এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবিগুলি ছিল রেলপার এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা সমাধান, আবাস প্রকল্পের আওতায় মানুষকে ঘর দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা। বোরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহার সাথে এই দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলোর সমাধানের দাবি জানানো হয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে উৎপল সিনহা বলেন, এদিন সিপিএমের পক্ষ থেকে কিছু দাবি নিয়ে তার সাথে দেখা করেছে। রেলপার এলাকার জল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। বোরো নং ৩ অফিসে তিনটি ট্যাঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই ট্যাঙ্কগুলি তৈরি হয়ে গেলে, জলের সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়ে যাবে। আবাসন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএসইউপি প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত আমার এলাকার ৯০০ জনকে আবাসন প্রদান করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্মল সাথীর কর্মীরা ঘরে ঘরে আবর্জনা সংগ্রহ করছেন। নিরাপদ স্থানে তা রাখা হচ্ছে যাতে এলাকায় কোনও ময়লা না থাকে। এটি একটি নতুন প্রকল্প। তার বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে কাজ চলছে। তিনি বলেন, অন্যান্য এলাকার মতো, আসানসোল পুরনিগমের বোরো নম্বর ৩ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে।

  • নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ / দুর্গাপুরে জেলা সভাপতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল

    নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ / দুর্গাপুরে জেলা সভাপতির নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল

    পাবলিক নিউজ দূর্গাপুর:– নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। শুক্রবার দুর্গাপুরের শংকরপুর এলাকায় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়। দেশজুড়ে ৭৪৮ টি নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গের সকল ব্লকে ব্লকে জেলায় জেলায় এই বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। এই মিছিলে পায়ে পা মিলিয়েছিলেন প্রায় হাজার খানেক আবাল বৃদ্ধ বনিতা। বিক্ষোভ মিছিলটি শংকরপুর মোড় থেকে শুরু হয়ে শংকরপুর গ্রাম পর্যন্ত হয়।
    এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সহ সকল প্রকার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য । এখন এমন অবস্থা যে সাধারণ মানুষের এবার জ্বর হলে , তার জন্য নামমাত্র প্যারাসিটামল কেনার ক্ষমতা থাকবে না। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছি।