Category: BANGLA

  • দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল/দূর্গাপুর:–পয়লা বৈশাখের রাতে বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটে কালি মন্দিরের দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলোনা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার হলো দুই চোর। ধৃতদের বাকি সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখের দিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটের কালি মন্দিরের পুরোহিত পুজো করে চলে যান।তারপরেই মন্দির চত্বরে জড়ো হয় ৪/৫ জন মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। আশেপাশের লোকজনেরা তা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। সেই সময় সুযোগ বুঝে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মন্দিরের সেবায়তের ভাইপো সেখানে আসেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে বুধবার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর ফাঁড়িতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজের সূত্র ধরে বুধবার রাতে বিধাননগরের কমিউনিটি সেন্টার থেকে দুই চোরকে গ্রেফতার কর করা হয় ।
    বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত দুজনকে বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ জানায়, ধৃত দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, তাদের বাকি সঙ্গী কারা ছিলো।

  • আসানসোলে হরিনাম সংকীর্তনকারী দলকে বাদ্য যন্ত্র বিলি মন্ত্রী মলয় ঘটকের………. বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    আসানসোলে হরিনাম সংকীর্তনকারী দলকে বাদ্য যন্ত্র বিলি মন্ত্রী মলয় ঘটকের………. বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক সোমবার আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকার গোপালপুরে হরিনাম সংকীর্তনকারী দলক ঢোল এবং মঞ্জিরা বিলি করেন। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে আসানসোল উত্তর বিধানসভা এলাকার অধীনে যতগুলি হরিনাম সংকীর্তনকারী দল রয়েছে, তাদের সকলকে ঢোল এবং মঞ্জীরা দেওয়া হবে। সেই মতো এদিন এখানে ঢোল ও মঞ্জীরা বিলি করা হলো। তিনি আরো বলেন, সংকীর্তন বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। কিন্তু আমরা যতই আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, ততই আমরা আমাদের ঐতিহ্য থেকে কোন না কোন ভাবে দূরে সরে যাচ্ছি। তাই সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে আমরা আমাদের বাংলার সংস্কৃতির শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারি। এই উপলক্ষে হওয়া এই অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান অনিমেষ দাস, পার্ষদ অর্জুন মাঝি ছাড়াও অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সালানপুরে মর্মান্তিক ঘটনা / গরম ডাল পড়ে পুড়ে মৃত্যু এক বছরের শিশুকন্যার…………..সালানপুর ও আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    সালানপুরে মর্মান্তিক ঘটনা / গরম ডাল পড়ে পুড়ে মৃত্যু এক বছরের শিশুকন্যার…………..সালানপুর ও আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল বাড়িতে উনুন থেকে গায়ে গরম ডাল পড়ে পুড়ে মৃত্যু হলো এক বছরের এক শিশুকন্যার। রবিবার দুপুরের মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। সালানপুর থানার রামডির বাসিন্দা মৃত শিশুর নাম রোশনি যাদব। সোমবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে শিশুকন্যার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালানপুর থানার রামডির বাসিন্দা সঞ্জিত যাদবের বাড়িতে রবিবার দুপুরে উনুনে ডাল রান্না হচ্ছিলো। বাড়ির মধ্যে কিছুটা দূরে শুয়ে খেলা করছিলো সঞ্জিত যাদবের এক বছরের মেয়ে রোশনি যাদব। আস্তে আস্তে সে উনুনের কাছে চলে আসে। সেই সময় আশেপাশে কেউ ছিলোনা। আচমকাই উনুনে রাখা কড়াই থেকে গরম ছোট্ট সঞ্জিতের উপরে পড়ে যায়। গরম ডালে তার পুরো শরীরটাই পুড়ে যায়। কান্না শুনে বাড়ির লোকেরা দৌড়ে আসেন। সঙ্গে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে শিশুকন্যার মৃত্যু হয়।

  • রানিগঞ্জে ১৯ নং জাতীয় সড়কে পথ দূর্ঘটনা / ডাম্পারের পেছনে বাসের ধাক্কা, আহত চালক সহ সাত যাত্রী…………. রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    রানিগঞ্জে ১৯ নং জাতীয় সড়কে পথ দূর্ঘটনা / ডাম্পারের পেছনে বাসের ধাক্কা, আহত চালক সহ সাত যাত্রী…………. রানিগঞ্জ ও আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– বাবাসাহেব ডঃ ভিম রাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীর র‍্যালিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হলো যাত্রী বোঝাই একটি বাস। বাসের চালক সহ সাত জন যাত্রী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে এই পথ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড়ের কাছে চুনাভাট্টি এলাকায়।
    জানা যায়, এদিন সকালে ইসিএলের একটি বাস করে জামুড়িয়ার চিচুুড়িয়া থেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে সংবিধান রচয়িতা বাবাসাহেব ডঃ ভিম রাও জন্মজয়ন্তী পালনের র‍্যালিতে যোগ দিতে যাচ্ছিল। জানা গেছে চিচুড়িয়ার থেকে যাওয়া এই বাসটিতে শিশু ও মহিলারা ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ আচমকাই ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড়ের কাছে চুনভাট্টি এলাকায় একটি ডাম্পারের পেছনে ঐ যাত্রী বোঝাই বাসটি ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় চারজন শিশু ও দুই মহিলা আহত হন। জখম হন বাসের চালকও বলে জানা গেছে। এই ঘটনার খবর পেয়ে রানিগঞ্জ থানা ও রানিগঞ্জ ট্রাফিক গার্ড পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আহত ৫ যাত্রীকে পুলিশ দ্রুত উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহত বাসের চালক ও একজন যাত্রীকে পাঠানো হয় রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে এই ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারটিকে নিয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে চালক চম্পট দেয়।
    জানা গেছে, এদিন সকালে সংবিধান রচয়িতা বাবাসাহেব ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ইসিএলের শাঁকতোড়িয়া এরিয়ায় একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিলো সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এই বাসটি করে যাচ্ছিলের জামুড়িয়ার বাসিন্দারা।

  • আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণির আসানসোল সৃষ্টিনগরের আবাসিক বাসিন্দারা সৃষ্টিনগর ম্যানেজমেন্ট বা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন। তাদের তরফে বাসিন্দাদের স্বার্থে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে। যদিও, সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষ বাসিন্দাদের তোলা সব অভিযোগ মানতে চাননি। দাবির ব্যাপারে, কতৃপক্ষের মন্তব্য, আলোচনায় বসে সব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্টিনগরের দুর্গা মন্দিরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা বলেন, তাদের দেওয়া ফি না চার্জের অনুপাতে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা খুবই নগণ্য। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী মনোভাব অবলম্বন করে তাদেরকে হয়রানি করছে।
    সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা, অনৈতিক ফি বৃদ্ধি না করা , দুর্নীতি বন্ধ, ক্লাবের অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা আনা, পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করা, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ সহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মতো বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, কতৃপক্ষ বাসিন্দা বা আবাসিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। যা বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি করছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে শহরের নিউরো সার্জেন ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ বসু ও সিং বলেন, আমরা যে ফি দিচ্ছি তার বিনিময়ে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। কোন কমিটি এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয় নি। কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও জবাবদিহি নেই । কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা দাবি করছি যে এই সমস্যাগুলি অবিলম্বে সমাধান করা হোক। একই সাথে, ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, ক্লাবের হিসাবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যখন তখন ফি বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অন্যায্য। তারা সৃষ্টিনগরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, যুবক-যুবতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে। নানা ধরনের বাজ কাজ করা হয়। কিন্তু তাদের দেখা বা আটকানোর কেউ নেই।
    বাসিন্দারা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। আপাততঃ আগামী ১২ এপ্রিল একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে সৃষ্টিনগরের বাসিন্দাদের তরফে। মিছিল শেষে কতৃপক্ষকে একটি দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি দেওয়া হবে।
    এই বিষয়ে আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের তরফে বেঙ্গল সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের গ্রুপ হেড (প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট) বিনয় কুমার চৌধুরী বলেন, আমরা আবাসিকদের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটা সবসময় দেখি। আমরা সবসময় বলি, কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে। এই সৃষ্টি নগরের ভেতরে একটা মল আছে। সেখানে বাইরে লোকেরা আসেন। তাদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। তিনি আরো বলেন, এবারেও আমরা আবাসিকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। তারা বলেছেন, মিছিল করে ডেপুটেশন দেবেন। আমরা তাতেই রাজি আছি। আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান চাই।

  • আসানসোলের পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয়জল নিয়ে মহকুমাশাসকের বৈঠক……….. আসানসোল, ৯ এপ্রিলঃ

    আসানসোলের পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয়জল নিয়ে মহকুমাশাসকের বৈঠক……….. আসানসোল, ৯ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :–চলতি গ্রীষ্ম বা গরমকালে পানীয়জলের সমস্যা মেটাতে বেশকিছু জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার করে জল সরবরাহ করা হয়। আসানসোল সাব ডিভিশন বা মহকুমায় বিভিন্ন ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সকল এলাকার জল ট্যাঙ্কার করে পানীয়জল সরবরাহের সুবন্দোবস্ত করতে বুধবার আসানসোলের মহকুমাশাসকের (সদর) কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে হওয়া এই বৈঠকে ইসিএলের সমস্ত এরিয়ার জিএম , পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার , বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
    বৈঠকের পরে মহকুমাশাসক (সদর) বলেন, পিএইচই ও ইসিএল সমস্ত এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করবে যেখানে জলের প্রয়োজন হবে। এই ব্যাপারে কাদের কি করনীয় তা এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

  • ভোটার তালিকার কাজে শাসক দলের জেলা স্তরে বিএলএ নিয়োগ / পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে ভি শিবদাসন…………. আসানসোল, ১০

    ভোটার তালিকার কাজে শাসক দলের জেলা স্তরে বিএলএ নিয়োগ / পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে ভি শিবদাসন…………. আসানসোল, ১০

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– এপ্রিলঃ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় জেলায় ভোটার তালিকার কাজের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করলো। তাদের বলা হচ্ছে বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ-১। পশ্চিম বর্ধমান জেলাও তার মধ্যে রয়েছে।
    রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজে গতি আনতে প্রতিটি জেলায় নেতৃত্বের হাতে এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসুকে। তাকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা স্তরের বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ-১) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
    রাজ্যের অন্যান্য জেলায় স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রীদের এই দায়িত্ব দেওয়া হলেও, পশ্চিম বর্ধমানে দল একজন সিনিয়র নেতার উপর ভরসা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
    এই নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভি শিবদাসন দাসু বলেন, আমি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের দুজনকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে তারা আমাকে এই দায়িত্বের যোগ্য মনে করেছেন। অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিএলএ-১ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
    তিনি আরও বলেন, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে মাঠে নেমে দলকে আরও শক্তিশালী করি। এই নিয়োগের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল স্তরে তাদের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করার দিকে আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের এই উদ্যোগকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • দেরাদুনে দুদিনের ” এইচএসএফইএ ২০২৫” সম্মেলন / বার্নপুর সেল আইএসপির মুকুটে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”…………., বার্নপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    দেরাদুনে দুদিনের ” এইচএসএফইএ ২০২৫” সম্মেলন / বার্নপুর সেল আইএসপির মুকুটে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”…………., বার্নপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– বার্নপুর সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানাকে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”-এ ভূষিত করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি কনফারেন্স অন হেলথ সেফটি, ফায়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্সেস ( এইচএসএফইএ ২০২৫ )-এ। এই সম্মেলন ৯ ও ১০ এপ্রিল দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হয়। যার আয়োজক ছিল ইউপিইএস, দেরাদুনের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাসটেইনেবিলিটি ক্লাস্টার।
    এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি মেটাল ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অসাধারণ অবদানের জন্য বার্নপুর সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানাকে স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
    এইচএসএফইএ ২০২৫ ছিল এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সম্মেলন। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট নেতা, শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদরা। এতে পাওয়ার, এনার্জি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি, স্টিল, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, কনস্ট্রাকশন, রিয়েল এস্টেট, ফার্টিলাইজার, কেমিক্যাল এবং এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি ( ইএইচএস)-র সাথে জড়িত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
    সম্মেলনে উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিল ওএনজিসি, সেল, এইপিসিএল, এনএফএল, জিন্দাল স্টেনলেস, ইআইএল, আইটিসি টেকনিপ, টাটা প্রজেক্ট এবং এল এন্ড টি। যা এই অনুষ্ঠানকে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

  • আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণির আসানসোল সৃষ্টিনগরের আবাসিক বাসিন্দারা সৃষ্টিনগর ম্যানেজমেন্ট বা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন। তাদের তরফে বাসিন্দাদের স্বার্থে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে। যদিও, সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষ বাসিন্দাদের তোলা সব অভিযোগ মানতে চাননি। দাবির ব্যাপারে, কতৃপক্ষের মন্তব্য, আলোচনায় বসে সব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্টিনগরের দুর্গা মন্দিরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা বলেন, তাদের দেওয়া ফি না চার্জের অনুপাতে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা খুবই নগণ্য। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী মনোভাব অবলম্বন করে তাদেরকে হয়রানি করছে।
    সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা, অনৈতিক ফি বৃদ্ধি না করা , দুর্নীতি বন্ধ, ক্লাবের অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা আনা, পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করা, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ সহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মতো বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, কতৃপক্ষ বাসিন্দা বা আবাসিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। যা বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি করছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে শহরের নিউরো সার্জেন ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ বসু ও সিং বলেন, আমরা যে ফি দিচ্ছি তার বিনিময়ে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। কোন কমিটি এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয় নি। কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও জবাবদিহি নেই । কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা দাবি করছি যে এই সমস্যাগুলি অবিলম্বে সমাধান করা হোক। একই সাথে, ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, ক্লাবের হিসাবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যখন তখন ফি বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অন্যায্য। তারা সৃষ্টিনগরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, যুবক-যুবতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে। নানা ধরনের বাজ কাজ করা হয়। কিন্তু তাদের দেখা বা আটকানোর কেউ নেই।
    বাসিন্দারা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। আপাততঃ আগামী ১২ এপ্রিল একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে সৃষ্টিনগরের বাসিন্দাদের তরফে। মিছিল শেষে কতৃপক্ষকে একটি দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি দেওয়া হবে।
    এই বিষয়ে আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের তরফে বেঙ্গল সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের গ্রুপ হেড (প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট) বিনয় কুমার চৌধুরী বলেন, আমরা আবাসিকদের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটা সবসময় দেখি। আমরা সবসময় বলি, কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে। এই সৃষ্টি নগরের ভেতরে একটা মল আছে। সেখানে বাইরে লোকেরা আসেন। তাদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। তিনি আরো বলেন, এবারেও আমরা আবাসিকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। তারা বলেছেন, মিছিল করে ডেপুটেশন দেবেন। আমরা তাতেই রাজি আছি। আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান চাই।

  • দলের কর্মীকে মারধর অভিযোগ / কাঠগড়ায় পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস / প্রতিবাদে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির.…….……, সালানপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    দলের কর্মীকে মারধর অভিযোগ / কাঠগড়ায় পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস / প্রতিবাদে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির.…….……, সালানপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:–পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের সালানপুর থানার পাহাড়গোরার বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো । সেই অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দূষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয় হওয়া ও ঐ বিজেপি কর্মীকে থানায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সূত্রপাত, গত ৬ এপ্রিল উমেশ নুনিয়া নামে ঐ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় । পরে সালানপুর থানার পাহাড়গোরা ক্যাম্পের পুলিশ ঐ বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। দাবি করা হয়েছে, কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই, শুধুমাত্র, ফোনে কথা শুনে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে তাকে ধরেছিলো। পরের দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল পুলিশ বিজেপি কর্মী উমেশ নুনিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে, বিচারক তার জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উমেশ নুনিয়া। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সালানপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপি। পাহাড়গোরা ক্যাম্পের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এই বিজেপি কর্মীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় ও বারাবনি মন্ডল ৪ র সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে। পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও তার আগে থানার গেটে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
    ধৃত উমেশ নুনিয়ার স্ত্রী শিলা কুমারী নুনিয়া বলেন, গত ৬ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত কয়েকজন দূষ্কৃতি আমার বাড়িতে চড়াও হয়। তারা আমার স্বামীকে তাদের গানের সঙ্গে জোর করে নাচতে বলছিলো। আমি তার প্রতিবাদ করি। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। আমার স্বামীকে মারা হয়। তখন আমি তার প্রতিবাদ করি। স্বামীকে বাঁচাতে যাই। আমার সময় তারা শ্লীলতাহানি করেছে। তিনি বলেন, ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ আমার স্বামীকেই গ্রেফতার করে। পরে তাকে পুলিশও থানায় মারধর করে। তার দাবি, আমার স্বামী এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
    ঘটনা নিয়ে মন্ডল সভাপতি পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হওয়ার ও দলের কর্মীকে অভিযোগ ছাড়াই থানায় তুলে আনার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশ এখন কোন কিছু করেনা। পুলিশ শুধুমাত্র তৃনমুল কংগ্রেসের হয়ে তোলা আদায় করে। পাহাড়গোরা ক্যাম্প তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
    যদিও এই প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ তাকে মারধর করেনি তিনি আরো বলেন উমেশ নুনিয়া মানসিক রোগী। তার চিকিৎসার দরকার রয়েছে। বাড়ির লোকের তা করা উচিত। এলাকার বাসিন্দারা সব জানেন।