
পাবলিক নিউজঃ ডেস্ক:- টানা বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় । আর তাতে বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। তারপরই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই মুহূর্তে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৫ জন । তার মধ্যে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ৮৫ জন এবং দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় ৬৫ জন বলে শনিবার জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান। তিনি বলেন, ১৫ জন আক্রান্ত জেলার বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা। সব ব্লকে এক বা দুজন করে ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ পাওয়া গেলেও জেলার অন্ডাল ও কাঁকসা এলাকায় এই রোগের সংখ্যা বেশি বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়ে। তিনি বলেন, দুজন বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন। তারা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। গত দুই সপ্তাহে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ বলে তিনি জানিয়েছেন। এই মুহুর্তে ডেঙ্গু মোকাবিলায় জেলাস্তরে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আগস্ট মাসে কেবলমাত্র এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। আসানসোল পুর এলাকায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ২৬ জন বাঙ্গালোর, চেন্নাই সহ প্রধানতঃ দক্ষিন ভারত থেকে এই রোগ আক্রান্ত হয়ে ত নিজেদের জেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, আসানসোল পুরনিগমের ৩, ৪, ৫, ৬ নং বোরোগুলিতে সবচেয়ে বেশি এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গেছে। এর পাশাপাশি আসানসোলের রেলপারে মুৎসুদ্ধি মহল্লা, হটন রোড, আসানসোল বাজার সংলগ্ন এলাকা বলতে ৪১, ৪৪, ৪৫ নং ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও কুলটির নিয়ামতপুর, বরাকর , ডিসেরগড়ে এই রোগে আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই।
তিনি আরো বলেন, আসানসোলের দুটি, রানিগঞ্জ, কুলটি ও জামুরিয়ার তিনটি সহ মোট পাঁচটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হেলথ সেন্টারে প্রতিদিন এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তার পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুর এলাকার মধ্যে আমাদের যে ২৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে সেইসব কেন্দ্রগুলিতে যদি কেউ জ্বর নিয়ে যান বা বিশেষ কোনো উপসর্গ থাকে তাহলে তাদের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা হচ্ছে কোথাও জল জমে আছে বা আবর্জনা জমে আছে কিনা। কোথাও তা থাকলে তার রিপোর্ট করার পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে গতবার এই সময় যে পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ছিল এবার তার চেয়ে সামান্য কিছু কম আছে। তার দাবি, কিন্তু আগস্ট মাসে আচমকা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে তা, প্রধানতঃ টানা বৃষ্টির কারণে। পুরনিগমের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সমানে নজরদারিও চালানো হচ্ছে।

Leave a Reply