Category: BANGLA

  • আসানসোল উত্তর বিধানসভা / ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি…….…….আসানসোল, ২০ এপ্রিল: ২০২৬

    আসানসোল উত্তর বিধানসভা / ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি…….…….আসানসোল, ২০ এপ্রিল: ২০২৬

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস। শাসক দল আবারও বাংলায় ক্ষমতায় আসতে এখন থেকে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। একেবারে প্রাথমিক স্তরে শাসক দলের লক্ষ্য ” ভোটার তালিকা “। শাসক দল ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলে দাবি করেছে যে, বিজেপি অন্য সব রাজ্যের মতো ভোটার তালিকায় কারসাজি করতে পারে এই বাংলায়। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে ভোট রক্ষা কর্মসূচি। বার করা হয়েছে একটি এ্যাপও।
    সেই লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রবিবার আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকা যাচাই ও সচেতনতার জন্য রবীন্দ্র ভবনে একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। এই কর্মসূচিতে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক ছাড়াও আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক , মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
    কর্মসূচিতে কলকাতা থেকে আসা আইপ্যাক (ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি)-এর প্রতিনিধিরা তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের ভোটার তালিকা যাচাইয়ের জন্য আধুনিক অ্যাপ, ডেটা মনিটরিং প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল যাচাইকরণ সরঞ্জাম ব্যবহারের পদ্ধতি শেখান। কর্মীদের এটাও শেখানো হয় যে কিভাবে জাল ভোটারদের নাম চিহ্নিত করতে হয় এবং সেগুলি নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট করতে হবে।
    মন্ত্রী সহ অন্য বক্তারা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত কর্মীদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা নিজ নিজ এলাকায় ভোটার তালিকার খুব ভালো করে পরীক্ষা এবং জাল বা ভুয়ো ভোটারদের চিহ্নিত করুন। আগামী সপ্তাহ থেকে বুথ ও ওয়ার্ড স্তরে নিয়মিত নজরদারি শুরু হবে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এর মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করবেন। যাতে আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার সমস্ত ত্রুটি সংশোধন করা যায়।
    এই কর্মসূচি কেবল মাত্র ভোটার তালিকার নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে না, বরং একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য , বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও, শাসক দলের নেতারা বিজেপির এই প্রশ্নে গুরুত্ব দিতে নারাজ।

  • ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচলে ছড়াচ্ছে দূষণ, কুলটিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ…………. কুলটি, ১৭ এপ্রিলঃ

    ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচলে ছড়াচ্ছে দূষণ, কুলটিতে অতিষ্ঠ বাসিন্দাদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ…………. কুলটি, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :–আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রাধানগরের জনবসতি এলাকার রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত ছাই বহনকারী ডাম্পার চলাচল করছে। এর ফলে এলাকার পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যেের উপর তার প্রভাব পড়ছে। শিশু থেকে বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বারবার এই ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা বিষাক্ত ছাই পরিবহন অবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার
    আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির রাধানগর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই রাস্তা দিয়ে ঢাকা না দিয়ে ডাম্পারে করে ছাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করা হয়েছে । এদিকে এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভের কারণে রাস্তায় ডাম্পার সহ অন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ আসে। পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে পুলিশের তরফে সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপরেই নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

    এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এলাকার মানুষেরা এদিন রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশ ৭ দিন সময় নিয়েছে। তিনি বলেন, যদি ৭ দিনের মধ্যে তার সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আগামী দিনে আরো বড় আকারে প্রতিবাদ আন্দোলন করা হবে।

  • ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি / সালানপুরে তিন বাম সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল, বিডিও অফিস অভিযান……………….সালানপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি / সালানপুরে তিন বাম সংগঠনের ডাকে বিক্ষোভ মিছিল, বিডিও অফিস অভিযান……………….সালানপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– আসানসোলের সালানপুর থানার ডাবর মোড় থেকে তিনটি বামপন্থী সংগঠন সিটু, এআইকেএস ও এআইএডব্লুইউের সালানপুর ব্লক কমিটির ডাকে একটি প্রতিবাদ মিছিল হয়। ” বিডিও অফিস চলো ” ডাক দেওয়া সেই মিছিল সালানপুর বিডিও অফিসে গিয়ে শেষ হয়। পরে তিন বাম সংগঠনের পাশাপাশি বামেদের যুব, কৃষক, মহিলা সহ অন্য সংগঠনের নেতা, নেত্রী ও কর্মীরা ছিলেন। সবশেষে ১০ দফা দাবির একটি স্মারক লিপি দেওয়া হয় সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসকে ।

    দাবি গুলির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রাপকের নামের তালিকা বেনিয়মে অভিযোগ উঠেছে। তার তদন্ত করে বেআইনি প্রাপকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আদিবাসী সহ যে সমস্ত গরীব মানুষদের নাম তালিকায় নেই তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।সালানপুর ব্লক এলাকায় বেআইনি ভাবে পাট্টা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। হিন্দুস্তান কেবলসের দখল হওয়া জমি দখল মুক্ত করতে হবে। ১০০ দিনের কাজ দ্রুত চালু করতে হবে।১০০ দিনের কাজকে ২০০ দিন ও মজুরি ৬০০টাকা করতে হবে। সালানপুর ব্লকে আইন শৃঙ্খলার অবস্থার উন্নতি করতে হবে। চুরি ছিনতাইের মতো অপরাধ বন্ধ করতে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বিভিন্ন রাস্তায় যানজট মুক্ত ও ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বয়স্কদের বন্ধ হয়ে যাওয়া পেনশন চালু করতে হবে। সালানপুর ব্লকের বন্ধ কারখানা গুলি খোলার উদ্যোগ নিতে হবে। বন্ধ কারখানায় জমিতে নতুন শিল্প গড়তে হবে। এলাকার বেকার যুবকদের এলাকাতেই কর্মস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেত্রী শিপ্রা মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা জনবিরোধী নীতি ও এলাকার সাধারণ মানুষদের সমস্যা গুলি নিয়ে এদিন বিডিও অফিস চলো অভিযান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ১০ দফা দাবির একটি স্মারক লিপি বিডিওকে দেওয়া হয়েছে।

  • আসানসোল পুরনিগমে প্রস্তুতি বৈঠক / দুদিনের ২৫ শে বৈশাখ পালনের অনুষ্ঠান….…….. আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    আসানসোল পুরনিগমে প্রস্তুতি বৈঠক / দুদিনের ২৫ শে বৈশাখ পালনের অনুষ্ঠান….…….. আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী পালিত হয় বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ২৫ শে বৈশাখে। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও আসানসোল পুরনিগমের তরফে ২৫ শে বৈশাখ পালন করা হবে । বৃহস্পতিবার থেকে আসানসোল পুরনিগমে এর প্রস্তুতি শুরু হলো। ঠিক হয়েছে আসানসোল পুরনিগম দুদিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে। এদিন আসানসোল পুরনিগমের কনফারেন্স হলে এই নিয়ে একটা বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, ওএস বীরেন অধিকারী সহ স্কুলের শিক্ষক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।
    এই প্রসঙ্গে, আসানসোল পুরনিগমের সংস্কৃতি বিভাগের মেয়র পারিষদ বলেন, প্রতি বছরের মতো, এই বছরও, আসানসোল পুরনিগম কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে। ২৫ শে বৈশাখ বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরি হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করা হবে। পরের দিন ২৬ বৈশাখ, অর্থাৎ দ্বিতীয় দিন গায়িকা ইন্দ্রাণী সেন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। তিনি আরো বলেন, আসানসোল পুরনিগম এবার দুদিন ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে।

  • দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    দুর্গাপুরে পয়লা বৈশাখের রাতে কালি মন্দিরে চুরির চেষ্টা / ধৃত দুই………. দুর্গাপুর, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ দূর্গাপুর :– পয়লা বৈশাখের রাতে বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটে কালি মন্দিরের দরজা ভেঙে চুরির চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলোনা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার হলো দুই চোর। ধৃতদের বাকি সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

    জানা গেছে, মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখের দিন রাত সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডিডিএ মার্কেটের কালি মন্দিরের পুরোহিত পুজো করে চলে যান।তারপরেই মন্দির চত্বরে জড়ো হয় ৪/৫ জন মন্দিরের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। আশেপাশের লোকজনেরা তা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। সেই সময় সুযোগ বুঝে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মন্দিরের সেবায়তের ভাইপো সেখানে আসেন। মন্দিরের পক্ষ থেকে বুধবার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিধাননগর ফাঁড়িতে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ সিসি টিভির ফুটেজের সূত্র ধরে বুধবার রাতে বিধাননগরের কমিউনিটি সেন্টার থেকে দুই চোরকে গ্রেফতার কর করা হয় ।
    বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত দুজনকে বিধান নগর ফাঁড়ির পুলিশ সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ জানায়, ধৃত দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, তাদের বাকি সঙ্গী কারা ছিলো।

  • পশ্চিম বর্ধমানে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান শুরু তৃণমূলের / ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে অ্যাপ ‘ দিদির দূত ‘……….. আসানসোল, ১৬ এপ্রিল:

    পশ্চিম বর্ধমানে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান শুরু তৃণমূলের / ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে অ্যাপ ‘ দিদির দূত ‘……….. আসানসোল, ১৬ এপ্রিল:

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করতে বা ধরতে ‘ বাংলার ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করলো। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের জিটি রোডের রাহা লেন মোড় সংলগ্ন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে ” বাংলার ভোট রক্ষা ” অভিযান এবং ‘ দিদির দূত ’ অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সেক্রেটারি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিএলএ-১ ভি শিবদাসন ওরফে দাসু, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত ও ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায়।
    সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ভুয়ো বা ভুতুড়ে ভোটারদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছে। দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে যার ফলে তারা জয়লাভ করেছে। ২০২৬ এর বিধানসভা সামনে রেখে বাংলায় বিজেপি একই জিনিস করতে চাইছে। শাসক দলের জেলা সভাপতি সতর্ক করে বলেন, বাংলায় এই ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভোট রক্ষা অভিযান’ শুরু করেছেন। যার উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করা এবং নকল ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না দেওয়া। বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো।
    তিনি বলেন , এই অভিযানের আওতায় তৃণমূল কর্মীরা টাউন, ব্লক এবং পঞ্চায়েত স্তরে কাজ করবেন। দলটি জেলা ও বিধানসভা স্তরে বিএলও-১ এবং বুথ স্তরে বিএলও-২ নিয়োগ করেছে। এছাড়াও দুটি নতুন স্তর যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলি হলো একটি ব্লক ও টাউন স্তরে, অপরটি পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড স্তরে। এই কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রকৃত ভোটারদের চিহ্নিত করবেন এবং ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ও তা বাদ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
    তিনি আরো বলেন, জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত প্রায় এক লক্ষ তৃণমূল কর্মীকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। দলের এইসব কর্মীদের আধুনিক সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে এবং ‘দিদির দূত’ অ্যাপ তাদের সহায়তা করবে। এই অ্যাপ ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করতে এবং ভোটার তালিকা যাচাইয়ে সহায়ক হবে।
    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে শাসক দলের জেলা সভাপতি অভিযোগ করেন, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, বিজেপি বাংলায় সাম্প্রদায়িক আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিজেপি ভুলে যায় না যে, এই আগুনে তাদেরও হাত পুড়বে। বিজেপির নেতারা উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বলে দাবি জেলা সভাপতির।

  • আসানসোল মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগ / বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন করতে সেমিনার……….আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    আসানসোল মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগ / বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন করতে সেমিনার……….আসানসোল, ১৭ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোল মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার আসানসোলের উষাগ্রামের গুজরাটি ভবনে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ” আর্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট ” শীর্ষক এই সেমিনারের উদ্দেশ্য হলো সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন করা। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি হিরেন ব্যাস বলেন, এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কোন খাতে বিনিয়োগ করা উচিত তা নিয়ে মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত। এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য, আসানসোল মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। সেই সেমিনারে কলকাতা থেকে একজন অতিথি বক্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যিনি এই বিষয়ে জনগণকে সচেতন করবেন। তিনি আরো বলেন, সমাজের প্রতিটি অংশ এবং প্রতিটি শ্রেণীর মানুষ বিনিয়োগ করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না কোথায় বিনিয়োগ করা যাবে। এখন শেয়ার বাজার এত দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছে যে মানুষ ভীত। এমন পরিস্থিতিতে, জনগণকে সঠিক দিক নির্দেশ দেওয়ার জন্য আসানসোল মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এই সেমিনারের আয়োজন করেছে। এদিনের সেমিনারে, সংগঠনের সভাপতি হিরেন ব্যাস ছাড়াও, সম্পাদক দিলীপ টোডি, সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আগরওয়াল, বোর্ড সদস্য রাহুল শেঠ, সন্দীপ ডোলি উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এই সেমিনারে ব্যবসায়ী তথা দক্ষিণবঙ্গের বনিকসভা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফসবেকির সভাপতি শচীন রায় এবং বিনোদ গুপ্ত সহ অন্যান্যরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

  • মুর্শিদাবাদে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে খুনের প্রতিবাদ/ বার্নপুরে বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে হিন্দু শহীদ দিবস পালন ও রাস্তা অবরোধ………… বার্নপুর, ১৬ এপ্রিলঃ

    মুর্শিদাবাদে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে খুনের প্রতিবাদ/ বার্নপুরে বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে হিন্দু শহীদ দিবস পালন ও রাস্তা অবরোধ………… বার্নপুর, ১৬ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় দূষ্কৃতিরা পেশায় মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস এবং তার ছেলে চন্দন দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
    এর প্রতিবাদে গোটা রাজ্য জুড়ে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি।
    বুধবার বিকেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বার্নপুরোর ত্রিবেণী মোড় রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা । পালন করা হয় হিন্দু শহীদ দিবস। রাস্তার মোড়ে তৈরি করা হয় একটি শহীদ দেবী। যাতে খুন হওয়া বাবা ও ছেলের ছবি ছিলো। সেই বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
    পরে বিধায়ক বলেন, গত ৮ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং তার ছেলে চন্দন দাসকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা খুবই ন্যাক্কারজনক। এক সম্প্রদায়ের দূষ্ক তাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সনাতনী হিন্দুর বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটালো হয়েছে। পুলিশ কাউকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। তার প্রতিবাদে এদিন সমগ্র বাংলায় বিজেপি হিন্দু শহীদ দিবস পালন করছে। তিনি আরো বলেন, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উসকানি দিয়েছিলেন। তিনি একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করছেন। পুলিশ সবকিছু দেখেও, কিছু করছে না। সেখানে হাইকোর্ট গোটা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেয়। তারপরে এলাকায় শান্তি ফেরার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের তোষণের জন্য শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গোটা বাংলায় হিন্দুরা বিপন্ন। একমাত্র বাংলায় বিজেপি সরকার এলে হিন্দুরা রক্ষা পাবেন।
    এদিন বিজেপির এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ প্রায় আধঘন্টার মতো হয়।
    এদিকে, বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বার্নপুরে হওয়া রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, কারা দাঙ্গা করে, উসকানি দেয়, ধর্মের ভেদাভেদ করে রাজনীতি করে, শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের মানুষেরা জানেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন যে, মুর্শিদাবাদের ঘটনা কাদের পরিকল্পিত ও প্ররোচনায় হয়েছে।

  • আসানসোল শহরের উন্নয়ন ও একাধিক সমস্যা / মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে ফসবেকির প্রতিনিধিদল….……….., আসানসোল, ১৬ এপ্রিলঃ

    আসানসোল শহরের উন্নয়ন ও একাধিক সমস্যা / মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে ফসবেকির প্রতিনিধিদল….……….., আসানসোল, ১৬ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় বনিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক প্রতিনিধিদল বুধবার আসানসোল পুরনিগমে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ফসবেকির সভাপতি শচীন রায়। প্রতিনিধিদল মেয়রের হাতে আসানসোল শহরের পাশাপাশি রানিগঞ্জ, বার্নপুর সহ গোটা শিল্পাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে একাধিক সমস্যা ও সমাধানের জন্য একটি স্মারক লিপি তুলে দেন। তাদের সঙ্গে মেয়র গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

    পরে সাংবাদিকদের এই বিষয়ে ফসবেকির সভাপতি শচীন রায় বলেন, এদিন আমরা আসানসোলের উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেছি। আসানসোল শহরের ভেতরে যানজটের সমস্যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরো বলেন, এদিন জিটি রোডের গোধুলি থেকে লোকো ময়দান পর্যন্ত একটি উড়ালপুল বা ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য মেয়রের কাছে একটি দাবি করা হয়েছে। মেয়রও শহরে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন যে স্থানীয় প্রশাসনও এর জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি আমরা বার্নপুর বিমানবন্দর অবিলম্বে চালু করার দাবি করা হয়েছে। ফসবেকির প্রতিনিধিদল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কিছু গাছের কারণে বিমানবন্দর শুরু করতে সমস্যা হচ্ছে। সংগঠনটি মেয়রের সামনে আরেকটি প্রস্তাব পেশ করেছে। তা হল জিটি রোডের পাশে একটি বহুতল পার্কিং প্লাজা নির্মাণের দাবি। শচীন রায় বলেন, বাজারের ভেতরে যানজট সমস্যা খুবই তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর থেকে মুক্তি পেতে, জিটি রোডের পাশে বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটি বহুতল পার্কিং প্লাজা তৈরি করা প্রয়োজন। মেয়রও ফসবেকির এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন এবং বলেন যে, এই ধরণের বহুতল পার্কিং প্লাজা নির্মাণের মাধ্যমে যানজট সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে। ফসবেকি প্রতিনিধিদল বাঁকুড়া জেলাকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাথে সংযুক্ত করার জন্য দামোদর নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণেরও দাবি জানিয়েছে। শচীন রায় বলেন, মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেছেন যে এটি একটি খুব ভালো প্রস্তাব। এর ফলে দুই জেলার মধ্যে যান চলাচলকে অনেক সহজ করবে। শচীনবাবু বলেন, আমরা আশাবাদী যে মেয়রের সাথে যে বৈঠক হয়েছে, তাতে আসানসোল শহরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য অর্থবহ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাতে আসানসোলের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি খুব শীঘ্রই সমাধান করা যায়।

    এই প্রতিনিধিদলে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্পাদক সঞ্জীব ঝুনঝুনওয়ালা, আরপি খৈতান, পবন গুটগুটিয়া, বিনোদ গুপ্তা ও স্বপন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

    এই বিষয়ে বিধান উপাধ্যায় বলেন, এদিন ফসবেকির একটি প্রতিনিধিদল আমার সাথে দেখা করে আসানসোলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন । সংগঠনের প্রতিনিধিদলের বলা বিষয়গুলি খুবই যুক্তিসঙ্গত এবং যদি সেই সমস্যাগুলি সমাধান করা যায়, তাহলে অবশ্যই আসানসোলকে একটি উন্নত শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। পুরনিগমের তরফে সবকিছু গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • মুর্শিদাবাদে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে খুনের প্রতিবাদ/ বার্নপুরে বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে হিন্দু শহীদ দিবস পালন ও রাস্তা অবরোধ………… বার্নপুর, ১৬ এপ্রিলঃ

    মুর্শিদাবাদে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে খুনের প্রতিবাদ/ বার্নপুরে বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে হিন্দু শহীদ দিবস পালন ও রাস্তা অবরোধ………… বার্নপুর, ১৬ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:–মুর্শিদাবাদে সম্প্রতি হওয়া গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় দূষ্কৃতিরা পেশায় মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস এবং তার ছেলে চন্দন দাসকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ।
    এর প্রতিবাদে গোটা রাজ্য জুড়ে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি।
    বুধবার বিকেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বার্নপুরোর ত্রিবেণী মোড় রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা । পালন করা হয় হিন্দু শহীদ দিবস। রাস্তার মোড়ে তৈরি করা হয় একটি শহীদ দেবী। যাতে খুন হওয়া বাবা ও ছেলের ছবি ছিলো। সেই বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
    পরে বিধায়ক বলেন, গত ৮ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে হরগোবিন্দ দাস এবং তার ছেলে চন্দন দাসকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা খুবই ন্যাক্কারজনক। এক সম্প্রদায়ের দূষ্ক তাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, অনেক সনাতনী হিন্দুর বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে এই ঘটনা ঘটালো হয়েছে। পুলিশ কাউকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। তার প্রতিবাদে এদিন সমগ্র বাংলায় বিজেপি হিন্দু শহীদ দিবস পালন করছে। তিনি আরো বলেন, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উসকানি দিয়েছিলেন। তিনি একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করছেন। পুলিশ সবকিছু দেখেও, কিছু করছে না। সেখানে হাইকোর্ট গোটা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেয়। তারপরে এলাকায় শান্তি ফেরার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের তোষণের জন্য শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, গোটা বাংলায় হিন্দুরা বিপন্ন। একমাত্র বাংলায় বিজেপি সরকার এলে হিন্দুরা রক্ষা পাবেন।
    এদিন বিজেপির এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ প্রায় আধঘন্টার মতো হয়।
    এদিকে, বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে বার্নপুরে হওয়া রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, কারা দাঙ্গা করে, উসকানি দেয়, ধর্মের ভেদাভেদ করে রাজনীতি করে, শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের মানুষেরা জানেন। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন যে, মুর্শিদাবাদের ঘটনা কাদের পরিকল্পিত ও প্ররোচনায় হয়েছে।