পাবলিক নিউজ মনোজ শর্মা বারাবানি :–আসানসোলের বারাবনির জামগ্রাম পল্লী উন্নয়ন সমিতির সভাকক্ষে শনিবার ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার সহযোগিতায় জামগ্রাম পল্লী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এক চক্ষু পরীক্ষা শিবির আয়োজন করা হয়। এক অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে ও প্রদীপ জ্বালিয়ে এই শিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এরিয়ার এজেন্ট স্বরূপ কুমার দত্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএম মান্না, অমিতাভ চক্রবর্তী ও গৌরান্ডী কোলিয়ারির পার্সোনাল ম্যানেজার আশুতোষ কুমার। ষষ্ঠ বর্ষের এই চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে প্রায় ১০০ জন চোখ দেখাতে এসেছিলেন বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:—আসানসোল পুরনিগমের ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে মূর্গাশোল এলাকায় হাইড্রেনের কাছে জিটি রোডে ধসের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে এই ধসের ফলে রাস্তায় ফাটল ধরা দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও প্রশাসনকে। পরে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে এলাকাটি ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। ধসের কারণে ফাটল ধরায় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন আসানসোল পুরনিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রণবীর সিং ভারারা ওরফে জিতু। পরে তিনি বলেন, এই এলাকাটি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন যে যদি কোন বড় গাড়ি সেখান দিয়ে যায় , তাহলে পুরো রাস্তাটি ভেঙে পড়তে পারে। রণবীর সিং ভারারা আরো বলেন, এখানকার উঁচু ড্রেনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল। এখন সেই ড্রেনের পিলারের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পুরো রাস্তাটি ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে। যদি অবিলম্বে এটি মেরামত না করা হয়, তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কাউন্সিলর বলেন, আমি এই বিষয়টি আসানসোল পুরনিগমের মেয়র, পুরকমিশনার, দুই ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান সহ সবাইকে অবহিত করেছি ।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:— মানুষ বা মানব শরীরে রক্তের কোনো বিকল্প নেই। প্রতি দুই সেকেন্ডে কারো না কারোর রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রতিদিন ৩৮ হাজার ইউনিটের বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। একইভাবে, প্রতি বছর মোট ৩০ মিলিয়ন রক্তের উপাদান স্থানান্তরিত হয়। দুর্ঘটনাজনিত আঘাতের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয়। চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে, আমাদের রক্তের প্রয়োজন হয়। দুর্ঘটনাজনিত আঘাত, পোড়া, হেমোরেজিক, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, থ্যালাসেমিয়া এবং হেমোলাইটিক রোগের মতো রোগের চিকিৎসার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তদানের উপকারিতা, যেমন জীবন বাঁচানোর ক্ষমতা, সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সুবিধা এবং মানসিক পুরষ্কার। রক্তদান করা সহজ, দ্রুত এবং সুবিধাজনক। বছরে অন্তত একবার রক্ত দান করা আপনার রক্তের প্রবাহ উন্নত করতে এবং ধমনীতে বাধা কমাতে সাহায্য করতে পারে। রক্তদান ত্বক সম্পর্কিত ব্যাধি বা অসুখ কমাতে পারে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার ঘটনা ঘটে। এই বছর সেই হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী পালন করে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে ৷ এই উপলক্ষে এদিন আসানসোল এইচএলজি হাসপাতাল বার্নপুর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার কমিটি ভলেন্টিয়ারি ব্লাড ডোনার্স এবং আসানসোলের রোটারি ক্লাবের সহযোগিতায় এইচএলজি হাসপাতালে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। যেখানে অনেক কর্মী , ডাক্তার ও নার্স অংশগ্রহণ করেন৷ ৪৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয় এদিনের এই রক্তদান শিবির থেকে। এই প্রসঙ্গে এইচএলজি হাসপাতালের ডিরেক্টর অভিষেক গুপ্তা বলেন, এই ধরনের রক্তদান শিবির বছরে দুবার আয়োজন হয়। এইচএলজি হাসপাতাল কতৃপক্ষ সবসময় এই ধরনের সামাজিক কাজ করে জীবন বাঁচাতে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। আসানসোলের রোটারি ক্লাবের সভাপতি অভয় জয়ন্ত বলেন, আমরা এই ধরনের কাজে অংশ নিতে পেরে খুব গর্বিত। আসানসোলের রোটারি ক্লাব সবসময় দুঃস্থ ও অসহায় লোকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনেও তার কোন ব্যতিক্রম হবে না। রক্তদান শিবিরে অন্যদের মধ্যে ছিলেন পূরবী তানেজা ( সিনিয়র ম্যানেজার), এস আর দত্ত ও এস চট্টোপাধ্যায় ( এ্যাডমিনিস্ট্রেটার)।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :- আসানসোল শহর থেকে আরো দুটি নতুন রুটে সরকারি বাস চালাবে এসবিএসটিসি বা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম। শুক্রবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডে বেঙ্গলি গার্লস ডে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সামনে এক অনুষ্ঠানে সবুজ পতাকা দেখিয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের দুটি নতুন বাসের উদ্বোধন করেন রাজ্য আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক। এই বাসগুলি আসানসোলের কালপাহাড়ি থেকে কল্যাণেশ্বরী ভায়া সালানপুর ও দেন্দুয়া এবং আসানসোল থেকে বাঁকুড়া ভায়া রানিগঞ্জ ও মেজিয়া রুটে যাতায়াত করবে। এই বাসগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মলয় ঘটক বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাংলায় উন্নয়নমূলক কাজ অনেক বেশি করে হচ্ছে। সমগ্র বাংলার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সেই উন্নয়ন হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আজ এই বাসগুলির উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিন যে দুটি রুটের উদ্বোধন করা হলো তার মাধ্যমে আসানসোল ও বাঁকুড়ার মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই কালিপাহাড়ি থেকে কল্যাণেশ্বরী পর্যন্ত বাস পরিষেবা শুরু হওয়ায় এই এলাকার মানুষদের সুবিধা হবে। তিনি আরো বলেন, বাম আমলে সরকারি বাসে চাপা যেতোনা। বসার সিট ছিলো না। দরজা ছিলোনা। কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সরকারি বাসের হাল ফিরেছে। একাধিক নতুন রুটে বাস চলছে। গ্রাম থেকে জেলা সদরের যোগাযোগ বেড়েছে। অনেক সহজে এখন গ্রামের মানুষেরা সরকারি বাসে করে শহরে আসতে পারেন। রাজ্য সরকার ২০১১ সালের পরে বাংলায় বাসের ভাড়া একবারও বাড়েনি। উল্টোদিকে দেখুন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েই চলেছে। এদিকে, এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল বলেন, এদিন আসানসোল থেকে দুটি ও বাঁকুড়া থেকে একটি বাসের উদ্বোধন করা হলো। এই মুহুর্তে ৭০০ এর মতো রুটে এসবিএসটিসির বাস চলছে। আগামী দিনে তা ১ হাজার করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ৯০ টির মতো সিএনজি বাস নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ইলেকট্রিক বাস চালানো হবে। নতুন নতুন রুট খুঁজে বার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রাম থেকে শহরের আরো ভালো যোগাযোগের জন্য বাস চালানো হবে। আসানসোল ও দূর্গাপুর পুরনিগম টাউন সার্ভিস বাস চালাতে এসবিএসটিসির কাছে আবেদন করেছে। তারা ১৫ টি বাস চেয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , দুই ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এবং অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় সুব্রত অধিকারী, মহানির্দেশক প্রণব কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :– আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হলো ” পেইন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট বা ব্যথা নিরাময় কেন্দ্র “। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমওএইচ ( ৪) ডাঃ অনন্যা মুখোপাধ্যায় ও জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ অমিত মুখোপাধ্যায়, ডাঃ এসকে বসু, ডাঃ কৌশিক পাল, সহকারী সুপার ভাস্কর হাজরা সহ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা। প্রসঙ্গতঃ, শুধু আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নয় রাজ্যের আরো ছয়টি হাসপাতালে এই পেইন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট স্বাস্থ্য চালু করতে চলেছে। ঐ ছয়টি জায়গা হলো হুগলি, মালদহের চাঁচল, গার্ডেনরিচ, সিউড়ি, খড়গপুর ও এম আর বাঙ্গুর। এই প্রসঙ্গে ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, এদিন জেলা হাসপাতালে ব্যথা নিরাময় ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন বলতে গেলে সকলেই কোন না কোনভাবে পেইন বা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই এই ধরনের রোগীদের উপশম দেওয়া এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যথা উপশম করার জন্য এই ইউনিটটি শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ইউনিটে কেবল ব্যথা নিরাময়ের সাথে সম্পর্কিত চিকিৎসকরাই নন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিজ্ঞানী সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও উপস্থিত থাকবেন। আপাততঃ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনের প্রথম তলায় এই ইউনিটটি সপ্তাহে একদিন শুক্রবার চলবে। ডেপুটি সিএমওএইচ (৪) ডাঃ অনন্যা মুখোপাধ্যায় বলেন যে, এই ইউনিটে ব্যথার কারণ ও তার সমাধান নিয়ে চিকিৎসা করা ও পরামর্শ দেওয়া হবে। ব্যথা কেবল মাত্র শারীরিক কারণেই নয়, মানসিক কারণেও হয়। তাই, ব্যথা নিরাময় করার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ থাকবেন। অন্যদিকে, এই ইউনিটের ইনচার্জ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক পাল বলেন, আজকাল খুব কমই এমন মানুষ আছে যার কোনও ধরণের ব্যথা হয় না। তা সে শারীরিক হোক বা মানসিক হোক বা অন্য কোনও কারণে হোক না কেন। এখানে প্রতিটি কারণে ব্যথার সমাধান করা হবে। এর জন্য যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এর জন্য জেলা হাসপাতালে একটি টিম করা হয়েছে। যার মধ্যে থাকবেন ফিজিওথেরাপিস্ট, মনোবিজ্ঞানী, জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং বিশেষজ্ঞ কর্মীরা। জেলা হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমিত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সামান্য ব্যথা হলেই মানুষ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ব্যথানাশক ওষুধ খান। যা একেবারেই ঠিক নয়। একজন মানুষের শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে বিপজ্জনকও বটে। চিকিৎসকের কিডনি এবং শরীরের অন্যান্য অংশের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই যে কোন ব্যথা হলেই, তা চিকিৎসা করা দরকার। এরজন্যই এই সেন্টার।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– শিশু সুরক্ষার প্রতি অটল নিষ্ঠা প্রদর্শন করে পূর্ব রেলের আরপিএফ বা রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী ” অপারেশন নানহে ফরিস্তে ” অধীনে একটি উল্লেখযোগ্য মাইল স্টোন অর্জন করেছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পূর্ব রেলের বিভিন্ন স্টেশন থেকে আরপিএফের জওয়ানরা মোট ৭০ জন নাবালক ও নাবালিকাকে উদ্ধার করেছেন। তাদের মধ্যে ৪১ জন ছেলে এবং ২৯ জন মেয়ে আছে। হাওড়া ডিভিশন থেকে ২৭ জন ছেলে এবং ১৫ জন মেয়ে, শিয়ালদহ ডিভিশন ১ জন ছেলে এবং ৩ জন মেয়ে, আসানসোল ডিভিশন থেকে ৬ জন ছেলে এবং ৯ জন মেয়ে ও মালদহ ডিভিশন থেকে ৭ জন ছেলে এবং ২ জন মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিজেদের সতর্কতা এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের মাধ্যমে আরপিএফ কর্মীরা এই নাবালক ও নাবালিকাদেরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ হেফাজত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা দুর্দশাগ্রস্ত শিশুদের সুরক্ষা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য আরপিএফের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। ” অপারেশন নানহে ফরিস্তে” র সাফল্য পূর্ব রেলের যাত্রী নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার প্রতি অঙ্গীকারকে তুলে ধরে। বিশেষ করে সংবেদনশীল শিশুদের সুরক্ষার উপর জোর দিয়ে থাকে।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :– ভ্যালেন্টাইন্স ডে ” উপলক্ষে শুক্রবার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের হিরাপুর থানার পুলিশ। হিরাপুর থানা চত্বরে হওয়া এদিনের এই কর্মসূচিতে সহযোগীতা করেছে হিরাপুর থানা আরজি পার্টি ও লায়ন্স ক্লাব অফ আসানসোল। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত ও হিরাপুর থানার ওসি তন্ময় রায়, থানার শক্তি বাহিনী সহ মোট ২৩ জন পুলিশ কর্মী এদিনের শিবিরে রক্তদান করেন। লায়ন্স ক্লাব অফ আসানসোলের সহযোগিতায় চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে প্রায় ১০০ জনের চোখ পরীক্ষা করা হয়। অনুষ্ঠানে সিআই (হিরাপুর) অশোক সিনহা মহাপাত্র, এএসআই অতনু নাগ, রক্তদান আন্দোলনের নেতা প্রবীর ধর, হিরাপুর থানার আরজি পার্টি ও লায়ন্স ক্লাব আসানসোলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, এমন একটা দিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার উদ্দেশ্য হলো মানুষের কাছে বার্তা দেওয়া। রক্ত যে কতটা জরুরি, তা বিপদে পড়লে মানুষেরা বুঝতে পারেন। বিশেষ করে করোনার সময় মানুষ এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছিলেন। এদিন উদ্যোক্তাদের তরফে রক্তদাতাদের ফুল ও সার্টিফিকেট দিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি অতিথিদের গোলাপ ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয়েছে।
পাবলিক নিউজ অন্ডাল : অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ওভারলোড বালির গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ । বুধবার গভীর রাতে মদনপুরের বাবুইসোল পলাশবন রাস্তা থেকে গাড়ি গুলিকে আটক করা হয় । বালি পাচার নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিছুদিন আগে এই নিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে । পাচার বন্ধ করতে পুলিশ, বিএলআরও আধিকারিকদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি । এরপর বেআইনি বালি উত্তোলন ও পাচার কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হলেও বেআইনিভাবে পাচার চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ । সুত্র মারফত এ রকমই অভিযোগ পেয়ে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালায় অন্ডাল থানার পুলিশ । মদনপুর পঞ্চায়েতের বাবুইসোল পলাশবন রাস্তা থেকে প্রায় ২০০ টন বালি সহ পাঁচটি ওভারলোড বালি বোঝায় ডাম্পার আটক করে পুলিশ । আটক করে ডাম্পার গুলি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় । বালিসহ আটক ডাম্পার গুলি আজ বৃহস্পতিবার ভূমি রাজস্ব দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে থানা সূত্রে খবর । দামোদরের কোন ঘাট থেকে এই বালি উত্তোলন করে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তদন্ত করে তার দেখা হবে বলে থানার আধিকারিক জানান ।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– বার্ণপুরের জগন্নাথ মন্দিরে দশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শেড তৈরী করা হবে।বুধবার মাঘী পূর্ণিমার সকালে বার্ণপুরের জগন্নাথ মন্দিরের কনফারেন্স রুমের উপরে শেড তৈরী করার শিলান্যাস করেন কাউন্সিলর অশোক রুদ্র উপস্থিত ছিলেন ইস্কোর জি এম মিঃ শেঠী, বরো চেয়ারম্যান শিবানন্দ বাউড়ী সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। অশোক রুদ্র জানান রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চান রাজ্যের সমস্ত ধার্মিক স্থান সংস্কার করা তাই এডিডিএর উদ্যোগে দশ লক্ষ টাকা খরচ করে সেডের কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।