তিনদিন ধরে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে অঝোরে বৃষ্টি / পুর ও ব্লক এলাকায় ভেঙে পড়েছে একাধিক কাঁচা বাড়ি, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা

পাবলিক নিউজঃ ডেস্ক আসানসোল :-একটানা গত তিনদিন ধরে আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে অঝোরে বৃষ্টিতে নাকাল অবস্থা। আসানসোল মহকুমার আসানসোল পুরনিগম এলাকা ও চারটি ব্লকের গ্রাম এলাকায় একাধিক কাঁচা বাড়ি এই বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে। আসানসোল পুরনিগম ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে ও কিছু বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি ঐসব এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দেওয়া হয়েছে ত্রিপল। যেসব বাড়ি একেবারে ভেঙে গেছে, সেখানকার বাসিন্দাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পুনর্বাসন দেওয়ার হয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


অন্যদিকে, আসানসোল শহরের স্টেশন রোড ও রানিগঞ্জের সিয়ারশোলে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে দুটি গাছ। সেই দুটি গাছকে প্রশাসনের তরফে কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুর কর্মীদের সঙ্গে এই কাজ করছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
জানা গেছে, আসানসোল পুরনিগমের জামুরিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাদ্যকর পাড়ায় গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ১০ টির মতো কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ে। রবিবার একটি বাড়ি ও সোমবার নয়টি বাড়ি ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জামুরিয়া থানা পুলিশ। আসেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বন্দনা রুইদাস। জামুরিয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বন্দনা রুইদাস ঐ এলাকা পরিদর্শন করেন। কাউন্সিলার ঐসব বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কয়েকজনকে ত্রিপল দেওয়া হয়। বাকিদেরকে স্থানীয় ক্লাব ও স্কুলে চলে আসার কথা বলা হয়েছে।


এই প্রসঙ্গে কাউন্সিলার বলেন, বাদ্যকর পাড়ায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিধায়কের ছেলে অসুস্থ হওয়ার তিনি আসতে পারেননি। বোরো চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। যেসব বাড়ি ভেঙে পড়েছে, সেইসব বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য এদিন দুপুরে বলেন, বেশ কয়েকটি কাঁচা বাড়ি ভেঙে বিভিন্ন ব্লকে। পুর এলাকাতেও এই ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। আসানসোল ও রানিগঞ্জে দুটি গাছ কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন সকালে বারাবনি ব্লকে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। মহকুমা প্রশাসনের তরফে নজরদারি করা হচ্ছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More posts