






পাবলিক নিউজ আসানসোল:–পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের সালানপুর থানার পাহাড়গোরার বাসিন্দা এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো । সেই অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দূষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও অতি সক্রিয় হওয়া ও ঐ বিজেপি কর্মীকে থানায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সূত্রপাত, গত ৬ এপ্রিল উমেশ নুনিয়া নামে ঐ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয় । পরে সালানপুর থানার পাহাড়গোরা ক্যাম্পের পুলিশ ঐ বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। দাবি করা হয়েছে, কোন লিখিত অভিযোগ ছাড়াই, শুধুমাত্র, ফোনে কথা শুনে পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে তাকে ধরেছিলো। পরের দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিল পুলিশ বিজেপি কর্মী উমেশ নুনিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে, বিচারক তার জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে উমেশ নুনিয়া। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সালানপুর থানা ঘেরাও করে বিজেপি। পাহাড়গোরা ক্যাম্পের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এই বিজেপি কর্মীকে মারধর ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন সালানপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা ও কর্মীরা। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় ও বারাবনি মন্ডল ৪ র সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে। পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। যদিও তার আগে থানার গেটে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়।
ধৃত উমেশ নুনিয়ার স্ত্রী শিলা কুমারী নুনিয়া বলেন, গত ৬ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত কয়েকজন দূষ্কৃতি আমার বাড়িতে চড়াও হয়। তারা আমার স্বামীকে তাদের গানের সঙ্গে জোর করে নাচতে বলছিলো। আমি তার প্রতিবাদ করি। দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। আমার স্বামীকে মারা হয়। তখন আমি তার প্রতিবাদ করি। স্বামীকে বাঁচাতে যাই। আমার সময় তারা শ্লীলতাহানি করেছে। তিনি বলেন, ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ আমার স্বামীকেই গ্রেফতার করে। পরে তাকে পুলিশও থানায় মারধর করে। তার দাবি, আমার স্বামী এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনা নিয়ে মন্ডল সভাপতি পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হওয়ার ও দলের কর্মীকে অভিযোগ ছাড়াই থানায় তুলে আনার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশ এখন কোন কিছু করেনা। পুলিশ শুধুমাত্র তৃনমুল কংগ্রেসের হয়ে তোলা আদায় করে। পাহাড়গোরা ক্যাম্প তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
যদিও এই প্রসঙ্গে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ তাকে মারধর করেনি তিনি আরো বলেন উমেশ নুনিয়া মানসিক রোগী। তার চিকিৎসার দরকার রয়েছে। বাড়ির লোকের তা করা উচিত। এলাকার বাসিন্দারা সব জানেন।






Leave a Reply