Category: BANGLA

  • অন্ডালে খনি এলাকায় ধস / হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো আস্ত স্কুল ভবন, অল্পের জন্যে রক্ষা পড়ুয়াদের…

    অন্ডালে খনি এলাকায় ধস / হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো আস্ত স্কুল ভবন, অল্পের জন্যে রক্ষা পড়ুয়াদের…

    PUBLIC NEWZ:–বলতে গেলে একেবারে ভয়াবহ ঘটনা। আর তাতে একটা আস্ত স্কুল হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়লো! মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কয়লাখনি এলাকা অন্ডালের খাস কাজোড়া আজির বাগানে ধসের জেরে এমনটাই ঘটেছে। তবে রেহাই একটাই। দিনের বেলায় স্কুল চলাকালীন এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটিতে এই ঘটনা ঘটেনি। তাই অসংখ্য পড়ুয়ার জীবন রক্ষা পেলো, রাতের দিকে এই ধসের ঘটনা ঘটায়। তবে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন এই ঘটনার পরে। তাদের আশঙ্কা আগামী দিনে অন্য সব জনবহুল এলাকাগুলিতেও এই ধসের ঘটনা ঘটতে পারে।
    মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার এলাকায় আসেন রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়।
    জানা গেছে, সোমবার রাতে নাগাদ অন্ডাল থানার অন্তর্গত খাস কাজোড়ার আজির বাগান এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের নিচের অংশ হঠাৎই ধসের কবলে পড়ে। এই ঘটনার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্কুলের একটা বড় অংশ। এই ঘটনাশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এলাকার বাসিন্দারা শিউরে উঠেন হঠাৎ করেই স্কুলের একটা অংশ ধসে পড়ায়। স্কুল সংলগ্ন এলাকাও যে কোন সময় ধসের কবলে পড়তে পারে তা নিয়েই অনেকের রাতের ঘুম উড়েছে। এলাকায় ধসের এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অন্ডাল ব্লকের সহসভাপতি মলয় চক্রবর্তী দাবি করেছেন, ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা খনির কয়লা উত্তোলন করায় এই ঘটনা ঘটছে। তিনি আরো দাবি করেন, কয়লা খনির ভূগর্ভস্থ অংশে কয়লা কেটে নেওয়ার পর সেই অংশটিকে বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া উচিত ছিলো। সেই বালি দিয়ে ভরা করা হয়নি। যার ফলে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে।
    খবর পেয়ে এলাকায় আসে অন্ডাল থানার পুলিশ।
    এই ঘটনার পরে ইসিএল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথা বলে ঐ এলাকাটি বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে গোটা জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশের তরফে।
    স্কুল পরিচালন সমিতির তরফে বাসুকিনাথ শর্মা বলেন, স্কুলে ৮০ জন পড়ুয়া আছে। ভাগ্য ভালো যে দিনের বেলায় এই ঘটনা ঘটেনি। সন্ধ্যের পরে এই ঘটনা ঘটেছে।
    এদিকে, রানিগঞ্জ বিধানসভার অন্ডালের খাস কাজোড়ায় ইসিএলের কয়লা খননে ফলে কিছু বাড়ি সহ একটা বেসরকারি স্কুল ধসের কবলে পড়ে ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ইসিএলের আধিকারিক, পুলিশ, স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে সেই এলাকা পরিদর্শন করেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

  • লক্ষ্য ভুতুড়ে ভোটার খোঁজা / বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী…

    লক্ষ্য ভুতুড়ে ভোটার খোঁজা / বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী…

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:- ভুতুড়ে ভোটার ধরতে বাড়িতে বাড়িতে অভিযান তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর। দুদিন আগে কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশের পরেই ভুয়ো ভোটার খুঁজতে তৎপর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
    শনিবার পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পান্ডবেশ্বরের অলিতে-গলিতে ঘুরলেন। নিজেই বাড়ি বাড়িতে গেলেন ও ভুতুড়ে ভোটারের খোঁজ করলেন পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার হরিপুর অঞ্চলের সুখবাজার খোট্টাডিহি এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা পরীক্ষাও করলেন জেলা সভাপতি তথা পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক।
    এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি হচ্ছে ভারতীয় জালি পার্টি। দিল্লি হরিয়ানা ও গুজরাটে এইভাবে জাল ও ভুতুড়ে ভোটার ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে সরকার গঠন করেছে বিজেপি । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন বিজেপির । সুতরাং পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমুল কংগ্রেসের নেতৃত্ব তৎপর ভুতুড়ে ভোটার খুঁজতে। দলের নেতৃত্ব রুখে দাঁড়াবে এই ভুতুড়ে ভোটারদের আটকাতে।

  • আসানসোলে শুরু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলা / প্রতি জেলায় তৈরি হবে একটি করে মার্কেটঃ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা………

    আসানসোলে শুরু পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলা / প্রতি জেলায় তৈরি হবে একটি করে মার্কেটঃ মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা………

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের ( এমএসএমইএন্ডটি) উদ্যোগে শনিবার থেকে আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে শুরু হলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলা ২০২৪-২৫। এদিন বিকেলে এক অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই মেলার উদ্বোধন করেন
    আইন, বিচার ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ, বস্ত্র, কারাগার সংশোধন ও প্রশাসনিক দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন দেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম।
    উদ্বোধনী ভাষনে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, শেষ মন্ত্রীসভার বৈঠক আলোচনার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের জন্য প্রতিটি জেলায় একটি করে আরবান মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে। পিপিপি মডেলে তা হবে। সেই মার্কেটের প্রথম দুটি তলায় সেই জেলার হস্তশিল্পীদের জন্য নির্দিষ্ট করা থাকবে। সেখানে তারা তাদের স্টল করবেন। এরফলে হস্তশিল্পীদের কাজের প্রসার ঘটবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সেই মার্কেট আসানসোলে তৈরি করা হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ( জেনারেল) শুভাষীনি ই, জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়।
    এদিনের অনুষ্ঠানে আসানসোলের মনিমালা গালস্ হাইস্কুলের নবম শ্রেণির বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে সবুজসাথীর সাইকেল দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক এস পোন্নাবলম বলেন, জেলায় ৩০ হাজার সাইকেল দেওয়া হবে।
    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলা ২০২৪-২৫ ১ মার্চ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত চলবে। দুপুর একটা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
    মেলায় বলতে গেলে বাংলার সব জেলার স্টল করা হয়েছে। সেইসব স্টলের নামকরণ করা হয়েছে সেই জেলার নদীর নামে।

  • তদন্তে পুলিশ / দিনদুপুরে কুলটিতে চালের দোকানে ৫০ হাজার টাকা লুঠ, কর্মীকে মারধর  কুলটি,

    তদন্তে পুলিশ / দিনদুপুরে কুলটিতে চালের দোকানে ৫০ হাজার টাকা লুঠ, কর্মীকে মারধর  কুলটি,

    Public newz Asansol :— প্রকাশ্য দিবালোকে আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরে এক বড় চালের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটলো। শনিবার বিকেল চারটের এই ঘটনায় নিয়ামতপুরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, ঐ দোকানের এক কর্মীকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। জানা গেছে, ঐ চালের দোকানের মালিকের নাম সুনীল গোয়েঙ্কা। তিনি বর্তমানে নিয়ামতপুরে নেই। ভিন রাজ্যে ছেলের কাছে আসেন। তাকে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে।
    এই প্রসঙ্গে নিয়ামতপুর মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্পাদক শচীন ভালোটিয়া বলেন, শনিবার বিকেলে ৪ টা নাগাদ তিনজন দুস্কৃতি সুনীল গোয়েঙ্কার চালের দোকানে আসে। তারা দোকানের এক কর্মীকে ভেতরে টেনে নিয়ে যায়। তারপর তাকে মারধর করে দোকানের উপরে রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর নিচে ক্যাশ বাক্সে থাকা ৫০ হাজার হাজার টাকা লুট করে তারা। এই লুটপাটের ঘটনার আগে ঐ তিন দুস্কৃতি বেলা বারোটা নাগাদ এই চালের দোকানে এসেছিল। তখন তারা বলেছিলো, বিকেল চারটের সময় আসবে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে পুলিশ। ঐ এলাকায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ বলে জানা গেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
    তবে দিনে দুপুরে নিয়ামতপুরে ব্যস্ততম জিটি রোড এলাকায় এই ধরনের লুটপাটের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এমন ঘটনা এই এলাকায় আগে হয়নি।

  • বারাবনির গ্রামে প্রচেষ্টা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অনুষ্ঠান…

    বারাবনির গ্রামে প্রচেষ্টা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের অনুষ্ঠান…

    Public newz Asansol:- আসানসোলের বারাবনি ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তালকানালি গ্রামে শনিবার প্রচেষ্টা ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে আদিবাসী গ্রামে ৭০ জন মহিলা হাতে শাড়ি ও ২ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গ্রামের পুরুষ ও শিশুদের জামা ও প্যান্ট দেওয়া হয়েছে। এদিনেরএই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিখা হাজরা, অর্চনা তেওয়ারি, মেঘলা চট্টরাজ ও নন্দ দুলাল চৌবে।

  • দুর্গাপুর স্টিল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নির্বাচন , ৪২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী জোটের প্রার্থীরা, শাসক “ সন্ত্রাস ” র অভিযোগ সিটুর

    দুর্গাপুর স্টিল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নির্বাচন , ৪২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী জোটের প্রার্থীরা, শাসক “ সন্ত্রাস ” র অভিযোগ সিটুর

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী দূর্গাপুর :– পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর স্টিল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক নির্বাচনে  আইএনটিইউসি ও এইচএমএসকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধলো আইএনটিটিইউসি ! আর তাদের মনোনয়ন দাখিলকে ঘিরেই হাতাহাতি থেকে উত্তেজনা, সবকিছুই হলো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিরোধিতারা মনোনয়ন পত্র জমা না দেওয়ায় শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলো জোটের প্রার্থীরা। এদিকে, তৃণমূলের সন্ত্রাসেই দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ নির্বাচনকে একতরফা বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ বিএমএস ও সিটু নেতৃত্বর। কোন সন্ত্রাস হয়নি পাল্টা জবাব রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ৯ মার্চ এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো।


    দীর্ঘ ৮ বছর পরে দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচন হচ্ছে । এই ব্যাঙ্কে রয়েছেন ১২ হাজার গ্রাহক। সবমিলিয়ে রয়েছে ৪২টি আসন। ২০১২ সালে এই ব্যাঙ্কের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়। তার পর থেকে ৮ বছর ধরে হয়নি নির্বাচন। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হস্তক্ষেপে ২০২৫ সালে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়। তারই মধ্যে হিন্দুস্তান মজদুর সংঘ ( এইচএমএস), কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে অলিখিতভাবে জোট বাঁধে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল প্ল্যান্ট মজদুর ইউনিয়ন। হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকে ৬টি আসন, হিন্দুস্থান মজদুর সংঘকে ৩টি আসন দিয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের হিন্দুস্তান স্টিল প্ল্যান্ট মজদুর ইউনিয়নের ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দুস্তান স্টিল প্ল্যান্ট মজদুর ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত ৩৫টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা করে। দুটি বেশি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া ঘিরেই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও হাতাহাতি। উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় দুর্গাপুর থানা পুলিশকে।
    মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রথম দিন থেকেই ব্যাংকের ত্রি সীমানায় দেখা যায়নি ভারতীয় মজদুর সংঘ ও সিটুর কোন প্রতিনিধিকে। তারা কার্যত দলীয় কার্যালয় থেকেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে সরব হয়।

    সিটুর সভাপতি বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিল করার প্রথম দিন থেকেই বহিরাগতদের দিয়ে গোটা এলাকা সন্ত্রস্ত করে রেখেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জন্যই আমাদের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে যেতে পারেনি। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, ব্যাংককে রক্ষা করার মত পরিস্থিতি কি ছিল না? সেই জন্যই কি মনোনয়নপত্র দাখিল আটকাতে বহিরাগতদের নিয়ে আসা হলো? সবাইকে অংশগ্রহণ করতেও দেওয়া হলো না। এভাবেই ওরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। পাল্টা হিন্দুস্তান স্টিল প্ল্যান্ট মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্নেহাশীষ ঘোষ বলেন, শিল্প নগরীর আবহাওয়াকে সুষ্ঠ রাখার জন্য দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমরা আহ্বান করেছিলাম। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে এইচএএইচএমএস ও আইএনটিইউসি। সিটু আর বিএমএসের কর্মীরা বলেছিল আমরা লড়তে চাই। আমরাও ওদের সমর্থন করেছিলাম। কিন্তু তাদের কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতে আসেননি ও কেউ জমাও দেননি। সন্ত্রাসের কোন আবহই তৈরি হয়নি। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বিরোধীরা।

    বহিরাগতদের দিয়ে ব্যাংকের চতুর্দিক ঘিরে রাখা হয়েছে বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিএমএস অনুমোদিত দুর্গাপুর ইস্পাত কর্মচারী সংঘের কার্যকরী সদস্য মানস চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ব্যাংকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে শুধু প্রাণ সংশয়ই নয়, অনেক কিছুই হতে পারতো। অযোগ্যদের হাতে ব্যাংক এলে কি পরিস্থিতি হতে পারে সবাই বুঝতে পারছেন। পুলিশের কাছে আমরা
    অভিযোগ করতে গেলেও কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা অরাজনৈতিক দল। আমাদের ভয় পাচ্ছে সে জন্যই আমাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হয়নি।

    তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, আইএনটিটিইউসি ছাড়াও আইএনটিইউ সি ও এইচএমএস মনোনয়নপত্র জমা  করেছে। সিটুর এই মুহূর্তে কোন জনসংযোগ নেই। সেই জন্য ওদের হয়ে কেউ দাঁড়াতে চাইছে না। ওরা কোন প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। বিএমএসএরও প্রার্থী পেতে দুর্বলতা রয়েছে। তাই সেই দুর্বলতাকে ঢাকার জন্য তাদের তরফে নানা ধরনের কথা বলা হচ্ছে।

  • জামুড়িয়ায় উত্তেজনা / অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলা দেখতে গিয়ে অজয়ের পাড়ে বিক্ষোভের মুখে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, সংঘর্ষের পরিস্থিতি, সামলানো পুলিশ

    জামুড়িয়ায় উত্তেজনা / অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলা দেখতে গিয়ে অজয়ের পাড়ে বিক্ষোভের মুখে জিতেন্দ্র তেওয়ারি, সংঘর্ষের পরিস্থিতি, সামলানো পুলিশ

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী অ্যাসানসোল :–জল প্রকল্প লাগোয়া অজয় নদী থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি তোলা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে এলাকা পরিদর্শনে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি নেতা আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র ও পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। বালি চোরাকারবারিদের দল-বল আক্রমণ ও হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে বিজেপির পতাকা নিয়ে যাওয়া দলের নেতা ও কর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে হামলাকারীরা বড় বড় পাথর ও বোল্ডার নিয়ে তেড়ে যায় বলে দাবি করা হয়েছে। জিতেন্দ্র তেওয়ারির নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় বড় কিছু হয়নি। তবে দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। সংঘর্ষ হওয়ার পরিস্থিতি হয়। খবর পেয়ে জামুড়িয়া থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শুক্রবার সকালের এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুড়িয়া থানার দরবারডাঙ্গা ঘাটের কাছে।
    জানা গেছে, শুক্রবার সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ জামুরিয়ায় অজয় নদী লাগোয়া দরবারডাঙ্গা ঘাট পরিদর্শনে যান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা ও কর্মী দলের পতাকা নিয়ে ছিলেন। সেই সময় বেশ কয়েকজন যুবক তাদেরকে ঘিরে ধরে। হাতে বড় বড় পাথর ও বোল্ডার নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। এরফলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। ঐ যুবকেরা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে উদ্দেশ্য করে ” গো ব্যাক” স্লোগান দিতে থাক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় জামুরিয়া থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুপক্ষকেই এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর জিতেন্দ্র তেওয়ারি ঘটনাস্থল ছেড়ে নন্ডী এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে চলে আসেন।
    পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, ঐ এলাকার দলের মন্ডল কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়েছিলাম যে, দরবারডাঙ্গায় অজয় নদী থেকে অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলা হচ্ছে। এদিন গিয়ে দেখি মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালি তোলা হচ্ছে। দরবারডাঙ্গায় যে জল প্রকল্প আছে, তার খুব তা চলে এসেছে। সেই সময় কয়েকজন সেখানে আসে ও আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করানোর জন্য পাঠানো হয়। তারা স্লোগান দেয়। ধাক্কাধাক্কিও করে। তিনি দাবি করেন যে, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বালি উত্তোলনের কারণে জামুড়িয়া এলাকায় জল সমস্যা তীব্রতর হতে পারে। সেটা দেখতেই নদী ঘাটে যাই। তবে তিনি এসবের জন্য কারোর বিরুদ্ধে কোন সরাসরি অভিযোগ জানাতে চাননি। তারা বালি কারবারিদের পাঠানো লোক হতে পারে।
    তিনি বলেন, এইসব লোকের জন্য শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস কিছু বলে কিনা দেখি। তাহলে বুঝতে পারবো, তারা কি চায়। জল সমস্যা হলে, তাতে যে বিজেপির লোকেরা ভুগবে এমনটা নয়। তৃনমূল কংগ্রেসের পরিবারের লোকেরাও তো জল পাবেনা।
    শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় নি।
    জামুড়িয়া থানার পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে কয়েকজন ঐ এলাকায় আসেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের কাছে জানতে চান, কি কারণে তারা এসেছেন। তখন একটু গন্ডগোল হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।

  • বার্নপুরে গভীর রাতে আগুন / পুড়ে ছাই পাঁচটি দোকান

    বার্নপুরে গভীর রাতে আগুন / পুড়ে ছাই পাঁচটি দোকান

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :– আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরের নিমতলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হওয়া এই ঘটনায় পাঁচটি দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। দোকানগুলিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে এলাকার মানুষের প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করেন। একই সাথে হিরাপুর থানাকে খবর দেওয়া হয়। দমকল বিভাগকেও বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুটি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছায়। আসে হিরাপুর থানার পুলিশ। দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে শুরু করে। দমকল কর্মীরা যখন আগুন নেভাতে সক্ষম হন , ততক্ষণে পাঁচটি দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জানা গেছে, এই অগ্নিকাণ্ডে একটি চায়ের দোকান, হোটেল, লোহার দোকান, গ্যারেজ, মুরগির দোকান পুড়ে গেছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মুরগির দোকানে রাখা মুরগির কোনও ক্ষতি হয়নি। সব মুরগি বেঁচে যায়। আগুন লাগার এই ঘটনায় দোকানদাররা ভেঙে পড়েছেন । শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দোকানদাররা আগুনে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ কিছু অক্ষত আছে কিনা, তা খুঁজে বার করার কাজে ব্যস্ত আছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ততক্ষণে সব দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানদাররা খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। সবকিছু খুইয়ে, তারা এখন কি করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
    দমকলকর্মীদের অনুমান, কোনভাবে শট সার্কিট বা কোন দোকানের ভেতরে জলন্ত কিছু থেকে প্রথমে একটি দোকানে আগুন লাগে। তারপর সবকিছু দাহ্য বস্তু থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

  • শেষ হয়নি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ / রাস্তা মেরামতে সমস্যা / রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র

    শেষ হয়নি আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজ / রাস্তা মেরামতে সমস্যা / রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের নিয়ে মঙ্গলবার পুরভবনে মেয়রের চেম্বারে একটি বৈঠক হয়।প্রসঙ্গতঃ, ২০২৪ এর দুর্গাপূজার আগে থেকে বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের তরফে আসানসোল শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল বসানোর কাজের জন্য রাস্তা খোঁড়ার কাজ করছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনেক রাস্তা রয়েছে যেখানে কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়নি। যে কারণে ঐসব রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন হয়নি। যে কারণে মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এদিন রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের আসানসোল পুরনিগমে ডাকা হয়। সেই মতো তারা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় ও পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়াররা ছিলেন। এই বৈঠকে বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের আধিকারিকদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হয়, যে তারা কদিনের মধ্যে বাকি রাস্তাগুলির কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন? আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হয়েছে যে আগামী মাসের মধ্যে ৭ দিনের মধ্যে যেসব রাস্তার কাজ শেষ হয়নি, সেগুলোর কাজ শেষ করতে হবে।

    পরে এই প্রসঙ্গে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপূজার আগে থেকেই এই রাস্তাগুলিতে কাজ চলছে। এদিন বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকদের বলা হয়েছে যে, যেসব রাস্তায় এখনও কাজ শেষ হয়নি, সেগুলোর কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত এসবি গড়াই রোড ও রহমতনগর রোডের কাজ বিদ্যুৎ দপ্তর শেষ করা হয় নি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, এইসব রাস্তা মেরামতের জন্য সবমিলিয়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

  • রানিগঞ্জ শিল্প তালুকে নামী কোম্পানির গোডাউনে দূর্ঘটনা / রডের বান্ডিল চাপা পড়ে কর্মীর মৃত্যুতে উত্তেজনা, কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ…

    রানিগঞ্জ শিল্প তালুকে নামী কোম্পানির গোডাউনে দূর্ঘটনা / রডের বান্ডিল চাপা পড়ে কর্মীর মৃত্যুতে উত্তেজনা, কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ…

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :— কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলো এক কর্মীর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের বাঁশড়া এলাকার একটি নামী কোম্পানির রডের গোডাউনে। ক্রেন থেকে আছড়ে নিচে পড়ে, প্রায় ২ টন লোহার রিংয়ের নিচে চাপা পড়ে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পুরুলিয়ার হুড়া থানার কুমড়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মৃত কর্মীর নাম সত্যদেব পতি (৪২)। এই ঘটনার পরে ঐ গোডাউন মালিক উমেশ দোকানিয়ার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন অন্য কর্মী ও রাজ্য শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় মৃত কর্মীর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
    কোন রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই, সব কর্মীদেরকে ঐ গোডাউনে কাজ করানো হয় বলে দাবি করেন জয়ন্ত বাউরি সহ অন্য কর্মীরা। তাদের দাবি, কোনরূপ কোন সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে, জোরপূর্বক কম বেতনে কাজ করানো হয় বলেই অভিযোগ করেন তারা। খবর পেয়ে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ আসে।
    তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির রানিগঞ্জের সভাপতি রঞ্জিৎ সিং এই ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন । তার দাবি, বারংবার এখানে দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলেও কোনরূপ কোন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় না গোডাউন কর্তৃপক্ষ। কয়েকবার শুধুমাত্র লোক দেখানো নিয়ম-কানুন দেখিয়ে, সমস্ত কিছু মেনে চলা হচ্ছে বলেই দাবি করে গোডাউন কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ তার।
    দূর্ঘটনার পরে জখম অবস্থায় ঐ কর্মীকে রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরে গোডাউনের অন্য কর্মীরা কাজ বন্ধ করে, অবিলম্বে নিরাপত্তার দাবি ও মৃত কর্মীর পোষ্যকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন তারা।যদিও, ঘটনার পরে গোডাউনের মালিক উমেশ দোকানিয়া ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে আসেন। তিনি দাবি করেন সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে আছে। তবে কি কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেই সম্পর্কে তার কিছুই জানা নেই। তিনি বলেন, মৃত কর্মীর পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া হয় তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
    প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, পুরুলিয়ার বাসিন্দা সত্যদেব পতি ঐ গোডাউনে ক্রেনের উপরে লোহার রিং তৈরির কাজ করছিলেন। সেই সময় কোনভাবে লোহার রডের বান্ডিল সহ তিনি নিচে পড়েন। সেই বান্ডিলের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ঐ কর্মীর। এই ঘটনার একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।