
পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পাল সোমবার আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বিজেপি জেলা পার্টি অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকার ধস কবলিত এলাকার মানুষদের পুনর্বাসন প্রকল্প ” রানিগঞ্জ মাস্টার প্ল্যান” নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সংসদে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীকে রানিগঞ্জ মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন যে, ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এই মাস্টার প্ল্যান পরের ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রানিগঞ্জ মাস্টার প্ল্যান কেন ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়নি? তিনি বলেন, এর পেছনে কি কারণ রয়েছে যে, পুনর্বাসনের কথা মাথায় রেখে ২০০৯ সালে শুরু হওয়া এই মাস্টার প্ল্যানটি এখনও পর্যন্ত সম্পন্ন করা যায়নি। তিনি আরো বলেন, এর ফলে মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য যে ব্যয় বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছিল তা ৯৩.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি বিধায়ক বলেন, এই প্ল্যানের টাকা সাধারণ করদাতার টাকা। যা অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যয় করা হচ্ছে। অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য যখন কয়লামন্ত্রীকে এই প্রশ্নটি করেছিলেন, তখন কয়লামন্ত্রী উত্তর দিয়ে বলেছিলেন যে, এই মাস্টার প্ল্যানটি শেষ করা দরকার। বিধায়ক বলেন, এই সম্পূর্ণ মাস্টার প্ল্যানের জন্য প্রায় ৩৬২ একর জমি অধিগ্রহণের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তার পরিবর্তে এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৫০% এরও কম জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । যে কারণে এই প্রকল্পটি এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়। এর বাইরে আরও অনেক কারণ রয়েছে। যেমন রাজ্য সরকার কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থা ইসিএল বা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের এলাকায় বসবাসকারী নয় এমন লোকদের সনাক্ত করতে পারেনি। বিধায়ক আরো বলেন, নিজেদের এলাকায় বসবাসকারী লোকদের ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু যারা তাদের এলাকায় বাস করেন না এমন লোকদের সনাক্ত করার কাজটি রাজ্য সরকারের কাজ ছিলো। যা এখনো পর্যন্ত শেষ করা বা সম্পন্ন হয়নি। চিহ্নিত ব্যক্তিদের বাড়ির মূল্যায়ন করা হয়নি। যে কারণেও সমস্যা হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, এই দেরীর কারণে এই প্ল্যান বা পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য নির্মিত বাড়িগুলিতে চুরি হচ্ছে। একদিকে করদাতার অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে, অন্যদিকে করদাতার অর্থ চুরিও হচ্ছে। তিনি রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন, আসলে এখন রাজ্যে যে ধরণের সরকার চলছে, তারা প্রশাসনিক কাজ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। একটা প্ল্যান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করতে পারেনি।
যদিও, রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ মানতে চায়নি। তারা বলেন, এই প্ল্যান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে প্রতি পদক্ষেপে বাধা সৃষ্টি করছে ইসিএল। অনেক আবাসন তৈরি হয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকার ঠিক মতো কাজ করছে।







































