
আলোক চক্রবর্তী /পাবলিক নিউজঃ ডেস্ক আসানসোল:–সম্প্রতি কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুন ও হত্যার পরে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল সেই সময় রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও দোষীর বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন, ধর্ষকদের ফাঁসির আইন দেশের কোথাও না হলেও মমতা ব্যানার্জী সম্প্রতি বিধানসভায় এই আইন নিয়ে আসলেন কিন্তু পরবর্তী কালে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক দল বিক্ষোভকারীদের খাবার জল থেকে শুরু করে সবকিছু সরবরাহ করছে।

পড়ুয়াদের কাছে এতো পয়সা নাই তাহলে এতো পয়সা কোথা থেকে আসছে সেটা নিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের সাহায্য ছাড়া এতদিন ধরে আন্দোলন চালানো সম্বভব হয় না। শুক্রবার সন্ধ্যে আটটা নাগাদ বার্ণপুরের সম্প্রিতী হলে তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ বিধানসভার কর্মীদের নিয়ে সভাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল লোকসভার সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, আসানসোল পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পরিষদের সদস্য মানস দাস, ব্লক সভাপতি অনুপ মাজি সহ বিশিষ্ট নেতৃত্বরা।

মলয় ঘটক জানান কলকাতার কান্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হচ্ছে কিন্তু তারমধ্যে কিছু জনগণ বাঙ্গালীদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপূজার অনুদান প্রত্যাখান করেছেন কিছুরা দূর্গাপূজা বয়কটের ডাক দিয়েছে, বামফ্রন্টের সময়ও ধর্ষণ ও খুন হলেও বামফ্রন্ট সরকার লাঠিচার্জ করে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ উঠিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু মমতা ব্যানার্জী সেই পথে যান নি।

অন্যদিকে আসানসোল লোকসভার সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা জানান কেন্দ্র সরকার নির্বাচনের আগে বলেছিলেন ৪০০ আসন পার করবে কিন্তু ২৫০ আসন নিয়ে সন্তুষ্ট হতে হলো বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিল সহজে অনুমোদন পাচ্ছে না। কলকাতার বিক্ষোভে কিছু রাজনৈতিক দল ভীড় কমা করছে এবং মমতা ব্যানার্জীকে বদনাম করতে চাইছে কিন্তু পশ্চিম বাংলার বেশীরভাগ জনগণ মমতা ব্যানার্জীকে সমর্থন করেন তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।

Leave a Reply