Category: BANGLA

  • রেল শহর চিত্তরঞ্জনে চাঞ্চল্য / আবাসনে গৃহবধূকে গলা কেটে নৃশংস খুন, তদন্তে পুলিশ চিত্তরঞ্জন ও আসানসোল,

    রেল শহর চিত্তরঞ্জনে চাঞ্চল্য / আবাসনে গৃহবধূকে গলা কেটে নৃশংস খুন, তদন্তে পুলিশ চিত্তরঞ্জন ও আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– রেল শহর চিত্তরঞ্জন রেল আবাসনের ভেতরে গৃহবধূকে গলা কেটে ও কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করলো দূষ্কৃতিরা। রেল শহরের আমলাদহি এলাকার ২৮ নম্বর স্ট্রিটের ৪৬/২ডি নং রেল আবাসন থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পরে রক্তাক্ত গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এক রেল কর্মীর স্ত্রী ঐ গৃহবধূকে নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃতার নাম সঞ্চিতা চৌধুরী (৫৬)। তার স্বামী প্রদীপ চৌধুরী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ক্রেন ড্রাইভার পদে কর্মরত আছেন।
    শুক্রবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। গৃহবধূর গলা ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে। এছাড়াও গৃহবধূর শরীরে ১২ টি বেশি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা করে তদন্তে নেমেছে।
    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিত্তরঞ্জনে রেল আবাসনে একাই ছিলেন গৃহবধূ সঞ্চিতা চৌধুরী। স্বামী প্রদীপ চৌধুরী রেল ইঞ্জিন কারখানায় কাজে ছিলেন। প্রদীপবাবুর ছেলে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে আছে। সেখানে থেকে সে মাকে সন্ধ্যার পরে ফোন করে। কিন্তু বারবার ফোন করলেও, তার মা তা ধরেনি। তাই সে বাবাকে ফোন করে, মায়ের ফোন না ধরার কথা বলে। বাবা তখন কারখানায় কাজ করছিলেন। তিনি রাত আটটা বাড়িতে এসে দেখেন দরজা খোলা। আরো দেখেন বাইরের ঘরে রক্ত ভর্তি। বিছানায় রক্ত। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। এরপর তিনি ভেতরে ঢুকে দেখেন বাথরুমের কাছে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় সঞ্চিতা দেবী পড়ে আছেন। তিনি চিৎকার করে আশপাশের লোকেদের ডাকেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়ে আসেন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি পুলিশ কর্মীদের নিয়ে সেখানে আসেন। আরপিএফ আধিকারিকরাও খবর পেয়ে পৌঁছান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আইএনটিইউসির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং। ইন্দ্রজিৎবাবু বলেন, প্রদীপ চৌধুরী পরিবার নিয়ে ২৮ নম্বর স্ট্রিটের ৪৬ /২ ডি কোয়ার্টারে থাকেন। প্রদীপবাবু আমাকে জানিয়েছেন তার ছেলের কাছ থেকে ফোন পেয়ে তিনি বাড়িতে আসেন। তখন তিনি আবাসনের মধ্যে নিজের স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকত দেখেন।
    জানা যায়, প্রদীপবাবুর আবাসনের সামনের এবং পিছনের দুদিকেরই দরজায় খোলা ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এই এলাকায় কাছাকাছি কোন সিসিটিভি নেই।
    চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলী বলেন, প্রচুর পরিমাণ রক্ত আবাসনের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। দেহটি বাথরুমের কাছে পড়েছিল। দুষ্কৃতিরা ফিনাইল দিয়ে ঘরটা ধোওয়ার চেষ্টা করেছিলো । তবে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জেনেছি, তারা কোনো রকম আওয়াজ এই আবাসন থেকে পাননি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা করা হয়েছে।

  • নিয়োগে সুপ্রিম রায় / আসানসোলে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএর বিক্ষোভ সভা

    নিয়োগে সুপ্রিম রায় / আসানসোলে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএর বিক্ষোভ সভা

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– এসএসসি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের ২৬০০০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। গোটা বিষয়টিকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিএনআর মোড়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির ( এবিটিএ) আসানসোল মহকুমা শাখার পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। রাস্তা অবরোধ করে দেখানো হয় বিক্ষোভও।
    এই প্রতিবাদ সভায় অল বেঙ্গল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অমিতদ্যুতি ঘোষ, কালী শঙ্কর ভট্টাচার্য, অনিন্দ্য দাস, মৈত্রেয়ী দাস, ভিক্টর আচার্য ছাড়াও সংগঠনের আরো অনেক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে অমিতদ্যুতি ঘোষ বলেন, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তার জন্য রাজ্য সরকার এবং এসএসসি সম্পূর্ণরূপে দায়ী। তারা তাদের কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। যে কারণে তারা কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে অনেক সুযোগ পেয়েছিল যেখানে তারা যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি । কারণ তারা যদি তা করত, তাহলে তাদের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসত। এর ফলে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে এমন শিক্ষকও আছেন যারা যোগ্য ছিলেন। যারা কোনও দুর্নীতি করেননি। তারা তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির কারণে, আজ তারাও অস্তিত্বের সংকটের মুখোমুখি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সংগঠন এটা হতে দেবে না। রাজ্য সরকারের সরানোর দাবিতে আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।

  • ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় আসানসোলে বিক্ষোভ মিছিল আসানসোল,

    ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় আসানসোলে বিক্ষোভ মিছিল আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:– কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে শুক্রবার আসানসোল শহরে দানিশ আজিজের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হয়। আসানসোলের রেলপার এলাকার কুরেশি মহল্লা ব্রিজ থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়ে, জিটি রোডের বিএনআর মোড় হয়ে আসানসোল আদালত চত্বরে এসডিও বা মহকুমাশাসক (সদর) অফিস পর্যন্ত যায়। এই প্রসঙ্গে দানিশ আজিজ বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস করিয়েছে। এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আনা একটি বিল। এর ফলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। এছাড়াও, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারেও হস্তক্ষেপ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এর পরেও যদি রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ না করা হয়, তাহলে তা হবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। তিনি রেলপারের জনগণকে ধন্যবাদ জানান, এই বলে যে তারা এদিন এত বিশাল সংখ্যায় বেরিয়ে এসে এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী দিনে যদি এই বিল প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আসানসোলের মানুষ আরও বৃহত্তর পরিসরে প্রতিবাদ করবে। শুধু আসানসোল নয়, কলকাতা সহ সমগ্র বাংলায় আন্দোলন করা হবে।
    এদিনের এই বিক্ষোভ মিছিলের জন্য আসানসোল শহররের জিটি রোডের একাংশে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়।

  • আসানসোলে বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা / রোগীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত নিয়ে চাপানওতোর, পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ

    আসানসোলে বেসরকারি হাসপাতালে উত্তেজনা / রোগীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত নিয়ে চাপানওতোর, পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল বাড়িতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হওয়া এক রোগীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা নিয়ে শনিবার উত্তেজনা ছড়ালো আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ৫০ উর্ধ্বের মৃত রোগীর নাম মহঃ ওবায়েদ আলম। আসানসোল উত্তর থানর পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে ঘন্টা কয়েকের চেষ্টায় পরিস্থিতি সামাল দেয়।
    জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ আসানসোলের ইসমাইল এলাকার বাসিন্দা মহঃ ওবায়েদ আলম ঘরে পড়ে মাথায় আঘাত পান। যে কারণে তাকে আসানসোলের সেনরেল রোডের সৃষ্টিনগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
    ঘটনা সম্পর্কে মৃত ব্যাক্তির ছেলে মহঃ শাদাব আলম বলেন, গত ২৬ মার্চ আমার বাবা মাথায় আঘাতের কারণে এই হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন সকালে হাসপাতাল থেকে তার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ফোন আসে। সেই খবর পেয়ে আমি পরিবারের সাথে হাসপাতালে পৌঁছাই৷ তখন হাসপাতাল থেকে আমাকে জানানো হয় যে তার বাবার দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। মহঃ শাদাব আলম আরো বলেন, আমি, আমার ভাই বা পরিবারের কোনও সদস্যের তার বাবার মৃত্যু সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তারা চান না যে তার বাবার ময়নাতদন্ত করা হোক। কিন্তু হাসপাতাল ময়নাতদন্ত করানোর ব্যাপারে অনড় রয়েছে । তিনি বলেন, যখন আমার পরিবারের কোনও আপত্তি নেই, তাহলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ কেন ময়নাতদন্তের উপর অনড় থাকবে ? তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরা চান না বাবার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হোক। হাসপাতালের চাপে জোর করে বাবার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করতে দেবো না।
    এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাঃ অরিত্র ভট্টাচার্য বলেন, ২৬ মার্চ মহঃ ওয়াবেদ আলমকে মাথায় আঘাতের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কারণ তার বাইরের দিকে আঘাত ছিলো। তাই নিয়ম অনুসারে, আমি কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশকে এই বিষয়ে অবহিত করেছিলাম। তিনি আরো বলেন, এখানে মহঃ ওয়াবেদ আলমের চিকিৎসা করা হয়। তার অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিলো। কিন্তু, এদিন তিনি মারা যান। এটি একটি মেডিকেল ক্ষেত্রে আইনগত মামলা। তাই সরকারি নিয়ম অনুসারে ময়নাতদন্ত বা পোস্টমর্টেম প্রয়োজনীয়।
    পরে ঘটনার খবর পেয়ে ও মৃত পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে, আসানসোলের সমাজকর্মী ফিরোজ খান এফকে হাসপাতালে পৌঁছান। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে চান কেন তারা ময়নাতদন্ত করতে চান। হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও পুলিশ তাকে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করার আইনগত দিকটি বলে। এরপর তিনি বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে পরিবারকে বলেন।
    ফিরোজ খান এফকে বলেন, আমি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে আসি। তখন জানতে পারি, গত ২৬ মার্চ মহঃ ওবায়েদ আলমকে মাথায় আঘাতের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। এদিন তিনি মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে তার ছেলেদেরকে ফোনে এই বিষয়টি জানানো হয়। তার ছেলেরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে হাসপাতালে পৌঁছান। অন্যদিকে, মহঃ ওবায়েদ আলমকে দাফনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, তবে হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতাল বলছে যে তার ময়নাতদন্ত করা হবে। তিনি বলেন, দেশের আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মহঃ ওবায়েদ আলমের পরিবারও নয়। এই হাসপাতালও নয়। ফিরোজ খান এফকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে মহঃ ওবায়েদ আলমের মৃত্যুর কারণ তার পরিবারকে না দেওয়া পর্যন্ত তারা ময়নাতদন্তের অনুমতি দেবেন না। রোগী সকালে মারা গেছেন। সেই ঘটনার পরে ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গেছে। এই রকম একটা বড় হাসপাতালের রোগীর মৃত্যুর ডিটেইলস দিতে ৪ ঘন্টা সময় লাগছে। এটা খুবই অবাক করার মতো ব্যাপার। তিনি বলেন, এই প্রথমবার নয় যে এই হাসপাতালে রোগী বা তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ আনা হচ্ছে। যখনই এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কোনও রোগী এখানে ভর্তি হতে চান, তখনই হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে ভর্তি করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে । তার দাবি, একটি হাসপাতাল তার ব্যবস্থাপনার মধ্যে যদি রোগীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো আচরণ করতে না পারে ও তাদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করতে না পারে, তাহলে এমন হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
    যদিও, হাসপাতালের তরফে এই ঘটনা নিয়ে বলা হয়েছে, কোন রোগীর পড়ে গিয়ে মৃত্যু হলে, সেটিকে দুর্ঘটনা বলে ধরে নেওয়া হয়। তা আনন্যাচারাল বা অস্বাভাবিক। আইন মেনে স্থানীয় থানাকে তা লিখিত ভাবে জানানো হয়। এই ক্ষেত্রেও তা করা হয়েছে। বাকিটা পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ ও মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যদেরকে মৃত্যু সংক্রান্ত যা নথি দেওয়ার তা দেওয়া হয়েছে। আর, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি, সরকারি গাইড লাইনে যা বলা আছে, তা করা হয়ে থাকে। তার বাইরে কোন রোগীর ক্ষেত্রে কোনকিছু করা হয় না।
    এদিকে, আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, হাসপাতাল কতৃপক্ষের তরফে এদিন সকালে ঐ রোগীর মৃত্যুর কথা লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিলো। রোগীর পরিবারের সদস্যদেরকে বুঝিয়ে এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। পরিবার জানিয়েছে, ঐ ব্যক্তি বাড়িতে পড়ে গিয়ে গত চারদিন আগে আঘাত পান। এই হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছিলো। শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

  • আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সহায়তা / জামুড়িয়া কাজি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতায় সেমিনার……….. জামুড়িয়া,

    আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সহায়তা / জামুড়িয়া কাজি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে সাইবার সচেতনতায় সেমিনার……….. জামুড়িয়া,

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:- আসানসোলের জামুরিয়ায় চুরুলিয়ায় কাজি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ে মঙ্গলবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার সহযোগিতায় ” সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ ” সচেতনতায় একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। মহাবিদ্যালয়ের ওম্যানস্ সেল ও আইকিউএসি বিভাগের পক্ষ থেকে কলেজের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যে বর্তমানের সাইবার ও ডিজিটাল ব্যবস্থা নিয়ে সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিলো। আনুষ্ঠানিকভাবে এক অনুষ্ঠানে অতিথিরা প্রদীপ জ্বালিয়ে সেমিনারের শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল সাইবার থানার সাব ইন্সপেক্টর স্বর্ণালী পাল, এএসআই শাহনাজ খাতুন, কাজি নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ডঃ মতিলাল সেন, কনভেনার সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্চিতা নাগ ও মানসী হাজরা।

  • আসানসোল বার এ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন/ হার বিদায়ী সভাপতি রাজেশ তেওয়ারির/ জয়ী অয়ন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ………… আসানসোল,

    আসানসোল বার এ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন/ হার বিদায়ী সভাপতি রাজেশ তেওয়ারির/ জয়ী অয়ন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় ………… আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:-আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে নাটকীয় পট পরিবর্তন। সভাপতি পদে জয়লাভ করলেন অয়ন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় । তিনি হারিয়েছেন বিদায়ী সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলার ও বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ ওরফে বান্টি তেওয়ারিকে। অয়ন রঞ্জন বন্দোপাধ্যায় ৬০ ভোটে জয়লাভ করেছেন ।
    অয়ন রঞ্জন মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন ৫৩০ ভোট ও বিদায়ী সভাপতি রাজেশ ওরফে বান্টি তেয়ারি পেয়েছেন ৪৭০ ভোট। প্রসঙ্গতঃ, এর আগে
    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্পাদক পদে আগেই জয়লাভ করেছেন বাণীব্রত মণ্ডল।
    উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই আসানসোল বার এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে আইনজীবিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
    তবে, শাসক দলের কাউন্সিলার নেতা বারের নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে।

  • কুলটিতে পানীয়জলের সমস্যার সমাধান / পাম্প হাউস এলাকা পরিদর্শনে আধিকারিকরা……….. কুলটি,

    কুলটিতে পানীয়জলের সমস্যার সমাধান / পাম্প হাউস এলাকা পরিদর্শনে আধিকারিকরা……….. কুলটি,

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের কুলটি পুর এলাকায় পানীয়জলের সমস্যা ধীরে ধীরে তীব্র আকার ধারণ করছে। বলতে গেলে প্রতিদিনই কুলটি কোন না কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানীয়জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে অবরোধ বিক্ষোভ করছেন। এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও স্থানীয় মানুষজনেরা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে পানীয়জল সরবরাহের সমস্যা নিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। সেই মতো মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম আসানসোলে জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি বৈঠক করেন সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে সোমবার আসানসোল পুরনিগম, জেলা প্রশাসন, রেল ও সেল আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। আরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো যে এই বৈঠকের পরেই কুলটিতে পানীয়জল সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতো এদিন একটি উচ্চ-স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের দল কুলটিতে মনবেড়িয়া পাম্প হাউস এলাকা পরিদর্শন করেন। সেই দলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার দত্ত, সেল ও রেলের আধিকারিকরা ছিলেন। তারা দীর্ঘক্ষন গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন।

    এই প্রসঙ্গে কুলটি সেল গ্রোথ ওয়ার্কসের সিজিএম বলেন, এদিব এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই এলাকার জল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে, কত দিনের মধ্যে জল সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দিতে পারেননি।

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলাশাসকের নির্দেশে এলাকা পরিদর্শন করা হলো। এরপর আলোচনায় বসে একটা রিপোর্ট জেলাশাসককে দেওয়া হবে। তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    এই বিষয়ে, তৃনমুল কংগ্রেসের কুলটি ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দুলাল চক্রবর্তী বলেন, আমরা জানি না কিভাবে কুলটি এলাকার পানীয় জল সরবরাহ করা হবে, তবে তাদেরকেই জল সরবরাহ করতে হবে। এদিন জেলা প্রশাসন, সেল ও রেলের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মানবেড়িয়ার পাম্প হাউসটি তারা দেখেছেন। তারা স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি যে জল সমস্যা কিভাবে সমাধান করা হবে। তা তিনি জানেন না। সরবরাহ কীভাবে করা হবে? কিন্তু যদি জল সরবরাহ না করা হয়, তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে এদিন দুলাল চক্রবর্তী হুমকি দেন।

  • আসানসোলে পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ / বুলডোজার দিয়ে ভাঙলো পুরনিগম ও বিএলআরও দপ্তর…………… আসানসোল,

    আসানসোলে পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ / বুলডোজার দিয়ে ভাঙলো পুরনিগম ও বিএলআরও দপ্তর…………… আসানসোল,

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল :–পুকুর বুজিয়ে বা ভরাট করে চলছিল বেআইনী বা অবৈধ নির্মাণ। সেই অভিযোগ পেয়ে সোমবার ঐ বেআইনী নির্মাণ ভাঙলো আসানসোল পুরনিগম। আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে পলাশডিহার জ্যোতিনগরের এলাকার এই ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই আসানসোল পুরনিগম ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর বা বিএলআরও অফিসে এই পদক্ষেপে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
    জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আসানসোলে পলাশডিহার জ্যোতিনগর এলাকায় ১৯ নং জাতীয় সড়কের পাশে পুকুর ভরাট করে বেআইনী নির্মাণের কাছ চলছিল।এই অভিযোগ পেয়েছিলেন আসানসোল পুরনিগম এবং ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা। তারা সেই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখছে নিজেদের মতো করে তদন্ত করেন। তাতে আসানসোল পুরনিগম ও বিএলআরও অফিস জানতে পারে, অভিযোগ একে সত্যি। পুকুর ভরাট করে এলাকারই বাসিন্দারা এই পুকুর ভরাট করা বেআইনি নির্মাণ করছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়ে এফআইআরও করা হয়েছে।
    সোমবার ঐ এলাকায় পৌঁছান আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরকে শ্রীবাস্তব ও বিএলআরও অফিসে আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটি দল। শেষ পর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে সেই বেআইনী নির্মাণ ভাঙে আসানসোল পুরনিগম ।এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং ভুমি ও ভুমি সংস্কার দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এখানে পুকুর ভরাট করে বেআইনী নির্মাণ চলছিল। অভিযোগ পেয়ে সেই বেআইনী নির্মাণ ভেঙে ফেলা হল। পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।
    পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরো বলেন, শুধু আসানসোল শহর নয় আসানসোল পুরনিগমের সব এলাকা যেমন কুলটি, বার্নপুর, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জেও অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দিনে এই প্রক্রিয়া এই রকম ভাবেই চলবে।
    পুর প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে তাদের দাবি যেন দ্রুত এই পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।

  • কুলটির নিষিদ্ধ পল্লীতে মাদক সহ পাকড়াও এক, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ বাসিন্দাদের, সরব তৃনমুল নেতা………… কুলটি,

    কুলটির নিষিদ্ধ পল্লীতে মাদক সহ পাকড়াও এক, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ বাসিন্দাদের, সরব তৃনমুল নেতা………… কুলটি,

    পাবলিক নিউজ আলোক চক্রবর্তী আসানসোল:– পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের লছিপুরের নিষিদ্ধ পল্লী চবকা এলাকায় সোমবার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। অভিযোগ , এক ব্যক্তি এই এলাকায় মাদক বিক্রি করছিলেন। যার জেরে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা তাকে ধরে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় পৌঁছায়। তারপর ঐ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
    তবে এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন কাণ্ড নয়। এই এলাকার যুব সমাজের উপর মাদকের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এটা, তার একটা উদাহরণ মাত্র। স্থানীয়দের দাবি, চবকা এলাকায় মাদক বিক্রির ফলে যুবকরা বিপথগামী হচ্ছে। যা একটা উদ্বেগের বিষয়।
    কুলটির তৃণমূল নেতা বাচ্চু রায় বলেন , পুলিশ প্রশাসন যদি কঠোর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এলাকার সব বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা সম্ভব।
    জানা গেছে, এই চবকা এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন।তাদের মতে, এই অঞ্চলে মাদক বিক্রি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যা শুধু যুব সমাজকেই নষ্ট করছে না, বরং এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তাকেও বিঘ্নিত করছে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীরা নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।যা প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয়দের ক্ষোভের মূলে রয়েছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ। তারা বলছেন, যদি সময়মতো পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হতো, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
    বাচ্চু রায়ের বক্তব্য ও তিনি মনে করেন, পুলিশের দৃঢ় হস্তক্ষেপ এবং প্রশাসনের সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এলাকায় মাদক বিক্রি ও অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব। তবে, এর জন্য প্রয়োজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় এবং কঠোর নজরদারি। বাচ্চু রায়ের এই মন্তব্য প্রশ্ন তোলে পুলিশ প্রশাসন কি সত্যিই এই সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে না।এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু প্রশাসনের একার দায়িত্ব নয়, এর জন্য সমাজের সব স্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। লছিপুরের চবকার এই ঘটনা আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে। যতক্ষণ না প্রশাসন ও সমাজ একসঙ্গে কাজ শুরু করবে, ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান দূরের স্বপ্নই থেকে যাবে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনার পর পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃত্ব কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে কি পদক্ষেপ নেয়।
    এদিকে, পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ঐ ব্যক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকায় নজরদারি আরো বাড়ানো হচ্ছে।

  • আসানসোল টিবি হাসপাতালে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদযাপন / বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির…………..আসানসোল,

    আসানসোল টিবি হাসপাতালে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উদযাপন / বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির…………..আসানসোল,

    বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস বা ওয়ার্ল্ড টিবি ( টিউবারকিউলোসিস) ডে সোমবার আসানসোলের এসবি গরাই রোডের সুকান্ত ময়দানের আসানসোল টিবি হাসপাতালে পালিত হলো। এই দিবস উপলক্ষে এদিন আসানসোল টিপু সুলতান মেমোরিয়াল সোসাইটি পরিচালিত টিবি হাসপাতালে একটি বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর পাশাপাশি কিছু রোগীকে ফল মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
    উপস্থিত ছিলেন আসানসোল টিবি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার বা এমও ডাঃ অমিত কুমার দত্ত, লক্ষীকান্ত প্রামাণিক ও আসানসোল টিপু সুলতান মেমোরিয়াল সোসাইটি সদস্য সোহেল আনোয়ারুল।
    আসানসোল টিবি হাসপাতাল ও টিপু সুলতান মেমোরিয়াল সোসাইটির তরফে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে এখনো পর্যন্ত এই হাসপাতালে ২৫১২ জন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে। নতুন করে ১৪ জন যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা আসানসোল টিবি হাসপাতালে চলছে।