Category: BANGLA

  • পেঁয়াজ, রসুন ও টমেটোর দাম আকাশছোঁয়া / আসানসোলের সবজি বাজারে হানা মহকুমাশাসকের

    পেঁয়াজ, রসুন ও টমেটোর দাম আকাশছোঁয়া / আসানসোলের সবজি বাজারে হানা মহকুমাশাসকের

    পাবলিক নিউজঃ আসানসোল:– পুজোর মুখে বেশকিছু সবজির দামে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। যার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও টমেটো। এই তিন সবজির দাম একেবারে আকাশছোঁয়া।
    আসানসোলের মেন বাজার সহ শিল্পাঞ্চলের সব খুচরো বাজারে বলতে পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও রসুন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একমাত্র পটল বাদে অন্য সবজির দাম ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে।
    এমন অবস্থায় শুক্রবার আসানসোলের জিটি রোডের হোলসেল সবজি বাজারে হানা দিলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বা ইবি, এগ্রি মার্কেটিং সহ অন্য সরকারি দপ্তরের আধিকারিকরা।
    মহকুমাশাসক হোলসেল বিক্রেতার কাছে জানতে চান, টমেটো, রসুন ও পেঁয়াজের এতো দাম কেন নেওয়া হচ্ছে? তিনি বিক্রেতার কাছ এইসব জিনিস কেনা ও বিক্রি করার চালান দেখতে চান। কিন্তু বেশ কয়েকজন তা দেখাতে পারেননি। তাদেরকে মহকুমাশাসক সতর্ক করে দেন। একজনকে দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

    এই প্রসঙ্গে পরে মহকুমাশাসক (সদর) বলেন, টমেটো ও রসুনের দামটা অনেক বেড়েছে। খুচরো মার্কেটে তা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমরা হোলসেল বাজারে অভিযানে এসেছি। তার কারণ এখান থেকেই খুচরো বাজারে এগুলো যায়। আমরা সতর্ক করেছি। বলেছি দাম ঠিক রাখতে। ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়ানো যাবে না। পেঁয়াজের দাম আরো কিছুটা কম হলে, সাধারন মানুষেরা স্বস্তি পাবেন। প্রশাসন তা চেষ্টা করছে। তবে তিনি বলেন, এর আগে ওজনের মেশিন নিয়ে এর আগে অনেক অভিযোগ ও গরমিল ধরা হয়েছিলো। তখন তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিলো। এদিন অভিযানে এসে দেখলাম, এখন অনেকটাই ঠিক হয়েছে।

  • শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করলেন মেয়র।

    শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করলেন মেয়র।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– শুক্রবার সকালে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র জানান আসানসোল শহরের বিভিন্ন রাস্তা বিদ্যুৎ দপ্তরের কেবল লাইন বসানোর জন্য রাস্তা কাটার ফলে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে জনগণের আসানসোল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে সেসব রাস্তা মেরামত করার জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে আসানসোলের এস বি গড়াই রোড, হটন রোড, নুরুদ্দীন রোড, রহমতনগরের রাস্তা মেরামত করা হবে আপাতত চলাচলের যোগ্য করা হবে পিচ বা ঢালাই রাস্তা পরে করা হবে।

    জনগণের সুবিধার জন্য আসানসোল পৌরনিগমের পক্ষ থেকে সবসময়ই কাজ করে যাচ্ছে পূজোর সময় জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে তিনি আসানসোল পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে আলোচনা করে রাস্তা কতদূর মেরামত করা হয়েছে এবং রাস্তার গর্ত আছে কি না সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। খুব শীঘ্রই রাস্তা মেরামত করার কাজ শেষ হয়ে যাবে। ষষ্ঠী থেকে ছট পূজা পর্যন্ত উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে গেলে পিচ ও ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হবে আপাতত সব রাস্তার গর্ত বন্ধ করে সমান করে দেওয়া হয়েছে জনগণের চ লাচলের সুবিধার জন্য।

  • আসানসোল থেকে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাবার ট্রেনে স্টপেজের দাবিতে ফসবেকীর পক্ষ থেকে ডিআরএমের সাথে দেখা করলেন।

    আসানসোল থেকে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাবার ট্রেনে স্টপেজের দাবিতে ফসবেকীর পক্ষ থেকে ডিআরএমের সাথে দেখা করলেন।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– শুক্রবার দুপুরে ফসবেকী ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে ডিআরএমের সাথে দেখা করলেন সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের অধ্যক্ষ আর পি খৈতান, সম্পাদক শচীন রায়, কোষাধ্যক্ষ রাজেশ দারুকা। আর পি খৈতান জানান আসানসোল থেকে কলকাতা যাবার জন্য কোলফিল্ডের পর ট্রেনের দাবি, রাজধানী ও দুরন্ত ট্রেনে কলকাতা যাবার টিকিট দেবার দাবি, সীতারামপুর থেকে দোমহানি জামুড়ীয়া হয়ে কলকাতা যাবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে ডিআরএম তাদের কিছু প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন এবং সেগুলো খুব শীঘ্রই করা হবে বলে জানিয়েছেন।

  • ২৬ শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বুদবুদের কোটা গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়।

    ২৬ শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বুদবুদের কোটা গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়।

    পাবলিক নিউজঃ কাঁকসা:-২৬ শে সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বুদবুদের কোটা গ্রামে অবস্থিত কোটা চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করা হয়।প্রদীপ প্রজ্জলনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা সহ বুদবুদ থানার পুলিশ আধিকারিকরা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের সমাজ সেবীরা। গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চানন নায়েক জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে কোটা গ্রামের বাসিন্দা, তার মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী, মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপন করার জন্য বিদ্যালয় এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

    তার সেই আবেদন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঞ্জুর করলে। বৃহস্পতিবার মহা ধুমধামে বিদ্যাসাগরের মূর্তির উন্মোচন করা হয় অন্যদিকে গ্রামেরই এক বাসিন্দা যিনি বর্তমানে ঝাড়খন্ডে বসবাস করেন। স্বামী বৈকুন্ঠ নাথ দে তার মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে মায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি বিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেন। এদিন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ও উন্মোচন করা হয়। বিদ্যালয় এর প্রাক্তন ছাত্র তথা বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সদস্য বাসুদেব আকুড়ে জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে তারা গর্বিত। এতদিন বিদ্যালয়ে কোনো মনীষীর মূর্তি ছিল না। বর্তমানে দুই মনীষীর মূর্তি উন্মোচন করার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দুই মনীষীর বিষয়ে জানার আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমন বিদ্যালয়ের পড়াশোনার মান আরো উন্নত হবে বলে তার দাবি।

  • নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মারলো যাত্রীবাহি বাস।

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মারলো যাত্রীবাহি বাস।

    পাবলিক নিউজঃ কাঁকসা:-নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মারলো যাত্রীবাহি বাস।আজ সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস জাতীয় সড়ক ধরে পানাগড় রেল ব্রিজ অতিক্রম করে দ্রুত গতিতে সার্ভিস রোডে ঢোকার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মেরে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।বাস টি দাঁড়িয়ে পড়তেই বাসের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন।অন্যদিকে স্কুটি আরোহী রাস্তার উপর পড়ে গেলে তার উপর দিয়ে বাসের চাকা চলে যায়।গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে কাতরাতে থাকেন স্কুটি আরোহী।

    দুর্ঘটনার খবর বুদবুদ থানার পুলিশকে দেওয়া হলেও প্রায় এক ঘন্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার আধ ঘন্টা পরে এমব্যুলেন্স করে গুরুতর আহত স্কুটি আরোহীকে কাঁকসার রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়।একদিকে দেরি করে পুলিশ আসায় ও তার পরেও দেরি করে আহত কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বুদবুদ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা।পুলিশ আহটকে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি যাত্রীবাহী বাস টিকে আটক করে অন্যত্র সরিয়ে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

  • দুস্থ মেধাবী ছাত্রীথ পাশে দাঁড়ালেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল লালন।

    দুস্থ মেধাবী ছাত্রীথ পাশে দাঁড়ালেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল লালন।

    পাবলিক নিউজঃ আউসগ্রাম :–দুস্থ মেধাবী ছাত্রীথ পাশে দাঁড়ালেন আউশগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল লালন। কাঁকসা থানার হাজরাবেরা গ্রামের বাসিন্দা জুলি পাল নামে ওই ছাত্রীর হাতে আব্দুল লালন আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন। জুলি জানিয়েছেন বিএড পড়ার সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারবেন কিনা তানিয়ে দুঃচিন্তায় ছিলেন। এই খবর পেয়ে আব্দুল লালন তাকে ভর্তি ফিএর টাকা এদিন বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছেন বি এড পড়ার খরচ তিনি বহন করবেন।


    জানা গিয়েছে এদিন বৃহস্পতিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আউশগ্রামের অমরপুর অঞ্চল এলাকায় স্বচ্ছতা অভিযান চালানো হয়। এনিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছিলেন আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুই, সিডিপিও মহম্মদ ইমরান। এই অনুষ্ঠানের মধ্যেই জুলি পালের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন আব্দুল লালন।
    কাঁকসা থানার হাজরাবেরা গ্রামে বাড়ি জুলির। বাবা পরেশ পাল রঙমিস্ত্রির কাজ করেন। খুব গরিব পরিবার। আর কষ্ট করেই ইংরেজি বিষয়ে এম এ পাশ করেছেন জুলি। এরপর বিএডের জন্য আবেদন করেছিলেন। বর্ধমানে বি এডের জন্য সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু অ্যাডমিশন ফি এর টাকা পর্যন্ত ছিল না। স্থানীয় এলাকা থেকে এই খবর পান গেঁড়াই গ্রামের বাসিন্দা আবদুল লালন। আবদুল লালন বলেন,”জুলিকে বলেছি বিএড পড়ার জন্য যা খরচ হবে সবটার ব্যবস্থা করে দেব।”

  • আসানসোল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে পূজা কমিটিদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক এবং অনুদান বিতরণ।

    আসানসোল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে পূজা কমিটিদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক এবং অনুদান বিতরণ।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোল পৌরনিগমের সভাগৃহে আসানসোল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে দক্ষিণ থানা এলাকার সকল পূজা কমিটিদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পরিষদের সদস্য গুরুদাস চ্যাটার্জী, আসানসোল দক্ষিণ থানার ওসি, ডিসিপি সহ বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিক এবং বিভিন্ন পূজা কমিটি উপস্থিত ছিলেন।

    ডিসিপি পূজা কমিটিদের উদ্দেশ্যে জানান প্রশাসন থেকে বিভিন্ন পূজা কমিটির জন্য একটা নির্দেশিকা জারি করেছেন, প্রত্যেক পূজা প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করার জন্য যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে, প্যান্ডেলে ঢোকার রাস্তা প্রশস্ত রাখতে হবে, স্বেচ্ছাসেবক বাড়াতে হবে যাতে দর্শনার্থীদের কোন রকম অসুবিধা হলে সেটা সমাধান করতে হবে, পার্কিং এর জায়গা প্যান্ডেলে থেকে কিছু দূরে করতে হবে এবং গাড়ী বার করা নিয়ে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেটা স্বেচ্ছাসেবকরা নিয়ন্ত্রিত করবে। পুলিশ প্রশাসন থেকে প্রত্যেক পূজা প্যান্ডেলে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বিভিন্ন পূজা কমিটিদের সরকারি অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।

  • আবারও জল ছাড়লো ডিভিসি, বন্যার আশঙ্কা।

    আবারও জল ছাড়লো ডিভিসি, বন্যার আশঙ্কা।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী মাইথন:– বৃহস্পতিবার থেকে ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চায়েত জলাধার থেকে আবার জল ছাড়া শুরু করলো ডিভিসি কতৃপক্ষ। ইতিপূর্বে ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এটা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হবার পর ডিভিসি কতৃর্পক্ষ জল ছাড়া বন্ধ করলেও বিগত দুদিন নিম্নচাপের প্রভাবে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে নদীগুলোর জলস্তর বেড়ে যাওয়াতে ডিভিসির মাইথন এবং পাঞ্চায়েত জলাধারে জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করাতে কতৃর্পক্ষ জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চায়েত জলাধার থেকে ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে এবং অন্যদিকে দূর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কতৃর্পক্ষ। ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গে পুনরায় বন্যার আশঙ্কা, পূজোর আগে এইরকম বৃষ্টিতে আর বন্যার ফলে দুঃশ্চিন্তায় গ্রামবাসীরা।

  • বারো দফা দাবি নিয়ে সালানপুর বিডিও দপ্তরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ।

    বারো দফা দাবি নিয়ে সালানপুর বিডিও দপ্তরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ।

    পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী /প্রকাশ দাস শালানপুর :– ১২ দফা দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সালানপুর বিডিও দপ্তরে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনগণ বিক্ষোভ দেখান। লক্ষীন্দর টুডু জানান কিছু অসাধু লোক জাল শংসাপত্র বানিয়ে তফসিলি জাতি উপজাতিদের সুবিধা ভোগ করছেন ফলে আদিবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছেন অবিলম্বে তদন্ত করে সেইসব শংসাপত্র বাতিল করতে হবে।

    কিছু জমি মাফিয়া বিএলআরওর সাথে যোগসাজস করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জমি নিজেদের নামে স্থানান্তরিত করে নিচ্ছে এবং সেই জন্য বিএলআরও দপ্তর অফিস সময়ের পর খোলা হয় এবং গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাধারনত সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে কিন্তু সালানপুর বিএলআরও দপ্তর বিকাল পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং সেই সময় জমি মাফিয়াদের ভীড় থাকে বিডিওকে সব অভিযোগ জানাবার পর তিনি সবাইকে তার ফোন নং দিয়ে আশ্বস্ত করলেন তিনি সবকিছুর তদন্ত করবেন এবং ভবিষ্যতে কোন অসামাজিক কার্যকলাপে তাকে খবর দিতে।

  • চিত্তরঞ্জন শহরে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ / পুজোর সময়ে বন্ধ রাখতে রেল মন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের / আবেদনে সাড়া কতৃপক্ষের

    চিত্তরঞ্জন শহরে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ / পুজোর সময়ে বন্ধ রাখতে রেল মন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের / আবেদনে সাড়া কতৃপক্ষের

    পাবলিক নিউজঃ চিত্তরঞ্জন :–চিত্তরঞ্জন রেল শহরের আমলাদাহি বাজারে বেআইনী দোকান উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সিএলডবলু ( চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কস) বা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা ছিলো। কিন্তু তার আগের দিন বৃহস্পতিবার এই উচ্ছেদ অভিযান আপাততঃ এই পুজোর সময় বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাতে তিনি ছট পুজো পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার বলেন। তারপর নিয়ম মতো রেল এই কাজ করতে পারে বলে জানানো হয়। জানা গেছে, বিজেপি বিধায়কের এই আবেদনে সাড়া দিয়েছে রেল মন্ত্রক। গোটা বিষয়টি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা জেনারেল ম্যানেজারকে জানানো হয়। রেল সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আপাততঃ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখছে বলে জানা গেছে। এদিন রেলের তরফে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের আমলাদহি বাজারে বেআইনী দোকান উচ্ছেদ অভিযান করেনি।


    স্বাভাবিক ভাবেই ঐসব দোকানদার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা খুশি। তারা বিজেপি বিধায়কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমি বর্তমানে নির্বাচনের জন্য ঝাড়খণ্ডে ব্যস্ত আছি। কিন্তু আমি চিত্তরঞ্জনে রেলের তরফে হওয়া এই অভিযানের কথা জানতে পারি। বুধবারই আমি রেল মন্ত্রীকে একটা চিঠি লিখি। তাতে বলি, সামনে একসঙ্গে পরপর দূর্গাপুজো, কালিপুজো ও ছটপুজো আছে। এমন সময় ঐসব দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হলে, দোকানদার ও তার পরিবারের সদস্যরা বিপদে পড়বেন। আমি জানি ওরা বাজারে বেআইনী ভাবে বসে ব্যবসা করছে। তবুও, তারা অনেক জিনিস এনে ব্যবসা করে কিছু লাভ করায় আশায় রয়েছেন। এমন সময় করলে, তা ভালো হবেনা। তাই রেল মন্ত্রীকে ছট পুজো পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখতে আবেদন করি। আমার আবেদন মন্ত্রী রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু রেলের জায়গা দখল করা বেআইনি কাজ, তাই ছট পুজোর পরে রেল আইন মেনে যা রেলের তরফে যা করার, তারা তা করুক।

    আমি আরো বলেছি, ওখানে আইন মতো যারা দোকান করছেন, তাদের কিছু সমস্যা আছে। যেমন পারিবারিক সূত্রে অনেকে দোকান করছেন। কিন্তু তাদের মালিকানা নেই। তারা যাতে তা পায়, সেটা যেন রেল দেখে। মন্ত্রীর তরফে তা দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক এরজন্য রেল মন্ত্রী ও রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গতঃ, রেলের তরফে বলা হয়েছে ঐ বাজারে ১১০০ এর মতো আইনী দোকান আছে। ১৫০ বেআইনি দোকান আছে। সেগুলি উচ্ছেদ করা হবে। এক আধিকারিক বলেন, আপাততঃ ছট পুজো পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখা হচ্ছে।