পাবলিক নিউজ আসানসোল :–আসানসোলের হটন রোডের মাস্টার পাড়ায় একটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য আসা আসানসোল পুরনিগমের দলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল পুরনিগমের লিখিত নির্দেশ থাকা সত্বেও বাড়ির মালিক রুকসানা খাতুনের স্বামী ইফতিকার আলি অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে বাধা দেন বলে পুর কর্মীরা জানিয়েছেন। তারা গোটা বিষয়টি আসানসোল পুরনিগমের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারকে জানান বলে জানা গেছে। পুর কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে ইফতিকার আলি দাবি করেন যে তার নির্মাণ কোনও অবৈধ নয়। কোন বেআইনি কাজ করা হয় নি। তার কাছে সমস্ত নথিপত্র রয়েছে বলে দাবি তার। তাহলে কেন আসানসোল পুরনিগম তা নির্মাণকে অবৈধ বলে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে, তার কোন সদুত্তর বাড়ির মালিক দিতে পারেননি। এই বিষয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, এটা আইনশৃঙ্খলার সমস্যা। পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। যে বাড়ির নির্মাণের কথা বলা হচ্ছে তার মালিক আসানসোল পুরনিগমে এসে বলেছিলেন যে তিনি নিজেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলবেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। এখন যখন আসানসোল পুরনিগমের দল সেই নির্মাণ ভাঙতে গেছে, তখন তাদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মেয়র বলেন, এখন আইনত যা কিছু ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হবে।
পাবলিক নিউজঃ অলোক চক্রবর্তী আসানসোল:- কুমারপুরের যুব সংঘ ময়দানে আজ অনুষ্ঠিত হলো জেনেক্স এক্সটিকা ও সৃষ্টি নগরের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ মহিলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ম্যাচটিতে জেনেক্স এক্সটিকা ৮৪ রানের বড় জয় অর্জন করে।
প্রথমে ব্যাট করে জেনেক্স এক্সটিকার মহিলা দল নির্ধারিত ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সৃষ্টি নগর ১০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
ম্যাচ শেষে রানার্স ট্রফি ও উইনার ট্রফি দুই দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আমন্ত্রিত সৃষ্টি নগরের মহিলা ক্রিকেট দলের প্রত্যেক সদস্যকেও পুরস্কৃত করা হয়। এ বিষয়ে জেনেক্স এক্সটিকার আবাসিক তৃতীয় মন্ডলের সঙ্গে আমাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।
দ্বিতীয় ম্যাচটি সৃষ্টি নগরে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই দলের আরও একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই দেখার প্রত্যাশা রয়েছে।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল জানুয়ারি মাসে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার ডোবরানা ও কুনুস্তোরিয়া এলাকায় বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতে তালা ভেঙে দুটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। সেইসব চুরির ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছিলো জামুড়িয়া থানায়। গত ৭ জানুয়ারি কুনুস্তোরিয়া ও ২১ জানুয়ারি ডোবরানায় এই চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে নেমে জামুরিয়া থানার পুলিশ অন্ডাল থানার অন্তর্গত বহুলা এলাকা থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি তিনজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম হল সুনীল চিত্রকার, সঞ্জীব চিত্রকার, লাল চিত্রকার। পরের দিন তিনজনকে আসানসোল আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছিলো জামুড়িয়া থানার পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে ধৃতদেরকে জেরা করে চুরি যাওয়া ৪০ গ্রাম সোনা ও ১০০ গ্রাম রুপোর গয়না এবং বেশ কিছু কাঁসার বাসন উদ্ধার করে জামুরিয়া থানার পুলিশ। জামুড়িয়া থানার পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এর আগেও ধৃতরা বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :—জনগণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা মহাদেব মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে তার ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সাংস্কৃতিক উৎসব, রক্তদান শিবির ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। একদিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা মহাদেব মুখোপাধ্যায় জনকল্যাণ সমিতি। আসানসোলের বার্নপুর রোডের আসানসোল পুলিশ লাইন সংলগ্ন একটি হোটেলে রবিবার দুপুরে জনকল্যাণ সমিতির তরফে হওয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রয়াত মহাদেব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি শ্রীপল্লী এলাকায় মুখোপাধ্যায় বাসভবনে রক্তদান শিবির, চক্ষু পরীক্ষা শিবির এবং সাংস্কৃতিক উৎসব হবে। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, গত ১৫ বছর প্রয়াত বাবার স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছি। ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠানে শুরু হবে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সহযোগিতায় রক্তদান শিবির ও পুনরদৃষ্টি আই হসপিটালের সহযোগিতায় চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের মধ্যে দিয়ে। আয়োজন করা হয়েছে কবি সম্মেলনেরও। এছাড়াও সঙ্গীত, নৃত্য ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, মহাদেব মুখোপাধ্যায় একটি নতুন সমাজ ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য আজীবন প্রচেষ্টা করেছিলেন। আজ যখন সুস্থ সংস্কৃতি পিছনে পড়ে যাচ্ছে, তখন এই জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যাতে আমরা আবার আমাদের শিকড়ের সাথে যুক্ত হতে পারি।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী ও ডেস্ক রিপোর্ট আসানসোল:— প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ঠ হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার রাতে। এর ঠিক দুদিন আগে আসানসোল স্টেশনে অন্য একটি ট্রেনে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভিড়ের কারণে অনেক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিলো। কোনভাবেই নিউ দিল্লির ঘটনার পুনরাবৃত্তি না নয়, তারজন্য রবিবার সকালে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম চেতনানন্দ সিং আসানসোল স্টেশন পরিদর্শন করেন। ট্রেন চলাচল এবং যাত্রীদের সুবিধার বিষয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। কিন্তু, ডিআরএমের পরিদর্শনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রবিবার সন্ধ্যায় লাগামছাড়া ভিড় জমলো আসানসোল স্টেশনে। উদ্দেশ্য, প্রয়াগরাজ যেতে আসানসোল – মুম্বাই ট্রেনে চাপা। এই ট্রেনের জেনারেল বগিতে চাপার জন্য আসানসোল স্টেশনের বাইরে কয়েক হাজার যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রেলের তরফে এইসব যাত্রীদের সরাসরি ২ নং প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্সেল রুমের পাশের গেট খুলে দেওয়া হয়েছিলো আরপিএফের পাশাপাশি রেল পুলিশ ও আধিকারিকরা ছিলেন। ভিড় সামলানোর জন্য দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছিলো। কিন্তু রেল আধিকারিকদের কাছে এই ট্রেনে চাপার জন্য যে এতো ভিড় হবে, তা আন্দাজ ছিলো না। যে কারণে রেল প্রশাসনের সেই ভিড় সামলাতে নাজেহাল ও হিমশিম অবস্থা হয়। একটা সময় দিল্লির মতো অবস্থা হবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ গোটা পরিস্থিতি কোন মতে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।
রবিবার সকালে স্টেশন পরিদর্শনের পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ডিআরএম বলেন, দুদিন আগে আসানসোল স্টেশনে একটা ট্রেনে চাপার জন্য যে ভিড় দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপর শনিবার রাতের দিল্লির ঘটনার পরে আমরা আরো সতর্ক হয়েছি।
প্ল্যাটফর্ম চত্বরের বাইরে একটি হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করা হচ্ছে। যাতে যাত্রী ভিড়কে এক লাইনে ট্রেনে নিয়ে আসা যায়। সেই সঙ্গে প্লাটফর্মে ভিড় কমানোর কথাও জানান তিনি। আসানসোল স্টেশনের দ্বিতীয় গেট থেকে সাধারণ বগির যাত্রীদের সরাসরি ট্রেনে তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে একবার ঘোষণা হয়ে গেলে, কোনও অবস্থাতেই ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তন করা হবে না। পাশাপাশি তিনি যাত্রীদের কিছুটা ধৈর্য ধরতেও অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, কুম্ভগামী ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। এবং এর প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষ ধৈর্য্য রাখতে পারছেন না। সকালের ডিআরএমের সেই আশঙ্কা যে কতটা সত্যি, তা কয়েক ঘন্টার মধ্যে আসানসোল স্টেশনে প্রমাণিত হলো।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:—আসানসোলের রেলপারের ডিপোপাড়ায় সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রবিবার সিনিয়র সিটিজেন বা প্রবীণ মহিলা এবং পুরুষদের জন্য একটি রোড রেসের আয়োজন করা হয় । এই উপলক্ষে, ঐ এলাকার বলতে গেলে সমস্ত প্রবীণ মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। আসানসোল চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ফ্ল্যাগ অফ করে রোডরেসের সূচনা করেন। তিনি বলেন, এই সংগঠনটি যেভাবে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছে এবং এই প্রবীণরা অবসর গ্রহণের পরেও যেভাবে সক্রিয়, তাতে অনেক উৎসাহ পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, বয়স্কদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। সেজন্য এ ধরনের রোডরেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রবীণরা এক কিলোমিটারের রোডরেসে অংশ নিয়ে ডিপো পাড়ার আশেপাশের এলাকা ঘুরে তা শেষ করেন। অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এই রোড রেসে অংশ নেওয়া প্রবীণ ও উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেছেন।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী বার্ণপুর:— বার্নপুর ইউনাইটেড ক্লাবের উদ্যোগে হলো ৮১তম ইস্কো চ্যালেঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্ট। রবিবার দুপুরে বার্নপুর স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় আলভিটো ডি’কুনহো । এছাড়াও এদিন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানার আধিকারিক ও বার্নপুর ইউনাইটেড ক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা এই ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ক্লাবের প্রশংসা করেন ও তারা বলেন যে এই ধরনের অনুষ্ঠান স্থানীয় পর্যায়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করে। ভবিষ্যতে সে জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারবে। সে বলেছে যে এই প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচের অংশ হতে পেরে সে খুবই খুশি। বাইচুং ভুটিয়া আয়োজকদের কাছে আবেদন করেছেন যে পরের বার যখন এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে, তখন উত্তরবঙ্গের একটি দলকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এদিনরের ফাইনাল খেলায় পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব ইস্কো স্পোর্টসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইস্কো চ্যালেঞ্জ ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ান হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও বাংলার অর্থ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেশ করা বাজেটের তুলনা করে সমালোচনায় সরব হলো বিজেপি। সেই সমালোচনার পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস। শনিবার সকালে আসানসোলের জিটি রোডের উষাগ্রামে একটি হোটেলে ” বাজেট টক ” শীর্ষক কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় আইটি সেলের ইনচার্জ তথা বাংলার সহ-প্রভারী বা কো-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডাঃ অশোক লাহিড়ী, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ও কুলটির বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত মালব্য ও ডাঃ অশোক লাহিড়ী কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ও রাজ্য সরকারের বাজেটের তুলনা করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে প্রস্তাবাকারে সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর জন্য কিছু না কিছু আছে। এই বাজেটে ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। তারা আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প তৈরির পাশাপাশি যুব, বয়স্ক, মহিলাদের প্রতি যেভাবে নজর দেওয়া হয়েছে, তাতে এই বাজেট থেকে মানুষের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। অমিত মালব্য বলেন, কেন্দ্রের এই বাজেট দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্যও একটি ঐতিহাসিক বাজেট। কারণ এই বাজেটের মাধ্যমে মধ্যবিত্তদের জন্য একটি খুব বড় উপহার দেওয়া হয়েছে। ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের উপর কোনও আয়কর থাকছে না। মধ্যবিত্তরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছিলেন। যা এই বাজেটে পূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, এই বাজেটের মাধ্যমে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও এর ফলে বাজারে চাহিদা বাড়বে। অন্যদিকে ডাঃ অশোক লাহিড়ী বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার সর্বদা কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছে। এবারের বাজেট সেই দিকে একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে। বাংলার বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলার বাজেটে এমন কিছু নেই যা আগামী সময়ে বাংলার যুব ও মহিলাদের উপকারে আসবে। এখানে এমন কিছু নেই যা বাংলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। কেবল মাত্র কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি যে ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া বাংলার বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেননি। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার ” আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প ” গোটা দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্প কেবল বাংলায় বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে এখানকার মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আয়ুষ্মান ভারতের মতো একটি অত্যন্ত চমৎকার জনকল্যাণমূলক প্রকল্প কেবল রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের জন্য বাংলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কল্যাণ চান না। মুখ্যমন্ত্রী কেবল তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে চান। তাই তিনি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছেন। অশোক লাহিড়ীর দাবি, এখন আর তা হবে না। এই বাজেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের শেষ বাজেট। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকবে না। তার পরে যখন বিজেপি সরকার আসবে, তখন সেই প্রকল্পগুলি বিজেপি বাস্তবায়ন করবে যা বাংলার অর্থবহ উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করবে। বিজেপির দুই নেতা বলেন, এক সময় বাংলা সমগ্র দেশে শিল্পায়নের দিক থেকে প্রথম সারিতে ছিলো। কিন্তু আজ সেই পরিস্থিতি নেই। এর একমাত্র কারণ হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই সরকার শিল্পায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ সব ক্ষেত্রে বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে।
অমিত মালব্য ও ডাঃ অশোক লাহিড়ীর সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু তার সোশাল মিডিয়া লাইভ বার্তায় পাল্টা জবাব দেন ও বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা বাংলার ক্ষমতায় আসার জন্য মুঙ্গেরিলাল কি হাসিন স্বপ্ন দেখছেন। যা কোনদিন পূরণ হবে না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি নেতারা বলেছিলেন যে, তারা বাংলায় ক্ষমতায় আসছেন। বিজেপি নেতারা তারপরেও মুঙ্গেরিলাল কি হাসিন স্বপ্ন দেখছেন। ২০২৬ সালের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের তাদের সেই স্বপ্নগুলি ভেঙে ফেলবেন বাংলার মানুষেরা। বাংলা বাজেটকে জনবিরোধী বলার আগে, এইসব বিজেপি নেতাদেরও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বাজেট একবার দেখে নেওয়া উচিত। দাসু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট সম্পূর্ণরূপে জন বিরোধী। তিনি বলেন, বাংলায় বিজেপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। কারণ বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে আছেন। তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক সহ সকল বিজেপি নেতা, যারা এই ধরণের কথা বলছেন, তাদের একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করে চিকিৎসা করানো উচিত। কারণ তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। প্রসঙ্গতঃ, শুক্রবার রাতে আসানসোলের ডুরান্ড হলে ” বাজেট টক ” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো।
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:— এবার আসানসোলের হিরাপুর থানার এলাকার চার যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রথমে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলো বলে অভিযোগ রাজ্যের অন্যতম বিরোধী দল বিজেপির । তাই শনিবার বিকেল সাড়ে চারটের পরে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে আসানসোলের পুলিশ লাইন সংলগ্ন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( সেন্ট্রাল ১) অফিসের সামনে দলের কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এরফলে জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড় থেকে বার্নপুর যাওয়ার বার্নপুর রোডের একটি লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডুর নেতৃত্ব আশপাশের বেশ কয়েকটি থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। পুলিশ অফিসাররা বিজেপি বিধায়ককে রাস্তা অবরোধ তুলতে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কের বাকবিতন্ডা লেগে যায়। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, কোন কিন্তু চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আসানসোল মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। এক যুবকের বাবামাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উল্লেখ্য, আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইলের অদূরে প্রেমনগরের চার যুবকের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পর্যটন স্থানে ঐ কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে" র আগের দিন। শুক্রবার সকালের পরে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে নির্যাতিতা ঐ কিশোরী ভর্তি রয়েছে। কিশোরীর বাড়ি দুর্গাপুরে। তার মামাবাড়ি বার্নপুরের প্রেমনগরে। অভিযুক্তদের মধ্যে এক যুবক কিশোরীর মামাবাড়ির প্রতিবেশী বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত এক যুবকের মায়ের সাথে কথা বলা হলে, তিনি জানান তার ছেলের নাম আকাশ। আকাশ তার বন্ধুদের সাথে বৃহস্পতিবার সকালে বিহারীনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলো। সন্ধ্যার মধ্যে সে ফিরে এসেছিল। অভিষেক নামে এক বন্ধু তাকে ফোন করতে বাড়িতে এসেছিল। চন্দন নামে আরেক বন্ধু বাইরে দাঁড়িয়েছিল। তবে, বিহারীনাথের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি। তিনি বলেন যে তার কাছে এ বিষয়ে কোন খবর নেই। তিনি এমনকি বলতেও পারেননি যে তার ছেলে এখন কোথায়। তিনি বলেন যে তার ছেলের বয়স ২১ বছর। সে গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে ও পরীক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন, তার ছেলের সম্পর্কে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। ঐ এলাকার বাসিন্দা অন্য একজন মহিলা বলেন, পুলিশ এসে অভিষেকের বাবা-মাকে নিয়ে গেছে। তবে, বিষয়টি ক তা সম্পর্কে তার কোন কিছু জানা নেই।
আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এদিন বিকেল থেকে দলের কর্মীদেরকে নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের (সেন্ট্রাল জোন ১) অফিসের সামনের রাস্তা অবরোধ করতে বসে অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে পুলিশ বলেছিল যে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও নিজের উদ্যোগে মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার সহ্য করবে না। বিধায়ক বলেন, পুলিশ প্রশাসন যেভাবে মামলাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তা মেনে নেওয়া হবে না। একই সাথে, চার অভিযুক্তের মধ্যে একজনের বিজেপি নেতার সাথে সম্পর্ক থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, কে কোন দলের সাথে যুক্ত তার সাথে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির দাবি, দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক। এদিকে, প্রায় আড়াই ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করার পরে রাত আটটার সময় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল অবরোধ তুলে নেন। তিনি বলেন, পুলিশকে চারজনকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে, এখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধে বসবো। এখন আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন তুলে নিচ্ছি।
পাবলিক নিউজ মনোজ শর্মা বারাবানি:— আসানসোলে বারাবনি ব্লকের দোমহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোলডাঙ্গা গ্রাম থেকে মেন রাস্তা পর্যন্ত তৈরি করা হচ্ছে। ২৪০ মিটার ঢালাই রাস্তার শনিবার উদ্বোধন করা হয়। এই রাস্তা তৈরিতে ব্যয় হবে ১০ লক্ষ টাকারও বেশি। এদিন নারকেল ফাটিয়ে ও ফিতে কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিং। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাবনি থানার ওসি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়, দোমহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি মলয় মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য শক্তি দাস, গোলাম মোর্তাজা ও বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তাপস ঘোষ। জানা গেছে, রাজ্য সরকারের পিসিসি দপ্তরের ফান্ড থেকে এই রাস্তা তৈরির অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।