Author: NewsEditor

  • दिशा यौनपल्ली मे अपना दबदबा बनाना चाहती है लाला और शाहरुख़ की गैंग

    दिशा यौनपल्ली मे अपना दबदबा बनाना चाहती है लाला और शाहरुख़ की गैंग

    पब्लिक न्यूज आसनसोल, :– पश्चिम बंगाल आसनसोल कुलटी थाना अंतर्गत नियामतपुर पुलिस फाड़ी अंतर्गत दिशा यौनपल्ली मे लाला और शाहरुख़ की गैंग अपना दबदबा बनाना चाहती है, जिसका प्रमाण उन्होंने गुरुवार सुबह झारखंड जमशेदपुर से आसनसोल अपने एक निजी कार्य से आए चार युवकों के साथ छिंतई कर दे दिया है, वहीं चारों युवक अपना पैसा वापस पाने के लिये गुरुवार को नियामतपुर पुलिस फाड़ी के सामने भूखे प्यासे बैठे दिखे, दिशा यौनपल्ली इलाके मे स्थित कुछ दुकानदारों और कुछ कार चालकों की अगर माने तो लाला और शाहरुख़ इलाके मे एक गैंग चलाते हैं, जिस गैंग के सदस्य नियामतपुर से लेकर सतईसा इलाके तक विभिन्न कंपनियों की स्कूटी और मोटरसाइकलों से झारखंड और बिहार सहित अन्य राज्यों से आने -जाने वाली वहानो पर नजर रखने का काम करते हैं और वह चलती वाहन की ओवर टेकिंग कर दिशा यौनपल्ली मे कम उम्र और सुंदर लड़कियों के साथ कम खर्च मे मस्ती करवाने की बात कर अपने झांसे मे लेकर दिशा यौनपल्ली मे मौजूद कुछ पार्किंगों मे लाते हैं, जहाँ अपने ग्राहकों के वाहन पार्किंग करवाकर पार्किंग का गेट बंद कर देते हैं और फिर उनको अपने साथ एक रूम मे ले जाकर एक सोंची समझी साजिस के तहत उनको तो पहले शराब का सेवन करवाते हैं, जिसके बाद उनके किये लड़कियां बुलवाते हैं और फिर उनके नाम से लाखों रुपए का बिल काट देते हैं, पैसे नही देने पर वह उनके साथ बेरहमी से मारपीट भी करते हैं, साथ ही उनके मोबाईल फोन छीनकर जबरन उनके अकाउंट से ऑनलाइन पैसे ट्रांसफर कर लेते हैं, यहाँ तक की कुछ लोगों का यह भी कहना है की छिंतईबाज यह दलाल दिशा यौनपल्ली मस्ती करने आए ग्राहकों की पोल उनके परिजनों के सामने खोलने की बात कर उनको ब्लैक मेल कर भी पैसे लूटने का काम करते हैं, ऐसे मे 100% ग्राहकों मे से 1% ही ऐसे ग्राहक होते हैं जो न्याय के लिये थाने तक पहुँचते हैं, यही कारण है की दिशा यौनपल्ली मे छिंतई बाज दलालों के इस गिरोह का दिन प्रतिदिन मनोबल बढ़ता जा रहा है और यह दिशा यौनपल्ली पर धीरे -धीरे अब अपना दबदबा कायम करने मे कामयाब हो रहे हैं, वहीं इन छिंतईबाज दलालों के खिलाफ अगर कोई आवाज उठाता है तो यह लोग उसके साथ मारपीट भी करते हैं, खबर यह भी है की दलालों का यह गिरोह दिशा यौनपल्ली मे अवैध रूप से शराब भी ऑने -पौने दामों मे खपाने का काम कर रहे हैं और दिशा यौनपल्ली मस्ती करने आने वाले ग्राहकों से दोगुने दाम पर शराब बेचते हैं, यहाँ तक की ग्राहकों को यह गिरोह चरस गांजा और अफीम जैसे नशे का सामान भी उपलब्ध करवाने का काम कर्ता है, हालांकि नियामतपुर पुलिस लगातार इन गिरोह के सदस्यों कों धर दबोचने के लिये गस्ती करती है, ग्राहक इस गिरोह का शिकार ना हो उसके लिये पुलिस माइकिंग कर उनको जागरूक करने का काम करती है, बावजूद उसके इस गिरोह के सदस्य पुलिस के आँखों मे धूल झोंककर बाहरी राज्य से आने वाले ग्राहकों को बे रोकटोक अपना शिकार बना रहे हैं,

  • আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণির আসানসোল সৃষ্টিনগরের আবাসিক বাসিন্দারা সৃষ্টিনগর ম্যানেজমেন্ট বা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন। তাদের তরফে বাসিন্দাদের স্বার্থে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে। যদিও, সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষ বাসিন্দাদের তোলা সব অভিযোগ মানতে চাননি। দাবির ব্যাপারে, কতৃপক্ষের মন্তব্য, আলোচনায় বসে সব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্টিনগরের দুর্গা মন্দিরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা বলেন, তাদের দেওয়া ফি না চার্জের অনুপাতে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা খুবই নগণ্য। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী মনোভাব অবলম্বন করে তাদেরকে হয়রানি করছে।
    সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা, অনৈতিক ফি বৃদ্ধি না করা , দুর্নীতি বন্ধ, ক্লাবের অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা আনা, পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করা, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ সহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মতো বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, কতৃপক্ষ বাসিন্দা বা আবাসিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। যা বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি করছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে শহরের নিউরো সার্জেন ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ বসু ও সিং বলেন, আমরা যে ফি দিচ্ছি তার বিনিময়ে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। কোন কমিটি এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয় নি। কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও জবাবদিহি নেই । কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা দাবি করছি যে এই সমস্যাগুলি অবিলম্বে সমাধান করা হোক। একই সাথে, ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, ক্লাবের হিসাবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যখন তখন ফি বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অন্যায্য। তারা সৃষ্টিনগরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, যুবক-যুবতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে। নানা ধরনের বাজ কাজ করা হয়। কিন্তু তাদের দেখা বা আটকানোর কেউ নেই।
    বাসিন্দারা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। আপাততঃ আগামী ১২ এপ্রিল একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে সৃষ্টিনগরের বাসিন্দাদের তরফে। মিছিল শেষে কতৃপক্ষকে একটি দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি দেওয়া হবে।
    এই বিষয়ে আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের তরফে বেঙ্গল সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের গ্রুপ হেড (প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট) বিনয় কুমার চৌধুরী বলেন, আমরা আবাসিকদের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটা সবসময় দেখি। আমরা সবসময় বলি, কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে। এই সৃষ্টি নগরের ভেতরে একটা মল আছে। সেখানে বাইরে লোকেরা আসেন। তাদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। তিনি আরো বলেন, এবারেও আমরা আবাসিকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। তারা বলেছেন, মিছিল করে ডেপুটেশন দেবেন। আমরা তাতেই রাজি আছি। আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান চাই।

  • আসানসোলের পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয়জল নিয়ে মহকুমাশাসকের বৈঠক……….. আসানসোল, ৯ এপ্রিলঃ

    আসানসোলের পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয়জল নিয়ে মহকুমাশাসকের বৈঠক……….. আসানসোল, ৯ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :–চলতি গ্রীষ্ম বা গরমকালে পানীয়জলের সমস্যা মেটাতে বেশকিছু জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার করে জল সরবরাহ করা হয়। আসানসোল সাব ডিভিশন বা মহকুমায় বিভিন্ন ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সকল এলাকার জল ট্যাঙ্কার করে পানীয়জল সরবরাহের সুবন্দোবস্ত করতে বুধবার আসানসোলের মহকুমাশাসকের (সদর) কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়। মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে হওয়া এই বৈঠকে ইসিএলের সমস্ত এরিয়ার জিএম , পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার , বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ-সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
    বৈঠকের পরে মহকুমাশাসক (সদর) বলেন, পিএইচই ও ইসিএল সমস্ত এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করবে যেখানে জলের প্রয়োজন হবে। এই ব্যাপারে কাদের কি করনীয় তা এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

  • ভোটার তালিকার কাজে শাসক দলের জেলা স্তরে বিএলএ নিয়োগ / পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে ভি শিবদাসন…………. আসানসোল, ১০

    ভোটার তালিকার কাজে শাসক দলের জেলা স্তরে বিএলএ নিয়োগ / পশ্চিম বর্ধমানের দায়িত্বে ভি শিবদাসন…………. আসানসোল, ১০

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– এপ্রিলঃ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় জেলায় ভোটার তালিকার কাজের জন্য দায়িত্ব বণ্টন করলো। তাদের বলা হচ্ছে বুথ লেভেল এজেন্ট বা বিএলএ-১। পশ্চিম বর্ধমান জেলাও তার মধ্যে রয়েছে।
    রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কাজে গতি আনতে প্রতিটি জেলায় নেতৃত্বের হাতে এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। তাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসুকে। তাকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা স্তরের বুথ লেভেল এজেন্ট (বিএলএ-১) হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
    রাজ্যের অন্যান্য জেলায় স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রীদের এই দায়িত্ব দেওয়া হলেও, পশ্চিম বর্ধমানে দল একজন সিনিয়র নেতার উপর ভরসা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
    এই নিয়োগ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভি শিবদাসন দাসু বলেন, আমি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের দুজনকে আমি ধন্যবাদ জানাই যে তারা আমাকে এই দায়িত্বের যোগ্য মনে করেছেন। অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিএলএ-১ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
    তিনি আরও বলেন, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে মাঠে নেমে দলকে আরও শক্তিশালী করি। এই নিয়োগের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল স্তরে তাদের সাংগঠনিক শক্তিকে আরও মজবুত করার দিকে আরেকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের এই উদ্যোগকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।

  • দেরাদুনে দুদিনের ” এইচএসএফইএ ২০২৫” সম্মেলন / বার্নপুর সেল আইএসপির মুকুটে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”…………., বার্নপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    দেরাদুনে দুদিনের ” এইচএসএফইএ ২০২৫” সম্মেলন / বার্নপুর সেল আইএসপির মুকুটে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”…………., বার্নপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– বার্নপুর সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানাকে “সেফটি এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড”-এ ভূষিত করা হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি কনফারেন্স অন হেলথ সেফটি, ফায়ার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভান্সেস ( এইচএসএফইএ ২০২৫ )-এ। এই সম্মেলন ৯ ও ১০ এপ্রিল দেরাদুনে অনুষ্ঠিত হয়। যার আয়োজক ছিল ইউপিইএস, দেরাদুনের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সাসটেইনেবিলিটি ক্লাস্টার।
    এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি মেটাল ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অসাধারণ অবদানের জন্য বার্নপুর সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানাকে স্বীকৃতি হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।
    এইচএসএফইএ ২০২৫ ছিল এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সম্মেলন। যেখানে অংশগ্রহণ করেন সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, কর্পোরেট নেতা, শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদরা। এতে পাওয়ার, এনার্জি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি, স্টিল, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, কনস্ট্রাকশন, রিয়েল এস্টেট, ফার্টিলাইজার, কেমিক্যাল এবং এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যান্ড সেফটি ( ইএইচএস)-র সাথে জড়িত বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
    সম্মেলনে উপস্থিত উল্লেখযোগ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিল ওএনজিসি, সেল, এইপিসিএল, এনএফএল, জিন্দাল স্টেনলেস, ইআইএল, আইটিসি টেকনিপ, টাটা প্রজেক্ট এবং এল এন্ড টি। যা এই অনুষ্ঠানকে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।

  • আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের / ১২ এপ্রিল মিছিল, দেওয়া হবে স্মারকলিপি………..আসানসোল, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণির আসানসোল সৃষ্টিনগরের আবাসিক বাসিন্দারা সৃষ্টিনগর ম্যানেজমেন্ট বা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুললেন। তাদের তরফে বাসিন্দাদের স্বার্থে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে। যদিও, সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষ বাসিন্দাদের তোলা সব অভিযোগ মানতে চাননি। দাবির ব্যাপারে, কতৃপক্ষের মন্তব্য, আলোচনায় বসে সব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।
    বৃহস্পতিবার সকালে সৃষ্টিনগরের দুর্গা মন্দিরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব বাসিন্দারা বলেন, তাদের দেওয়া ফি না চার্জের অনুপাতে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা খুবই নগণ্য। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী মনোভাব অবলম্বন করে তাদেরকে হয়রানি করছে।
    সাংবাদিক সম্মেলনে বাসিন্দারা, অনৈতিক ফি বৃদ্ধি না করা , দুর্নীতি বন্ধ, ক্লাবের অ্যাকাউন্টে স্বচ্ছতা আনা, পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করা, জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং শিশুদের জন্য খেলার মাঠ সহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মতো বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে, কতৃপক্ষ বাসিন্দা বা আবাসিকদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে। যা বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি করছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে শহরের নিউরো সার্জেন ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ডাঃ বসু ও সিং বলেন, আমরা যে ফি দিচ্ছি তার বিনিময়ে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। কোন কমিটি এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয় নি। কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে বলা হয়েছে ও হচ্ছে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে কোনও জবাবদিহি নেই । কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা দাবি করছি যে এই সমস্যাগুলি অবিলম্বে সমাধান করা হোক। একই সাথে, ডাঃ সোহাগ বসু ও রামাধর সিং কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলেন, ক্লাবের হিসাবে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। যখন তখন ফি বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অন্যায্য। তারা সৃষ্টিনগরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, যুবক-যুবতীরা এখানে এসে মদ্যপান করে। নানা ধরনের বাজ কাজ করা হয়। কিন্তু তাদের দেখা বা আটকানোর কেউ নেই।
    বাসিন্দারা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। আপাততঃ আগামী ১২ এপ্রিল একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করা হবে সৃষ্টিনগরের বাসিন্দাদের তরফে। মিছিল শেষে কতৃপক্ষকে একটি দাবি সম্বলিত স্মারক লিপি দেওয়া হবে।
    এই বিষয়ে আসানসোল সৃষ্টিনগর কতৃপক্ষের তরফে বেঙ্গল সৃষ্টি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের গ্রুপ হেড (প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট) বিনয় কুমার চৌধুরী বলেন, আমরা আবাসিকদের সুবিধা ও অসুবিধার দিকটা সবসময় দেখি। আমরা সবসময় বলি, কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে। এই সৃষ্টি নগরের ভেতরে একটা মল আছে। সেখানে বাইরে লোকেরা আসেন। তাদের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। তিনি আরো বলেন, এবারেও আমরা আবাসিকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলাম। তারা বলেছেন, মিছিল করে ডেপুটেশন দেবেন। আমরা তাতেই রাজি আছি। আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সমাধান চাই।

  • দলের কর্মীকে মারধর অভিযোগ / কাঠগড়ায় পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস / প্রতিবাদে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির.…….……, সালানপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    দলের কর্মীকে মারধর অভিযোগ / কাঠগড়ায় পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস / প্রতিবাদে সালানপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির.…….……, সালানপুর, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:–পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের সালানপুর থানার পাহাড়গোরার বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো । সেই অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দূষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয় হওয়া ও ঐ বিজেপি কর্মীকে থানায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সূত্রপাত, গত ৬ এপ্রিল উমেশ নুনিয়া নামে ঐ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় । পরে সালানপুর থানার পাহাড়গোরা ক্যাম্পের পুলিশ ঐ বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। দাবি করা হয়েছে, কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই, শুধুমাত্র, ফোনে কথা শুনে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে তাকে ধরেছিলো। পরের দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল পুলিশ বিজেপি কর্মী উমেশ নুনিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে, বিচারক তার জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উমেশ নুনিয়া। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সালানপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপি। পাহাড়গোরা ক্যাম্পের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এই বিজেপি কর্মীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় ও বারাবনি মন্ডল ৪ র সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে। পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও তার আগে থানার গেটে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
    ধৃত উমেশ নুনিয়ার স্ত্রী শিলা কুমারী নুনিয়া বলেন, গত ৬ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত কয়েকজন দূষ্কৃতি আমার বাড়িতে চড়াও হয়। তারা আমার স্বামীকে তাদের গানের সঙ্গে জোর করে নাচতে বলছিলো। আমি তার প্রতিবাদ করি। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। আমার স্বামীকে মারা হয়। তখন আমি তার প্রতিবাদ করি। স্বামীকে বাঁচাতে যাই। আমার সময় তারা শ্লীলতাহানি করেছে। তিনি বলেন, ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ আমার স্বামীকেই গ্রেফতার করে। পরে তাকে পুলিশও থানায় মারধর করে। তার দাবি, আমার স্বামী এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
    ঘটনা নিয়ে মন্ডল সভাপতি পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হওয়ার ও দলের কর্মীকে অভিযোগ ছাড়াই থানায় তুলে আনার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশ এখন কোন কিছু করেনা। পুলিশ শুধুমাত্র তৃনমুল কংগ্রেসের হয়ে তোলা আদায় করে। পাহাড়গোরা ক্যাম্প তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
    যদিও এই প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ তাকে মারধর করেনি তিনি আরো বলেন উমেশ নুনিয়া মানসিক রোগী। তার চিকিৎসার দরকার রয়েছে। বাড়ির লোকের তা করা উচিত। এলাকার বাসিন্দারা সব জানেন।

  • কাঁঠাল চুরি আটকাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, অনুমান / বাড়িতেই আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের রেল কর্মী / এলাকায় আতঙ্ক, তদন্তে পুলিশ ……….. চিত্তরঞ্জন, ১০ এপ্রিলঃ

    কাঁঠাল চুরি আটকাতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা, অনুমান / বাড়িতেই আক্রান্ত চিত্তরঞ্জনের রেল কর্মী / এলাকায় আতঙ্ক, তদন্তে পুলিশ ……….. চিত্তরঞ্জন, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– নিজের বাড়ির গাছের কাঁঠাল অন্য লোকেরা কেন পারছে তার প্রতিবাদ করে ও আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। চিত্তরঞ্জনে আবারও দুষ্কৃতিদের তাণ্ডবের এই ঘটনায় রেল শহর চিত্তরঞ্জনের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠলো। এই ঘটনায় এক রেল কর্মীর উপরে নিজের আবাসনের উঠোনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবারের এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক নেমে এসেছে।
    প্রসঙ্গতঃ , গত ৩ এপ্রিল এক রেল কর্মীর স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ তার বাসভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তারই মধ্যে বুধবার রেল শহর চিত্তরঞ্জনে ৪২/এ স্ট্রিটের ১০/এ নং আবাসনের বাসিন্দা ৫৮ বছরের রেল কর্মী শ্রীকান্ত তিওয়ারির উপর অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটলো।
    জানা গেছে , শ্রীকান্ত তেওয়ারির পরিবার সদস্যরা বিহারে গ্রামের বাড়ি গেছেন। তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। এই সুযোগে দুষ্কৃতিরা তার বাড়িতে ঢুকে, কোনভাবে বাধা পেয়ে হামলা চালিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। শ্রীকান্তের ছেলে বুধবার গ্রামের বাড়ি থেকে বারবার বাবাকে ফোন করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশীকে জানায়। সেই প্রতিবেশী যুবক তার বাড়ির কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে ঐ যুবক কোনমতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে, তার বাড়ির ভেতরে উঁকি মারেন। তখন তিনি সেখানে শ্রীকান্তকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর ঐ যুবক স্থানীয়দেরকে ডাকেন। তাদের সহায়তায় তাকে দ্রুত চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আইসিইউতে ভর্তি করেছেন। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
    এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কি করে বাড়ির মধ্যে ঐ ব্যক্তি হামলার মুখে পড়লেন, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
    শ্রীকান্ত তেওয়ারির এক প্রতিবেশী বলেন, ঐ বাড়ির উঠোনে একটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। মনে হচ্ছে, কয়েকজন যুবক গাছ থেকে কাঁঠাল পাড় ছিলো। শ্রীকান্তবাবু তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁর উপর হামলা হয়। যেখানে তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকটি কাঁঠাল পড়ে থাকতেও দেখা গেছে বলে ঐ প্রতিবেশী জানান।
    এদিকে, পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঐ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা আসছেন। তারা অভিযোগ দায়ের করবেন।

  • এসএসসির নিয়োগ বাতিল ও শিক্ষকদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ / কুলটিতে সিপিএমের সভা…………… , কুলটি, ১০ এপ্রিলঃ

    এসএসসির নিয়োগ বাতিল ও শিক্ষকদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ / কুলটিতে সিপিএমের সভা…………… , কুলটি, ১০ এপ্রিলঃ

    পাবলিক নিউজ আসানসোল:- ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির প্যানেল থেকে হওয়া নিয়োগ সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে। এই নির্দেশের পরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী। এরপর থেকেই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্তরে ক্রমাগত প্রতিবাদ চলছে। তারই মধ্যে বুধবার সকালে যখন যোগ্য শিক্ষকরা কসবায় ডিআই অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে যান, তখন পুলিশ তাদের উপর লাঠিচার্জ করে।
    এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিএমের কুলটি এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে নিয়ামতপুর বাজার এলাকায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় অনেক বামপন্থী নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
    এই প্রসঙ্গে সিপিএমের নেতা দেবানন্দ প্রসাদ বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার দুর্নীতি ছাড়া কোনও কাজই করতে পারছে না। তাদের আমলে ২০১৬ সালে মাত্র একবার এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো । কিন্তু তাতেও এত অনিয়ম পাওয়া গিয়েছিল যে আদালতকে সরকারকে বলতে হয়েছিল যারা যোগ্য এবং যারা অযোগ্য তাদের আলাদা করতে। কিন্তু এসএসসি, রাজ্য সরকার, শিক্ষা দপ্তর কেউই তা করতে পারেনি । যে কারণে পুরো প্যানেলটিকে বাতিল করতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যে প্রচুর ক্ষোভ রয়েছে। সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত যোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা। সিপিএম বাকিটা আদালতে বিষয়টি দেখবে।

  • বার্নপুর সেল আইএসপির সম্প্রসারণ / বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ভাঙা হলো ৭০ বছরের পুরনো ৫ টি কুলিং টাওয়ার……………বার্নপুর,

    বার্নপুর সেল আইএসপির সম্প্রসারণ / বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে ভাঙা হলো ৭০ বছরের পুরনো ৫ টি কুলিং টাওয়ার……………বার্নপুর,

    পাবলিক নিউজ আসানসোল :– রামনবমী রবিবার সকালে ইস্পাত নগরী বার্নপুর সহ গোটা শিল্পাঞ্চল একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী থাকলো। বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপিতে পূর্ব ঘোষণা মতো ভেঙে ফেলা হলো ৫ টি কুলিং টাওয়ার। নতুন প্ল্যান্ট সম্প্রসারণের জন্য আইএসপির ভেতরে ৫ টি কুলিং টাওয়ার ভেঙে ফেলা হলো বলে, কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার জানিয়েছেন।
    তিনি বলেন, এদিন বার্নপুর সেল আইএসপির পাঁচটি আইকনিক কুলিং টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়। ৭০ বছরের পুরনো পাঁচটি হাইপারবোলিক কংক্রিট ন্যাচারাল ড্রাফ্ট কুলিং টাওয়ার। প্রতিটি ৭২ মিটার উঁচু এবং ৩০-৪৮ মিটার ব্যাসের। এদিন সকাল ১২.১৫ মিনিটে ভেঙে ফেলা হয়।
    প্রাথমিক ভাঙার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী পদ্ধতি হল বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে কাঠামোগত ধস নামানো। এর পরে হাইড্রোলিক সরঞ্জাম লাগানো খননকারী যন্ত্র ব্যবহার করে সেকেন্ডারি পার্টের কাজ করা হয়।দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ফোরক ধ্বংসকারী বিশেষজ্ঞ মেসার্স জেট ডেমোলিশন ( পিটিওয়াই ) লিমিটেডের সহায়তায় মুম্বাইয়ের মেসার্স এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার সঙ্গে এই কাজের জন্য চুক্তি হয়েছিলো ।আরো বলা হয়েছে, যেহেতু কুলিং টাওয়ারগুলির কোনও কাঠামোগত অঙ্কন পাওয়া যায়নি, তাই মূল ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলি, যেমন রিং বিমের উপরে শেলের পুরুত্বের টেপারিং এবং স্টিল রিইনফোর্সমেন্ট বারগুলির বিশদ স্থান স্থাপনের পরে সরাসরি স্থান তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
    আগে স্থান পরিদর্শন এবং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাঙ্গার নকশা প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভাঙার স্থান প্রস্তুতির কাজ শুরু করার সময় ও স্থান স্থাপনের পরে প্রকৃত কুলিং টাওয়ারের কাঠামোগত বিবরণ স্থাপনের জন্য অতিরিক্ত তদন্ত করা হয়েছিল। তাই ভাঙ্গার নকশার কিছু দিক উপকারী বা প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত হিসাবে সংশোধন করা হয়েছিল।
    জানা গেছে, এই টাওয়ারগুলি ১৯৫০ সালে নির্মিত হয়েছিলো, যখন এই কারখানায় ব্লাস্ট ফার্নেস তৈরী করা হয়। সুতরাং এগুলি প্রায় ৭০ বছরের পুরানো।
    এদিন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাঁচটি কুলিং টাওয়ারে ব্লাস্টিং বা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আর তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পাঁচটি কুলিং টাওয়ার মাটিতে মিশে যায়। এই প্রক্রিয়া চলার সময় যাতে কোন সমস্যা ও আশপাশে ক্ষতি না হয়, তারজন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো। এই কাজের জন্য এদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পর্যন্ত বার্নপুরের রিভারসাইড এলাকার দুটি বিদ্যুৎ সাবস্টেশন বন্ধ রাখা হয়।
    প্রসঙ্গতঃ, এই ধরনের কুলিং টাওয়ার ভাঙার জন্য ভারতে কোনও বিশেষজ্ঞ নেই। তাই বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছিলো। আগেই বলা হয়েছিলো ৫ টি কুলিং টাওয়ার এমনভাবে ভেঙে ফেলা হবে, যাতে সেগুলির জন্য আশপাশের কোনকিছু না হয়। এমনভাবে একই জায়গায় ভেঙে ফেলা হবে, যাতে আশেপাশের এলাকার কোনও ক্ষতি হবে না। বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন , এত বড় টাওয়ার ভেঙে ফেলার দৃশ্য দেখতে খুবই রোমাঞ্চকর হবে। এদিন তেমন দৃশ্য দেখাও গেলো।
    উল্লেখ্য, এবারের সম্প্রসারণের ফলে বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপির লক্ষ্যমাত্রা ৭ মিলিয়ন টন হবে। এই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার পরে সেল আইএসপি দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্পাত কারখানার তকমা পাবে। এই পর্যায়ের সম্প্রসারণে ব্যয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানা গেছে। এর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগবে। এর পরে বার্নপুরের আমুল পরিবর্তন হবে।
    নতুন সম্প্রসারণ থেকে কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন আরো হবে। নতুন প্রজেক্ট আসায় শুধুমাত্র আইএসপির সাথে যুক্ত লোকদের ভবিষ্যতই উন্নত করবে না এমনটা নয়। আসানসোল পুরনিগমের বার্নপুর এলাকা এবং আশেপাশের গ্রামগুলির উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই সম্প্রসারণ। সেল আইএসপির কাছাকাছি বসবাস করা শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে এবং শহরের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও বদলে যাবে। শহরের বিন্যাস বদলে যাবে এবং বিশ্বস্তরে বার্নপুর শহরের নিজস্ব একটা পরিচয় উঠে আসবে ।
    সেল আইএসপির কুলিং টাওয়ার কি? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটি কুলিং টাওয়ার হল একটি বিশেষ তাপ এক্সচেঞ্জার ও পরিবর্তনকারী যন্ত্র । যেখানে বায়ু এবং জলকে জলের তাপমাত্রা কমাতে একে অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগে আনা হয়। ইস্পাত প্ল্যান্টের জন্য কুলিং টাওয়ারের প্রয়োজন হয়। যাতে উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাকালীন উৎপন্ন বর্জ্য তাপ অপসারণ করা যায় ও সরঞ্জামের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহৃত শীতল জলের মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বজায় রাখা যায়।
    প্রসঙ্গতঃ, বার্নপুরে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের এর আগে প্রতি বছর ২.৫ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো। পরে তা তা বাড়িয়ে ৫ মিলিয়ন টন করা হয়েছিলো। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি, যা একসময় মার্টিন বার্ন গ্রুপের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল। ২০০৬ সালে সেলের সাথে বার্নপুর ইস্কো কারখানার সংযুক্তিকরণ হয়। তারপর এর নাম সেল আইএসপি বা ইস্কো স্টিল প্ল্যান্ট হয়। প্রথম পর্যায়ের সম্প্রসারণে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিলো।