
পাবলিক নিউজ ডেস্ক:-আসানসোল পুরনিগমের বার্নপুর এলাকার তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বার্নপুরের একটি জমিতে দুটি নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, যে জমিতে এই দুটি নির্মাণ প্রকল্প চলছে, সেখানে দুটি ছোট দোকান এবং একটি শিব মন্দির ছিলো যেখানে আগে গণেশ পূজা হতো। কিন্তু এখন সেখানে কয়েক হাজার বর্গফুটের দুটি বড় ভবন তৈরি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার মানুষ, ক্ষুদ্র কৃষকরা, এই সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপি আমার কাছে জমা দিয়েছেন। তাতে তারা এই নির্মাণ কাজটি বৈধ না অবৈধ তা খুঁজে বার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, এখানে আগে বলা হয়েছিল যে একটি আউটলেট তৈরি করা হবে। সেই সময় কিন্তু কেউ এর বিরোধিতা করেননি। কারণ এখানে একটি শিব মন্দির, দুটি দোকান এবং গণেশ পূজা হতো। তাই প্রথমে কিছুটা ঝামেলা হয়েছিলো। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর হওয়ার কারণে আমি স্থানীয় জনগণের সাথে বসে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধান করেছিলাম। কিন্তু এখন স্থানীয় জনগণ বলছেন যে এখানে দুটি নির্মাণ কাজ অবৈধভাবে করা হচ্ছে। অশোক রুদ্র প্রশ্ন তোলেন, যখন এই বার্নপুরে স্থানীয় দোকানদারদের তাদের ছোট দোকানে কোনও মেরামতের কাজ করতে হলে নানা ধরনের সমস্যার সামনে পড়তে হয়। তখন দোকানদারদের বার্নপুর সেল আইএসপির কাছ থেকে অনুমতি নিতে ক্লান্ত হতে হয়।









এখন এখানে দুটি বড় ভবন তৈরি হচ্ছে, যার বিষয়ে মানুষের সন্দেহ আছে যে এগুলি অবৈধ হতে পারে? তাহলে এই জিনিসটি কিভাবে আধিকারিকদের চোখ এড়িয়ে গেল? তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে যখন স্থানীয় মানুষেরা প্রতিবাদ করেছিল, তখন সেল আইএসপি বা ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে শিব মন্দিরের জন্য অন্য জায়গা দেওয়া হবে। অন্য জায়গায় গণেশ পূজার ব্যবস্থা করা হবে, কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। এদিকে, স্থানীয় মানুষ বলছেন যে এখানে অবৈধ নির্মাণ করা হচ্ছে। অশোক রুদ্র অভিযোগ করেছেন যে, সেল আইএসপি কতৃপক্ষের একাংশের যোগসাজশ ছাড়া এটি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি সেল আইএসপির ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের এ বিষয়ে অবহিত করবো। এর পাশাপাশি আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাবো। অবহিত করবো দিল্লিতে সেল আধিকারিকদেরও। তিনি দাবি করেন যে, সেল আইএসপির আধিকারিকদের বলতে হবে যে, দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে তা বৈধ না অবৈধ।
তবে এই অভিযোগ নিয়ে সেল আইএসপি কতৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

Leave a Reply